সবুজের সমারোহে দোল খাচ্ছে পাট



এস এম জামাল, ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট, বার্তাটোয়েন্টিফোর.কম, কুষ্টিয়া
কুষ্টিয়ায় এবার পাটের বাম্পার ফলন আশা করছেন কৃষকরা/ ছবি: বার্তা২৪.কম

কুষ্টিয়ায় এবার পাটের বাম্পার ফলন আশা করছেন কৃষকরা/ ছবি: বার্তা২৪.কম

  • Font increase
  • Font Decrease

কুষ্টিয়ার বিভিন্ন উপজেলার মাঠে মাঠে সবুজের সমারোহে দোল খাচ্ছে পাট গাছ। আর কয়েক সপ্তাহের মধ্যে এসব পাট কেটে পানিতে জাগ (পচন) দেবে কৃষকরা।

কৃষি কর্মকর্তাসহ সংশ্লিষ্টদের দাবি, আবহাওয়া ও পরিবেশ অনুকূলে থাকায় এ বছর কুষ্টিয়ায় পাটের বাম্পার ফলনের আশা করছেন কৃষকরা।

কুষ্টিয়া পাট অধিদফতরের মুখ্য পরিদর্শক সোহরাব উদ্দিন বিশ্বাস বার্তাটোয়েন্টিফোর.কম-কে জানান, জেলায় এবার পাটের আবাদ হয়েছে ৩৬ হাজার ২৫০ হেক্টর জমিতে। এর মধ্যে সবচেয়ে বেশি আবাদ হয়েছে দৌলতপুরে ১৭ হাজার ৬৫০ হেক্টর জমিতে। এছাড়া কুষ্টিয়া সদর উপজেলায় দুই হাজার ২৫০ হেক্টর, কুমারখালীতে চার হাজার ৬৭৫ হেক্টর, খোকসা উপজেলায় তিন হাজার ৭৪০ হেক্টর, মিরপুরে চার হাজার ৪০ হেক্টর, ভেড়ামারা উপজেলায় তিন হাজার ৮৯০ হেক্টর জমিতে।

https://img.imageboss.me/width/700/quality:100/https://img.barta24.com/uploads/news/2019/Jul/07/1562509484033.jpg

তিনি বলেন, ‘কুষ্টিয়ায় সরকারিভাবে একটিমাত্র পাটক্রয় কেন্দ রয়েছে, সেটি হলো খোকসা উপজেলায়। জেলায় যদি আরেকটি ক্রয়কেন্দ্র বাড়ানো যেতো তাহলে কৃষকদের অনেক উপকার হতো। সহজেই সরকারি দরে পাট বিক্রি করতে পারতেন।’

মিরপুর উপজেলার কৃষক আব্দুল মান্নান বলেন, ‘পূর্বে থেকেই যদি পাট বিক্রয়ের নিশ্চয়তা করে বাজারমূল্য নির্ধারণ করত, তাহলে আমাদের জন্য অনেক সুবিধা হতো।’

দৌলতপুর উপজেলার তারাগুনিয়া এলাকার কৃষক ফরিদ উদ্দিন বলেন, ‘এবার আমি এক একর জমিতে পাটের আবাদ করেছি। পাটগুলো বেশ বাড়ন্ত হয়েছে। তবে পাটের আঁশ বিক্রির সময় কম দাম হলে আমাদের লোকসান গুনতে হয়। তাই সরকারিভাবে যদি পাট বিক্রি করতে পারতাম, তাহলে লাভের পরিমাণটা একটু বাড়ত।’

মিরপুর উপজেলার বারুইপাড়া ইউনিয়ন উপ-সহকারী কর্মকর্তা মাহিরুল ইসলাম বলেন, ‘প্রতিবিঘায় পাটচাষ থেকে শুরু করে শেষ পর্যন্ত আট থেকে ১০ হাজার টাকা খরচ হয়। পাট ও পাটকাঠি বিক্রি করে মোট ১৪ থেকে ১৫ হাজার টাকায় বিক্রি করা সম্ভব। তবে যদি পাটের দাম আরও ভালো হয়, তবে কৃষকদের লাভের পরিমাণটাও বেশি হবে।’

https://img.imageboss.me/width/700/quality:100/https://img.barta24.com/uploads/news/2019/Jul/07/1562509501286.jpg

মিরপুর উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা রমেশ চন্দ্র ঘোষ বার্তাটোয়েন্টিফোর.কম-কে বলেন, ‘এ অঞ্চলে পরিত্যক্ত পুকুর জলাশয় কমে যাওয়ায় পাট পচনে বিপাকে পড়তে হয় চাষিদের। পাট পচনে কৃষি-সম্প্রসারণ অধিদফতর প্রদত্ত রিবন-রেটিং পদ্ধতি প্রয়োগ করা হয়ে থাকে। যদিওবা কৃষককূলে আসলেও এটি ব্যয়বহুল, ঝামেলাপূর্ণ ও স্বল্প পরিমাণের পচনব্যবস্থা হওয়ায় এ প্রযুক্তিতে আগ্রহী হচ্ছে না কৃষকেরা।’

