বিধি লঙ্ঘন করে নীলফামারী পৌরসভার বাণিজ্যিক ভবন নির্মাণ



মাহমুদ আল হাসান রাফিন, ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট, বার্তাটোয়েন্টিফোর.কম
বাণিজ্যিক ভবন নির্মাণ চলছে, ছবি: বার্তাটোয়েন্টিফোর.কম

বাণিজ্যিক ভবন নির্মাণ চলছে, ছবি: বার্তাটোয়েন্টিফোর.কম

  • Font increase
  • Font Decrease

সরকারি বিধি লঙ্ঘন করে ইজারাভুক্ত হাট-বাজারের জমিতে বাণিজ্যিক ভবন নির্মাণের অভিযোগ উঠেছে নীলফামারী পৌরসভার বিরুদ্ধে।

নির্মাণ কাজ বন্ধ রাখতে এবং কেন বিধি লঙ্ঘন করা হচ্ছে তা লিখিতভাবে জানাতে পৌরসভার মেয়রকে জেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে চিঠি দেওয়া হয়েছে। তবে পৌরসভা কর্তৃপক্ষ বিধি লঙ্ঘনের বিষয়টি সঠিক নয় বলে দাবি করেছে।

সরেজমিন দেখা গেছে, নীলফামারী পৌর শহরের ট্রাফিক মোড় থেকে ভূমি অফিসের রাস্তা পর্যন্ত নীলফামারী-ডোমার সড়ক সংলগ্ন পশ্চিমে ইজারাভুক্ত সরকারি হাট-বাজারের জমিতে বহুতল ভবন নির্মাণ কাজ চলছে। বাংলাদেশ মিউনিসিপ্যাল ডেভলপমেন্ট ফান্ডের অর্থায়নে প্রায় ১১ কোটি টাকা ব্যয়ে নীলফামারী পৌরসভা এ ভবনটি নির্মাণ করছে।

0
বাণিজ্যিক ভবন নির্মাণ চলছে, ছবি: বার্তাটোয়েন্টিফোর.কম

 

বিধি লঙ্ঘন করে ভবন নির্মাণের বিষয়টি নজরে আসায় ৩০ এপ্রিল মেয়র দেওয়ান কামাল আহমেদকে চিঠি দিয়েছে নীলফামারী জেলা প্রশাসন। জেলা প্রশাসক কার্যালয়ের রেভিনিউ ডেপুটি কালেক্টরেট (আরডিসি) যোহরা সুলতানা যুথী স্বাক্ষরিত ওই চিঠিতে সরকারি জমিতে আইন লঙ্ঘন করে বাণিজ্যিক ভবন নির্মাণ কাজ বন্ধ রাখতে এবং জরুরি ভিত্তিতে এ ব্যাপারে লিখিত ব্যাখ্যা দিতে বলা হয়েছে।

ওই চিঠিতে উল্লেখ করা হয়, বাংলাদেশ সরকারের ভূমি আইন অনুসারে যে কোনো সরকারি সম্পত্তিতে যদি কোনো প্রতিষ্ঠান অস্থায়ী বা স্থায়ী অবকাঠামো নির্মাণ করতে চায়, তবে ভূমি মন্ত্রণালয়ের অনুমোদন সাপেক্ষে অতিরিক্ত জেলা প্রশাসকের (রাজস্ব) নেতৃত্বাধীন সাত সদস্যের কমিটির মাধ্যমে অবকাঠামো নির্মাণ করতে হবে।

এ কমিটির পক্ষে অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (রাজস্ব) এবং সহকারী কমিশনার (ভূমি) দোকান বরাদ্দের সালামি ও ভাড়া নির্ধারণ করবে। দোকান ঘর বরাদ্দের সালামির ২৫ শতাংশ ও দোকানঘর ভাড়ার ৩০ শতাংশ ভূমি মন্ত্রণালয়ের পাওনা হিসেবে ভূমি রাজস্ব খাতে জমা দেওয়ার নিয়ম রয়েছে।

