জীবন যুদ্ধে হার না মানা এক রাজিবের গল্প



ডিষ্ট্রিক করেসপন্ডেন্ট বার্তাটোয়েন্টিফোর.কম, চাঁপাইনবাবগঞ্জ
ছবি: বার্তাটোয়েন্টিফোর.কম

ছবি: বার্তাটোয়েন্টিফোর.কম

  • Font increase
  • Font Decrease

একটি টাকা দাওনা, একটি টাকা দাওনা, একশো টাকা, পাঁচশো টাকা, হাজার টাকা চাইনা-এই গান গেয়ে মানুষের মন জয় করে পরিবারের জন্য রোজকার করেন দৃষ্টি প্রতিবন্ধী রাজিব। পুরো নাম রাজিবুল ইসলাম। দুই মেয়ে রাজিয়া, কাফিয়া ও স্ত্রীকে নিয়ে তার বর্তমান পরিবার।

তানোর উপজেলার সিন্দুকায় গাইনপাড়া গ্রামে রাজিবের জন্ম। অত্যন্ত গরীব পরিবারে চার ভাইবোনের মধ্যে রাজিব ছিলেন তৃতীয়। জন্মের পরপরই টাইফয়েডজনিত কারণে সে অন্ধ হয়ে যায়। শুরু হয় তার জীবনযুদ্ধ। পড়াশোনায় অমনোযোগী স্বভাবের রাজীব ছোটবেলা থেকেই গানভক্ত ছিলো। সঙ্গে থাকত একটা ভাঙ্গাচোরা রেডিও। আর পথে প্রান্তরে তাল মিলিয়ে গুনগুন করে গান গাইতেন।

সম্প্রতি তার দেখা মেলে চাঁপাইনবাবগঞ্জের নাচোল উপজেলা বাজারে। রাজিব বার্তাটোয়েন্টিফোর.কম-কে জানান, পরিবারের ছয়জন সদস্যদের পেট চালানো বাবা মায়ের পক্ষে কষ্টকর হওয়ায় ৮-১০ বছর বয়সেই আমাকে সংসারের হাল ধরতে হয়। জীবিকার শুরুর দিকে রেডিও নিয়ে বাসে মানুষকে গান শুনিয়ে অর্থ উপার্জন করতাম। কিন্তু বাসের টিকিট মাস্টাররা তা বেশিদিন চলতে দেননি।  

https://img.imageboss.me/width/700/quality:100/https://img.barta24.com/uploads/news/2019/Jul/19/1563535457184.jpg

এক ব্যক্তির সহযোগিতায় তানোর সদরের একটি স্কুলে ভর্তি করলেও বেশিদূর পড়াশোনা করতে পারেনি রাজিব। স্কুলে গান শিখতে গিয়ে তবলা ভেঙে ফেলার দায়ে স্কুল থেকে বের করে দেওয়া হয় তাকে। সেদিনের পর আর কখনও স্কুলে যাওয়া কিংবা হারমোনিয়াম-তবলা বাজানো শেখা হয়ে উঠেনি। কিন্তু শেখার আগ্রহ থেমে ছিলোনা। তাই হাঁড়ি-পাতিল দিয়েই শুরু হয় রাজিবের বাদ্যযন্ত্র বাজানো। মাটির হাড়ি, কলসি ও বিভিন্ন আসবাবপত্র ভাঙার পর রাজিব আবিষ্কার করেন টিনের কলসি। সেটাতেই সুর তুলে এখন গান ফেরি করে বেড়ান। রাস্তার অলিগলিতে বসেই  শুরু করেন নিজের কথা ও সুরে বানানো গান। মুখ ও টিনের কলসির সাহায্যে ভিন্ন রকম শব্দ করে এলাকায় বেশ পরিচিত হয়ে ওঠেন তিনি। বিভিন্ন বয়সী শিক্ষার্থী তাদের আড্ডা জমাতে কিংবা বিভিন্ন দোকান ও ভিড় ঠেলেই খুঁজে পাওয়া যায় রাজিবকে। ইউটিউবসহ বিভিন্ন ফেসবুক পেইজে রাজিব এক পরিচিত নাম। ভ্যানে চড়ে বিভিন্ন এলাকায় এভাবেই রাজিব ফেরি করে গান শুনাতেন।

কিন্তু একদিন সেই ভ্যান দুর্ঘটনায় বাম পা-টাও ভেঙে যায়। সেই থেকে রাজিবের ভ্যানে করে বিভিন্ন এলাকায় গিয়ে গান শোনানো আর হয়না। তবে থামেনি গানপাগল রাজিবের পথচলা। খুঁড়িয়ে পথচলেই তিনি এখন গান গেয়ে বেড়ান। আগে বিভিন্নস্থানে যেতে পারলেও বর্তমানে আর দূরে যেতে পারেন না।

