যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন বান্দরবান, পাহাড় ধসে নারীর মৃত্যু



ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট, বার্তাটোয়েন্টিফোর.কম, বান্দরবান
অবিরাম বর্ষণ-পাহাড়ি ঢলে বান্দরবান প্লাবিত

অবিরাম বর্ষণ-পাহাড়ি ঢলে বান্দরবান প্লাবিত

  • Font increase
  • Font Decrease

অবিরাম বর্ষণ আর পাহাড়ি ঢলে সৃষ্ট ভয়াবহ বন্যায় ছয় দিন ধরে সড়ক যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন অবস্থায় রয়েছে বান্দরবান। লামা উপজেলার মধুঝিড়ি এলাকায় পাহাড় ধসে এক নারীর মৃত্যু হয়েছে।

বন্যায় বান্দরবান-কেরানীহাট প্রধান সড়ক প্লাবিত হওয়ায় রোববার (১৪ জুলাই) ষষ্ঠদিনের মত সারাদেশের সঙ্গে বান্দরবানের সড়ক যোগাযোগ বন্ধ রয়ে যায়। তবে বৃষ্টিপাত কমে যাওয়ায় রোববার দুপুরের পর বন্যায় প্লাবিত অভ্যন্তরীণ সড়কগুলো থেকে পানি নেমে যায়।

কিন্তু প্লাবিত এলাকাগুলোর অধিকাংশ বসতবাড়ি এখনো বন্যার পানিতে তলিয়ে আছে। বিপদসীমার উপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে সাঙ্গু নদীর পানি। যানবাহন চলাচল বন্ধ থাকায় নিত্যপ্রয়োজনীয় জিনিসপত্রের সংকট দেখা দিয়েছে স্থানীয় হাট-বাজারে।
https://img.imageboss.me/width/700/quality:100/https://img.barta24.com/uploads/news/2019/Jul/14/1563109988317.jpg
প্রাকৃতিক দুর্যোগের ফায়দা নিয়ে ব্যবসায়ীরা পেঁয়াজ, রসুন, মোমবাতি, ভোজ্য তেল, ডিম, শাক-সবজি এবং মাছ-মাংস-মুরগির দাম বাড়িয়ে দিয়েছেন স্থানীয় ব্যবসায়ীরা।

পুলিশ ও স্থানীয়রা জানান, অবিরাম ভারী বর্ষণ ও পাহাড়ি ঢলে পার্বত্য জেলা বান্দরবানের সাতটি উপজেলায় অভ্যন্তরীণ সড়কগুলোতে পাহাড় ধসের ঘটনা ঘটেছে। পাহাড় ধসে সদরের কালাঘাটা, হাফেজঘোনা, ইসলামপুর, বনরুপা পাড়াসহ আশপাশের এলাকাগুলোর বেশকিছু ঘরবাড়ি ক্ষতিগ্রস্ত হয়।

এছাড়ও লামা উপজেলার মধুঝিড়ি এলাকায় বসতবাড়িতে পাহাড় ধসে এক নারীর মৃত্যু হয়েছে। নিহত নারীর নাম নূর জাহান (৬৫)। তিনি স্থানীয় বাসিন্দা নূর হোসেনের স্ত্রী। পাহাড় ধসে নিহত নূর জাহানের পুত্র মোহাম্মদ ইরান এবং পুত্রবধূ ফাতেমা বেগম আহত হয়েন।

খবর পেয়ে ফায়ার সার্ভিসের কর্মীরা ঘটনাস্থলে গিয়ে হতাহতদের উদ্ধার করে। আহতদের লামা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়েছে।
https://img.imageboss.me/width/700/quality:100/https://img.barta24.com/uploads/news/2019/Jul/14/1563110024944.jpg
লামার থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আপেলা রাজু নাহা জানান, ঝুঁকিপূর্ণ বসতি থেকে পাহাড় ধসে হতাহতদের আশ্রয় কেন্দ্রে সরিয়ে আনা হয়েছিল। কিন্তু রোববার সকালে তারা আশ্রয় কেন্দ্র ছেড়ে পালিয়ে বসতবাড়িতে ফিরে গেলে পাহাড় ধসে প্রাণহানির ঘটনাটি ঘটে।

