ইয়াবা পাচারে নতুন সংযোজন ‘রোহিঙ্গা’



উপজেলা করেসপন্ডেন্ট, টেকনাফ, বার্তা ২৪.কম
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

দেশের ইয়াবার প্রবেশদ্বার খ্যাত টেকনাফে মাদক নির্মূলে জিরো টলারেন্স নীতিতে কাজ করছে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী। সরকার মাদকের বিরুদ্ধে যুদ্ধ ঘোষণা করলে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী নড়েচড়ে বসে। তখন থেকেই ইয়াবা বিরোধী অভিযান জোরদার হয়।

ইয়াবার আস্তানা ও কারবারিদের একের পর এক হানায় নাস্তানাবুদ হয়ে পড়ে। মাদক নির্মূল করতে গিয়ে টেকনাফে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সঙ্গে বন্ধুকযুদ্ধে ১০১ জন মাদক কারবারী নিহত হয়। এর মাঝে পুলিশের ৭৪ জন, বিজিবির সঙ্গে ১৮ জন, র‌্যাবের সঙ্গে ৭ জন নিহত হন। তবে নিহতদের মধ্যে নারীসহ অনেক রোহিঙ্গা নাগরিক রয়েছেন। এছাড়া আইনশৃংখলা বাহিনীর ভয়ে ১০২ মাদককারবারী আত্মসর্ম্পন করেছে। অন্যান্য মাদক কারবারীরা এলাকা ছেড়ে পালিয়ে বেড়াচ্ছে।

জানা যায়, ইয়াবা কারবার কিছুটা থামতে না থামতেই রোহিঙ্গা শিবির ভিত্তিক ইয়াবা সিন্ডিকেট সক্রিয় হয়ে ওঠে। সীমান্ত দিয়ে ইয়াবা পাচার এখনো থামেনি, তবে আগের মতো ইয়াবার বেপরোয়া গতি এখন আর নেই। আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর শক্ত অবস্থানে কারবারিরা তেমন সুবিধা করতে পারছেন না।

তবে রোহিঙ্গা ইয়াবা সিন্ডিকেট এখনো মিয়ানমার থেকে ইয়াবার বড় চালান দেশে ঢুকাচ্ছে বলে অভিযোগ রয়েছে। বাংলাদেশে আশ্রিত রোহিঙ্গারা নতুন করে মিয়ানমার থেকে ইয়াবা পাচারে যুক্ত হচ্ছে। আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীর অভিযান ও ইয়াবা ব্যবসায়ীদের আর্ত্মসমপণে ইয়াবা পাচার থামছে না বরং পাচারে নতুন কৌশল অবলম্বন করা হচ্ছে, সহজলভ্য ও সস্তা মাদক বহনকারী হয়ে উঠেছে শিবিরের রোহিঙ্গারা। পাচারকারী হিসেবে ব্যবহার হচ্ছে রোহিঙ্গা পুরুষ ও নারীরা।

এদিকে বিভিন্ন সংস্থার গত কয়েক বছরের তথ্য বিশ্লেষণে দেখা যায়, রোহিঙ্গা আসার পর শরণার্থী ক্যাম্প এলাকায় কক্সবাজারে ইয়াবা আটকের পরিমাণ বেড়েছে। একই সঙ্গে বেড়ে গেছে মাদক মামলা ও আসামির সংখ্যাও। তবে সরকার মাদকের বিরুদ্ধে হটলাইনে যাওয়ায় চলতি বছরে মাদক পাচার কিছুটা কমেছে।

https://img.imageboss.me/width/700/quality:100/https://img.barta24.com/uploads/news/2019/Jun/26/1561507718945.jpg

সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা বলছেন, দেশে মাদকের চাহিদার কারণে সরবরাহও আছে, কিন্তু সরবরাহ বন্ধ করা না গেলে চাহিদা বাড়তেই থাকবে, যার কারনে বাংলাদেশকে মাদক পাচারের রুট হিসেবেও ব্যবহার করা হচ্ছে। তবে আটক হওয়া রোহিঙ্গারা পরিচয় লুকানোর কারণে মাদক সংক্রান্ত মামলায় রোহিঙ্গা আটকের সঠিক পরিসংখ্যা জানা কঠিন হয়ে পড়েছে।

