সরাইল-অরুয়াইল সড়কের সংস্কার কাজে ব্যাপক অনিয়ম



আল মামুন, ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট, বার্তাটোয়েন্টিফোর.কম, ব্রাহ্মণবাড়িয়া
সরাইল-অরুয়াইল সড়কে সংস্কার কাজে ব্যাপক অনিয়ম, ছবি: বার্তাটোয়েন্টিফোর.কম

সরাইল-অরুয়াইল সড়কে সংস্কার কাজে ব্যাপক অনিয়ম, ছবি: বার্তাটোয়েন্টিফোর.কম

  • Font increase
  • Font Decrease

ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার সরাইল-অরুয়াইল সড়কের সংস্কার কাজে ব্যাপক অনিয়মের অভিযোগ উঠেছে। ভাটি অঞ্চলের চলাচলের একমাত্র সড়কটিতে নিম্নমানের সরঞ্জাম ব্যবহার, রাস্তার প্রশস্ততা কমানোসহ নানা অনিয়মের অভিযোগ করেন এলাকাবাসী। এসব অনিয়ম সরেজমিন তদন্ত করতে সংশ্লিষ্ট প্রকল্প পরিচালক এনামুল হক এবং ব্রাহ্মণবাড়িয়ার এলজিইডির নির্বাহী প্রকৌশলী শিরাজুল ইসলাম সড়কের সংস্কার কাজ সরেজমিনে পরিদর্শন করেছেন। এসময় স্থানীয় লোকজন তাদের কাছে সড়কে সিডিউল মোতাবেক কাজের দাবি করলে, তারা ভালোভাবে কাজ সম্পন্ন করার আশ্বাস দিলেও কাজে এখনও অনিয়ম হচ্ছে বলে দাবি এলাকাবাসীর।

সরেজমিনে গিয়ে জানা যায়, জেলার সরাইল উপজেলা ও নাসিরনগর উপজেলার ভাটি অঞ্চলের প্রায় তিন লক্ষাধীক মানুষের একমাত্র চলাচলের মাধ্যম ‘সরাইল-অরুয়াইল সড়ক।’ ভাটি এলাকার মানুষের দীর্ঘদিনের স্বপ্ন বাস্তবায়নের লক্ষ্যে ২০১০ সালে এই সড়ক নির্মাণ হয়। অভিযোগ রয়েছে, হাওর এলাকায় এই সড়ক নির্মাণের সময়ই নানা অনিয়ম হয়। ফলে প্রতিবছর বর্ষাকালে সড়কটির বিভিন্ন অংশ ক্ষতিগ্রস্থ হয়। আর এতে সংস্কারের নামে বিভিন্ন বরাদ্দ বাস্তবায়নে লোপাটের মহোৎসব চলছে। মূলত এসব বরাদ্দে কার্যত কোনো কাজই করা হয়নি।

https://img.imageboss.me/width/700/quality:100/https://img.barta24.com/uploads/news/2019/Jul/19/1563498124882.jpg

এদিকে দীর্ঘ ভোগান্তির পর প্রায় একবছর আগে সড়কটির একাংশের বইশ্বর মসজিদের সামনে থেকে পাকশিমুল চেয়ারম্যানের বাদির সামনে পর্যন্ত প্রায় তিন কিলোমিটার এলাকা সংস্কারের জন্য ৭ কোটি ৮০ লাখ টাকা বরাদ্দ আসে। দরপত্রসহ সব আনুষ্ঠানিকতা শেষ করে কাজটি পান ‘মেসার্স হাসান এন্টারপ্রাইজ’ নামে একটি ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠান। পরবর্তীতে এ সংস্কার কাজে আরও কিছু অর্থ বরাদ্দ আসে। শুষ্ক মৌসুমেই এ সড়কের সংস্কার কাজ করার জোর দাবি থাকলেও ঠিকাদার ধীরগতিতে কাজ চালিয়ে যাচ্ছে। ধারণা করা হচ্ছে, কাজে অনিয়ম করার জন্যই তিনি ধীরগতি অবলম্বন করেছেন। ঠিকাদারকে এ সংস্কার কাজে অনিয়মে সহায়তা দিয়ে যাচ্ছেন উপজেলা এলজিইডির উপ-সহকারি প্রকৌশলী আব্দুল্লাহ আল বাকি বিল্লাহ ও সার্ভেয়ার শফিকুর রহমান।

