সেতুর দুই পাশে নেই রাস্তা, উপকারে আসছে না স্থানীয়দের!



আল মামুন, ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট, বার্তাটোয়েন্টিফোর.কম, ব্রাহ্মণবাড়িয়া
সরাইলে ৩২ লাখ টাকায় নির্মিত সেতুটি, ছবি: বার্তাটোয়েন্টিফোর.কম

সরাইলে ৩২ লাখ টাকায় নির্মিত সেতুটি, ছবি: বার্তাটোয়েন্টিফোর.কম

  • Font increase
  • Font Decrease

ব্রাহ্মণবাড়িয়ার সরাইল উপজেলার কালীকচ্ছ ইউনিয়নের দক্ষিণ কালীকচ্ছ গ্রামের ঘোষপাড়া এলাকায় ৩২ লাখ টাকা ব্যয়ে নির্মিত ব্রিজটি সাধারণ মানুষের কোনো কাজেই আসছে না। ব্রিজটির দুই পাশে নেই কোনো রাস্তা। পশ্চিম পাশে ফসলি মাঠ, উত্তর পাশে সবজি চাষাবাদের জমি, দক্ষিণে জনবসতি ও পূর্বে সরকারি পানি নিষ্কাশনের নালা।

এর মাঝখানে দাঁড়িয়ে আছে এই সেতু। স্থানীয় সরকার প্রকৌশল অধিদফতরের (এলজিইডি) তত্ত্বাবধায়নে 'হাওর অঞ্চলের অবকাঠামো ও জীবনমান উন্নয়ন প্রকল্প (হিলিপ)' বরাদ্দে ৩২ লাখ টাকা ব্যয় পাঁচ বছর আগে এই সেতু নির্মাণ হয়েছিল বলে জানা যায়।

স্থানীয় এলাকাবসীর সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, ৩২ লাখ টাকা ব্যয়ে নির্মিত ব্রিজটি এই স্থানে নির্মাণে কারণর তারা খুঁজে পাননি। সেতুটি তাদের কোনো উপকারে আসে না। দুইপাশে সড়ক না থাকায় আজ পর্যন্ত সেতুর ওপর কেউ উঠতে পারেনি। সেতুর একপ্রান্তে নালা, অপরপ্রান্তে ব্যক্তি মালিকানাধীন চাষাবাদের জমি। স্থানীয় সরকার প্রকৌশল অধিদফতর (এলজিইডি) টাকা লোপাটের কারণেই এই ব্রিজ নির্মাণ করা হয়েছে বলে দাবি স্থানীয়দের।

স্থানীয় ইউপি সদস্য অরবিন্দ দত্ত বলেন, দুইপাশে রাস্তা নেই, অথচ লাখ লাখ টাকা ব্যয়ে এখানে খালের উপর সেতু নির্মাণ করা হয়েছে। আনুমানিক ৩০০ গজ দক্ষিণে সেতুটি নির্মাণ করলে, স্থানীয় লোকজন উপকৃত হতেন। সেখানে খালের দুইপাশেই সরকারি রাস্তা ছিল। হিন্দু সম্প্রদায়ের শশ্মানঘাটও ছিল।

কালীকচ্ছ ইউপি চেয়ারম্যান শরাফত আলী জানান, হিলিপ প্রকল্পের আওতায় ৩২ লাখ টাকার এই সেতু এখন স্থানীয় লোকজনের দুই পয়সার কোন কাজে আসছে না। এই ব্রিজের টাকা লুটপাট করা হয়েছে বলেও জানান তিনি।

এই ব্যাপারে সরাইল এলজিইডি কার্যালয়ের উপ-সহকারী প্রকৌশলী আবদুল্লাহ আল বাকি বার্তাটোয়েন্টিফোর.কম-কে জানান, হিলিপ প্রকল্পে ৩২ লাখ টাকা বরাদ্দে সেই সেতু নির্মাণ করে একটি ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান। তৎকালীন উপ-সহকারী প্রকৌশলী নুরুন্নাহার বেগম এই কাজের প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তার দায়িত্বে নিয়োজিত ছিলেন। বিষয়টি তিনিই ভালো জানেন। বর্তমানে তিনি বদলি হয়ে এলজিইডির প্রধান কার্যালয়ে কর্মরত।

এলজিইডির প্রধান কার্যালয়ের উপ-সহকারী প্রকৌশলী নুরুন্নাহার বেগম জানান, পাঁচ বছর আগে হিলিপ প্রকল্পের সেই সেতু নির্মাণ হয়। আমি সরাইলে কর্মরত থাকা অবস্থায় ঠিকাদারকে সেই সেতুর অ্যাপ্রোচ সড়কের বিল প্রদান করিনি। ঠিকাদার অ্যাপ্রোচ সড়ক নির্মাণ করতে গেলেও মাটির অভাবে তা সম্ভব হয়নি।