সরেজমিন অনুসন্ধানে জানা গেছে, গত এক বছরে কক্সবাজারের ৩৪ রোহিঙ্গা শিবিরে মাদক বিক্রি ও সেবনের আখড়া গড়ে উঠেছে। ইয়াবা মজুতের জন্যও ব্যবহৃত হচ্ছে জনবহুল এই ক্যাম্পগুলো। তবে জেলা গোয়েন্দা পুলিশের তৈরি করা ইয়াবা কারবারির তালিকায়ও ১৩ জন নেতৃস্থানীয় রোহিঙ্গার নাম রয়েছে।

স্থানীয় রোহিঙ্গা নেতারা জানান, ইয়াবা ব্যবসায় বেশি জড়াচ্ছে শিবিরের স্বামীহারা নারীরা। তারাই এখানে সবচেয়ে অসহায়। তারা সীমান্তরক্ষীদের ফাঁকি দিয়ে ওপারে যাওয়া-আসার নিরাপদ পথ চেনে।

টেকনাফের লেদা রোহিঙ্গা শিবিরের ডেভলপমেন্ট কমিটির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান মোঃ আলমের মতে, অসহায়ত্বের সুযোগ নিয়ে স্থানীয় প্রভাবশালীরা রোহিঙ্গাদের এ কাজে জড়াচ্ছে। তবে তাদের পক্ষ থেকে রোহিঙ্গা শিবিরে মাদক প্রতিরোধে বিভিন্ন প্রচারনা চালানো হচ্ছে।

মাদক নিয়ন্ত্রণ কর্মকর্তারা বলছেন, মিয়ানমার থেকে বিতাড়িত রোহিঙ্গাদের অনুপ্রবেশের পর ইয়াবার পাচার বেড়ে গেছে। যে কারণে ২০১৬ সালের তুলনায় ২০১৭ ও ১৮ সালে অনেক বেশি ইয়াবার চালান ও পাচারকারী আটক হয়েছে। তবে মাদক বিরোধেী অবস্থানে ২০১৯ সালে অনেকটা কমে এসেছে। রোহিঙ্গা শিবিরকে নিরপদ মনে করে অনেক ইয়াবা কারবারি সেখানে আশ্রয় নিয়েছেন।

টেকনাফ মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) প্রদীপ কুমার দাশ বার্তা ২৪.কমকে বলেন, ‘সীমান্তের ইয়াবা বন্ধে পুলিশ জিরো টলারেন্স নীতি গ্রহণ করছেন। মাদক বিরোধী অভিযানে বন্দুকযুদ্ধে ৭৪ জন শীর্ষ ইয়াবা কারবারি নিহত হয়েছে এবং ১০২ জন কারবারি আত্মসমর্পন করেছেন। এছাড়া অনেক ইয়াবা কারবারি পালিয়ে আত্মগোপনে রয়েছে।

তিনি আরো বলেন, ‘পুলিশ ও অন্যান্য বাহিনীর তৎপরতায় স্থানীয় লোকজন এখন ইয়াবা কারবারে জড়াতে চাচ্ছেনা। তবে রোহিঙ্গা এখন নতুন করে ইয়াবা পাচারে চেষ্টা করছে। রোহিঙ্গা শিবিরে ইয়াবা সিন্ডিকেট ও কারবারিদের পুলিশ খোঁজ নিচ্ছে এবং তাদের মাঝে মাদক বিরোধী সচেতনতা সৃষ্টির জন্য বিভিন্ন কর্মসূচির পরিকল্পনা নেয়া হয়েছে।’

র‌্যাব-১৫ টেকনাফ ক্যাম্প ইনচার্জ লেফটেন্যান্ট মির্জা শাহেদ মাহতাব বার্তা২৪.কমকে বলেন, ‘দেশব্যাপী মাদক বিরোধী অভিযান শুরুর পর স্থানীয় অনেক ইয়াবা পাচারকারীও রোহিঙ্গা শিবিরে আশ্রয় নিয়েছে বলে আমরা জানতে পেরেছি। যে কারণে শিবিরগুলোতে র‌্যাবের তৎপরতা বাড়ানো হয়েছে। মাদকের সঙ্গে জড়িত কাউকে ছাড় দেওয়া হবেনা।’

টেকনাফস্থ ২ বর্ডার গার্ড ব্যাটালিয়ন অধিনায়ক লে.কর্ণেল মোহাম্মদ ফয়সল হাসান খাঁন বার্তা২৪.কমকে বলেন, সীমান্তে ইয়াবার পাচার রোধে বিজিবি কঠোর অবস্থানে রয়েছে। গত ৬ মাসে বিজিবির অভিযানে ৪২ লক্ষ পিস ইয়াবা উদ্ধার করেছে এবং ১৮ জন ইয়াবা কারবারি বন্দুকযুদ্ধে মারা যান। তাদের মধ্যে বেশির ভাগই রোহিঙ্গা নাগরিক।