সরকারি জমি ব্যবহারে এসব নিয়মের কোনোটাই মানেনি পৌরসভা কর্তৃপক্ষ।

জেলা প্রশাসনের দেওয়া চিঠির জবাবে গত ২২ মে নীলফামারী পৌরসভার মেয়র দেওয়ান কামাল আহমেদ তার লিখিত বক্তব্যে জানান, নীলফামারী জেলা প্রশাসন ২০০৮ সালের ২৬ ফেব্রুয়ারি নীলফামারী বড়বাজারের শাখামাছা বাজারের দ্বিতল ভবন নির্মাণের নকশা ও প্রাক্কলন অনুমোদন দিয়েছিল। তারা ভবনটি সংস্কার করছে মাত্র।

জেলা প্রশাসন সূত্রে জানা গেছে, নীলফামারী পৌরসভার মেয়র যে নকশাটির কথা বলছেন, সেটি নির্মাণাধীন ওই ভবনের নয়। তবে এমন অসঙ্গতি জেনেও নিরব ভূমিকা পালন করছে জেলা প্রশাসন।

এ বিষয়ে জানতে চাইলে নীলফামারী পৌরসভার সচিব মশিউর রহমান বার্তাটোয়েন্টিফোর.কমকে বলেন, ‘আমরা বড় বাজার মার্কেটের পুরাতন দোকানঘর ভেঙে নতুন করে সংস্কার করছি মাত্র, জমির মালিকানা ও চুক্তির বিষয়ে জানতে চাইলে মেয়রের সঙ্গে যোগাযোগ করতে পারেন।’

এছাড়া নীলফামারী পৌরসভার সহকারী প্রকৌশলী ও হিসাব রক্ষণ কর্মকর্তা গোলাম মোস্তফা জানান, ২০০৮ সালে জেলা প্রশাসন পৌরসভাকে ওই জায়গাটি বাণিজ্যিক ভবন নির্মাণ করার জন্য বরাদ্দ দিয়েছিল। এ বিষয়ে প্রশাসন অবগত রয়েছে।

এসময় অনুমতিপত্র দেখাতে বলা হলে তিনি মেয়রের সঙ্গে কথা বলতে বলেন। মেয়র দেওয়ান কামাল আহম্মেদ দেশের বাইরে থাকায় তার বক্তব্য নেওয়া সম্ভব হয়নি।

এ ব্যাপারে জেলা প্রশাসক হাফিজুর রহমান চৌধুরী বার্তাটোয়েন্টিফোর.কমকে বলেন, ‘আমি নীলফামারী জেলা প্রশাসক হিসেবে নতুন যোগদান করেছি, বিষয়টি শুনেছি। যেহেতু জমি-জমা, হাট-বাজার সংক্রান্ত বিষয়, সেহেতু ভূমি মন্ত্রণালয়ের আইন অনুযায়ী খুঁটি-নাটি দেখে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।'

নীলফামারী জেলার সাবেক প্রশাসক নাজিয়া শিরিন বিধি লঙ্ঘন করে ভবন নির্মাণের বিষয়টি জানলেও কোনো ব্যবস্থা না নেওয়ায় অসন্তোষ রয়েছে সচেতন মহলে।

0
পৌরসভাকে দেওয়া জেলা প্রশাসনের চিঠি, ছবি: বার্তাটোয়েন্টিফোর.কম 

 

এছাড়া নীলফামারী সড়ক বিভাগের নির্বাহী প্রকৌশলী এ কে এম হামিদুর রহমান গত ৮ মে নীলফামারী পৌরসভার নির্বাহী প্রকৌশলী বরাবর দেওয়া এক চিঠিতে জানান, বাণিজ্যিক ভবন নির্মাণের জন্য পাকা সড়কের ধার ঘেঁষে প্রায় ছয় ফুট গর্ত করা হয়েছে। এতে জননিরাপত্তা ও সড়ক পরিবহনের নিরাপত্তা ব্যাহত হওয়ার আশঙ্কা রয়েছে।

তিনি আরো জানান, সড়কটি এরই মধ্যে উন্নয়ন প্রকল্পের মাধ্যমে প্রশস্ত করার একটি প্রকল্প বাস্তবায়ন প্রক্রিয়াধীন।

সড়কটি প্রশস্ত করতে সড়ক বিভাগকে প্রয়োজনীয় সহোযগিতা করার অনুরোধ করেছেন তিনি।

   

