১৪৭টি বিদ্যালয়ের ঝুঁকিপূর্ণ ভবনে চলছে পাঠদান



ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট, বার্তাটোয়েন্টিফোর.কম, যশোর
ঝুঁকিপূ্ণ ভবনে চলছে পাঠদান

ঝুঁকিপূ্ণ ভবনে চলছে পাঠদান

  • Font increase
  • Font Decrease

দেয়ালের পলেস্তরা খসে খসে পড়ছে, টিনের চাল ভেঙে গেছে। একটু বৃষ্টি হলেই পানি জমে যায় শ্রেনিকক্ষে। বাঁশ দিয়ে ঠেকিয়ে রাখা হয়েছে টিনের চাল। যেকোন সময় ভেঙে পড়ার আশঙ্কা রয়েছে।

পাঠদানের বিকল্প ব্যবস্থা না থাকায় এমন ঝুঁকিপূর্ণ ভবনে পাঠদান চলছে যশোর সদর উপজেলার ফতেপুর ইউনিয়নের নালিয়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে।

এমন অবস্থা শুধু নালিয়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের নয়। জেলার মোট ১ হাজার ২শ’ ৮৫টি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের মধ্যে ১ শ’ ৪৭টি বিদ্যালয়ের চেহেরা একই।

নালিয়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক ফরহাদ হোসেন বলেন, বিদ্যালয়টির ১ম ভবন ১৯২১ সালে প্রতিষ্ঠার পরে ১৯৯৫ সালে দেয়াল করে টিনের চালা দেওয়া হয়। সেই টিনে মরিচা ধরেছে। কোথাও কোথাও টিনে ফুটা হয়েছে। বাঁশ দিয়ে কোন রকম জোড়াতালি দিয়ে বিদ্যালয়ের ৩শ’ ১০ শিক্ষার্থীর পাঠদান চলছে। বিভিন্ন সময় উপজেলা শিক্ষা অফিসে লিখিত অভিযোগ করা হলেও কোন সুফল মেলেনি।

একই অবস্থা যশোর শহরের ঘোপ সেবা সংঘ সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের। বিদ্যালয়ের ভবনে দেখা দিয়েছে ফাটল, দেয়ালের পলেস্তরা খসে খসে পড়ছে। বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক সাঈদা ইয়াসমিন বলেন, বিকল্প কোন ভবন না থাকায় ঝুঁকিপূর্ণ ভবনেই চালানো হচ্ছে পাঠদান। ইতোমধ্যে বিদ্যালয়টি ঝুঁকিপূর্ণ ঘোষণা করেছেন উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিসার। তার কাছে নতুন ভবনের জন্য আবেদন করেছি।

এমন একই চিত্র জেলার ১৪৭টি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের। ভবন সংস্কার না হওয়ার ফলে যেমন একদিকে বিদ্যালয়ে পাঠদান ব্যাহত হচ্ছে অন্যদিকে যেকোন সময় ঘটতে পারে বড় ধরনের দুর্ঘটনা— এমনটাই মনে করছে সংশিষ্টরা।
https://img.imageboss.me/width/700/quality:100/https://img.barta24.com/uploads/news/2019/Jul/09/1562633065365.jpg
জেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিস সূত্রে জানা গেছে, জেলার ৮টি উপজেলার মধ্যে সবচেয়ে বেশি ৪১টি ঝুঁকিপূর্ণ বিদ্যালয় রয়েছে শার্শা উপজেলায়। এ উপজেলায় সবচেয়ে বেশি ঝুঁকিপূর্ণ সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়গুলো হলো—উলাশী, শিববাস শালকোনা, নাভারণ রেলবাজার, বালুন্ডা, সুবর্ণখালি, বসতপুর, খলসী সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়।

সদর উপজেলাতে ১৮টি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় রয়েছে। এর মধ্যে টি.কে.জী. সম্মিলনী বিদ্যালয়, রামকৃষ্ণ আশ্রম বিদ্যালয়, সেবাসংঘ স্কুল, দেয়াড়া স্কুল ও চাউলিয়া স্কুল ঝুঁকিপূর্ণ। অভয়নগর উপজেলাতে ৩টি ঝুঁকিপূর্ণ সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় রয়েছে। এর মধ্যে পুড়াটাল সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় সবচেয়ে বেশি ঝুঁকিপূর্ণ। কেশবপুর উপজেলাতে ৪টি ঝুঁকিপূর্ণ প্রাথমিক বিদ্যালয় রয়েছে। এর মধ্যে গৌরীঘোনা ইন্দ্রমতি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় সবচেয়ে বেশি ঝুঁকিপূর্ণ।

চৌগাছা উপজেলাতে ১২টি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় ঝুঁকিপূর্ণ। এর ভিতর হোগলাডাঙ্গা, পাতিবিলা, বল্লভপুর রামকৃষ্ণপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় সবচেয়ে বেশি ঝুঁকিতে রয়েছে। ঝিকরগাছা উপজেলাতে ২৫টি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় ঝুঁকিপূর্ণ । এর মধ্যে ডহরমাগুরা, নবগ্রাম, টাত্তরা , দোস্তপুর, দেউলি নাভারণ সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় সবচেয়ে বেশি ঝুঁকিতে রয়েছে। বাঘারপাড়া উপজেলাতে ১৫টি ঝুঁকিপূর্ণ সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় রয়েছে। তার মধ্যে বহরমপুর, করিমপুর, পি.টি.এম, দশপাখিয়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় সবচেয়ে বেশি ঝুঁকিতে রয়েছে।