পাকশিমুল ইউনিয়নের ৫ নং ওয়ার্ডের সদস্য মো. দানা মিয়া বার্তাটোয়েন্টিফোর.কমকে বলেন, শুরু থেকে কাজে ব্যাপক অনিয়ম শুরু করেছে ঠিকাদার। পাশপাশি রাস্তার প্রসস্ততাও কমিয়েছে। রাস্তার ঢালু অংশের মাটিও চাপায়নি ভালোভাবে। যার কারণে সামান্য বৃষ্টি হলেই রাস্তা ভেঙ্গে যাচ্ছে। আমরা বাঁধা দিলে সাময়িকভাবে কাজ বন্ধ থাকে আবারও চলে অনিয়ম। এসব অনিয়মের সাথে এলজিইডির জেলা নির্বাহী প্রকৌশলীও জড়িত।

কালিশিমুল এলাকার মো. মাজু মিয়া বার্তাটোয়েন্টিফোর.কমকে জানান, রাস্তাটি এই এলাকার সাধারণ লোকজনের চলাচলের একমাত্র মাধ্যম। যে কারণে সবাই চায় কাজটি ভালোভাবে হোক। কিন্তু ঠিকাদার কারও কথা তোয়াক্কা না করে নিম্নমানের কাজ করে যাচ্ছেন।

সরাইলের অরুয়াইল ইউনিয়নের চেয়ারম্যান মোশারফ হোসেন ভূঁইয়া বার্তাটোয়েন্টিফোর.কমকে জানান, সড়ক সংস্কার কাজে এমন অনিয়ম কখনোই দেখিনি। প্রত্যেকটি কাজে ঠিকাদার তার মনের মত করে ফাঁকি যাচ্ছেন। সড়কে নেমে ফেসবুক লাইভের মাধ্যমে সবাইকে কাজের ফাঁকি ও অনিয়ম প্রমাণসহ দেখিয়েছি। সিডিউল মোতাবেক কাজ করার বিষয়টি নিশ্চিত করতে আমি কর্তৃপক্ষকে অনুরোধ করছি।

https://img.imageboss.me/width/700/quality:100/https://img.barta24.com/uploads/news/2019/Jul/19/1563498161021.jpg

সড়কের সংস্কার কাজের তদারকি কর্মকর্তা সরাইল উপজেলা এলজিইডির সার্ভেয়ার শফিকুর রহমান তার ওপর আনিত অভিযোগ অস্বীকার করে বার্তাটোয়েন্টিফোর.কমকে জানান, এ কাজে কিছু সমস্যা আছে। যখন যে সমস্যা পেয়েছি কর্তৃপক্ষকে তা লিখিতভাবে অবহিত করেছি। একাধিকবার পত্র দিয়েছি।

ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠান হাসান এন্টারপ্রাইজের মালিক মোস্তাফিজুর রহমান জুয়েল বার্তাটোয়েন্টিফোর.কমকে জানান, কাজের সিডিউল অনুযায়ী আমরা কাজ করে যাচ্ছি। রাস্তার প্রসস্ততা কমানোসহ অনিয়মের অভিযোগ সত্য নয়। ১২ ফুট রাস্তা ও ৩ ফুট ওয়াকওয়ে আমরা ঠিক রেখেই কাজ করছি। আর নিম্নমানের মালামাল ব্যবহারের প্রশ্নই আসে না।

ব্রাহ্মণবাড়িয়ার স্থানীয় সরকার প্রকৌশল অধিদপ্তরের নির্বাহী প্রকৌশলী মো. শিরাজুল ইসলাম বার্তাটোয়েন্টিফোর.কমকে জানান, সরাইল-অরুয়াইল সড়কের কাজে কোনোপ্রকার অনিয়ম হচ্ছে না। চেয়ারম্যানসহ অনেকেই অভিযোগ করেছিলেন। যার কারণে আমরা সরেজমিনে গিয়ে দেখে আসি। কোনো প্রকার সমস্যা পাওয়া যায়নি। অনিয়মের অভিযোগগুলো সত্য নয়। কাজ ভালোভাবেই হচ্ছে।

   