গড়াই নদীতে ডুবে যুবকের মৃত্যু



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, কুষ্টিয়া
ছবি প্রতীকী

ছবি প্রতীকী

  • Font increase
  • Font Decrease

কুষ্টিয়ার খোকসায় গড়াই নদীতে ডুবে সুমন (২০) নামে এক যুবকের মৃত্যু হয়েছে।

রোববার (৫ এপ্রিল) বিকেলে খোকসা উপজেলার গনেশপুর অংশে গড়াই নদী থেকে মরদেহ উদ্ধার করা হয়।

মৃত সুমন কুমারখালী উপজেলার রাজাপুর গ্রামের নিজাম উদ্দিনের ছেলে।

খোকসা ফায়ার সার্ভিস স্টেশনের ফায়ারম্যান হাবিবুর রহমান জানান, সকালের দিকে গড়াই নদীতে মাছ ধরতে যান সুমন। মাছ ধরার এক পর্যায়ে নদীতে ডুবে যান তিনি। বিকেলের দিকে স্থানীয়দের সহায়তায় তার মরদেহ উদ্ধার করে ফায়ার সার্ভিস।

;

কুমিল্লার নাঙ্গলকোটে বজ্রপাতে কিশোরের মৃত্যু



ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, কুমিল্লা
প্রতীকী ছবি

প্রতীকী ছবি

  • Font increase
  • Font Decrease

কুমিল্লার নাঙ্গলকোটে ফুটবল খেলার সময় বজ্রপাতে সাফায়েত হোসেন (১৯) নামে একজনের মৃত্যু হয়েছে। এ সময় সালাউদ্দিন (২২) নামের আরেক যুবক গুরুতর আহত হন।

রোববার (৫ এপ্রিল) এই বিকেলে এই ঘটনা ঘটে। তাদের উদ্ধার করে সন্ধ্যা সাড়ে ৬টার দিকে লাকসামের একটি ক্লিনিকে নেওয়া হলে কর্তব্যরত চিকিৎসক ওই কিশোরকে মৃত ঘোষণা করেন।

স্থানীয় সূত্র জানায়, উপজেলার আদ্রা দক্ষিণ ইউনিয়নের আটিয়াবাড়ি দক্ষিণপাড়া স্কুল বাড়ির আবদুল আউয়ালের ছেলে সাফায়াত হোসেন এদিন বিকেলে সহপাঠীদের সাথে পার্শ্ববর্তী ঘোড়াময়দান গ্রামের একটি মাঠে ফুটবল খেলতে যায়। বিকাল ৫টার দিকে খেলা চলা অবস্থায় আকস্মিক বজ্রপাতে সাফায়েতের পুরো শরীর ঝলসে যায়। তাৎক্ষনিকভাবে তাকে উদ্ধার করে লাকসামের একটি ক্লিনিকে নেয়া হলে সন্ধ্যায় কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন।

এছাড়া বজ্রপাতে ওই ঘোড়াময়দান গ্রামের নুরুল হকের ছেলে সালাউদ্দিন (২২) গুরুতর আহত হয়ে স্থানীয় একটি ক্লিনিকে চিকিৎসাধীন রয়েছে।

স্থানীয় ইউপি চেয়ারম্যান আবদুল ওহাব ঘটনার এ ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করেছেন।

;

লক্ষ্মী ভাইয়েরা বাসায় যান, নিজেসহ দেশকে বাঁচান



নাহিদ রেজা, স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, ঠাকুরগাঁও
ওসি তানভিরুল ইসলাম।

ওসি তানভিরুল ইসলাম।

  • Font increase
  • Font Decrease

আমার লক্ষ্মী ভাইয়েরা দয়া করে বাইরে ঘোরাঘুরি না করে বাসায় যান। নিজে বাঁচেন, পরিবারকে বাঁচান, দেশকে বাঁচান। সচেতন হোন।

ঠিক এসব কথা বলে করোনাভাইরাস প্রতিরোধে জনগণকে সচেতন করছেন ঠাকুরগাঁও সদর থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) তানভিরুল ইসলাম। মাঠ পর্যায়ে গিয়ে এভাবে সচেতন করায় সাধুবাদ জানিয়েছে সাধারণ মানুষ।

