কুড়িগ্রামে চরম খাদ্য সংকটে বানভাসী মানুষ



ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট বার্তাটোয়েন্টিফোর. কম, কুড়িগ্রাম
কুড়িগ্রামে বন্যায় প্লাবিত ৩৯০ গ্রাম/ছবি: বার্তা২৪.কম

কুড়িগ্রামে বন্যায় প্লাবিত ৩৯০ গ্রাম/ছবি: বার্তা২৪.কম

  • Font increase
  • Font Decrease

গত এক সপ্তাহ ধরে কুড়িগ্রামে ব্রহ্মপুত্র, ধরলা, তিস্তা, দুধকুমর, ফুলকুমরসহ ১৬ টি নদ-নদীর পানি বৃদ্ধি অব্যাহত থাকায় জেলার সার্বিক বন্যা পরিস্থিতির মারাত্মক অবনতি হয়েছে। সরকারি হিসাব মতে, প্লাবিত হয়ে পড়েছে জেলার ৯ উপজেলার ৫৫ ইউনিয়নের ৩৯০টি গ্রাম। বন্যা কবলিত হয়ে পড়েছে প্রায় ৩ লাখ মানুষ। বন্যা দুর্গত এলাকাগুলোতে শুকনো খাবার ও বিশুদ্ধ পানির চরম সংকট দেখা দিয়েছে। এসব এলাকার মানুষজন ঘর-বাড়ি ছেড়ে পার্শ্ববর্তী উঁচু বাঁধ ও পাকা সড়কসহ বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে আশ্রয় নিচ্ছে।

অন্যদিকে কুড়িগ্রাম-ভুরুঙ্গামারী মহাসড়কের বিভিন্ন স্থান তলিয়ে যাওয়ায় বন্ধ রয়েছে নাগেশ্বরী, ভুরুঙ্গামারী ও ফুলবাড়ী উপজেলাসহ সোনাহাট স্থল বন্দরের যোগাযোগ ব্যবস্থা। সড়ক তলিয়ে যাওয়ায় গত দুইদিন ধরে বন্ধ রয়েছে উত্তরবঙ্গের সর্ববৃহৎ যাত্রাপুর হাটের সঙ্গে সারা দেশের যোগাযোগ ব্যবস্থা। বন্যা কবলিত এলাকাগুলোতে রাস্তা-ঘাট তলিয়ে যোগাযোগ ব্যবস্থা ভেঙে যাওয়ায় এসব এলাকায় যোগাযোগের একমাত্র মাধ্যম এখন নৌকা ও কলাগাছের ভেলা। কিন্তু পর্যাপ্ত নৌকা না থাকায় অনেক পানি বন্দি মানুষ বাড়ি থেকে বের হতেও পারছেন না।

https://img.imageboss.me/width/700/quality:100/https://img.barta24.com/uploads/news/2019/Jul/15/1563190303712.jpg

সদর উপজেলার কাঠালবাড়ী ইউনিয়নের বাংটুর ঘাট এলাকার শহর রক্ষা বাঁধ হুমকির মুখে পড়েছে। উলিপুর উপজেলার গুনাইগাছ ইউনিয়নের নাগড়াকুড়া এলাকায় ১০ কোটি টাকা ব্যয়ে নির্মিত বাঁধের ১৫০ মিটার তিস্তার পানির প্রবল স্রোতে ধসে গেছে। জেলার ক্ষতিগ্রস্থ ও হুমকির মুখে পড়া তীররক্ষা বাঁধে জরুরি ভিত্তিতে জিও ট্রেক্সটাইল ব্যাগে বালুর বস্তা ফেলে রক্ষার চেষ্টা চালানো হচ্ছে।

এদিকে পানি সম্পদ মন্ত্রণালয়ের সচিব কবির বিন আনোয়ার কুড়িগ্রামের ঝুঁকিপূর্ণ বাঁধ পরিদর্শন করে বাঁধগুলো দ্রুত মেরামত করার নির্দেশ দিয়েছেন।

স্থানীয় পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী আরিফুল ইসলাম জানায়, সেতু পয়েন্টে ধরলা নদীর পানি বিপদসীমার ১১০ সেন্টিমিটার, চিলমারী পয়েন্টে ব্রহ্মপুত্র নদের পানি বিপদসীমার ১০৫ সেন্টিমিটার, নুনখাওয়া পয়েন্টে ব্রহ্মপুত্রের পানি বিপদসীমার ৭৫ সেন্টিমিটার এবং কাউনিয়া পয়েন্টে তিস্তার নদীর পানি বিপদসীমার ১১ সেন্টিমিটার উপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। 

