ঘুরে আসুন সাগরের তলদেশ থেকে!
চলার পথে চারপাশে ঘুরছে নানা প্রজাতির মাছ। যার মধ্যে হাঙর ও পিরানহাও আছে। এর মধ্য দিয়েই হেঁটে চলেছেন পর্যটকরা। পর্যটকদের অ্যাডভেঞ্চার ভ্রমণ বিনোদন দিতে সাগরের তলদেশের আদলে দেশে প্রথমবারের মতো গড়ে উঠেছে রেডিয়েন্ট ফিস ওয়ার্ল্ড, যা কক্সবাজারের পর্যটন শিল্পে সংযোজন করেছে নতুন মাত্রা। ফলে ছুটিতে যে কেউ ঘুরে আসতে পারেন এই কৃত্রিম সাগর তলদেশ থেকে।
জানা গেছে, মালয়েশিয়ার প্রকৌশলীদের সহায়তায় কক্সবাজারে নির্মাণ করা হয়েছে আন্তর্জাতিক মানের এই অ্যাকুরিয়াম। নির্মাণে সময় লেগেছে দুই বছর। ২০১৭ সালে এই অ্যাকুরিয়াম উদ্বোধন করা হয়। এটি শুধু কক্সবাজারের জন্য নয়, বাংলাদেশের পর্যটন শিল্পে বড় ভূমিকা রাখছে।
অ্যাকুরিয়ামে বঙ্গোপসাগর থেকে নানান প্রজাতির সামুদ্রিক মাছ সংরক্ষণ করা হয়েছে। যাদের মধ্যে অচেনা ও বিলুপ্তপ্রায় অনেক মাছও রয়েছে। সাগরের বিলুপ্ত মাছ বিভিন্ন প্রাণী সংরক্ষণে একটি জাদুঘরও করা হচ্ছে। এটা শুধু বিনোদনের জন্য নয়, সাগরের জীববৈচিত্র ও প্রাণী সম্পর্কে জানার শিক্ষাকেন্দ্র বলেও মনে করেন পর্যটকরা।
সিলেট থেকে আসা আরিফুল ইসলাম বার্তা২৪.কমকে বলেন, ‘আগে অনেকের মুখে এ অ্যাকুরিয়ামের কথা শুনেছি। কিন্তু আজ বাস্তবে দেখলাম। এখান থেকে জীববৈচিত্র ও নানান প্রজাতীর প্রাণি সম্পর্কে অনেক কিছু শেখার আছে।’
নড়াইল থেকে আসা মুরাদ হোসেন বার্তা২৪.কমকে বলেন, ‘অ্যাকুরিয়ামে প্রবেশের সময়ই মনে হয়েছে গুহায় প্রবেশ করছি। কিন্তু ভেতরে আসার পর সেটা অনেকটা সাগরের তলদেশের মতো। উপরে নিচে পানি আর পানি। আর সেই পানিতে খেলা করছে নানান প্রজাতির মাছ।’
ঢাকা থেকে আসা আরিফা ইসলাম রাখি বার্তা২৪.কমকে বলেন, ‘এক সঙ্গে এতো প্রজাতীর মাছ আমরা আগে কখনো দেখিনি। অ্যাকুরিয়ামটা আসলে খুবই সুন্দর। সাগরের তলদেশের আদলে তৈরি করায় সেখানে পাহাড় ও উঁচু-নিচু পথ আছে।’
অ্যাকুরিয়ামে রাখা হয়েছে সামুদ্রিক শৈল মাছ, হাঙর, পিতম্বরী, আউস, শাপলা, পাতা, সাগর কুচিয়া, বোল, পানপাতা, পাংগাস, চেওয়া, কাছিম, কাঁকড়া, জেলি ফিসসহ অর্ধশতাধিক প্রজাতির মাছ। কিছু বিরল প্রজাতির মাছও এখানে রয়েছে।
কক্সবাজার রেডিয়েন্ট ফিস ওয়ার্ল্ডের ব্যবস্থাপনা পরিচালক (এমডি) শফিকুর রহমান চৌধুরী বার্তা২৪.কমকে বলেন, ‘ধীরে ধীরে পরিচিতি লাভ করছে রেডিয়েন্ট ফিস ওয়ার্ল্ড। মাছও যে একটা বিনোদন উপাদন হতে পারে সেটা আমাদের দেশের মানুষের আগে জানা ছিল না। আশা করছি, সামনে দেশের পর্যটন শিল্পে এটা বড় অবদান রাখতে পারবে।’
তিনি আরও বলেন, ‘কক্সবাজারে প্রতি বছর লাখ লাখ পর্যটক আসেন। তবে যারা রেডিয়েন্ট ফিস ওয়ার্ল্ডের কথা জানেন তারা এখানে আসেন। এখানে নিরাপত্তাসহ গাড়ি পার্কিংয়ের সু-ব্যবস্থা আছে।’