সরাইল উপজেলা নির্বাহী অফিসার (ইউএনও) এএসএম মোসা বার্তাটোয়েন্টিফোর.কম-কে জানান, হিলিপ প্রকল্পে সঙ্গে স্থানীয় ইউএনও'র কোনো সম্পর্ক নেই। তারা কীভাবে প্রকল্প গ্রহণ করে তারাই বলতে পারবে। তবে বিষয়টি খুব দুঃখজনক বলেও মন্তব্য করেন তিনি।

   

গড়াই নদীতে ডুবে যুবকের মৃত্যু



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, কুষ্টিয়া
ছবি প্রতীকী

ছবি প্রতীকী

  • Font increase
  • Font Decrease

কুষ্টিয়ার খোকসায় গড়াই নদীতে ডুবে সুমন (২০) নামে এক যুবকের মৃত্যু হয়েছে।

রোববার (৫ এপ্রিল) বিকেলে খোকসা উপজেলার গনেশপুর অংশে গড়াই নদী থেকে মরদেহ উদ্ধার করা হয়।

মৃত সুমন কুমারখালী উপজেলার রাজাপুর গ্রামের নিজাম উদ্দিনের ছেলে।

খোকসা ফায়ার সার্ভিস স্টেশনের ফায়ারম্যান হাবিবুর রহমান জানান, সকালের দিকে গড়াই নদীতে মাছ ধরতে যান সুমন। মাছ ধরার এক পর্যায়ে নদীতে ডুবে যান তিনি। বিকেলের দিকে স্থানীয়দের সহায়তায় তার মরদেহ উদ্ধার করে ফায়ার সার্ভিস।

;

কুমিল্লার নাঙ্গলকোটে বজ্রপাতে কিশোরের মৃত্যু



ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, কুমিল্লা
প্রতীকী ছবি

প্রতীকী ছবি

  • Font increase
  • Font Decrease

কুমিল্লার নাঙ্গলকোটে ফুটবল খেলার সময় বজ্রপাতে সাফায়েত হোসেন (১৯) নামে একজনের মৃত্যু হয়েছে। এ সময় সালাউদ্দিন (২২) নামের আরেক যুবক গুরুতর আহত হন।

রোববার (৫ এপ্রিল) এই বিকেলে এই ঘটনা ঘটে। তাদের উদ্ধার করে সন্ধ্যা সাড়ে ৬টার দিকে লাকসামের একটি ক্লিনিকে নেওয়া হলে কর্তব্যরত চিকিৎসক ওই কিশোরকে মৃত ঘোষণা করেন।

স্থানীয় সূত্র জানায়, উপজেলার আদ্রা দক্ষিণ ইউনিয়নের আটিয়াবাড়ি দক্ষিণপাড়া স্কুল বাড়ির আবদুল আউয়ালের ছেলে সাফায়াত হোসেন এদিন বিকেলে সহপাঠীদের সাথে পার্শ্ববর্তী ঘোড়াময়দান গ্রামের একটি মাঠে ফুটবল খেলতে যায়। বিকাল ৫টার দিকে খেলা চলা অবস্থায় আকস্মিক বজ্রপাতে সাফায়েতের পুরো শরীর ঝলসে যায়। তাৎক্ষনিকভাবে তাকে উদ্ধার করে লাকসামের একটি ক্লিনিকে নেয়া হলে সন্ধ্যায় কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন।

এছাড়া বজ্রপাতে ওই ঘোড়াময়দান গ্রামের নুরুল হকের ছেলে সালাউদ্দিন (২২) গুরুতর আহত হয়ে স্থানীয় একটি ক্লিনিকে চিকিৎসাধীন রয়েছে।

স্থানীয় ইউপি চেয়ারম্যান আবদুল ওহাব ঘটনার এ ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করেছেন।

;

লক্ষ্মী ভাইয়েরা বাসায় যান, নিজেসহ দেশকে বাঁচান



নাহিদ রেজা, স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, ঠাকুরগাঁও
ওসি তানভিরুল ইসলাম।

ওসি তানভিরুল ইসলাম।

  • Font increase
  • Font Decrease

আমার লক্ষ্মী ভাইয়েরা দয়া করে বাইরে ঘোরাঘুরি না করে বাসায় যান। নিজে বাঁচেন, পরিবারকে বাঁচান, দেশকে বাঁচান। সচেতন হোন।