মনিরামপুর উপজেলাতে ২৯টি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় ঝুঁকিতে রয়েছে। তার মধ্যে উত্তরপাড়া, সুবলকাঠি, ভোজগাতি, লাউলি, বাটবিলা, মদনপুর, কুচলিয়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় সবচেয়ে বেশি ঝুঁকিপূর্ণ।

যশোর জেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিসার শেখ অহিদুল আলম বলেন, যশোর জেলায় ৮টি উপজেলার ১৪৭টি প্রাথমিক বিদ্যালয় ঝুঁকিপূর্ণ চিহ্নিত করা হয়েছে। এ সব বিদ্যালয়ে বিকল্প কোন ভবন না থাকায় বর্তমানে ঝুঁকিপূর্ণ ভবনেই ক্লাস নেওয়া হচ্ছে। ইতিমধ্যে ঝুঁকিপূর্ণ বিদ্যালয়ের তালিকা প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রালয়ে পাঠানো হয়েছে। চলতি বছরের ২০১৯/২০ অর্থবছরের প্রথমদিকে ভবনগুলো পুনঃনির্মাণ করা হবে।

   

গড়াই নদীতে ডুবে যুবকের মৃত্যু



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, কুষ্টিয়া
ছবি প্রতীকী

ছবি প্রতীকী

  • Font increase
  • Font Decrease

কুষ্টিয়ার খোকসায় গড়াই নদীতে ডুবে সুমন (২০) নামে এক যুবকের মৃত্যু হয়েছে।

রোববার (৫ এপ্রিল) বিকেলে খোকসা উপজেলার গনেশপুর অংশে গড়াই নদী থেকে মরদেহ উদ্ধার করা হয়।

মৃত সুমন কুমারখালী উপজেলার রাজাপুর গ্রামের নিজাম উদ্দিনের ছেলে।

খোকসা ফায়ার সার্ভিস স্টেশনের ফায়ারম্যান হাবিবুর রহমান জানান, সকালের দিকে গড়াই নদীতে মাছ ধরতে যান সুমন। মাছ ধরার এক পর্যায়ে নদীতে ডুবে যান তিনি। বিকেলের দিকে স্থানীয়দের সহায়তায় তার মরদেহ উদ্ধার করে ফায়ার সার্ভিস।

;

কুমিল্লার নাঙ্গলকোটে বজ্রপাতে কিশোরের মৃত্যু



ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, কুমিল্লা
প্রতীকী ছবি

প্রতীকী ছবি

  • Font increase
  • Font Decrease

কুমিল্লার নাঙ্গলকোটে ফুটবল খেলার সময় বজ্রপাতে সাফায়েত হোসেন (১৯) নামে একজনের মৃত্যু হয়েছে। এ সময় সালাউদ্দিন (২২) নামের আরেক যুবক গুরুতর আহত হন।

রোববার (৫ এপ্রিল) এই বিকেলে এই ঘটনা ঘটে। তাদের উদ্ধার করে সন্ধ্যা সাড়ে ৬টার দিকে লাকসামের একটি ক্লিনিকে নেওয়া হলে কর্তব্যরত চিকিৎসক ওই কিশোরকে মৃত ঘোষণা করেন।

স্থানীয় সূত্র জানায়, উপজেলার আদ্রা দক্ষিণ ইউনিয়নের আটিয়াবাড়ি দক্ষিণপাড়া স্কুল বাড়ির আবদুল আউয়ালের ছেলে সাফায়াত হোসেন এদিন বিকেলে সহপাঠীদের সাথে পার্শ্ববর্তী ঘোড়াময়দান গ্রামের একটি মাঠে ফুটবল খেলতে যায়। বিকাল ৫টার দিকে খেলা চলা অবস্থায় আকস্মিক বজ্রপাতে সাফায়েতের পুরো শরীর ঝলসে যায়। তাৎক্ষনিকভাবে তাকে উদ্ধার করে লাকসামের একটি ক্লিনিকে নেয়া হলে সন্ধ্যায় কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন।

এছাড়া বজ্রপাতে ওই ঘোড়াময়দান গ্রামের নুরুল হকের ছেলে সালাউদ্দিন (২২) গুরুতর আহত হয়ে স্থানীয় একটি ক্লিনিকে চিকিৎসাধীন রয়েছে।

স্থানীয় ইউপি চেয়ারম্যান আবদুল ওহাব ঘটনার এ ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করেছেন।

;

লক্ষ্মী ভাইয়েরা বাসায় যান, নিজেসহ দেশকে বাঁচান



নাহিদ রেজা, স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, ঠাকুরগাঁও
ওসি তানভিরুল ইসলাম।