   

গড়াই নদীতে ডুবে যুবকের মৃত্যু



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, কুষ্টিয়া
ছবি প্রতীকী

ছবি প্রতীকী

  • Font increase
  • Font Decrease

কুষ্টিয়ার খোকসায় গড়াই নদীতে ডুবে সুমন (২০) নামে এক যুবকের মৃত্যু হয়েছে।

রোববার (৫ এপ্রিল) বিকেলে খোকসা উপজেলার গনেশপুর অংশে গড়াই নদী থেকে মরদেহ উদ্ধার করা হয়।

মৃত সুমন কুমারখালী উপজেলার রাজাপুর গ্রামের নিজাম উদ্দিনের ছেলে।

খোকসা ফায়ার সার্ভিস স্টেশনের ফায়ারম্যান হাবিবুর রহমান জানান, সকালের দিকে গড়াই নদীতে মাছ ধরতে যান সুমন। মাছ ধরার এক পর্যায়ে নদীতে ডুবে যান তিনি। বিকেলের দিকে স্থানীয়দের সহায়তায় তার মরদেহ উদ্ধার করে ফায়ার সার্ভিস।

;

কুমিল্লার নাঙ্গলকোটে বজ্রপাতে কিশোরের মৃত্যু



ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, কুমিল্লা
প্রতীকী ছবি

প্রতীকী ছবি

  • Font increase
  • Font Decrease

কুমিল্লার নাঙ্গলকোটে ফুটবল খেলার সময় বজ্রপাতে সাফায়েত হোসেন (১৯) নামে একজনের মৃত্যু হয়েছে। এ সময় সালাউদ্দিন (২২) নামের আরেক যুবক গুরুতর আহত হন।

রোববার (৫ এপ্রিল) এই বিকেলে এই ঘটনা ঘটে। তাদের উদ্ধার করে সন্ধ্যা সাড়ে ৬টার দিকে লাকসামের একটি ক্লিনিকে নেওয়া হলে কর্তব্যরত চিকিৎসক ওই কিশোরকে মৃত ঘোষণা করেন।

স্থানীয় সূত্র জানায়, উপজেলার আদ্রা দক্ষিণ ইউনিয়নের আটিয়াবাড়ি দক্ষিণপাড়া স্কুল বাড়ির আবদুল আউয়ালের ছেলে সাফায়াত হোসেন এদিন বিকেলে সহপাঠীদের সাথে পার্শ্ববর্তী ঘোড়াময়দান গ্রামের একটি মাঠে ফুটবল খেলতে যায়। বিকাল ৫টার দিকে খেলা চলা অবস্থায় আকস্মিক বজ্রপাতে সাফায়েতের পুরো শরীর ঝলসে যায়। তাৎক্ষনিকভাবে তাকে উদ্ধার করে লাকসামের একটি ক্লিনিকে নেয়া হলে সন্ধ্যায় কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন।

এছাড়া বজ্রপাতে ওই ঘোড়াময়দান গ্রামের নুরুল হকের ছেলে সালাউদ্দিন (২২) গুরুতর আহত হয়ে স্থানীয় একটি ক্লিনিকে চিকিৎসাধীন রয়েছে।

স্থানীয় ইউপি চেয়ারম্যান আবদুল ওহাব ঘটনার এ ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করেছেন।

;

লক্ষ্মী ভাইয়েরা বাসায় যান, নিজেসহ দেশকে বাঁচান



নাহিদ রেজা, স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, ঠাকুরগাঁও
ওসি তানভিরুল ইসলাম।

ওসি তানভিরুল ইসলাম।

  • Font increase
  • Font Decrease

আমার লক্ষ্মী ভাইয়েরা দয়া করে বাইরে ঘোরাঘুরি না করে বাসায় যান। নিজে বাঁচেন, পরিবারকে বাঁচান, দেশকে বাঁচান। সচেতন হোন।

ঠিক এসব কথা বলে করোনাভাইরাস প্রতিরোধে জনগণকে সচেতন করছেন ঠাকুরগাঁও সদর থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) তানভিরুল ইসলাম। মাঠ পর্যায়ে গিয়ে এভাবে সচেতন করায় সাধুবাদ জানিয়েছে সাধারণ মানুষ।

