তালতলীর প্রাথমিক বিদ্যালয়গুলোতে তীব্র শিক্ষক সংকট



মো. খাইরুল ইসলাম আকাশ, ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট, বার্তাটোয়েন্টিফোর.কম, বরগুনা
শারিকখালী সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়। ছবি: বার্তা২৪.কম

শারিকখালী সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়। ছবি: বার্তা২৪.কম

  • Font increase
  • Font Decrease

বরগুনার তালতলীতে প্রাথমিক বিদ্যালয়গুলোতে চলছে তীব্র শিক্ষক সংকট। ফলে শিক্ষকের অভাবে হাজার হাজার শিক্ষার্থীর পাঠদান ব্যাহত হচ্ছে।

জানা গেছে, তালতলী উপজেলার ৭৯টি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের অধিকাংশে রয়েছে তীব্র শিক্ষক সংকট। অনেক বিদ্যালয়ে দীর্ঘদিন ধরে প্রধান শিক্ষকের পদও শূন্য। নিয়ম অনুযায়ী, প্রতি ৪০ জন ছাত্র-ছাত্রীর বিপরীতে একজন শিক্ষক থাকার কথা। কিন্তু কোনো কোনো বিদ্যালয়ে মাত্র একজন শিক্ষক দিয়েই চলছে।

উপজেলার ৭৯টি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের মধ্যে প্রধান শিক্ষকের পদ শূন্য রয়েছে ২০টি এবং সহকারী শিক্ষক পদ শূন্য রয়েছে ৯১টি। এর মধ্যে ৯টি স্কুলে দুইজন করে ও চারটি বিশেষ বরাদ্দের স্কুলে একজন করে শিক্ষক আছেন।

উপজেলার কলারং, গাব্বাড়ীয়া, উত্তর কড়ইরাড়িয়া, শারিকখালী, বাদুরগাছা, চাউলাপাড়া, নলবুনিয়া-আগাপাড়া, মৌরবী ও লালুপাড়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে দুইজন করে শিক্ষক রয়েছে। আর একজন করে শিক্ষক রয়েছে- উত্তর গাব্বাড়ীয়া আ. হাকিম সরদার, গাবতলী, রফিকুল ইসলাম, এম.কে মজুমদার ও কাজিরখাল বিদ্যালয়ে।

শিক্ষকদের অভিযোগ, যেদিন মাসিক মিটিং বা অফিসের কোনো কাজে উপজেলায় যেতে হয়, সেদিন স্কুল বন্ধ রাখতে হয়। ফলে ব্যাহত হয় পাঠদান।

অভিভাবকদের অভিযোগ, দুই একজন শিক্ষক দিয়ে পাঠদান করালে সন্তানরা কী শিখবে? আবার একজন শিক্ষক কীভাবে ৬টি শ্রেণির পাঠদান করাবেন। এভাবে পড়াশোনা হয় না।

মঙ্গলবার (৯ জুলাই) কলারং সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে গিয়ে দেখা গেছে, দুইজন শিক্ষক ১৪২ জন শিক্ষার্থীকে পড়াচ্ছেন। ফলে তাদের হিমশিম খেতে হচ্ছে। শিক্ষক সংকটের কারণে শুরুতে জাতীয় সঙ্গীতও গাওয়ানো হয়নি। স্কুলে পাঁচজন শিক্ষক থাকার কথা রয়েছে, তবে আছেন মাত্র দুইজন।

স্কুলের একাধিক শিক্ষার্থী জানিয়েছে, নিয়মিত স্কুলে আসলেও শিক্ষক না থাকায় ক্লাস হয় না।

আবার বাদুরগাছা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে মাত্র একজন শিক্ষক ১২৪ জন শিক্ষার্থীর পাঠদান করাচ্ছেন। তিনি একাই প্রথম থেকে ষষ্ঠ শ্রেণির ক্লাস নিচ্ছেন। শারিকখালী সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে চারজন শিক্ষকের বিপরীতে আছে মাত্র দুইজন।

https://img.imageboss.me/width/700/quality:100/https://img.barta24.com/uploads/news/2019/Jul/09/1562673281230.jpg

কলারং সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের ম্যানেজিং কমিটির সভাপতি সুমি বেগম বলেন, ‘আমাদের স্কুলে প্রধান শিক্ষকের পদটি দীর্ঘদিন ধরে শূন্য আছে। মাত্র দু’জন সহকারী শিক্ষক দিয়ে কোনো মতে ক্লাস নেওয়ার কাজ চলছে। ফলে শিক্ষার্থীদের পড়াশোনা ব্যাহত হচ্ছে।’

একই বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক (ভারপ্রাপ্ত) মো. আবুল কালাম বলেন, ‘আমি ও একজন সহকারী শিক্ষক মিলে বিদ্যালয়টি চালাচ্ছি। প্রধান শিক্ষকসহ পাঁচজন শিক্ষক থাকার কথা থাকলেও আছি মাত্র দুইজন।’