কুষ্টিয়া জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদফতরের উপ-পরিচালক শ্যামল কুমার বিশ্বাস বার্তাটোয়েন্টিফোর.কম-কে বলেন, ‘গত বছর আশানুরূপ দাম পাওয়ায় এ অঞ্চলের পাটচাষে নতুন করে ব্যাপক উৎসাহ-উদ্দীপনা বিরাজ করছে। তেমন কোনো প্রাকৃতিক দুর্যোগ না হলে পাটের বাম্পার ফলনের সম্ভাবনা রয়েছে।’

   

গড়াই নদীতে ডুবে যুবকের মৃত্যু



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, কুষ্টিয়া
ছবি প্রতীকী

ছবি প্রতীকী

  • Font increase
  • Font Decrease

কুষ্টিয়ার খোকসায় গড়াই নদীতে ডুবে সুমন (২০) নামে এক যুবকের মৃত্যু হয়েছে।

রোববার (৫ এপ্রিল) বিকেলে খোকসা উপজেলার গনেশপুর অংশে গড়াই নদী থেকে মরদেহ উদ্ধার করা হয়।

মৃত সুমন কুমারখালী উপজেলার রাজাপুর গ্রামের নিজাম উদ্দিনের ছেলে।

খোকসা ফায়ার সার্ভিস স্টেশনের ফায়ারম্যান হাবিবুর রহমান জানান, সকালের দিকে গড়াই নদীতে মাছ ধরতে যান সুমন। মাছ ধরার এক পর্যায়ে নদীতে ডুবে যান তিনি। বিকেলের দিকে স্থানীয়দের সহায়তায় তার মরদেহ উদ্ধার করে ফায়ার সার্ভিস।

;

কুমিল্লার নাঙ্গলকোটে বজ্রপাতে কিশোরের মৃত্যু



ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, কুমিল্লা
প্রতীকী ছবি

প্রতীকী ছবি

  • Font increase
  • Font Decrease

কুমিল্লার নাঙ্গলকোটে ফুটবল খেলার সময় বজ্রপাতে সাফায়েত হোসেন (১৯) নামে একজনের মৃত্যু হয়েছে। এ সময় সালাউদ্দিন (২২) নামের আরেক যুবক গুরুতর আহত হন।

রোববার (৫ এপ্রিল) এই বিকেলে এই ঘটনা ঘটে। তাদের উদ্ধার করে সন্ধ্যা সাড়ে ৬টার দিকে লাকসামের একটি ক্লিনিকে নেওয়া হলে কর্তব্যরত চিকিৎসক ওই কিশোরকে মৃত ঘোষণা করেন।

স্থানীয় সূত্র জানায়, উপজেলার আদ্রা দক্ষিণ ইউনিয়নের আটিয়াবাড়ি দক্ষিণপাড়া স্কুল বাড়ির আবদুল আউয়ালের ছেলে সাফায়াত হোসেন এদিন বিকেলে সহপাঠীদের সাথে পার্শ্ববর্তী ঘোড়াময়দান গ্রামের একটি মাঠে ফুটবল খেলতে যায়। বিকাল ৫টার দিকে খেলা চলা অবস্থায় আকস্মিক বজ্রপাতে সাফায়েতের পুরো শরীর ঝলসে যায়। তাৎক্ষনিকভাবে তাকে উদ্ধার করে লাকসামের একটি ক্লিনিকে নেয়া হলে সন্ধ্যায় কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন।

এছাড়া বজ্রপাতে ওই ঘোড়াময়দান গ্রামের নুরুল হকের ছেলে সালাউদ্দিন (২২) গুরুতর আহত হয়ে স্থানীয় একটি ক্লিনিকে চিকিৎসাধীন রয়েছে।

স্থানীয় ইউপি চেয়ারম্যান আবদুল ওহাব ঘটনার এ ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করেছেন।

;

লক্ষ্মী ভাইয়েরা বাসায় যান, নিজেসহ দেশকে বাঁচান



নাহিদ রেজা, স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, ঠাকুরগাঁও
ওসি তানভিরুল ইসলাম।

ওসি তানভিরুল ইসলাম।

  • Font increase
  • Font Decrease

আমার লক্ষ্মী ভাইয়েরা দয়া করে বাইরে ঘোরাঘুরি না করে বাসায় যান। নিজে বাঁচেন, পরিবারকে বাঁচান, দেশকে বাঁচান। সচেতন হোন।

