হুমায়ূন বিহীন ভালো নেই শহীদ স্মৃতি বিদ্যাপীঠ



জিয়াউর রহমান, ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট, বার্তাটোয়েন্টিফোর.কম, নেত্রকোনা
ছবি: বার্তাটোয়েন্টিফোর.কম

ছবি: বার্তাটোয়েন্টিফোর.কম

  • Font increase
  • Font Decrease

নন্দিত কথাসাহিত্যিক হুমায়ূন আহমেদ তাঁর মা আয়েশা ফয়েজের কথামতো নিজগ্রাম নেত্রকোনার কেন্দুয়া উপজেলার প্রত্যন্ত পল্লী কুতুবপুর গ্রামে প্রতিষ্ঠা করেন শহীদ স্মৃতি বিদ্যাপীঠ নামে একটি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান। 

১৯৯৬ সালে সাংস্কৃতিক ব্যক্তিত্ব আসাদুজ্জামান নূর বিদ্যালয়টির ভিত্তি প্রস্থর স্থাপনের পর মেহের আফরোজ শাওনের করা নকশা অনুযায়ী ২০০০ সালে ভবন নির্মাণ শেষে ২০০৬ সালে পাঠদান কার্যক্রম শুরু করা হয়।

https://img.imageboss.me/width/700/quality:100/https://img.barta24.com/uploads/news/2019/Jul/19/1563553050247.jpg
স্কুলের মাঠে অবস্থিত শহীদ মিনার 

 

প্রতিষ্ঠানটি নিয়ে অনেক স্বপ্ন ছিল হুমায়ূন আহমেদের। তিনি চেয়েছিলেন তাঁর এ প্রতিষ্ঠানটি দেশসেরা একটি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে পরিণত হবে। বিদ্যালয় প্রতিষ্ঠার পর থেকে নিয়মিতভাবে হুমায়ূন আহমেদ নিজে শিক্ষক-শিক্ষার্থীদের কাছে এসে তাদের খোঁজ-খবর নিতেন এবং বিদ্যালয়টি নিয়ে তাঁর স্বপ্নের কথা তাদের কাছে বর্ণনা করে শোনাতেন।

https://img.imageboss.me/width/700/quality:100/https://img.barta24.com/uploads/news/2019/Jul/19/1563543663660.jpg
প্রতিষ্ঠানকে সফলতার শীর্ষে নিয়ে যেতে নিরলস চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছেন শিক্ষক-শিক্ষার্থীরা 

 

২০১২ সালে হুমায়ূন আহমেদের প্রয়াণের পর অনেকটা হোঁচট খায় এ প্রতিষ্ঠানটি। মানসিকভাবে ভেঙে পড়েন বিদ্যালয়টির শিক্ষক-শিক্ষার্থী ও অভিভাবকসহ এলাকাবাসী। তবে হুমায়ূনপত্মী মেহের আফরোজ শাওন স্বামীর অসমাপ্ত স্বপ্ন বাস্তবায়নে কাজ করছেন। হাল ছাড়েননি শিক্ষক-শিক্ষার্থীরা। তারা হুমায়ূন আহমেদের স্বপ্নের প্রতিষ্ঠানকে সফলতার শীর্ষে নিয়ে যেতে নিরলস চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছেন।

বিদ্যালয় সংশ্লিষ্টরা বলেন, '২০১৯ সালে বিদ্যালয়টির অভিভাবক হুমায়ূন আহমেদকে ছাড়া সাত বছর পার করেছে। বিদ্যালয়টির প্রতিটি স্থাপনার সাথে জড়িয়ে রয়েছে হুমায়ূন আহমেদের নানা রকম স্মৃতি। সেই সব স্মৃতিকে পাথেয় করেই সফলার পথ ধরে এগিয়ে যাচ্ছে প্রতিষ্ঠানটি। এছাড়া বিদ্যালয় মাঠের এক পাশে রয়েছে শহীদ স্মৃতি ফলক। যা কবি শামসুর রাহমান উদ্বোধন করেন।'

https://img.imageboss.me/width/700/quality:100/https://img.barta24.com/uploads/news/2019/Jul/19/1563552948193.jpg
এক যুগেরও বেশি সময় পেরিয়ে যাওয়ায় বিদ্যালয়ের একমাত্র ভবনটি জরাজীর্ণ হয়ে পড়েছে

