রামপালে ৪০ দিনের কর্মসূচিতে ব্যাপক অনিয়মের অভিযোগ



ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, বাগেরহাট
রামপালে ৪০ দিনের কর্মসূচিতে ব্যাপক অনিয়মের অভিযোগ, ছবি: বার্তা২৪.কম

রামপালে ৪০ দিনের কর্মসূচিতে ব্যাপক অনিয়মের অভিযোগ, ছবি: বার্তা২৪.কম

  • Font increase
  • Font Decrease

বাগেরহাটের রামপালে অতিদরিদ্রদের কর্মসংস্থানের ৪০ দিনের কর্মসূচিতে নানা অনিয়মের অভিযোগ উঠেছে। রামপাল উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা অসুস্থ থাকায় ও কাজ দেখভাল করার লোকবলের অভাবে কর্মসৃজন এ প্রকল্প বাস্তবায়নে সংশয় দেখা দিয়েছে।

উপজেলার বিভিন্ন ইউনিয়নের চলমান ৪০ দিনের কর্মসূচির ২য় পর্যায়ের প্রকল্প এলাকার আশপাশের বাসিন্দাদের সঙ্গে কথা বলে ও সরেজমিনে খোঁজ-খবর নিয়ে জানা গেছে, প্রকল্পের আওতায় প্রতি শ্রমিকের ৩৫ ঘনফুট মাটি কাটার কথা থাকলেও বাস্তবে ৫ থেকে ১০ ঘনফুট মাটি অধিকাংশ জায়গায় কাটা হয়নি।

উপজেলার সদর ইউনিয়নের নিতিশ মেম্বরের বাড়ি থেকে ব্রীজ পর্যন্ত রাস্তার কাজে রোববার (২৩ জুন) ২৭ জনের বিপরীতে ১৬ জনকে কাজ করতে দেখা গেছে। ওই প্রকল্পের শ্রমিক সরদার যতিশ মন্ডল বলেন, ২৭ জনের মধ্যে ২৫ জনেরই বিল তোলেন স্থানীয় নিতিশ মেম্বর।

হুড়কা ইউপির ১নং ওয়ার্ডের পরিমল মেম্বরের এলাকার দোয়ানিয়া বেলাইয়ের রাস্তায় গিয়ে দেখা যায় ৩৯ জন শ্রমিকের মধ্যে ২৬ জন কাজ করছেন। ওই প্রকল্পের সরদার সুনিল বিশ্বাস বলেন, পরিমল মেম্বর ঈদের আগেই ৩৫ জনের ২ সপ্তাহের বিল তুলে নিয়েছেন। এ ব্যাপারে ওই প্রকল্পের সভাপতি পরিমল মেম্বর বলেন, ৩০ থেকে ৩২ জন রোজ কাজে হাজির হন।

হুড়কার বুলবুলি বেগমের প্রকল্পে গিয়ে দেখা যায়, ২৫ জন শ্রমিকের জায়গায় ১৩ জন কাজ করছেন। কিন্তু বিল তোলেন তিনি ২২/২৩ জনের। এ ব্যাপারে বুলবুলি মেম্বর বলেন, কয়জনের বিল তুলি তা যারা কাজ করেন এবং স্থানীয়রা সবাই জানেন।

একই ইউনিয়নের অনিমেষ মন্ডল ওরফে মঙ্গল মেম্বরের প্রকল্পে গিয়ে সকল শ্রমিককে উপস্থিত দেখতে পাওয়া যায়। রামপাল সদর ইউনিয়নের ঝনঝনিয়া এলাকায় মহিলা মেম্বর ছালিমা আক্তার উর্মির প্রকল্পে গিয়ে ৩০ জনের মধ্যে ২২ জনকে কাজ করতে দেখা যায়। একই ইউনিয়নের শ্রীফলতলা এলাকায় গিয়ে অপর মহিলা মেম্বর জোসনা বেগমের প্রকল্পে ২৮ জনের মধ্যে ৭ জনকে কাজ করতে দেখা যায়। ওই প্রকল্পের শ্রমিকেরা বলেন, তারা শুরু থেকেই ৭/৮ জন কাজ করে আসছেন।

৮নং ওয়ার্ডের মিকাইল মেম্বরের প্রকল্পে ২৭ জনের মধ্যে ১৬ জন শ্রমিক কাজ করছেন। এরপর বাঁশতলী ইউনিয়নের গিলাতলা এলাকায় ফকির নজরুল ইসলাম মুক্তর প্রকল্পে ৪২ জনের মধ্যে ৩১ জন শ্রমিক কাজ করতে দেখা যায়। এমন চিত্র উপজেলার প্রত্যেক ইউনিয়নে।

