সিরাজগঞ্জে সড়ক প্রশস্ত করার দাবিতে মানববন্ধন



ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, সিরাজগঞ্জ
মার্কেট নির্মাণ বন্ধ করে সড়ক প্রশস্ত করার দাবিতে সিরাজগঞ্জের বিএ কলেজ রোডে স্থানীয়দের মানববন্ধন,  ছবি: বার্তা২৪

মার্কেট নির্মাণ বন্ধ করে সড়ক প্রশস্ত করার দাবিতে সিরাজগঞ্জের বিএ কলেজ রোডে স্থানীয়দের মানববন্ধন, ছবি: বার্তা২৪

  • Font increase
  • Font Decrease

সিরাজগঞ্জ পৌর এলাকার বিএ কলেজ রোডে (গোলাম কিবরিয়া সড়ক) মার্কেট নির্মাণ বন্ধের দাবি উঠেছে। পৌরসভার এই সিদ্ধান্ত অবিলম্বে বাতিল করে সড়কটি প্রশস্ত করার দাবিতে মঙ্গলবার (২ জুলাই) মানববন্ধন করেছেন এলাকাবাসী।

ঘণ্টাব্যাপী ওই কর্মসূচিতে বক্তারা বলেন, সিরাজগঞ্জ সরকারি বিশ্ববিদ্যালয় কলেজ সংলগ্ন গুরুত্বপূর্ণ এই সড়ক প্রশস্ত করা অত্যন্ত জরুরি। এখানে প্রতিনিয়ত যানজট লেগে থাকে। কলেজের শিক্ষার পরিবেশ নষ্ট হচ্ছে, বিঘ্ন ঘটে পরীক্ষার। তারপরও সড়ক প্রশস্ত না করে এলাকাবাসী ও কলেজ কর্তৃপক্ষের দাবি উপেক্ষা করে সিরাজগঞ্জ পৌরসভা এখানে বহুতল মার্কেট নির্মাণের চেষ্টা করছে। এতে সড়ক সংলগ্ন কয়েকশ’ পরিবার মূল সড়কে আসার পথ হারাবেন। অ্যাম্বুলেন্স বা ফায়ার সার্ভিসের গাড়ি ঢোকার মত রাস্তা পাবেন না তারা। এতে তারা অরক্ষিত হয়ে পড়বেন। পয়োনিষ্কাশনের কোনো ব্যবস্থাও থাকবে না দীর্ঘ দিন ধরে এখানে বাস করে আসার মানুষগুলোর।

স্থানীয় বাসিন্দা সাইফুল আলম বলেন, সিরাজগঞ্জ সরকারি বিশ্ববিদ্যালয় কলেজ ছাড়াও এই সড়ক দিয়ে অন্তত ১৫টি স্কুল, কলেজ ও মাদরাসার প্রায় ২০ হাজার শিক্ষার্থী চলাচল করে। ৭-৮টি এলাকার কয়েক লাখ মানুষকে এই সড়ক দিয়েই যাতায়াত করতে হয়। অথচ সরু এই সড়কে দুইটি রিকশাও একসাথে চলতে পারে না। ফলে প্রতিদিনই যানজট সৃষ্টি হয়, ভোগান্তিতে পড়েন শিক্ষক, শিক্ষার্থী আর এলাকাবাসী। এ অবস্থায় এখানে মার্কেট নির্মিত হলে আবাসিক এলাকা, শিক্ষা প্রতিষ্ঠান কোনো কিছুরই আর কোনো পরিবেশ থাকবে না। বাজার বসে যাবে এই সড়কে!

Sirajganj

স্থানীয় গৃহবধূ মোছা. হুসনে আরা পারভীন বলেন, বাড়ির সামনে মার্কেট হলে আমরা মা-বোনেরা এখানে আর বাস করতে পারবে না। ক্রেতা-বিক্রেতার সমাগমে আবাসিক এলাকা মার্কেট-পল্লীতে পরিণত হবে, মানুষের বসবাসের অবস্থা আর থাকবে না। পৌরবাসীকে এভাবে সাংবিধানিক ও মৌলিক অধিকার থেকে বঞ্চিত করে পৌরসভা বাণিজ্যিক স্বার্থে আবাসিক এলাকায় মার্কেট নির্মাণ করতে পারে না।