বন্যা কবলিত মানুষজন জানান, গত ৪ দিন ধরে নদ-নদীর পানি বিপদসীমার উপর দিয়ে প্রবাহিত হওয়ায় চরম দুর্ভোগে পড়েছেন তারা। এ অবস্থায় কেউ কেউ ঘর-বাড়ি ছেড়ে উঁচু স্থানে আশ্রয় নিলেও অনেক পরিবার এখনও পানির মধ্যে অবস্থান করছেন। ঘর-বাড়িতে অবস্থান করা পরিবারগুলোর রান্নার চুলা ও খড়ি পানির নীচে থাকায় রান্নার কাজ বন্ধ রয়েছে। ঘরের সঞ্চিত শুকনো খাবার শেষ হয়ে যাওয়ায় খাবারের সংকটে পড়েছেন তারা। অনেক পরিবারের নলকুপ তলিয়ে যাওয়ায় পান করছেন বন্যার পানি। চরাঞ্চলগুলোতে শুকনো জায়গা না থাকায় গবাদি পশু ও তাদের খাদ্য নিয়ে চরম ভোগান্তিতে পড়েছেন বন্যা দুর্গতরা।

https://img.imageboss.me/width/700/quality:100/https://img.barta24.com/uploads/news/2019/Jul/15/1563190318970.jpg

সদর উপজেলার যাত্রাপুর ইউনিয়নের বড়ুয়ারচর গ্রামের শামসুল হক জানান, গত ৬ দিন ধরে পরিবার পরিজন নিয়ে বাঁশের উঁচু করা মাচানে বন্যার পানির মধ্যেই কোন রকমে বসবাস করছি। রান্না করতে পারছি না। ঘরের শুকনো খাবার শেষ হয়ে যাওয়ায় পরিবার পরিজন নিয়ে খেয়ে না খেয়ে দিন পার করছি। এখন পর্যন্ত কোন সাহায্য সহযোগিতা পাইনি।

একই ইউনিয়নের রলাকাটার চরের ইদ্রিস আলী জানান, ঘরের ভিতর কোমর পানি। তবুও কষ্ট করে আছি। নৌকা খুঁজছি। নৌকা পেলেই ছেলে-মেয়েদের নিয়ে উঁচু জায়গায় চলে যাবো। 

উলিপুর উপজেলার বেগমগঞ্জ ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান বেলাল হোসেন জানান, আমার ইউনিয়নের ২২ হাজার পরিবার পানিবন্দি। এদের বেশির ভাগই ব্রহ্মপুত্রের তীরবর্তী দরিদ্র শ্রেণির মানুষ। গত ৫ দিন ধরে বেশির ভাগ মানুষ পানি বন্দি জীবন-যাপন করছে। এখন পর্যন্ত সরকারি কোনো ত্রাণ সামগ্রী বন্যা দুর্গতদের মাঝে বিতরণ করা হয়নি। তবে আজ সোমবার বরাদ্দকৃত ২ মেট্রিক টন চাল পাওয়ার কথা। চাল পেলে তালিকা অনুযায়ী বিতরণ করা হবে।

উলিপুর উপজেলার বজরা ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান রফিকুল আমিন জানান, আমার ইউনিয়নের ৯টি মৌজার মধ্যে ৯টি মৌজার মানুষই পানিবন্দি। এসব পানি বন্দি বেশিরভাগ মানুষ উঁচু বাঁধ ও পাকা সড়কে আশ্রয় নিলে ত্রিপাল বা ঢেউটিনের অভাবে সাময়িক মাথা গোঁজার ঠাঁই তৈরি করতে পারছেন না। ফলে খোলা আকাশের নীচে অনেক পরিবার বসবাস করছে। তবে এই মুহূর্তে সবচেয়ে বেশি প্রয়োজন শুকনো খাবার ও বিশুদ্ধ খাবার পানি। কেন না বন্যা কবলিত মানুষজনের ঘর-বাড়ি তলিয়ে থাকায় তারা রান্না-বাড়ার কাজ করতে পারছেন না।

কুড়িগ্রাম সদর উপজেলার ভোগডাঙ্গা ইউনিয়নের চেয়ারম্যান সাইদুর রহমান জানান, আমার ইউনিয়নের ৯টি ওয়ার্ডের সাড়ে ১০ হাজার পরিবার পানি বন্দি। এরমধ্যে সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্থ হচ্ছে চর বড়াইবাড়ী, মাধবরাম, কাচিচর, মধ্যকুমরপুর ও উত্তর কুমরপুর। আমি রোববার আড়াই মেট্রিকটন চাল বরাদ্দ পেয়ে বিতরণ করেছি। তবে সব পরিবারকে দেয়া সম্ভব হয়নি।

সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা নিলুফা ইয়াছমিন জানান, সদর উপজেলায় বন্যা কবলিত মানুষজনের ৭০ মেট্রিক টন চাল, ১ লাখ টাকা ও ৩০০ প্যাকেট শুকনো খাবার বিতরণের জন্য বরাদ্দ দেয়া হয়েছে।