ঠিক এসব কথা বলে করোনাভাইরাস প্রতিরোধে জনগণকে সচেতন করছেন ঠাকুরগাঁও সদর থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) তানভিরুল ইসলাম। মাঠ পর্যায়ে গিয়ে এভাবে সচেতন করায় সাধুবাদ জানিয়েছে সাধারণ মানুষ।

ঠাকুরগাঁও সদর উপজেলার রহিমানপুর ইউনিয়নের রেজাউল ইসলাম বলেন, ‘আমি ওষুধ কেনার জন্য স্থানীয় বাজারে এসেছিলাম। কিছুক্ষণ পর থানার একটি গাড়ি বাজারের সামনে এসে দাঁড়ায় এবং ওসি তানভিরুল সবাইকে বাসায় থাকার জন্য অনুরোধ করেন। এর আগে কখনো জনগণের সঙ্গে পুলিশের এমন ভালো আচরণ দেখি নাই।’

ঠাকুরগাঁও সদর উপজেলার চৌড়াস্তা মোড়ে কথা হয় জয়নাল নামে এক পথচারীর সঙ্গে। তিনি বলেন, ‘আমাদের জেলার পুলিশ সাধারণ জনগণের সঙ্গে ভালো ব্যবহার করছে। তাদের ভাই বলে বাসায় ফিরে যাওয়ার জন্য অনুরোধ করছে। ওসিসহ পুলিশের সদস্যরা নিজেদের কথা চিন্তা না করে আমাদের জন্য এ কাজটি করে যাচ্ছেন। তাদের ধন্যবাদ জানাই।’

স্থানীয় সাহাদত হোসেন নামে একজন বলেন,‘তানভিরুল ভাই একজন মানবিক পুলিশ অফিসার। তার জন্য শুভকামনা ও দোয়া রইল।’

ঠাকুরগাঁও সদর থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) তানভিরুল ইসলাম বার্তা২৪.কমকে বলেন, ‘করোনাভাইরাস নিয়ে আতঙ্কিত হওয়ার কিছু নেই। এ ভাইরাস প্রতিরোধে আমাদের সবাইকে সচেতন হতে হবে। সরকার যেসব দিক নির্দেশনা দিয়েছে সেগুলো মেনে চলতে হবে। জনগণের সঙ্গে খারাপ ব্যবহার না করে তাদের সচেতন করা হচ্ছে। এতে কাজও হচ্ছে।’

;

ডিবি পরিচয়ে মোবাইল ছিনতাই, যুবক গ্রেফতার



ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, নীলফামারী
গ্রেফতার আবেদ আলী।

গ্রেফতার আবেদ আলী।

  • Font increase
  • Font Decrease

নীলফামারীতে গোয়েন্দা পুলিশের (ডিবি) উপপরিদর্শক পরিচয়ে মোবাইল ছিনতাই করার অপরাধে আবেদ আলী (২৮) নামে এক যুবককে গ্রেফতার করেছে পুলিশ।

রোববার (৫ এপ্রিল) বিকেলে নীলফামারী সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মমিনুল ইসলাম এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।

আবেদ আলী সৈয়দপুর উপজেলার কাশিরাম বেলপুকুর ইউনিয়নের চওড়া গ্রামের খয়রাত হোসেনের ছেলে।

জানা গেছে, শনিবার (৪ এপ্রিল) দুপুরে জেলা সদরের কুন্দপুকুর ইউনিয়নের আঙ্গারপাড়া গ্রামে মোকছেদুল ইসলামসহ কয়েক যুবক মোবাইলে ভিডিও গেম খেলছিলেন। এ সময় আবেদ আলী নিজেকে সৈয়দপুর থানার ডিবি পুলিশের উপপরিদর্শক পরিচয় দিয়ে ওই যুবকদের কাছ থেকে মোবাইলটি নিয়ে যান। পরে এ বিষয়ে মোবাইলের মালিক মোকছেদুল ইসলাম সদর থানায় অভিযোগ করেন।

এরপর রোববার ভোরে আবেদ আলীর বাড়িতে অভিযান চালিয়ে তাকে গ্রেফতার করা হয়। ওই সময় তার কাছ থেকে ছিনতাই কাজে ব্যবহৃত একটি খেলনা পিস্তল ও ওয়্যারলেস সেট, একাধিক মোবাইল সিম এবং দুটি পরিচয়পত্র জব্দ করে পুলিশ।

নীলফামারী সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মমিনুল ইসলাম জানান, প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে ডিবি পুলিশের ভুয়া পরিচয়ে মোবাইল ছিনতাই করার সত্যতা স্বীকার করেছেন আবেদ আলী। এ ঘটনায় মামলা দায়ের করার পর আদালতের মাধ্যমে তাকে কারাগারে পাঠানো হয়েছে।

;