এ ব্যাপারে বাগেরহাটের রামপাল উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা মো. নাহিদুজ্জামান বলেন, আমি অসুস্থ্ এবং আমার দপ্তরে লোকবলের সংকট রয়েছে। তারপরও প্রকল্পে অনুপস্থিত শ্রমিকের বিপরীতে কোনো পারিশ্রমিক দেওয়া হবে না।

৪০ দিনের কর্মসূচির বিষয়ে রামপাল উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা তুষার কুমার পাল বলেন, কোনো অনিয়ম বা কারো কোনো গাফিলতি থাকলে তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়াসহ প্রকল্পের স্বচ্ছতা ও জবাবদিহিতা নিশ্চিত করা হবে।

   

গড়াই নদীতে ডুবে যুবকের মৃত্যু



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, কুষ্টিয়া
ছবি প্রতীকী

ছবি প্রতীকী

  • Font increase
  • Font Decrease

কুষ্টিয়ার খোকসায় গড়াই নদীতে ডুবে সুমন (২০) নামে এক যুবকের মৃত্যু হয়েছে।

রোববার (৫ এপ্রিল) বিকেলে খোকসা উপজেলার গনেশপুর অংশে গড়াই নদী থেকে মরদেহ উদ্ধার করা হয়।

মৃত সুমন কুমারখালী উপজেলার রাজাপুর গ্রামের নিজাম উদ্দিনের ছেলে।

খোকসা ফায়ার সার্ভিস স্টেশনের ফায়ারম্যান হাবিবুর রহমান জানান, সকালের দিকে গড়াই নদীতে মাছ ধরতে যান সুমন। মাছ ধরার এক পর্যায়ে নদীতে ডুবে যান তিনি। বিকেলের দিকে স্থানীয়দের সহায়তায় তার মরদেহ উদ্ধার করে ফায়ার সার্ভিস।

;

কুমিল্লার নাঙ্গলকোটে বজ্রপাতে কিশোরের মৃত্যু



ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, কুমিল্লা
প্রতীকী ছবি

প্রতীকী ছবি

  • Font increase
  • Font Decrease

কুমিল্লার নাঙ্গলকোটে ফুটবল খেলার সময় বজ্রপাতে সাফায়েত হোসেন (১৯) নামে একজনের মৃত্যু হয়েছে। এ সময় সালাউদ্দিন (২২) নামের আরেক যুবক গুরুতর আহত হন।

রোববার (৫ এপ্রিল) এই বিকেলে এই ঘটনা ঘটে। তাদের উদ্ধার করে সন্ধ্যা সাড়ে ৬টার দিকে লাকসামের একটি ক্লিনিকে নেওয়া হলে কর্তব্যরত চিকিৎসক ওই কিশোরকে মৃত ঘোষণা করেন।

স্থানীয় সূত্র জানায়, উপজেলার আদ্রা দক্ষিণ ইউনিয়নের আটিয়াবাড়ি দক্ষিণপাড়া স্কুল বাড়ির আবদুল আউয়ালের ছেলে সাফায়াত হোসেন এদিন বিকেলে সহপাঠীদের সাথে পার্শ্ববর্তী ঘোড়াময়দান গ্রামের একটি মাঠে ফুটবল খেলতে যায়। বিকাল ৫টার দিকে খেলা চলা অবস্থায় আকস্মিক বজ্রপাতে সাফায়েতের পুরো শরীর ঝলসে যায়। তাৎক্ষনিকভাবে তাকে উদ্ধার করে লাকসামের একটি ক্লিনিকে নেয়া হলে সন্ধ্যায় কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন।

এছাড়া বজ্রপাতে ওই ঘোড়াময়দান গ্রামের নুরুল হকের ছেলে সালাউদ্দিন (২২) গুরুতর আহত হয়ে স্থানীয় একটি ক্লিনিকে চিকিৎসাধীন রয়েছে।

স্থানীয় ইউপি চেয়ারম্যান আবদুল ওহাব ঘটনার এ ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করেছেন।

;

লক্ষ্মী ভাইয়েরা বাসায় যান, নিজেসহ দেশকে বাঁচান



নাহিদ রেজা, স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, ঠাকুরগাঁও
ওসি তানভিরুল ইসলাম।

ওসি তানভিরুল ইসলাম।

  • Font increase
  • Font Decrease

আমার লক্ষ্মী ভাইয়েরা দয়া করে বাইরে ঘোরাঘুরি না করে বাসায় যান। নিজে বাঁচেন, পরিবারকে বাঁচান, দেশকে বাঁচান। সচেতন হোন।