গত ৬ জুলাই থেকে অব্যাহত ভারী বর্ষণ ও পাহাড়ি ঢলে জেলার রুমা, থানচি, রোয়াংছড়ি, লামা, আলীকদম এবং সদর উপজেলায় ভয়াবহ বন্যা পরিস্থিতির সৃষ্টি হয়। ছয়টি উপজেলা এবং দুটি পৌরসভায় কমপক্ষে ৫০ হাজারেরও বেশি মানুষ বন্যায় ক্ষতির শিকার হয়েছেন।

বন্যায় পুলিশ সুপারের বাংলো, ডিসিবাংলো, জজকোর্ট, নির্বাচন অফিস, ইউএনও অফিস, রোয়াংছড়ি-লামা থানা, পুলিশ লাইন্স, বনবিভাগ, পার্বত্য জেলা পরিষদের রেস্টহাউজ, ক্যান্ট: পাবলিক স্কুল ও কলেজ, অরুণসার্কি টাউনহল, ফায়ারসার্ভিস অফিস, ক্রীড়া অফিস, সেনাবাহিনীর এমডিএস এলাকা, অফিসার্স ক্লাব, মহিলা ক্লাব সবগুলো প্লাবিত হয়েছে।
https://img.imageboss.me/width/700/quality:100/https://img.barta24.com/uploads/news/2019/Jul/14/1563110062832.jpg
এছাড়াও বন্যায় ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে আবাসিক হোটেল হিলভিউ, হিলটন, রিভারভিউ, পূরবী এবং বাজারের বেশকিছু ব্যবসা প্রতিষ্ঠান।

রুমা সদর ইউনিয়নের চেয়ারম্যান শৈমং মারমা বলেন, ১৯৯৭ সালের পর বিগত বাইশটি বছরে এত বড় বন্যা আর হয়নি। রুমা বাজারসহ আশপাশের এলাকাগুলো বন্যায় প্লাবিত হয়েছে। সড়ক-ব্রিজ ডুবে যাওয়ায় বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়েছে সড়ক যোগাযোগ ব্যবস্থাও। বন্যা ও পাহাড় ধসে রাস্তাঘাট-ঘরবাড়ির ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে।

থানচি সদর ইউনিয়নের চেয়ারম্যান মাংসার ম্রো বলেন, সাঙ্গু নদীর পানি বিপদসীমার উপর দিয়ে প্রবাহিত হওয়ায় থানচি বাজারসহ আশপাশের এলাকাগুলো বন্যায় প্লাবিত হয়। নদী তীরবর্তী অসংখ্য ঘরবাড়ি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। অভ্যন্তরীণ সড়কের ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে।

রোয়াংছড়ি সদর ইউনিয়নের চেয়ারম্যান চহ্লামং মারমা বলেন, রোয়াংছড়ি স্মরণকালের ভয়াবহ বন্যা হয়েছে এবার। রোয়াংছড়ি ইউএনও অফিস, থানা, এলজিইডি অফিস এবং বাজার এলাকার সবগুলো সরকারি-বেসরকারি প্রতিষ্ঠান-ঘরবাড়ি প্লাবিত হয়েছে বন্যার পানিতে। রাস্তাঘাটের ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে। এখনো বিচ্ছিন্ন রয়েছে সড়ক যোগাযোগ।

বান্দরবান পৌরসভার মেয়র মো. ইসলাম বেবী এবং লামা পৌরসভার মেয়র জহিরুল ইসলাম বলেন, বন্যা-পাহাড় ধসে পৌরসভার রাস্তাঘাটের ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে। অনেক স্থানে ধসে গেছে সড়ক। বন্যা-পাহাড় ধসে পৌরসভার নয়টি ওয়ার্ডে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে লোকজনের ঘরবাড়ি। প্লাবিত অঞ্চলের মানুষজন আশ্রয়কেন্দ্রে আশ্রয় নিয়েছেন। খাদ্য-বাসস্থান সবকিছুর সংকট তৈরি হয়েছে এবারের বন্যায়। তবে প্লাবিত এলাকাগুলো থেকে বন্যার পানি নামতে শুরু করেছে।

   