গড়াই নদীতে ডুবে যুবকের মৃত্যু



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, কুষ্টিয়া
ছবি প্রতীকী

ছবি প্রতীকী

  • Font increase
  • Font Decrease

কুষ্টিয়ার খোকসায় গড়াই নদীতে ডুবে সুমন (২০) নামে এক যুবকের মৃত্যু হয়েছে।

রোববার (৫ এপ্রিল) বিকেলে খোকসা উপজেলার গনেশপুর অংশে গড়াই নদী থেকে মরদেহ উদ্ধার করা হয়।

মৃত সুমন কুমারখালী উপজেলার রাজাপুর গ্রামের নিজাম উদ্দিনের ছেলে।

খোকসা ফায়ার সার্ভিস স্টেশনের ফায়ারম্যান হাবিবুর রহমান জানান, সকালের দিকে গড়াই নদীতে মাছ ধরতে যান সুমন। মাছ ধরার এক পর্যায়ে নদীতে ডুবে যান তিনি। বিকেলের দিকে স্থানীয়দের সহায়তায় তার মরদেহ উদ্ধার করে ফায়ার সার্ভিস।

;

কুমিল্লার নাঙ্গলকোটে বজ্রপাতে কিশোরের মৃত্যু



ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, কুমিল্লা
প্রতীকী ছবি

প্রতীকী ছবি

  • Font increase
  • Font Decrease

কুমিল্লার নাঙ্গলকোটে ফুটবল খেলার সময় বজ্রপাতে সাফায়েত হোসেন (১৯) নামে একজনের মৃত্যু হয়েছে। এ সময় সালাউদ্দিন (২২) নামের আরেক যুবক গুরুতর আহত হন।

রোববার (৫ এপ্রিল) এই বিকেলে এই ঘটনা ঘটে। তাদের উদ্ধার করে সন্ধ্যা সাড়ে ৬টার দিকে লাকসামের একটি ক্লিনিকে নেওয়া হলে কর্তব্যরত চিকিৎসক ওই কিশোরকে মৃত ঘোষণা করেন।

স্থানীয় সূত্র জানায়, উপজেলার আদ্রা দক্ষিণ ইউনিয়নের আটিয়াবাড়ি দক্ষিণপাড়া স্কুল বাড়ির আবদুল আউয়ালের ছেলে সাফায়াত হোসেন এদিন বিকেলে সহপাঠীদের সাথে পার্শ্ববর্তী ঘোড়াময়দান গ্রামের একটি মাঠে ফুটবল খেলতে যায়। বিকাল ৫টার দিকে খেলা চলা অবস্থায় আকস্মিক বজ্রপাতে সাফায়েতের পুরো শরীর ঝলসে যায়। তাৎক্ষনিকভাবে তাকে উদ্ধার করে লাকসামের একটি ক্লিনিকে নেয়া হলে সন্ধ্যায় কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন।

এছাড়া বজ্রপাতে ওই ঘোড়াময়দান গ্রামের নুরুল হকের ছেলে সালাউদ্দিন (২২) গুরুতর আহত হয়ে স্থানীয় একটি ক্লিনিকে চিকিৎসাধীন রয়েছে।

স্থানীয় ইউপি চেয়ারম্যান আবদুল ওহাব ঘটনার এ ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করেছেন।

;

লক্ষ্মী ভাইয়েরা বাসায় যান, নিজেসহ দেশকে বাঁচান



নাহিদ রেজা, স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, ঠাকুরগাঁও
ওসি তানভিরুল ইসলাম।

ওসি তানভিরুল ইসলাম।

  • Font increase
  • Font Decrease

আমার লক্ষ্মী ভাইয়েরা দয়া করে বাইরে ঘোরাঘুরি না করে বাসায় যান। নিজে বাঁচেন, পরিবারকে বাঁচান, দেশকে বাঁচান। সচেতন হোন।

ঠিক এসব কথা বলে করোনাভাইরাস প্রতিরোধে জনগণকে সচেতন করছেন ঠাকুরগাঁও সদর থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) তানভিরুল ইসলাম। মাঠ পর্যায়ে গিয়ে এভাবে সচেতন করায় সাধুবাদ জানিয়েছে সাধারণ মানুষ।

