মাছ ধরায় ৬৫ দিনের নিষেধাজ্ঞাকে বৃদ্ধাঙ্গুলি

সাগরে চলছে মাছ শিকার



আব্দুস সালাম আরিফ, বার্তাটোয়েন্টিফোর.কম, পটুয়াখালী
অবরোধ পালন করছেন না জেলেরা, ছবি: বার্তাটোয়েন্টিফোর.কম

অবরোধ পালন করছেন না জেলেরা, ছবি: বার্তাটোয়েন্টিফোর.কম

  • Font increase
  • Font Decrease

দেশের সমুদ্র এলাকায় মৎস্য সম্পদের মজুত বাড়াতে সাগরে সব ধরনের মাছ ধরার উপর চলছে ৬৫ দিনের নিষেধাজ্ঞা। তবে অনেক জেলে ও ট্রলার মালিক এই নিষেধাজ্ঞাকে মানছেন না।

শুক্রবার (৫ জুলাই) সাগরে তিনটি মাছ ধরার ট্রলার ডুবির ঘটনা ঘটে। এই সময়ে সকল ধরনের মাছ ধরার ট্রলার অবরোধ পালন করার কথা। তবে কিভাবে এসব জেলেরা সাগরে আইন অমান্য করে মাছ শিকার করছে তা নিয়ে এখন চলেছ নানা ধরনের আলোচনা। এছাড়া এখন শহরে এবং গ্রামের হাট বাজর গুলোতেও মিলছে বিভিন্ন প্রজাতির সামুদ্রিক মাছ।

 ছবি: বার্তাটোয়েন্টিফোর.কম
২০ মে থেকে ২৩ জুলাই পর্যন্ত মোট ৫৬ দিন মাছ ধরায় নিষেধাজ্ঞা পালন করা হচ্ছে, ছবি:বার্তাটোয়েন্টিফোর.কম

 

মৎস্য বিভাগ সংশ্লিষ্টরা বলছেন, এই অভিযান সফল করতে জেলেদের সচেতন করার পাশাপাশি নানা ধরনের কর্মসূচী পালন করা হচ্ছে।

বিশ্বের বিভিন্ন দেশে সাগরে মাছ ধরার নিষেধাজ্ঞা থাকলেও এবারই প্রথম বাংলাদেশের সমুদ্র সীমানায় ২০ মে থেকে ২৩ জুলাই পর্যন্ত মোট ৫৬ দিন মাছ ধরায় নিষেধাজ্ঞা পালন করা হচ্ছে। পার্শ্ববর্তী রাষ্ট্র ভারতে ১৫ এপ্রিল থেকে ৬১ দিন এবং চীনে ১৬ মে থেকে ১লা আগস্ট পর্যন্ত সাগরে মাছ ধরায় নিষেধাজ্ঞা পালন করে থাকে। এই সময়ে দেশের জেলেরা যদি নিষেধাজ্ঞা পালন করে তবে অনেক বেশি সফলতা অর্জিত হবে বলে মনে করেন মৎস্য খাত সংশ্লিষ্টরা।

 পটুয়াখালী মাছ ধরার নিষেধাজ্ঞা
পটুয়াখালী জেলায় প্রায় ৭০ হাজার নিবন্ধিত জেলে রয়েছে, ছবি:বার্তাটোয়েন্টিফোর.কম

 

পটুয়াখালী বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের মৎস্য বিজ্ঞান বিভাগের ডিন প্রফেসর লোকমান আলী বার্তাটোয়েন্টিফোর.কমকে বলেন, জাতিসংঘের টেকসই উন্নয়ন লক্ষ্যমাত্রা (এসডিজি’র) ১৪ নম্বর গোলে বলা হয়েছে, ২০২০ সালের মধ্যে বাংলাদেশের উপকূলীয় ও সামুদ্রিক এলাকায় কমপক্ষে ১০ শতাংশ এলাকা সামুদ্রিক সংরক্ষিত এলাকা হিসেবে ঘোষণা করা হবে। বর্তমানে সামুদ্রিক সংরক্ষিত এলাকার পরিমাণ ২.১ শতাংশ। সাগরে ৬৫ দিন মাছ শিকারে বাংলাদেশের এক লাখ আঠারো হাজার আটশ তের বর্গ কিলোমিটার এলাকায় নিষেধাজ্ঞা আরোপ করা হয়েছে। এর ফলে মাছের উৎপাদন এবং বংশ বিস্তার অনেকটা বৃদ্ধি পাবে। 

 পটুয়াখালী
 মৎস্য বন্দর গুলোতে মৎস্য বিভাগের স্টাফরা সার্বক্ষণিক মনিটরিং করছেন, ছবি:বার্তাটোয়েন্টিফোর.কম

 