ঠিক এসব কথা বলে করোনাভাইরাস প্রতিরোধে জনগণকে সচেতন করছেন ঠাকুরগাঁও সদর থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) তানভিরুল ইসলাম। মাঠ পর্যায়ে গিয়ে এভাবে সচেতন করায় সাধুবাদ জানিয়েছে সাধারণ মানুষ।

ঠাকুরগাঁও সদর উপজেলার রহিমানপুর ইউনিয়নের রেজাউল ইসলাম বলেন, ‘আমি ওষুধ কেনার জন্য স্থানীয় বাজারে এসেছিলাম। কিছুক্ষণ পর থানার একটি গাড়ি বাজারের সামনে এসে দাঁড়ায় এবং ওসি তানভিরুল সবাইকে বাসায় থাকার জন্য অনুরোধ করেন। এর আগে কখনো জনগণের সঙ্গে পুলিশের এমন ভালো আচরণ দেখি নাই।’

ঠাকুরগাঁও সদর উপজেলার চৌড়াস্তা মোড়ে কথা হয় জয়নাল নামে এক পথচারীর সঙ্গে। তিনি বলেন, ‘আমাদের জেলার পুলিশ সাধারণ জনগণের সঙ্গে ভালো ব্যবহার করছে। তাদের ভাই বলে বাসায় ফিরে যাওয়ার জন্য অনুরোধ করছে। ওসিসহ পুলিশের সদস্যরা নিজেদের কথা চিন্তা না করে আমাদের জন্য এ কাজটি করে যাচ্ছেন। তাদের ধন্যবাদ জানাই।’

স্থানীয় সাহাদত হোসেন নামে একজন বলেন,‘তানভিরুল ভাই একজন মানবিক পুলিশ অফিসার। তার জন্য শুভকামনা ও দোয়া রইল।’

ঠাকুরগাঁও সদর থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) তানভিরুল ইসলাম বার্তা২৪.কমকে বলেন, ‘করোনাভাইরাস নিয়ে আতঙ্কিত হওয়ার কিছু নেই। এ ভাইরাস প্রতিরোধে আমাদের সবাইকে সচেতন হতে হবে। সরকার যেসব দিক নির্দেশনা দিয়েছে সেগুলো মেনে চলতে হবে। জনগণের সঙ্গে খারাপ ব্যবহার না করে তাদের সচেতন করা হচ্ছে। এতে কাজও হচ্ছে।’

;

ডিবি পরিচয়ে মোবাইল ছিনতাই, যুবক গ্রেফতার



ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, নীলফামারী
গ্রেফতার আবেদ আলী।

গ্রেফতার আবেদ আলী।

  • Font increase
  • Font Decrease

নীলফামারীতে গোয়েন্দা পুলিশের (ডিবি) উপপরিদর্শক পরিচয়ে মোবাইল ছিনতাই করার অপরাধে আবেদ আলী (২৮) নামে এক যুবককে গ্রেফতার করেছে পুলিশ।

রোববার (৫ এপ্রিল) বিকেলে নীলফামারী সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মমিনুল ইসলাম এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।

আবেদ আলী সৈয়দপুর উপজেলার কাশিরাম বেলপুকুর ইউনিয়নের চওড়া গ্রামের খয়রাত হোসেনের ছেলে।

জানা গেছে, শনিবার (৪ এপ্রিল) দুপুরে জেলা সদরের কুন্দপুকুর ইউনিয়নের আঙ্গারপাড়া গ্রামে মোকছেদুল ইসলামসহ কয়েক যুবক মোবাইলে ভিডিও গেম খেলছিলেন। এ সময় আবেদ আলী নিজেকে সৈয়দপুর থানার ডিবি পুলিশের উপপরিদর্শক পরিচয় দিয়ে ওই যুবকদের কাছ থেকে মোবাইলটি নিয়ে যান। পরে এ বিষয়ে মোবাইলের মালিক মোকছেদুল ইসলাম সদর থানায় অভিযোগ করেন।

এরপর রোববার ভোরে আবেদ আলীর বাড়িতে অভিযান চালিয়ে তাকে গ্রেফতার করা হয়। ওই সময় তার কাছ থেকে ছিনতাই কাজে ব্যবহৃত একটি খেলনা পিস্তল ও ওয়্যারলেস সেট, একাধিক মোবাইল সিম এবং দুটি পরিচয়পত্র জব্দ করে পুলিশ।

নীলফামারী সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মমিনুল ইসলাম জানান, প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে ডিবি পুলিশের ভুয়া পরিচয়ে মোবাইল ছিনতাই করার সত্যতা স্বীকার করেছেন আবেদ আলী। এ ঘটনায় মামলা দায়ের করার পর আদালতের মাধ্যমে তাকে কারাগারে পাঠানো হয়েছে।

;