ঠাকুরগাঁও সদর উপজেলার রহিমানপুর ইউনিয়নের রেজাউল ইসলাম বলেন, ‘আমি ওষুধ কেনার জন্য স্থানীয় বাজারে এসেছিলাম। কিছুক্ষণ পর থানার একটি গাড়ি বাজারের সামনে এসে দাঁড়ায় এবং ওসি তানভিরুল সবাইকে বাসায় থাকার জন্য অনুরোধ করেন। এর আগে কখনো জনগণের সঙ্গে পুলিশের এমন ভালো আচরণ দেখি নাই।’

ঠাকুরগাঁও সদর উপজেলার চৌড়াস্তা মোড়ে কথা হয় জয়নাল নামে এক পথচারীর সঙ্গে। তিনি বলেন, ‘আমাদের জেলার পুলিশ সাধারণ জনগণের সঙ্গে ভালো ব্যবহার করছে। তাদের ভাই বলে বাসায় ফিরে যাওয়ার জন্য অনুরোধ করছে। ওসিসহ পুলিশের সদস্যরা নিজেদের কথা চিন্তা না করে আমাদের জন্য এ কাজটি করে যাচ্ছেন। তাদের ধন্যবাদ জানাই।’

স্থানীয় সাহাদত হোসেন নামে একজন বলেন,‘তানভিরুল ভাই একজন মানবিক পুলিশ অফিসার। তার জন্য শুভকামনা ও দোয়া রইল।’

ঠাকুরগাঁও সদর থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) তানভিরুল ইসলাম বার্তা২৪.কমকে বলেন, ‘করোনাভাইরাস নিয়ে আতঙ্কিত হওয়ার কিছু নেই। এ ভাইরাস প্রতিরোধে আমাদের সবাইকে সচেতন হতে হবে। সরকার যেসব দিক নির্দেশনা দিয়েছে সেগুলো মেনে চলতে হবে। জনগণের সঙ্গে খারাপ ব্যবহার না করে তাদের সচেতন করা হচ্ছে। এতে কাজও হচ্ছে।’

;

ডিবি পরিচয়ে মোবাইল ছিনতাই, যুবক গ্রেফতার



ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, নীলফামারী
গ্রেফতার আবেদ আলী।

গ্রেফতার আবেদ আলী।

  • Font increase
  • Font Decrease

নীলফামারীতে গোয়েন্দা পুলিশের (ডিবি) উপপরিদর্শক পরিচয়ে মোবাইল ছিনতাই করার অপরাধে আবেদ আলী (২৮) নামে এক যুবককে গ্রেফতার করেছে পুলিশ।

রোববার (৫ এপ্রিল) বিকেলে নীলফামারী সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মমিনুল ইসলাম এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।

আবেদ আলী সৈয়দপুর উপজেলার কাশিরাম বেলপুকুর ইউনিয়নের চওড়া গ্রামের খয়রাত হোসেনের ছেলে।

জানা গেছে, শনিবার (৪ এপ্রিল) দুপুরে জেলা সদরের কুন্দপুকুর ইউনিয়নের আঙ্গারপাড়া গ্রামে মোকছেদুল ইসলামসহ কয়েক যুবক মোবাইলে ভিডিও গেম খেলছিলেন। এ সময় আবেদ আলী নিজেকে সৈয়দপুর থানার ডিবি পুলিশের উপপরিদর্শক পরিচয় দিয়ে ওই যুবকদের কাছ থেকে মোবাইলটি নিয়ে যান। পরে এ বিষয়ে মোবাইলের মালিক মোকছেদুল ইসলাম সদর থানায় অভিযোগ করেন।

এরপর রোববার ভোরে আবেদ আলীর বাড়িতে অভিযান চালিয়ে তাকে গ্রেফতার করা হয়। ওই সময় তার কাছ থেকে ছিনতাই কাজে ব্যবহৃত একটি খেলনা পিস্তল ও ওয়্যারলেস সেট, একাধিক মোবাইল সিম এবং দুটি পরিচয়পত্র জব্দ করে পুলিশ।

নীলফামারী সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মমিনুল ইসলাম জানান, প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে ডিবি পুলিশের ভুয়া পরিচয়ে মোবাইল ছিনতাই করার সত্যতা স্বীকার করেছেন আবেদ আলী। এ ঘটনায় মামলা দায়ের করার পর আদালতের মাধ্যমে তাকে কারাগারে পাঠানো হয়েছে।

;