পটুয়াখালী জেলা মৎস্য কর্মকর্তা মোল্লা এমদাদুল্যাহ বার্তাটোয়েন্টিফোর.কমকে বলেন, জেলেদের সহযোগীতায় সরকার ইতিমধ্যে জেলে প্রতি ৪০ কেজি করে চাল প্রদান করেছে। এরপরও কিছু কিছু জেলে সাগরে মাছ শিকারে যাচ্ছেন বলে আমরা অভিযোগ পাচ্ছি। এই কর্মসূচীকে সফল করতে সাগরে নৌ বাহিনী এবং কোস্টগার্ড সদস্যরা যেমন অভিযান পরিচালনা করছে, তেমনি মৎস্য বন্দর গুলোতে মৎস্য বিভাগের স্টাফরা সার্বক্ষণিক মনিটরিং করছে।

পটুয়াখালী জেলায় প্রায় ৭০ হাজার নিবন্ধিত জেলে রয়েছে। সাগরে মাছ শিকার বন্ধ থাকায় এই জেলেদের বড় একটি অংশ আইনের প্রতি শ্রদ্ধাশীল হয়ে মাছ ধরা বন্ধ রেখেছে। তবে প্রথম বারের মত এই কর্মসূচী হওয়ায় আগামী বছর গুলোতে জেলেরা আরও সচেতন হবে এবং আইন মেনে চলবে বলে মনে করেন মৎস্য খাত সংশ্লিষ্টরা।

   

গড়াই নদীতে ডুবে যুবকের মৃত্যু



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, কুষ্টিয়া
ছবি প্রতীকী

ছবি প্রতীকী

  • Font increase
  • Font Decrease

কুষ্টিয়ার খোকসায় গড়াই নদীতে ডুবে সুমন (২০) নামে এক যুবকের মৃত্যু হয়েছে।

রোববার (৫ এপ্রিল) বিকেলে খোকসা উপজেলার গনেশপুর অংশে গড়াই নদী থেকে মরদেহ উদ্ধার করা হয়।

মৃত সুমন কুমারখালী উপজেলার রাজাপুর গ্রামের নিজাম উদ্দিনের ছেলে।

খোকসা ফায়ার সার্ভিস স্টেশনের ফায়ারম্যান হাবিবুর রহমান জানান, সকালের দিকে গড়াই নদীতে মাছ ধরতে যান সুমন। মাছ ধরার এক পর্যায়ে নদীতে ডুবে যান তিনি। বিকেলের দিকে স্থানীয়দের সহায়তায় তার মরদেহ উদ্ধার করে ফায়ার সার্ভিস।

;

কুমিল্লার নাঙ্গলকোটে বজ্রপাতে কিশোরের মৃত্যু



ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, কুমিল্লা
প্রতীকী ছবি

প্রতীকী ছবি

  • Font increase
  • Font Decrease

কুমিল্লার নাঙ্গলকোটে ফুটবল খেলার সময় বজ্রপাতে সাফায়েত হোসেন (১৯) নামে একজনের মৃত্যু হয়েছে। এ সময় সালাউদ্দিন (২২) নামের আরেক যুবক গুরুতর আহত হন।

রোববার (৫ এপ্রিল) এই বিকেলে এই ঘটনা ঘটে। তাদের উদ্ধার করে সন্ধ্যা সাড়ে ৬টার দিকে লাকসামের একটি ক্লিনিকে নেওয়া হলে কর্তব্যরত চিকিৎসক ওই কিশোরকে মৃত ঘোষণা করেন।

স্থানীয় সূত্র জানায়, উপজেলার আদ্রা দক্ষিণ ইউনিয়নের আটিয়াবাড়ি দক্ষিণপাড়া স্কুল বাড়ির আবদুল আউয়ালের ছেলে সাফায়াত হোসেন এদিন বিকেলে সহপাঠীদের সাথে পার্শ্ববর্তী ঘোড়াময়দান গ্রামের একটি মাঠে ফুটবল খেলতে যায়। বিকাল ৫টার দিকে খেলা চলা অবস্থায় আকস্মিক বজ্রপাতে সাফায়েতের পুরো শরীর ঝলসে যায়। তাৎক্ষনিকভাবে তাকে উদ্ধার করে লাকসামের একটি ক্লিনিকে নেয়া হলে সন্ধ্যায় কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন।

এছাড়া বজ্রপাতে ওই ঘোড়াময়দান গ্রামের নুরুল হকের ছেলে সালাউদ্দিন (২২) গুরুতর আহত হয়ে স্থানীয় একটি ক্লিনিকে চিকিৎসাধীন রয়েছে।

স্থানীয় ইউপি চেয়ারম্যান আবদুল ওহাব ঘটনার এ ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করেছেন।

;

লক্ষ্মী ভাইয়েরা বাসায় যান, নিজেসহ দেশকে বাঁচান



নাহিদ রেজা, স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, ঠাকুরগাঁও
ওসি তানভিরুল ইসলাম।

ওসি তানভিরুল ইসলাম।

  • Font increase
  • Font Decrease

আমার লক্ষ্মী ভাইয়েরা দয়া করে বাইরে ঘোরাঘুরি না করে বাসায় যান। নিজে বাঁচেন, পরিবারকে বাঁচান, দেশকে বাঁচান। সচেতন হোন।