ঠিক এসব কথা বলে করোনাভাইরাস প্রতিরোধে জনগণকে সচেতন করছেন ঠাকুরগাঁও সদর থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) তানভিরুল ইসলাম। মাঠ পর্যায়ে গিয়ে এভাবে সচেতন করায় সাধুবাদ জানিয়েছে সাধারণ মানুষ।

ঠাকুরগাঁও সদর উপজেলার রহিমানপুর ইউনিয়নের রেজাউল ইসলাম বলেন, ‘আমি ওষুধ কেনার জন্য স্থানীয় বাজারে এসেছিলাম। কিছুক্ষণ পর থানার একটি গাড়ি বাজারের সামনে এসে দাঁড়ায় এবং ওসি তানভিরুল সবাইকে বাসায় থাকার জন্য অনুরোধ করেন। এর আগে কখনো জনগণের সঙ্গে পুলিশের এমন ভালো আচরণ দেখি নাই।’

ঠাকুরগাঁও সদর উপজেলার চৌড়াস্তা মোড়ে কথা হয় জয়নাল নামে এক পথচারীর সঙ্গে। তিনি বলেন, ‘আমাদের জেলার পুলিশ সাধারণ জনগণের সঙ্গে ভালো ব্যবহার করছে। তাদের ভাই বলে বাসায় ফিরে যাওয়ার জন্য অনুরোধ করছে। ওসিসহ পুলিশের সদস্যরা নিজেদের কথা চিন্তা না করে আমাদের জন্য এ কাজটি করে যাচ্ছেন। তাদের ধন্যবাদ জানাই।’

স্থানীয় সাহাদত হোসেন নামে একজন বলেন,‘তানভিরুল ভাই একজন মানবিক পুলিশ অফিসার। তার জন্য শুভকামনা ও দোয়া রইল।’

ঠাকুরগাঁও সদর থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) তানভিরুল ইসলাম বার্তা২৪.কমকে বলেন, ‘করোনাভাইরাস নিয়ে আতঙ্কিত হওয়ার কিছু নেই। এ ভাইরাস প্রতিরোধে আমাদের সবাইকে সচেতন হতে হবে। সরকার যেসব দিক নির্দেশনা দিয়েছে সেগুলো মেনে চলতে হবে। জনগণের সঙ্গে খারাপ ব্যবহার না করে তাদের সচেতন করা হচ্ছে। এতে কাজও হচ্ছে।’

;

ডিবি পরিচয়ে মোবাইল ছিনতাই, যুবক গ্রেফতার



ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, নীলফামারী
গ্রেফতার আবেদ আলী।

গ্রেফতার আবেদ আলী।

  • Font increase
  • Font Decrease

নীলফামারীতে গোয়েন্দা পুলিশের (ডিবি) উপপরিদর্শক পরিচয়ে মোবাইল ছিনতাই করার অপরাধে আবেদ আলী (২৮) নামে এক যুবককে গ্রেফতার করেছে পুলিশ।

রোববার (৫ এপ্রিল) বিকেলে নীলফামারী সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মমিনুল ইসলাম এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।

আবেদ আলী সৈয়দপুর উপজেলার কাশিরাম বেলপুকুর ইউনিয়নের চওড়া গ্রামের খয়রাত হোসেনের ছেলে।

জানা গেছে, শনিবার (৪ এপ্রিল) দুপুরে জেলা সদরের কুন্দপুকুর ইউনিয়নের আঙ্গারপাড়া গ্রামে মোকছেদুল ইসলামসহ কয়েক যুবক মোবাইলে ভিডিও গেম খেলছিলেন। এ সময় আবেদ আলী নিজেকে সৈয়দপুর থানার ডিবি পুলিশের উপপরিদর্শক পরিচয় দিয়ে ওই যুবকদের কাছ থেকে মোবাইলটি নিয়ে যান। পরে এ বিষয়ে মোবাইলের মালিক মোকছেদুল ইসলাম সদর থানায় অভিযোগ করেন।

এরপর রোববার ভোরে আবেদ আলীর বাড়িতে অভিযান চালিয়ে তাকে গ্রেফতার করা হয়। ওই সময় তার কাছ থেকে ছিনতাই কাজে ব্যবহৃত একটি খেলনা পিস্তল ও ওয়্যারলেস সেট, একাধিক মোবাইল সিম এবং দুটি পরিচয়পত্র জব্দ করে পুলিশ।

নীলফামারী সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মমিনুল ইসলাম জানান, প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে ডিবি পুলিশের ভুয়া পরিচয়ে মোবাইল ছিনতাই করার সত্যতা স্বীকার করেছেন আবেদ আলী। এ ঘটনায় মামলা দায়ের করার পর আদালতের মাধ্যমে তাকে কারাগারে পাঠানো হয়েছে।

;