ওসি তানভিরুল ইসলাম।

  • Font increase
  • Font Decrease

আমার লক্ষ্মী ভাইয়েরা দয়া করে বাইরে ঘোরাঘুরি না করে বাসায় যান। নিজে বাঁচেন, পরিবারকে বাঁচান, দেশকে বাঁচান। সচেতন হোন।

ঠিক এসব কথা বলে করোনাভাইরাস প্রতিরোধে জনগণকে সচেতন করছেন ঠাকুরগাঁও সদর থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) তানভিরুল ইসলাম। মাঠ পর্যায়ে গিয়ে এভাবে সচেতন করায় সাধুবাদ জানিয়েছে সাধারণ মানুষ।

ঠাকুরগাঁও সদর উপজেলার রহিমানপুর ইউনিয়নের রেজাউল ইসলাম বলেন, ‘আমি ওষুধ কেনার জন্য স্থানীয় বাজারে এসেছিলাম। কিছুক্ষণ পর থানার একটি গাড়ি বাজারের সামনে এসে দাঁড়ায় এবং ওসি তানভিরুল সবাইকে বাসায় থাকার জন্য অনুরোধ করেন। এর আগে কখনো জনগণের সঙ্গে পুলিশের এমন ভালো আচরণ দেখি নাই।’

ঠাকুরগাঁও সদর উপজেলার চৌড়াস্তা মোড়ে কথা হয় জয়নাল নামে এক পথচারীর সঙ্গে। তিনি বলেন, ‘আমাদের জেলার পুলিশ সাধারণ জনগণের সঙ্গে ভালো ব্যবহার করছে। তাদের ভাই বলে বাসায় ফিরে যাওয়ার জন্য অনুরোধ করছে। ওসিসহ পুলিশের সদস্যরা নিজেদের কথা চিন্তা না করে আমাদের জন্য এ কাজটি করে যাচ্ছেন। তাদের ধন্যবাদ জানাই।’

স্থানীয় সাহাদত হোসেন নামে একজন বলেন,‘তানভিরুল ভাই একজন মানবিক পুলিশ অফিসার। তার জন্য শুভকামনা ও দোয়া রইল।’

ঠাকুরগাঁও সদর থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) তানভিরুল ইসলাম বার্তা২৪.কমকে বলেন, ‘করোনাভাইরাস নিয়ে আতঙ্কিত হওয়ার কিছু নেই। এ ভাইরাস প্রতিরোধে আমাদের সবাইকে সচেতন হতে হবে। সরকার যেসব দিক নির্দেশনা দিয়েছে সেগুলো মেনে চলতে হবে। জনগণের সঙ্গে খারাপ ব্যবহার না করে তাদের সচেতন করা হচ্ছে। এতে কাজও হচ্ছে।’

;

ডিবি পরিচয়ে মোবাইল ছিনতাই, যুবক গ্রেফতার



ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, নীলফামারী
গ্রেফতার আবেদ আলী।

গ্রেফতার আবেদ আলী।

  • Font increase
  • Font Decrease

নীলফামারীতে গোয়েন্দা পুলিশের (ডিবি) উপপরিদর্শক পরিচয়ে মোবাইল ছিনতাই করার অপরাধে আবেদ আলী (২৮) নামে এক যুবককে গ্রেফতার করেছে পুলিশ।

রোববার (৫ এপ্রিল) বিকেলে নীলফামারী সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মমিনুল ইসলাম এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।

আবেদ আলী সৈয়দপুর উপজেলার কাশিরাম বেলপুকুর ইউনিয়নের চওড়া গ্রামের খয়রাত হোসেনের ছেলে।

জানা গেছে, শনিবার (৪ এপ্রিল) দুপুরে জেলা সদরের কুন্দপুকুর ইউনিয়নের আঙ্গারপাড়া গ্রামে মোকছেদুল ইসলামসহ কয়েক যুবক মোবাইলে ভিডিও গেম খেলছিলেন। এ সময় আবেদ আলী নিজেকে সৈয়দপুর থানার ডিবি পুলিশের উপপরিদর্শক পরিচয় দিয়ে ওই যুবকদের কাছ থেকে মোবাইলটি নিয়ে যান। পরে এ বিষয়ে মোবাইলের মালিক মোকছেদুল ইসলাম সদর থানায় অভিযোগ করেন।

এরপর রোববার ভোরে আবেদ আলীর বাড়িতে অভিযান চালিয়ে তাকে গ্রেফতার করা হয়। ওই সময় তার কাছ থেকে ছিনতাই কাজে ব্যবহৃত একটি খেলনা পিস্তল ও ওয়্যারলেস সেট, একাধিক মোবাইল সিম এবং দুটি পরিচয়পত্র জব্দ করে পুলিশ।

নীলফামারী সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মমিনুল ইসলাম জানান, প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে ডিবি পুলিশের ভুয়া পরিচয়ে মোবাইল ছিনতাই করার সত্যতা স্বীকার করেছেন আবেদ আলী। এ ঘটনায় মামলা দায়ের করার পর আদালতের মাধ্যমে তাকে কারাগারে পাঠানো হয়েছে।

;