ঠিক এসব কথা বলে করোনাভাইরাস প্রতিরোধে জনগণকে সচেতন করছেন ঠাকুরগাঁও সদর থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) তানভিরুল ইসলাম। মাঠ পর্যায়ে গিয়ে এভাবে সচেতন করায় সাধুবাদ জানিয়েছে সাধারণ মানুষ।

ঠাকুরগাঁও সদর উপজেলার রহিমানপুর ইউনিয়নের রেজাউল ইসলাম বলেন, ‘আমি ওষুধ কেনার জন্য স্থানীয় বাজারে এসেছিলাম। কিছুক্ষণ পর থানার একটি গাড়ি বাজারের সামনে এসে দাঁড়ায় এবং ওসি তানভিরুল সবাইকে বাসায় থাকার জন্য অনুরোধ করেন। এর আগে কখনো জনগণের সঙ্গে পুলিশের এমন ভালো আচরণ দেখি নাই।’

ঠাকুরগাঁও সদর উপজেলার চৌড়াস্তা মোড়ে কথা হয় জয়নাল নামে এক পথচারীর সঙ্গে। তিনি বলেন, ‘আমাদের জেলার পুলিশ সাধারণ জনগণের সঙ্গে ভালো ব্যবহার করছে। তাদের ভাই বলে বাসায় ফিরে যাওয়ার জন্য অনুরোধ করছে। ওসিসহ পুলিশের সদস্যরা নিজেদের কথা চিন্তা না করে আমাদের জন্য এ কাজটি করে যাচ্ছেন। তাদের ধন্যবাদ জানাই।’

স্থানীয় সাহাদত হোসেন নামে একজন বলেন,‘তানভিরুল ভাই একজন মানবিক পুলিশ অফিসার। তার জন্য শুভকামনা ও দোয়া রইল।’

ঠাকুরগাঁও সদর থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) তানভিরুল ইসলাম বার্তা২৪.কমকে বলেন, ‘করোনাভাইরাস নিয়ে আতঙ্কিত হওয়ার কিছু নেই। এ ভাইরাস প্রতিরোধে আমাদের সবাইকে সচেতন হতে হবে। সরকার যেসব দিক নির্দেশনা দিয়েছে সেগুলো মেনে চলতে হবে। জনগণের সঙ্গে খারাপ ব্যবহার না করে তাদের সচেতন করা হচ্ছে। এতে কাজও হচ্ছে।’

;

ডিবি পরিচয়ে মোবাইল ছিনতাই, যুবক গ্রেফতার



ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, নীলফামারী
গ্রেফতার আবেদ আলী।

গ্রেফতার আবেদ আলী।

  • Font increase
  • Font Decrease

নীলফামারীতে গোয়েন্দা পুলিশের (ডিবি) উপপরিদর্শক পরিচয়ে মোবাইল ছিনতাই করার অপরাধে আবেদ আলী (২৮) নামে এক যুবককে গ্রেফতার করেছে পুলিশ।

রোববার (৫ এপ্রিল) বিকেলে নীলফামারী সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মমিনুল ইসলাম এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।

আবেদ আলী সৈয়দপুর উপজেলার কাশিরাম বেলপুকুর ইউনিয়নের চওড়া গ্রামের খয়রাত হোসেনের ছেলে।

জানা গেছে, শনিবার (৪ এপ্রিল) দুপুরে জেলা সদরের কুন্দপুকুর ইউনিয়নের আঙ্গারপাড়া গ্রামে মোকছেদুল ইসলামসহ কয়েক যুবক মোবাইলে ভিডিও গেম খেলছিলেন। এ সময় আবেদ আলী নিজেকে সৈয়দপুর থানার ডিবি পুলিশের উপপরিদর্শক পরিচয় দিয়ে ওই যুবকদের কাছ থেকে মোবাইলটি নিয়ে যান। পরে এ বিষয়ে মোবাইলের মালিক মোকছেদুল ইসলাম সদর থানায় অভিযোগ করেন।

এরপর রোববার ভোরে আবেদ আলীর বাড়িতে অভিযান চালিয়ে তাকে গ্রেফতার করা হয়। ওই সময় তার কাছ থেকে ছিনতাই কাজে ব্যবহৃত একটি খেলনা পিস্তল ও ওয়্যারলেস সেট, একাধিক মোবাইল সিম এবং দুটি পরিচয়পত্র জব্দ করে পুলিশ।

নীলফামারী সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মমিনুল ইসলাম জানান, প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে ডিবি পুলিশের ভুয়া পরিচয়ে মোবাইল ছিনতাই করার সত্যতা স্বীকার করেছেন আবেদ আলী। এ ঘটনায় মামলা দায়ের করার পর আদালতের মাধ্যমে তাকে কারাগারে পাঠানো হয়েছে।

;