ঠাকুরগাঁও সদর উপজেলার রহিমানপুর ইউনিয়নের রেজাউল ইসলাম বলেন, ‘আমি ওষুধ কেনার জন্য স্থানীয় বাজারে এসেছিলাম। কিছুক্ষণ পর থানার একটি গাড়ি বাজারের সামনে এসে দাঁড়ায় এবং ওসি তানভিরুল সবাইকে বাসায় থাকার জন্য অনুরোধ করেন। এর আগে কখনো জনগণের সঙ্গে পুলিশের এমন ভালো আচরণ দেখি নাই।’

ঠাকুরগাঁও সদর উপজেলার চৌড়াস্তা মোড়ে কথা হয় জয়নাল নামে এক পথচারীর সঙ্গে। তিনি বলেন, ‘আমাদের জেলার পুলিশ সাধারণ জনগণের সঙ্গে ভালো ব্যবহার করছে। তাদের ভাই বলে বাসায় ফিরে যাওয়ার জন্য অনুরোধ করছে। ওসিসহ পুলিশের সদস্যরা নিজেদের কথা চিন্তা না করে আমাদের জন্য এ কাজটি করে যাচ্ছেন। তাদের ধন্যবাদ জানাই।’

স্থানীয় সাহাদত হোসেন নামে একজন বলেন,‘তানভিরুল ভাই একজন মানবিক পুলিশ অফিসার। তার জন্য শুভকামনা ও দোয়া রইল।’

ঠাকুরগাঁও সদর থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) তানভিরুল ইসলাম বার্তা২৪.কমকে বলেন, ‘করোনাভাইরাস নিয়ে আতঙ্কিত হওয়ার কিছু নেই। এ ভাইরাস প্রতিরোধে আমাদের সবাইকে সচেতন হতে হবে। সরকার যেসব দিক নির্দেশনা দিয়েছে সেগুলো মেনে চলতে হবে। জনগণের সঙ্গে খারাপ ব্যবহার না করে তাদের সচেতন করা হচ্ছে। এতে কাজও হচ্ছে।’

;

ডিবি পরিচয়ে মোবাইল ছিনতাই, যুবক গ্রেফতার



ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, নীলফামারী
গ্রেফতার আবেদ আলী।

গ্রেফতার আবেদ আলী।

  • Font increase
  • Font Decrease

নীলফামারীতে গোয়েন্দা পুলিশের (ডিবি) উপপরিদর্শক পরিচয়ে মোবাইল ছিনতাই করার অপরাধে আবেদ আলী (২৮) নামে এক যুবককে গ্রেফতার করেছে পুলিশ।

রোববার (৫ এপ্রিল) বিকেলে নীলফামারী সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মমিনুল ইসলাম এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।

আবেদ আলী সৈয়দপুর উপজেলার কাশিরাম বেলপুকুর ইউনিয়নের চওড়া গ্রামের খয়রাত হোসেনের ছেলে।

জানা গেছে, শনিবার (৪ এপ্রিল) দুপুরে জেলা সদরের কুন্দপুকুর ইউনিয়নের আঙ্গারপাড়া গ্রামে মোকছেদুল ইসলামসহ কয়েক যুবক মোবাইলে ভিডিও গেম খেলছিলেন। এ সময় আবেদ আলী নিজেকে সৈয়দপুর থানার ডিবি পুলিশের উপপরিদর্শক পরিচয় দিয়ে ওই যুবকদের কাছ থেকে মোবাইলটি নিয়ে যান। পরে এ বিষয়ে মোবাইলের মালিক মোকছেদুল ইসলাম সদর থানায় অভিযোগ করেন।

এরপর রোববার ভোরে আবেদ আলীর বাড়িতে অভিযান চালিয়ে তাকে গ্রেফতার করা হয়। ওই সময় তার কাছ থেকে ছিনতাই কাজে ব্যবহৃত একটি খেলনা পিস্তল ও ওয়্যারলেস সেট, একাধিক মোবাইল সিম এবং দুটি পরিচয়পত্র জব্দ করে পুলিশ।

নীলফামারী সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মমিনুল ইসলাম জানান, প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে ডিবি পুলিশের ভুয়া পরিচয়ে মোবাইল ছিনতাই করার সত্যতা স্বীকার করেছেন আবেদ আলী। এ ঘটনায় মামলা দায়ের করার পর আদালতের মাধ্যমে তাকে কারাগারে পাঠানো হয়েছে।

;