বাদুরগাছা গ্রামের বাসিন্দা আলাউদ্দিন সিকদার বলেন, ‘আমাদের গ্রামের প্রাথমিক বিদ্যালয়ে মাত্র দুইজন শিক্ষক। যাদের মধ্যে পুরুষ সহকারী শিক্ষক আরিফ নিয়মিত স্কুলে আসেন না। ফলে প্রধান শিক্ষক রুনা লায়লা একাই স্কুলের দেখভাল করেন। তবে তিনি যেদিন অফিসের কাজে বাইরে থাকেন সেদিন স্কুল বন্ধ থাকে।’

বাদুরগাছা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক রুনা লায়লা বলেন, ‘আমার সহকর্মীর অনুপস্থিতির বিষয়ে শিক্ষা অফিসে একাধিকবার রিপোর্ট করা হলেও ফল পাওয়া যায়নি। ফলে একা স্কুল পরিচালনা করতে গিয়ে হিমশিম খেতে হচ্ছে।’

তালতলী প্রেসক্লাবের সভাপতি আ. মুতালেব জানান, উপজেলার প্রাথমিক বিদ্যালয়গুলোতে তীব্র শিক্ষক সংকট রয়েছে। মূলত শিক্ষা অফিসারের গাফিলতির কারণে এমনটা হয়েছে।

তালতলী উপজেলার শিক্ষা অফিসার (ভারপ্রাপ্ত) কাজী মনিরুজ্জামান রিপন জানান, নতুন নিয়োগ শুরু হলে শিক্ষক সংকট থাকবে না।

   

গড়াই নদীতে ডুবে যুবকের মৃত্যু



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, কুষ্টিয়া
ছবি প্রতীকী

ছবি প্রতীকী

  • Font increase
  • Font Decrease

কুষ্টিয়ার খোকসায় গড়াই নদীতে ডুবে সুমন (২০) নামে এক যুবকের মৃত্যু হয়েছে।

রোববার (৫ এপ্রিল) বিকেলে খোকসা উপজেলার গনেশপুর অংশে গড়াই নদী থেকে মরদেহ উদ্ধার করা হয়।

মৃত সুমন কুমারখালী উপজেলার রাজাপুর গ্রামের নিজাম উদ্দিনের ছেলে।

খোকসা ফায়ার সার্ভিস স্টেশনের ফায়ারম্যান হাবিবুর রহমান জানান, সকালের দিকে গড়াই নদীতে মাছ ধরতে যান সুমন। মাছ ধরার এক পর্যায়ে নদীতে ডুবে যান তিনি। বিকেলের দিকে স্থানীয়দের সহায়তায় তার মরদেহ উদ্ধার করে ফায়ার সার্ভিস।

;

কুমিল্লার নাঙ্গলকোটে বজ্রপাতে কিশোরের মৃত্যু



ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, কুমিল্লা
প্রতীকী ছবি

প্রতীকী ছবি

  • Font increase
  • Font Decrease

কুমিল্লার নাঙ্গলকোটে ফুটবল খেলার সময় বজ্রপাতে সাফায়েত হোসেন (১৯) নামে একজনের মৃত্যু হয়েছে। এ সময় সালাউদ্দিন (২২) নামের আরেক যুবক গুরুতর আহত হন।

রোববার (৫ এপ্রিল) এই বিকেলে এই ঘটনা ঘটে। তাদের উদ্ধার করে সন্ধ্যা সাড়ে ৬টার দিকে লাকসামের একটি ক্লিনিকে নেওয়া হলে কর্তব্যরত চিকিৎসক ওই কিশোরকে মৃত ঘোষণা করেন।

স্থানীয় সূত্র জানায়, উপজেলার আদ্রা দক্ষিণ ইউনিয়নের আটিয়াবাড়ি দক্ষিণপাড়া স্কুল বাড়ির আবদুল আউয়ালের ছেলে সাফায়াত হোসেন এদিন বিকেলে সহপাঠীদের সাথে পার্শ্ববর্তী ঘোড়াময়দান গ্রামের একটি মাঠে ফুটবল খেলতে যায়। বিকাল ৫টার দিকে খেলা চলা অবস্থায় আকস্মিক বজ্রপাতে সাফায়েতের পুরো শরীর ঝলসে যায়। তাৎক্ষনিকভাবে তাকে উদ্ধার করে লাকসামের একটি ক্লিনিকে নেয়া হলে সন্ধ্যায় কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন।

এছাড়া বজ্রপাতে ওই ঘোড়াময়দান গ্রামের নুরুল হকের ছেলে সালাউদ্দিন (২২) গুরুতর আহত হয়ে স্থানীয় একটি ক্লিনিকে চিকিৎসাধীন রয়েছে।

স্থানীয় ইউপি চেয়ারম্যান আবদুল ওহাব ঘটনার এ ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করেছেন।

;

লক্ষ্মী ভাইয়েরা বাসায় যান, নিজেসহ দেশকে বাঁচান



নাহিদ রেজা, স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, ঠাকুরগাঁও
ওসি তানভিরুল ইসলাম।