কুড়িগ্রামের অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক মো: হাফিজুর রহমান জানান, বন্যা কবলিত মানুষের জন্য জেলার ৯ উপজেলায় ২৮০ মেট্রিক টন জিআর চাল, ২ হাজার প্যাকেট শুকনো খাবার এবং ৬ লাখ ৭৫ হাজার টাকা বরাদ্দ দেয়া হয়েছে। যা বিতরণ করা হচ্ছে। নতুন করে ত্রাণ ও দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা মন্ত্রণালয়ে ২০ লাখ টাকা, ১০ হাজার প্যাকেট শুকনো খাবার ও ১ হাজার মেট্রিক টন জিআর চালের বরাদ্দ পত্র পাঠানো হয়েছে। সব উপজেলার বন্যা পরিস্থিতি মোকাবিলায় কন্ট্রোল রুম খোলা হয়েছে।

   

গড়াই নদীতে ডুবে যুবকের মৃত্যু



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, কুষ্টিয়া
ছবি প্রতীকী

ছবি প্রতীকী

  • Font increase
  • Font Decrease

কুষ্টিয়ার খোকসায় গড়াই নদীতে ডুবে সুমন (২০) নামে এক যুবকের মৃত্যু হয়েছে।

রোববার (৫ এপ্রিল) বিকেলে খোকসা উপজেলার গনেশপুর অংশে গড়াই নদী থেকে মরদেহ উদ্ধার করা হয়।

মৃত সুমন কুমারখালী উপজেলার রাজাপুর গ্রামের নিজাম উদ্দিনের ছেলে।

খোকসা ফায়ার সার্ভিস স্টেশনের ফায়ারম্যান হাবিবুর রহমান জানান, সকালের দিকে গড়াই নদীতে মাছ ধরতে যান সুমন। মাছ ধরার এক পর্যায়ে নদীতে ডুবে যান তিনি। বিকেলের দিকে স্থানীয়দের সহায়তায় তার মরদেহ উদ্ধার করে ফায়ার সার্ভিস।

;

কুমিল্লার নাঙ্গলকোটে বজ্রপাতে কিশোরের মৃত্যু



ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, কুমিল্লা
প্রতীকী ছবি

প্রতীকী ছবি

  • Font increase
  • Font Decrease

কুমিল্লার নাঙ্গলকোটে ফুটবল খেলার সময় বজ্রপাতে সাফায়েত হোসেন (১৯) নামে একজনের মৃত্যু হয়েছে। এ সময় সালাউদ্দিন (২২) নামের আরেক যুবক গুরুতর আহত হন।

রোববার (৫ এপ্রিল) এই বিকেলে এই ঘটনা ঘটে। তাদের উদ্ধার করে সন্ধ্যা সাড়ে ৬টার দিকে লাকসামের একটি ক্লিনিকে নেওয়া হলে কর্তব্যরত চিকিৎসক ওই কিশোরকে মৃত ঘোষণা করেন।

স্থানীয় সূত্র জানায়, উপজেলার আদ্রা দক্ষিণ ইউনিয়নের আটিয়াবাড়ি দক্ষিণপাড়া স্কুল বাড়ির আবদুল আউয়ালের ছেলে সাফায়াত হোসেন এদিন বিকেলে সহপাঠীদের সাথে পার্শ্ববর্তী ঘোড়াময়দান গ্রামের একটি মাঠে ফুটবল খেলতে যায়। বিকাল ৫টার দিকে খেলা চলা অবস্থায় আকস্মিক বজ্রপাতে সাফায়েতের পুরো শরীর ঝলসে যায়। তাৎক্ষনিকভাবে তাকে উদ্ধার করে লাকসামের একটি ক্লিনিকে নেয়া হলে সন্ধ্যায় কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন।

এছাড়া বজ্রপাতে ওই ঘোড়াময়দান গ্রামের নুরুল হকের ছেলে সালাউদ্দিন (২২) গুরুতর আহত হয়ে স্থানীয় একটি ক্লিনিকে চিকিৎসাধীন রয়েছে।

স্থানীয় ইউপি চেয়ারম্যান আবদুল ওহাব ঘটনার এ ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করেছেন।

;

লক্ষ্মী ভাইয়েরা বাসায় যান, নিজেসহ দেশকে বাঁচান



নাহিদ রেজা, স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, ঠাকুরগাঁও
ওসি তানভিরুল ইসলাম।

ওসি তানভিরুল ইসলাম।

  • Font increase
  • Font Decrease

আমার লক্ষ্মী ভাইয়েরা দয়া করে বাইরে ঘোরাঘুরি না করে বাসায় যান। নিজে বাঁচেন, পরিবারকে বাঁচান, দেশকে বাঁচান। সচেতন হোন।