গড়াই নদীতে ডুবে যুবকের মৃত্যু



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, কুষ্টিয়া
ছবি প্রতীকী

ছবি প্রতীকী

  • Font increase
  • Font Decrease

কুষ্টিয়ার খোকসায় গড়াই নদীতে ডুবে সুমন (২০) নামে এক যুবকের মৃত্যু হয়েছে।

রোববার (৫ এপ্রিল) বিকেলে খোকসা উপজেলার গনেশপুর অংশে গড়াই নদী থেকে মরদেহ উদ্ধার করা হয়।

মৃত সুমন কুমারখালী উপজেলার রাজাপুর গ্রামের নিজাম উদ্দিনের ছেলে।

খোকসা ফায়ার সার্ভিস স্টেশনের ফায়ারম্যান হাবিবুর রহমান জানান, সকালের দিকে গড়াই নদীতে মাছ ধরতে যান সুমন। মাছ ধরার এক পর্যায়ে নদীতে ডুবে যান তিনি। বিকেলের দিকে স্থানীয়দের সহায়তায় তার মরদেহ উদ্ধার করে ফায়ার সার্ভিস।

;

কুমিল্লার নাঙ্গলকোটে বজ্রপাতে কিশোরের মৃত্যু



ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, কুমিল্লা
প্রতীকী ছবি

প্রতীকী ছবি

  • Font increase
  • Font Decrease

কুমিল্লার নাঙ্গলকোটে ফুটবল খেলার সময় বজ্রপাতে সাফায়েত হোসেন (১৯) নামে একজনের মৃত্যু হয়েছে। এ সময় সালাউদ্দিন (২২) নামের আরেক যুবক গুরুতর আহত হন।

রোববার (৫ এপ্রিল) এই বিকেলে এই ঘটনা ঘটে। তাদের উদ্ধার করে সন্ধ্যা সাড়ে ৬টার দিকে লাকসামের একটি ক্লিনিকে নেওয়া হলে কর্তব্যরত চিকিৎসক ওই কিশোরকে মৃত ঘোষণা করেন।

স্থানীয় সূত্র জানায়, উপজেলার আদ্রা দক্ষিণ ইউনিয়নের আটিয়াবাড়ি দক্ষিণপাড়া স্কুল বাড়ির আবদুল আউয়ালের ছেলে সাফায়াত হোসেন এদিন বিকেলে সহপাঠীদের সাথে পার্শ্ববর্তী ঘোড়াময়দান গ্রামের একটি মাঠে ফুটবল খেলতে যায়। বিকাল ৫টার দিকে খেলা চলা অবস্থায় আকস্মিক বজ্রপাতে সাফায়েতের পুরো শরীর ঝলসে যায়। তাৎক্ষনিকভাবে তাকে উদ্ধার করে লাকসামের একটি ক্লিনিকে নেয়া হলে সন্ধ্যায় কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন।

এছাড়া বজ্রপাতে ওই ঘোড়াময়দান গ্রামের নুরুল হকের ছেলে সালাউদ্দিন (২২) গুরুতর আহত হয়ে স্থানীয় একটি ক্লিনিকে চিকিৎসাধীন রয়েছে।

স্থানীয় ইউপি চেয়ারম্যান আবদুল ওহাব ঘটনার এ ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করেছেন।

;

লক্ষ্মী ভাইয়েরা বাসায় যান, নিজেসহ দেশকে বাঁচান



নাহিদ রেজা, স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, ঠাকুরগাঁও
ওসি তানভিরুল ইসলাম।

ওসি তানভিরুল ইসলাম।

  • Font increase
  • Font Decrease

আমার লক্ষ্মী ভাইয়েরা দয়া করে বাইরে ঘোরাঘুরি না করে বাসায় যান। নিজে বাঁচেন, পরিবারকে বাঁচান, দেশকে বাঁচান। সচেতন হোন।

ঠিক এসব কথা বলে করোনাভাইরাস প্রতিরোধে জনগণকে সচেতন করছেন ঠাকুরগাঁও সদর থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) তানভিরুল ইসলাম। মাঠ পর্যায়ে গিয়ে এভাবে সচেতন করায় সাধুবাদ জানিয়েছে সাধারণ মানুষ।