 

শহীদ ফয়জুর রহমান সড়ক ঘেঁষে অবস্থিত বিদ্যালয়টিতে রয়েছে বিশাল মাঠ। কিন্তু মাটি ভরাট না করায় পানি জমে থাকে। বিদ্যালয়টিতে হুমায়ূন আহমেদের পিতা শহীদ ফয়জুর রহমান আহমেদের নামে একটি বিশাল পাঠাগার, কম্পিউটার ল্যাব ও বিজ্ঞানাগার রয়েছে। কম্পিউটার ল্যাবে থাকা ১২টি কম্পিউটারের মধ্যে ৮টি কম্পিউটারই অকেজো রয়েছে বলে জানান বিদ্যালয়টির আইসিটি শিক্ষক।

https://img.imageboss.me/width/700/quality:100/https://img.barta24.com/uploads/news/2019/Jul/19/1563543581536.jpg
হুমায়ূন আহমেদের প্রতিষ্ঠিত শহীদ স্মৃতি বিদ্যাপীঠ বিদ্যালয় 

 

প্রথমে মাত্র ৪০ শিক্ষার্থী নিয়ে বিদ্যালয়টি যাত্রা শুরু করলেও বর্তমানে বিদ্যালয়টিতে ছাত্রছাত্রী রয়েছে ৩৬৭ জন। এদের মধ্যে ছাত্র ২২০ জন ও ছাত্রী সংখ্যা রয়েছে ১৪৭ জন। পাঠদান কার্যক্রমের জন্য শিক্ষক রয়েছেন ১৫ জন এবং কর্মচারী রয়েছেন ৩ জন।

প্রতি বছরই জেএসসি ও এসএসসি পরীক্ষায় এ বিদ্যাপীঠের শিক্ষার্থীরা শতভাগ সফলতা অর্জনসহ উল্লেখযোগ্য সংখ্যক জিপিএ-৫ লাভ করে আসছে। শিক্ষার্থীদের মধ্যে প্রায় সত্তর ভাগ ছাত্রছাত্রীই দূর-দূরান্ত থেকে বাইসাইকেলে করে প্রতিদিন বিদ্যালয়টিতে যাতায়াত করে বলেও জানান স্কুল কর্তৃপক্ষ। তবে এলাকার অধিকাংশ রাস্তা যাতায়াতের অনুপযোগী হওয়ায় শিক্ষার্থীদের চরম দুর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে।

https://img.imageboss.me/width/700/quality:100/https://img.barta24.com/uploads/news/2019/Jul/19/1563552760432.jpg
ভেঙে গেছে শ্রেণিকক্ষের জানালার কাচ

 

এছাড়া এক যুগেরও বেশি সময় পেরিয়ে যাওয়ায় বিদ্যালয়ের একমাত্র ভবনটি জরাজীর্ণ হয়ে পড়েছে। ভেঙে গেছে শ্রেণিকক্ষের জানালার কাচ। যে কারণে বৃষ্টি এলেই শিক্ষার্থীরা ক্লাস করতে পারে না। পানি ঢুকে শিক্ষার্থীদের বই, খাতাসহ তাদের জামা কাপড় ভিজে নষ্ট হয়ে যায়।

বিদ্যালয়টির সহকারী প্রধান শিক্ষক শরীফ আনিস রহমান বলেন, 'অচিরেই বিদ্যালয়টি এমপিওভুক্ত করা হবে বলে বিভিন্ন মাধ্যমে দীর্ঘদিন ধরে আশ্বাসের বাণী শোনা গেলেও আজও তা হয়নি। এ অবস্থায় শিক্ষকরা মানবেতর জীবন যাপন করেন।'