ঠাকুরগাঁও সদর উপজেলার রহিমানপুর ইউনিয়নের রেজাউল ইসলাম বলেন, ‘আমি ওষুধ কেনার জন্য স্থানীয় বাজারে এসেছিলাম। কিছুক্ষণ পর থানার একটি গাড়ি বাজারের সামনে এসে দাঁড়ায় এবং ওসি তানভিরুল সবাইকে বাসায় থাকার জন্য অনুরোধ করেন। এর আগে কখনো জনগণের সঙ্গে পুলিশের এমন ভালো আচরণ দেখি নাই।’

ঠাকুরগাঁও সদর উপজেলার চৌড়াস্তা মোড়ে কথা হয় জয়নাল নামে এক পথচারীর সঙ্গে। তিনি বলেন, ‘আমাদের জেলার পুলিশ সাধারণ জনগণের সঙ্গে ভালো ব্যবহার করছে। তাদের ভাই বলে বাসায় ফিরে যাওয়ার জন্য অনুরোধ করছে। ওসিসহ পুলিশের সদস্যরা নিজেদের কথা চিন্তা না করে আমাদের জন্য এ কাজটি করে যাচ্ছেন। তাদের ধন্যবাদ জানাই।’

স্থানীয় সাহাদত হোসেন নামে একজন বলেন,‘তানভিরুল ভাই একজন মানবিক পুলিশ অফিসার। তার জন্য শুভকামনা ও দোয়া রইল।’

ঠাকুরগাঁও সদর থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) তানভিরুল ইসলাম বার্তা২৪.কমকে বলেন, ‘করোনাভাইরাস নিয়ে আতঙ্কিত হওয়ার কিছু নেই। এ ভাইরাস প্রতিরোধে আমাদের সবাইকে সচেতন হতে হবে। সরকার যেসব দিক নির্দেশনা দিয়েছে সেগুলো মেনে চলতে হবে। জনগণের সঙ্গে খারাপ ব্যবহার না করে তাদের সচেতন করা হচ্ছে। এতে কাজও হচ্ছে।’

;

ডিবি পরিচয়ে মোবাইল ছিনতাই, যুবক গ্রেফতার



ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, নীলফামারী
গ্রেফতার আবেদ আলী।

গ্রেফতার আবেদ আলী।

  • Font increase
  • Font Decrease

নীলফামারীতে গোয়েন্দা পুলিশের (ডিবি) উপপরিদর্শক পরিচয়ে মোবাইল ছিনতাই করার অপরাধে আবেদ আলী (২৮) নামে এক যুবককে গ্রেফতার করেছে পুলিশ।

রোববার (৫ এপ্রিল) বিকেলে নীলফামারী সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মমিনুল ইসলাম এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।

আবেদ আলী সৈয়দপুর উপজেলার কাশিরাম বেলপুকুর ইউনিয়নের চওড়া গ্রামের খয়রাত হোসেনের ছেলে।

জানা গেছে, শনিবার (৪ এপ্রিল) দুপুরে জেলা সদরের কুন্দপুকুর ইউনিয়নের আঙ্গারপাড়া গ্রামে মোকছেদুল ইসলামসহ কয়েক যুবক মোবাইলে ভিডিও গেম খেলছিলেন। এ সময় আবেদ আলী নিজেকে সৈয়দপুর থানার ডিবি পুলিশের উপপরিদর্শক পরিচয় দিয়ে ওই যুবকদের কাছ থেকে মোবাইলটি নিয়ে যান। পরে এ বিষয়ে মোবাইলের মালিক মোকছেদুল ইসলাম সদর থানায় অভিযোগ করেন।

এরপর রোববার ভোরে আবেদ আলীর বাড়িতে অভিযান চালিয়ে তাকে গ্রেফতার করা হয়। ওই সময় তার কাছ থেকে ছিনতাই কাজে ব্যবহৃত একটি খেলনা পিস্তল ও ওয়্যারলেস সেট, একাধিক মোবাইল সিম এবং দুটি পরিচয়পত্র জব্দ করে পুলিশ।

নীলফামারী সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মমিনুল ইসলাম জানান, প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে ডিবি পুলিশের ভুয়া পরিচয়ে মোবাইল ছিনতাই করার সত্যতা স্বীকার করেছেন আবেদ আলী। এ ঘটনায় মামলা দায়ের করার পর আদালতের মাধ্যমে তাকে কারাগারে পাঠানো হয়েছে।

;