ওসি তানভিরুল ইসলাম।

  • Font increase
  • Font Decrease

আমার লক্ষ্মী ভাইয়েরা দয়া করে বাইরে ঘোরাঘুরি না করে বাসায় যান। নিজে বাঁচেন, পরিবারকে বাঁচান, দেশকে বাঁচান। সচেতন হোন।

ঠিক এসব কথা বলে করোনাভাইরাস প্রতিরোধে জনগণকে সচেতন করছেন ঠাকুরগাঁও সদর থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) তানভিরুল ইসলাম। মাঠ পর্যায়ে গিয়ে এভাবে সচেতন করায় সাধুবাদ জানিয়েছে সাধারণ মানুষ।

ঠাকুরগাঁও সদর উপজেলার রহিমানপুর ইউনিয়নের রেজাউল ইসলাম বলেন, ‘আমি ওষুধ কেনার জন্য স্থানীয় বাজারে এসেছিলাম। কিছুক্ষণ পর থানার একটি গাড়ি বাজারের সামনে এসে দাঁড়ায় এবং ওসি তানভিরুল সবাইকে বাসায় থাকার জন্য অনুরোধ করেন। এর আগে কখনো জনগণের সঙ্গে পুলিশের এমন ভালো আচরণ দেখি নাই।’

ঠাকুরগাঁও সদর উপজেলার চৌড়াস্তা মোড়ে কথা হয় জয়নাল নামে এক পথচারীর সঙ্গে। তিনি বলেন, ‘আমাদের জেলার পুলিশ সাধারণ জনগণের সঙ্গে ভালো ব্যবহার করছে। তাদের ভাই বলে বাসায় ফিরে যাওয়ার জন্য অনুরোধ করছে। ওসিসহ পুলিশের সদস্যরা নিজেদের কথা চিন্তা না করে আমাদের জন্য এ কাজটি করে যাচ্ছেন। তাদের ধন্যবাদ জানাই।’

স্থানীয় সাহাদত হোসেন নামে একজন বলেন,‘তানভিরুল ভাই একজন মানবিক পুলিশ অফিসার। তার জন্য শুভকামনা ও দোয়া রইল।’

ঠাকুরগাঁও সদর থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) তানভিরুল ইসলাম বার্তা২৪.কমকে বলেন, ‘করোনাভাইরাস নিয়ে আতঙ্কিত হওয়ার কিছু নেই। এ ভাইরাস প্রতিরোধে আমাদের সবাইকে সচেতন হতে হবে। সরকার যেসব দিক নির্দেশনা দিয়েছে সেগুলো মেনে চলতে হবে। জনগণের সঙ্গে খারাপ ব্যবহার না করে তাদের সচেতন করা হচ্ছে। এতে কাজও হচ্ছে।’

;

ডিবি পরিচয়ে মোবাইল ছিনতাই, যুবক গ্রেফতার



ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, নীলফামারী
গ্রেফতার আবেদ আলী।

গ্রেফতার আবেদ আলী।

  • Font increase
  • Font Decrease

নীলফামারীতে গোয়েন্দা পুলিশের (ডিবি) উপপরিদর্শক পরিচয়ে মোবাইল ছিনতাই করার অপরাধে আবেদ আলী (২৮) নামে এক যুবককে গ্রেফতার করেছে পুলিশ।

রোববার (৫ এপ্রিল) বিকেলে নীলফামারী সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মমিনুল ইসলাম এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।

আবেদ আলী সৈয়দপুর উপজেলার কাশিরাম বেলপুকুর ইউনিয়নের চওড়া গ্রামের খয়রাত হোসেনের ছেলে।

জানা গেছে, শনিবার (৪ এপ্রিল) দুপুরে জেলা সদরের কুন্দপুকুর ইউনিয়নের আঙ্গারপাড়া গ্রামে মোকছেদুল ইসলামসহ কয়েক যুবক মোবাইলে ভিডিও গেম খেলছিলেন। এ সময় আবেদ আলী নিজেকে সৈয়দপুর থানার ডিবি পুলিশের উপপরিদর্শক পরিচয় দিয়ে ওই যুবকদের কাছ থেকে মোবাইলটি নিয়ে যান। পরে এ বিষয়ে মোবাইলের মালিক মোকছেদুল ইসলাম সদর থানায় অভিযোগ করেন।

এরপর রোববার ভোরে আবেদ আলীর বাড়িতে অভিযান চালিয়ে তাকে গ্রেফতার করা হয়। ওই সময় তার কাছ থেকে ছিনতাই কাজে ব্যবহৃত একটি খেলনা পিস্তল ও ওয়্যারলেস সেট, একাধিক মোবাইল সিম এবং দুটি পরিচয়পত্র জব্দ করে পুলিশ।

নীলফামারী সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মমিনুল ইসলাম জানান, প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে ডিবি পুলিশের ভুয়া পরিচয়ে মোবাইল ছিনতাই করার সত্যতা স্বীকার করেছেন আবেদ আলী। এ ঘটনায় মামলা দায়ের করার পর আদালতের মাধ্যমে তাকে কারাগারে পাঠানো হয়েছে।

;