রাজিবের স্বপ্ন সন্তান দুটিকে তিনি মানুষের মত মানুষ করবেন। বড় মেয়ে রাজিয়া ৩য় শ্রেণিতে ও ছোট মেয়ে কাফিয়া একটি স্থানীয় এতিমখানায় হাফিজিয়া পড়ছে।

রাজিব আরও বলেন, সংসারে একটু সচ্ছলতা ফেরাতে প্রতিবন্ধী ভাতার জন্য ছুটে গিয়েছিলাম স্থানীয় জনপ্রতিনিধির কাছে। কিন্তু স্থানীয় জনপ্রতিনিধি তাকে ভাতার কার্ড পাইয়ে দিতে ৬ হাজার টাকা দাবি করে, সে টাকা দিতে না পারায় আর প্রতিবন্ধী ভাতা পাওয়া হয়নি।

   

গড়াই নদীতে ডুবে যুবকের মৃত্যু



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, কুষ্টিয়া
ছবি প্রতীকী

ছবি প্রতীকী

  • Font increase
  • Font Decrease

কুষ্টিয়ার খোকসায় গড়াই নদীতে ডুবে সুমন (২০) নামে এক যুবকের মৃত্যু হয়েছে।

রোববার (৫ এপ্রিল) বিকেলে খোকসা উপজেলার গনেশপুর অংশে গড়াই নদী থেকে মরদেহ উদ্ধার করা হয়।

মৃত সুমন কুমারখালী উপজেলার রাজাপুর গ্রামের নিজাম উদ্দিনের ছেলে।

খোকসা ফায়ার সার্ভিস স্টেশনের ফায়ারম্যান হাবিবুর রহমান জানান, সকালের দিকে গড়াই নদীতে মাছ ধরতে যান সুমন। মাছ ধরার এক পর্যায়ে নদীতে ডুবে যান তিনি। বিকেলের দিকে স্থানীয়দের সহায়তায় তার মরদেহ উদ্ধার করে ফায়ার সার্ভিস।

;

কুমিল্লার নাঙ্গলকোটে বজ্রপাতে কিশোরের মৃত্যু



ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, কুমিল্লা
প্রতীকী ছবি

প্রতীকী ছবি

  • Font increase
  • Font Decrease

কুমিল্লার নাঙ্গলকোটে ফুটবল খেলার সময় বজ্রপাতে সাফায়েত হোসেন (১৯) নামে একজনের মৃত্যু হয়েছে। এ সময় সালাউদ্দিন (২২) নামের আরেক যুবক গুরুতর আহত হন।

রোববার (৫ এপ্রিল) এই বিকেলে এই ঘটনা ঘটে। তাদের উদ্ধার করে সন্ধ্যা সাড়ে ৬টার দিকে লাকসামের একটি ক্লিনিকে নেওয়া হলে কর্তব্যরত চিকিৎসক ওই কিশোরকে মৃত ঘোষণা করেন।

স্থানীয় সূত্র জানায়, উপজেলার আদ্রা দক্ষিণ ইউনিয়নের আটিয়াবাড়ি দক্ষিণপাড়া স্কুল বাড়ির আবদুল আউয়ালের ছেলে সাফায়াত হোসেন এদিন বিকেলে সহপাঠীদের সাথে পার্শ্ববর্তী ঘোড়াময়দান গ্রামের একটি মাঠে ফুটবল খেলতে যায়। বিকাল ৫টার দিকে খেলা চলা অবস্থায় আকস্মিক বজ্রপাতে সাফায়েতের পুরো শরীর ঝলসে যায়। তাৎক্ষনিকভাবে তাকে উদ্ধার করে লাকসামের একটি ক্লিনিকে নেয়া হলে সন্ধ্যায় কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন।

এছাড়া বজ্রপাতে ওই ঘোড়াময়দান গ্রামের নুরুল হকের ছেলে সালাউদ্দিন (২২) গুরুতর আহত হয়ে স্থানীয় একটি ক্লিনিকে চিকিৎসাধীন রয়েছে।

স্থানীয় ইউপি চেয়ারম্যান আবদুল ওহাব ঘটনার এ ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করেছেন।

;

লক্ষ্মী ভাইয়েরা বাসায় যান, নিজেসহ দেশকে বাঁচান



নাহিদ রেজা, স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, ঠাকুরগাঁও
ওসি তানভিরুল ইসলাম।

ওসি তানভিরুল ইসলাম।

  • Font increase
  • Font Decrease

আমার লক্ষ্মী ভাইয়েরা দয়া করে বাইরে ঘোরাঘুরি না করে বাসায় যান। নিজে বাঁচেন, পরিবারকে বাঁচান, দেশকে বাঁচান। সচেতন হোন।