ঠিক এসব কথা বলে করোনাভাইরাস প্রতিরোধে জনগণকে সচেতন করছেন ঠাকুরগাঁও সদর থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) তানভিরুল ইসলাম। মাঠ পর্যায়ে গিয়ে এভাবে সচেতন করায় সাধুবাদ জানিয়েছে সাধারণ মানুষ।

ঠাকুরগাঁও সদর উপজেলার রহিমানপুর ইউনিয়নের রেজাউল ইসলাম বলেন, ‘আমি ওষুধ কেনার জন্য স্থানীয় বাজারে এসেছিলাম। কিছুক্ষণ পর থানার একটি গাড়ি বাজারের সামনে এসে দাঁড়ায় এবং ওসি তানভিরুল সবাইকে বাসায় থাকার জন্য অনুরোধ করেন। এর আগে কখনো জনগণের সঙ্গে পুলিশের এমন ভালো আচরণ দেখি নাই।’

ঠাকুরগাঁও সদর উপজেলার চৌড়াস্তা মোড়ে কথা হয় জয়নাল নামে এক পথচারীর সঙ্গে। তিনি বলেন, ‘আমাদের জেলার পুলিশ সাধারণ জনগণের সঙ্গে ভালো ব্যবহার করছে। তাদের ভাই বলে বাসায় ফিরে যাওয়ার জন্য অনুরোধ করছে। ওসিসহ পুলিশের সদস্যরা নিজেদের কথা চিন্তা না করে আমাদের জন্য এ কাজটি করে যাচ্ছেন। তাদের ধন্যবাদ জানাই।’

স্থানীয় সাহাদত হোসেন নামে একজন বলেন,‘তানভিরুল ভাই একজন মানবিক পুলিশ অফিসার। তার জন্য শুভকামনা ও দোয়া রইল।’

ঠাকুরগাঁও সদর থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) তানভিরুল ইসলাম বার্তা২৪.কমকে বলেন, ‘করোনাভাইরাস নিয়ে আতঙ্কিত হওয়ার কিছু নেই। এ ভাইরাস প্রতিরোধে আমাদের সবাইকে সচেতন হতে হবে। সরকার যেসব দিক নির্দেশনা দিয়েছে সেগুলো মেনে চলতে হবে। জনগণের সঙ্গে খারাপ ব্যবহার না করে তাদের সচেতন করা হচ্ছে। এতে কাজও হচ্ছে।’

;

ডিবি পরিচয়ে মোবাইল ছিনতাই, যুবক গ্রেফতার



ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, নীলফামারী
গ্রেফতার আবেদ আলী।

গ্রেফতার আবেদ আলী।

  • Font increase
  • Font Decrease

নীলফামারীতে গোয়েন্দা পুলিশের (ডিবি) উপপরিদর্শক পরিচয়ে মোবাইল ছিনতাই করার অপরাধে আবেদ আলী (২৮) নামে এক যুবককে গ্রেফতার করেছে পুলিশ।

রোববার (৫ এপ্রিল) বিকেলে নীলফামারী সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মমিনুল ইসলাম এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।

আবেদ আলী সৈয়দপুর উপজেলার কাশিরাম বেলপুকুর ইউনিয়নের চওড়া গ্রামের খয়রাত হোসেনের ছেলে।

জানা গেছে, শনিবার (৪ এপ্রিল) দুপুরে জেলা সদরের কুন্দপুকুর ইউনিয়নের আঙ্গারপাড়া গ্রামে মোকছেদুল ইসলামসহ কয়েক যুবক মোবাইলে ভিডিও গেম খেলছিলেন। এ সময় আবেদ আলী নিজেকে সৈয়দপুর থানার ডিবি পুলিশের উপপরিদর্শক পরিচয় দিয়ে ওই যুবকদের কাছ থেকে মোবাইলটি নিয়ে যান। পরে এ বিষয়ে মোবাইলের মালিক মোকছেদুল ইসলাম সদর থানায় অভিযোগ করেন।

এরপর রোববার ভোরে আবেদ আলীর বাড়িতে অভিযান চালিয়ে তাকে গ্রেফতার করা হয়। ওই সময় তার কাছ থেকে ছিনতাই কাজে ব্যবহৃত একটি খেলনা পিস্তল ও ওয়্যারলেস সেট, একাধিক মোবাইল সিম এবং দুটি পরিচয়পত্র জব্দ করে পুলিশ।

নীলফামারী সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মমিনুল ইসলাম জানান, প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে ডিবি পুলিশের ভুয়া পরিচয়ে মোবাইল ছিনতাই করার সত্যতা স্বীকার করেছেন আবেদ আলী। এ ঘটনায় মামলা দায়ের করার পর আদালতের মাধ্যমে তাকে কারাগারে পাঠানো হয়েছে।

;