ঠাকুরগাঁও সদর উপজেলার রহিমানপুর ইউনিয়নের রেজাউল ইসলাম বলেন, ‘আমি ওষুধ কেনার জন্য স্থানীয় বাজারে এসেছিলাম। কিছুক্ষণ পর থানার একটি গাড়ি বাজারের সামনে এসে দাঁড়ায় এবং ওসি তানভিরুল সবাইকে বাসায় থাকার জন্য অনুরোধ করেন। এর আগে কখনো জনগণের সঙ্গে পুলিশের এমন ভালো আচরণ দেখি নাই।’

ঠাকুরগাঁও সদর উপজেলার চৌড়াস্তা মোড়ে কথা হয় জয়নাল নামে এক পথচারীর সঙ্গে। তিনি বলেন, ‘আমাদের জেলার পুলিশ সাধারণ জনগণের সঙ্গে ভালো ব্যবহার করছে। তাদের ভাই বলে বাসায় ফিরে যাওয়ার জন্য অনুরোধ করছে। ওসিসহ পুলিশের সদস্যরা নিজেদের কথা চিন্তা না করে আমাদের জন্য এ কাজটি করে যাচ্ছেন। তাদের ধন্যবাদ জানাই।’

স্থানীয় সাহাদত হোসেন নামে একজন বলেন,‘তানভিরুল ভাই একজন মানবিক পুলিশ অফিসার। তার জন্য শুভকামনা ও দোয়া রইল।’

ঠাকুরগাঁও সদর থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) তানভিরুল ইসলাম বার্তা২৪.কমকে বলেন, ‘করোনাভাইরাস নিয়ে আতঙ্কিত হওয়ার কিছু নেই। এ ভাইরাস প্রতিরোধে আমাদের সবাইকে সচেতন হতে হবে। সরকার যেসব দিক নির্দেশনা দিয়েছে সেগুলো মেনে চলতে হবে। জনগণের সঙ্গে খারাপ ব্যবহার না করে তাদের সচেতন করা হচ্ছে। এতে কাজও হচ্ছে।’

;

ডিবি পরিচয়ে মোবাইল ছিনতাই, যুবক গ্রেফতার



ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, নীলফামারী
গ্রেফতার আবেদ আলী।

গ্রেফতার আবেদ আলী।

  • Font increase
  • Font Decrease

নীলফামারীতে গোয়েন্দা পুলিশের (ডিবি) উপপরিদর্শক পরিচয়ে মোবাইল ছিনতাই করার অপরাধে আবেদ আলী (২৮) নামে এক যুবককে গ্রেফতার করেছে পুলিশ।

রোববার (৫ এপ্রিল) বিকেলে নীলফামারী সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মমিনুল ইসলাম এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।

আবেদ আলী সৈয়দপুর উপজেলার কাশিরাম বেলপুকুর ইউনিয়নের চওড়া গ্রামের খয়রাত হোসেনের ছেলে।

জানা গেছে, শনিবার (৪ এপ্রিল) দুপুরে জেলা সদরের কুন্দপুকুর ইউনিয়নের আঙ্গারপাড়া গ্রামে মোকছেদুল ইসলামসহ কয়েক যুবক মোবাইলে ভিডিও গেম খেলছিলেন। এ সময় আবেদ আলী নিজেকে সৈয়দপুর থানার ডিবি পুলিশের উপপরিদর্শক পরিচয় দিয়ে ওই যুবকদের কাছ থেকে মোবাইলটি নিয়ে যান। পরে এ বিষয়ে মোবাইলের মালিক মোকছেদুল ইসলাম সদর থানায় অভিযোগ করেন।

এরপর রোববার ভোরে আবেদ আলীর বাড়িতে অভিযান চালিয়ে তাকে গ্রেফতার করা হয়। ওই সময় তার কাছ থেকে ছিনতাই কাজে ব্যবহৃত একটি খেলনা পিস্তল ও ওয়্যারলেস সেট, একাধিক মোবাইল সিম এবং দুটি পরিচয়পত্র জব্দ করে পুলিশ।

নীলফামারী সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মমিনুল ইসলাম জানান, প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে ডিবি পুলিশের ভুয়া পরিচয়ে মোবাইল ছিনতাই করার সত্যতা স্বীকার করেছেন আবেদ আলী। এ ঘটনায় মামলা দায়ের করার পর আদালতের মাধ্যমে তাকে কারাগারে পাঠানো হয়েছে।

;