ঠিক এসব কথা বলে করোনাভাইরাস প্রতিরোধে জনগণকে সচেতন করছেন ঠাকুরগাঁও সদর থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) তানভিরুল ইসলাম। মাঠ পর্যায়ে গিয়ে এভাবে সচেতন করায় সাধুবাদ জানিয়েছে সাধারণ মানুষ।

ঠাকুরগাঁও সদর উপজেলার রহিমানপুর ইউনিয়নের রেজাউল ইসলাম বলেন, ‘আমি ওষুধ কেনার জন্য স্থানীয় বাজারে এসেছিলাম। কিছুক্ষণ পর থানার একটি গাড়ি বাজারের সামনে এসে দাঁড়ায় এবং ওসি তানভিরুল সবাইকে বাসায় থাকার জন্য অনুরোধ করেন। এর আগে কখনো জনগণের সঙ্গে পুলিশের এমন ভালো আচরণ দেখি নাই।’

ঠাকুরগাঁও সদর উপজেলার চৌড়াস্তা মোড়ে কথা হয় জয়নাল নামে এক পথচারীর সঙ্গে। তিনি বলেন, ‘আমাদের জেলার পুলিশ সাধারণ জনগণের সঙ্গে ভালো ব্যবহার করছে। তাদের ভাই বলে বাসায় ফিরে যাওয়ার জন্য অনুরোধ করছে। ওসিসহ পুলিশের সদস্যরা নিজেদের কথা চিন্তা না করে আমাদের জন্য এ কাজটি করে যাচ্ছেন। তাদের ধন্যবাদ জানাই।’

স্থানীয় সাহাদত হোসেন নামে একজন বলেন,‘তানভিরুল ভাই একজন মানবিক পুলিশ অফিসার। তার জন্য শুভকামনা ও দোয়া রইল।’

ঠাকুরগাঁও সদর থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) তানভিরুল ইসলাম বার্তা২৪.কমকে বলেন, ‘করোনাভাইরাস নিয়ে আতঙ্কিত হওয়ার কিছু নেই। এ ভাইরাস প্রতিরোধে আমাদের সবাইকে সচেতন হতে হবে। সরকার যেসব দিক নির্দেশনা দিয়েছে সেগুলো মেনে চলতে হবে। জনগণের সঙ্গে খারাপ ব্যবহার না করে তাদের সচেতন করা হচ্ছে। এতে কাজও হচ্ছে।’

;

ডিবি পরিচয়ে মোবাইল ছিনতাই, যুবক গ্রেফতার



ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, নীলফামারী
গ্রেফতার আবেদ আলী।

গ্রেফতার আবেদ আলী।

  • Font increase
  • Font Decrease

নীলফামারীতে গোয়েন্দা পুলিশের (ডিবি) উপপরিদর্শক পরিচয়ে মোবাইল ছিনতাই করার অপরাধে আবেদ আলী (২৮) নামে এক যুবককে গ্রেফতার করেছে পুলিশ।

রোববার (৫ এপ্রিল) বিকেলে নীলফামারী সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মমিনুল ইসলাম এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।

আবেদ আলী সৈয়দপুর উপজেলার কাশিরাম বেলপুকুর ইউনিয়নের চওড়া গ্রামের খয়রাত হোসেনের ছেলে।

জানা গেছে, শনিবার (৪ এপ্রিল) দুপুরে জেলা সদরের কুন্দপুকুর ইউনিয়নের আঙ্গারপাড়া গ্রামে মোকছেদুল ইসলামসহ কয়েক যুবক মোবাইলে ভিডিও গেম খেলছিলেন। এ সময় আবেদ আলী নিজেকে সৈয়দপুর থানার ডিবি পুলিশের উপপরিদর্শক পরিচয় দিয়ে ওই যুবকদের কাছ থেকে মোবাইলটি নিয়ে যান। পরে এ বিষয়ে মোবাইলের মালিক মোকছেদুল ইসলাম সদর থানায় অভিযোগ করেন।

এরপর রোববার ভোরে আবেদ আলীর বাড়িতে অভিযান চালিয়ে তাকে গ্রেফতার করা হয়। ওই সময় তার কাছ থেকে ছিনতাই কাজে ব্যবহৃত একটি খেলনা পিস্তল ও ওয়্যারলেস সেট, একাধিক মোবাইল সিম এবং দুটি পরিচয়পত্র জব্দ করে পুলিশ।

নীলফামারী সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মমিনুল ইসলাম জানান, প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে ডিবি পুলিশের ভুয়া পরিচয়ে মোবাইল ছিনতাই করার সত্যতা স্বীকার করেছেন আবেদ আলী। এ ঘটনায় মামলা দায়ের করার পর আদালতের মাধ্যমে তাকে কারাগারে পাঠানো হয়েছে।

;