স্থানীয় ব্যবসায়ী রাকিবুল ইসলাম খান বলেন, অসাধু কিছু ব্যবসায়ীর স্বার্থে, প্রভাবশালী দুয়েক নেতার প্ররোচনায় আমাদের মৌলিক অধিকার খর্ব করে এখানে মার্কেট নির্মাণের পাঁয়তারা করা হচ্ছে। এর নাম ‘মহিলা মার্কেট’ দিয়ে বিভিন্ন দাতা সংস্থার দৃষ্টি আকর্ষণের চেষ্টা চলছে। ইতোপূর্বে বিশ্ব ব্যাংকের কর্মকর্তারা এই এলাকা পরিদর্শন করে গেছেন। তারা বলে গেছেন- প্রত্যেক বাড়িতে ফায়ার সার্ভিসের গাড়ি ঢোকার জায়গা দিয়ে মার্কেট করতে হবে। তারপরও সবার কথা অগ্রাহ্য করে পৌর কর্তৃপক্ষ জোর করে সড়ক চওড়া না করে মার্কেট করতে চায়, লাখ লাখ টাকা ভাগাভাগি করে খাবে বলে!

শফিকুল ইসলাম তালুকদার বলেন, পৌরসভা আমাদের বের হওয়ার রাস্তা দেবে না, অথচ আমরা এই এলাকায় অন্তত তিন প্রজন্ম প্রায় ৭০ বছর হলো বসবাস করে আসছি। আমাদের পয়োনিষ্কাশন ব্যবস্থা, গ্যাস-পানি-বিদ্যুতের সংযোগ- এসবের কী হবে! আমরা পৌরসভার নাগরিক, তাহলে আমাদের অবরুদ্ধ করে কীসের এত বাণিজ্য!

Sirajganj

আনোয়ার হোসেন বলেন, পূর্ব পুরুষেরা এখানে জায়গা কেনার পর থেকে আজ অব্দি কোনো সরকার বা পৌর কর্তৃপক্ষ এই জায়গা নিয়ে কিছু করতে চায়নি। বরং আমরাই মাঝে মাঝে দাবি তুলেছি- এখানে সড়ক প্রশস্ত করা হোক। অথচ এবারের পৌর কর্তৃপক্ষ স্রেফ টাকার লোভে শিক্ষা প্রতিষ্ঠান-এলাকাবাসীর স্বার্থ জলাঞ্জলি দিয়ে এখানে মার্কেট নির্মাণ করতে চাইছে!

মোছা. নার্গিস আক্তার বলেন, আমরা এতদিন কিছু বলি নাই, মানুষ আজ রাজপথে নামতে শিখেছে। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার এই দেশে যেখানে উন্নয়নের জোয়ার বইছে, মানুষ অধিকার নিয়ে স্বনির্ভর হচ্ছে, সেই দেশে পৌরসভার এই অন্যায় মানুষ মেনে নেবে না। এ যাবৎকালে কোনো দিন সিরাজগঞ্জ পৌরসভা নাগরিকদের মুখোমুখি দাঁড়ায়নি। আজ সেই পরিস্থিতি তৈরি করার চেষ্টা করছে আওয়ামী লীগের নাম ভাঙিয়ে খাওয়া কিছু দালাল। আমরা তাদের রুখে দেব।

মো. রবিউল আলম বলেন, এদেশে ন্যায় বিচার উঠে যায় নাই। টাকার জোরে পৌর কর্তৃপক্ষ এতগুলো মানুষকে জিম্মি করতে পারে না; এসব মেনে নেওয়া হবে না। বহুবার মীমাংসার চেষ্টা করা হয়েছে, সব কিছু উপেক্ষা করে জোরপূর্বক এত মানুষকে অবরুদ্ধ করে বাণিজ্য করার ধান্দা চলছে! জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের এই দেশে এলাকাবাসী প্রাণ দিয়ে হলেও এমন ষড়যন্ত্র নস্যাৎ করে দেবে।

উল্লেখ্য, সিরাজগঞ্জ সরকারি বিশ্ববিদ্যালয় কলেজ সংলগ্ন গোলাম কিবরিয়া সড়কের পাশে পৌরসভার অল্প কিছু জায়গা শুরু থেকেই ভোগ-দখল করে আসছিলেন এলাকাবাসী। দেড় বছর হলো পৌরসভা সেই জায়গা দখল মুক্ত করেছে। তবে এই জায়গার পরিমাণ নিয়েও বিতর্ক আছে। সম্প্রতি সেখানে মার্কেট নির্মাণের ঘোষণা দেওয়ায় এলাকাবাসী তার বিরোধিতা করে সড়ক প্রশস্ত করার দাবি জানায়। স্থানীয় শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলোর কর্তৃপক্ষও একই দাবিতে পৌরসভায় একাধিক বার আবেদন জানায়। তবুও সব উপেক্ষা করে মার্কেট নির্মাণের সিদ্ধান্তে অটল সিরাজগঞ্জ পৌরসভা।

   

গড়াই নদীতে ডুবে যুবকের মৃত্যু



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, কুষ্টিয়া
ছবি প্রতীকী

ছবি প্রতীকী

  • Font increase
  • Font Decrease

কুষ্টিয়ার খোকসায় গড়াই নদীতে ডুবে সুমন (২০) নামে এক যুবকের মৃত্যু হয়েছে।

রোববার (৫ এপ্রিল) বিকেলে খোকসা উপজেলার গনেশপুর অংশে গড়াই নদী থেকে মরদেহ উদ্ধার করা হয়।

মৃত সুমন কুমারখালী উপজেলার রাজাপুর গ্রামের নিজাম উদ্দিনের ছেলে।

খোকসা ফায়ার সার্ভিস স্টেশনের ফায়ারম্যান হাবিবুর রহমান জানান, সকালের দিকে গড়াই নদীতে মাছ ধরতে যান সুমন। মাছ ধরার এক পর্যায়ে নদীতে ডুবে যান তিনি। বিকেলের দিকে স্থানীয়দের সহায়তায় তার মরদেহ উদ্ধার করে ফায়ার সার্ভিস।

;

কুমিল্লার নাঙ্গলকোটে বজ্রপাতে কিশোরের মৃত্যু



ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, কুমিল্লা
প্রতীকী ছবি

প্রতীকী ছবি

  • Font increase
  • Font Decrease

কুমিল্লার নাঙ্গলকোটে ফুটবল খেলার সময় বজ্রপাতে সাফায়েত হোসেন (১৯) নামে একজনের মৃত্যু হয়েছে। এ সময় সালাউদ্দিন (২২) নামের আরেক যুবক গুরুতর আহত হন।

রোববার (৫ এপ্রিল) এই বিকেলে এই ঘটনা ঘটে। তাদের উদ্ধার করে সন্ধ্যা সাড়ে ৬টার দিকে লাকসামের একটি ক্লিনিকে নেওয়া হলে কর্তব্যরত চিকিৎসক ওই কিশোরকে মৃত ঘোষণা করেন।

স্থানীয় সূত্র জানায়, উপজেলার আদ্রা দক্ষিণ ইউনিয়নের আটিয়াবাড়ি দক্ষিণপাড়া স্কুল বাড়ির আবদুল আউয়ালের ছেলে সাফায়াত হোসেন এদিন বিকেলে সহপাঠীদের সাথে পার্শ্ববর্তী ঘোড়াময়দান গ্রামের একটি মাঠে ফুটবল খেলতে যায়। বিকাল ৫টার দিকে খেলা চলা অবস্থায় আকস্মিক বজ্রপাতে সাফায়েতের পুরো শরীর ঝলসে যায়। তাৎক্ষনিকভাবে তাকে উদ্ধার করে লাকসামের একটি ক্লিনিকে নেয়া হলে সন্ধ্যায় কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন।

এছাড়া বজ্রপাতে ওই ঘোড়াময়দান গ্রামের নুরুল হকের ছেলে সালাউদ্দিন (২২) গুরুতর আহত হয়ে স্থানীয় একটি ক্লিনিকে চিকিৎসাধীন রয়েছে।

স্থানীয় ইউপি চেয়ারম্যান আবদুল ওহাব ঘটনার এ ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করেছেন।

;

লক্ষ্মী ভাইয়েরা বাসায় যান, নিজেসহ দেশকে বাঁচান



নাহিদ রেজা, স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, ঠাকুরগাঁও
ওসি তানভিরুল ইসলাম।

ওসি তানভিরুল ইসলাম।

  • Font increase
  • Font Decrease

আমার লক্ষ্মী ভাইয়েরা দয়া করে বাইরে ঘোরাঘুরি না করে বাসায় যান। নিজে বাঁচেন, পরিবারকে বাঁচান, দেশকে বাঁচান। সচেতন হোন।

ঠিক এসব কথা বলে করোনাভাইরাস প্রতিরোধে জনগণকে সচেতন করছেন ঠাকুরগাঁও সদর থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) তানভিরুল ইসলাম। মাঠ পর্যায়ে গিয়ে এভাবে সচেতন করায় সাধুবাদ জানিয়েছে সাধারণ মানুষ।

ঠাকুরগাঁও সদর উপজেলার রহিমানপুর ইউনিয়নের রেজাউল ইসলাম বলেন, ‘আমি ওষুধ কেনার জন্য স্থানীয় বাজারে এসেছিলাম। কিছুক্ষণ পর থানার একটি গাড়ি বাজারের সামনে এসে দাঁড়ায় এবং ওসি তানভিরুল সবাইকে বাসায় থাকার জন্য অনুরোধ করেন। এর আগে কখনো জনগণের সঙ্গে পুলিশের এমন ভালো আচরণ দেখি নাই।’

ঠাকুরগাঁও সদর উপজেলার চৌড়াস্তা মোড়ে কথা হয় জয়নাল নামে এক পথচারীর সঙ্গে। তিনি বলেন, ‘আমাদের জেলার পুলিশ সাধারণ জনগণের সঙ্গে ভালো ব্যবহার করছে। তাদের ভাই বলে বাসায় ফিরে যাওয়ার জন্য অনুরোধ করছে। ওসিসহ পুলিশের সদস্যরা নিজেদের কথা চিন্তা না করে আমাদের জন্য এ কাজটি করে যাচ্ছেন। তাদের ধন্যবাদ জানাই।’

স্থানীয় সাহাদত হোসেন নামে একজন বলেন,‘তানভিরুল ভাই একজন মানবিক পুলিশ অফিসার। তার জন্য শুভকামনা ও দোয়া রইল।’

ঠাকুরগাঁও সদর থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) তানভিরুল ইসলাম বার্তা২৪.কমকে বলেন, ‘করোনাভাইরাস নিয়ে আতঙ্কিত হওয়ার কিছু নেই। এ ভাইরাস প্রতিরোধে আমাদের সবাইকে সচেতন হতে হবে। সরকার যেসব দিক নির্দেশনা দিয়েছে সেগুলো মেনে চলতে হবে। জনগণের সঙ্গে খারাপ ব্যবহার না করে তাদের সচেতন করা হচ্ছে। এতে কাজও হচ্ছে।’

;

ডিবি পরিচয়ে মোবাইল ছিনতাই, যুবক গ্রেফতার



ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, নীলফামারী
গ্রেফতার আবেদ আলী।

গ্রেফতার আবেদ আলী।

  • Font increase
  • Font Decrease

নীলফামারীতে গোয়েন্দা পুলিশের (ডিবি) উপপরিদর্শক পরিচয়ে মোবাইল ছিনতাই করার অপরাধে আবেদ আলী (২৮) নামে এক যুবককে গ্রেফতার করেছে পুলিশ।

রোববার (৫ এপ্রিল) বিকেলে নীলফামারী সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মমিনুল ইসলাম এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।

আবেদ আলী সৈয়দপুর উপজেলার কাশিরাম বেলপুকুর ইউনিয়নের চওড়া গ্রামের খয়রাত হোসেনের ছেলে।

জানা গেছে, শনিবার (৪ এপ্রিল) দুপুরে জেলা সদরের কুন্দপুকুর ইউনিয়নের আঙ্গারপাড়া গ্রামে মোকছেদুল ইসলামসহ কয়েক যুবক মোবাইলে ভিডিও গেম খেলছিলেন। এ সময় আবেদ আলী নিজেকে সৈয়দপুর থানার ডিবি পুলিশের উপপরিদর্শক পরিচয় দিয়ে ওই যুবকদের কাছ থেকে মোবাইলটি নিয়ে যান। পরে এ বিষয়ে মোবাইলের মালিক মোকছেদুল ইসলাম সদর থানায় অভিযোগ করেন।

এরপর রোববার ভোরে আবেদ আলীর বাড়িতে অভিযান চালিয়ে তাকে গ্রেফতার করা হয়। ওই সময় তার কাছ থেকে ছিনতাই কাজে ব্যবহৃত একটি খেলনা পিস্তল ও ওয়্যারলেস সেট, একাধিক মোবাইল সিম এবং দুটি পরিচয়পত্র জব্দ করে পুলিশ।

নীলফামারী সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মমিনুল ইসলাম জানান, প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে ডিবি পুলিশের ভুয়া পরিচয়ে মোবাইল ছিনতাই করার সত্যতা স্বীকার করেছেন আবেদ আলী। এ ঘটনায় মামলা দায়ের করার পর আদালতের মাধ্যমে তাকে কারাগারে পাঠানো হয়েছে।

;