শিক্ষক-শিক্ষার্থী ও অভিভাবকসহ এলাকাবাসীর দাবি, সরকার যেন হুমায়ূন আহমেদের স্বপ্নের এ প্রতিষ্ঠানটির দিকে সুনজর দেন এবং বিদ্যালয়টিকে এমপিওভুক্তির আওতায় নিয়ে আসেন।

 https://img.imageboss.me/width/700/quality:100/https://img.barta24.com/uploads/news/2019/Jul/19/1563543539355.jpg

 

শহীদ স্মৃতি বিদ্যাপীঠের প্রধান শিক্ষক আসাদুজ্জামান বলেন, 'শত প্রতিকূলতা স্বত্বেও শিক্ষকদের নিরলস চেষ্টার ফলে শিক্ষার্থীরা শতভাগ সফলতা অর্জন করে আসছে। উপজেলা ও জেলা পর্যায়ে প্রতিষ্ঠানটি  সেরা প্রতিষ্ঠান হওয়ার সম্মানও লাভ করেছে। প্রতিষ্ঠানটির বয়স এক যুগ পেরিয়ে গেছে।'

এদিকে এমপিওভুক্ত না হওয়ায় শিক্ষকরা পরিবার নিয়ে খুব কষ্টে রয়েছেন। সম্প্রতি স্থানীয় সংসদ সদস্য অসীম কুমার উকিল বিদ্যালয়টি পরিদর্শন করে এমপিওভুক্তির বিষয়ে শিক্ষকদের আশ্বস্ত করেছেন বলে জানান বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক। 

   

গড়াই নদীতে ডুবে যুবকের মৃত্যু



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, কুষ্টিয়া
ছবি প্রতীকী

ছবি প্রতীকী

  • Font increase
  • Font Decrease

কুষ্টিয়ার খোকসায় গড়াই নদীতে ডুবে সুমন (২০) নামে এক যুবকের মৃত্যু হয়েছে।

রোববার (৫ এপ্রিল) বিকেলে খোকসা উপজেলার গনেশপুর অংশে গড়াই নদী থেকে মরদেহ উদ্ধার করা হয়।

মৃত সুমন কুমারখালী উপজেলার রাজাপুর গ্রামের নিজাম উদ্দিনের ছেলে।

খোকসা ফায়ার সার্ভিস স্টেশনের ফায়ারম্যান হাবিবুর রহমান জানান, সকালের দিকে গড়াই নদীতে মাছ ধরতে যান সুমন। মাছ ধরার এক পর্যায়ে নদীতে ডুবে যান তিনি। বিকেলের দিকে স্থানীয়দের সহায়তায় তার মরদেহ উদ্ধার করে ফায়ার সার্ভিস।

;

কুমিল্লার নাঙ্গলকোটে বজ্রপাতে কিশোরের মৃত্যু



ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, কুমিল্লা
প্রতীকী ছবি

প্রতীকী ছবি

  • Font increase
  • Font Decrease

কুমিল্লার নাঙ্গলকোটে ফুটবল খেলার সময় বজ্রপাতে সাফায়েত হোসেন (১৯) নামে একজনের মৃত্যু হয়েছে। এ সময় সালাউদ্দিন (২২) নামের আরেক যুবক গুরুতর আহত হন।

রোববার (৫ এপ্রিল) এই বিকেলে এই ঘটনা ঘটে। তাদের উদ্ধার করে সন্ধ্যা সাড়ে ৬টার দিকে লাকসামের একটি ক্লিনিকে নেওয়া হলে কর্তব্যরত চিকিৎসক ওই কিশোরকে মৃত ঘোষণা করেন।

স্থানীয় সূত্র জানায়, উপজেলার আদ্রা দক্ষিণ ইউনিয়নের আটিয়াবাড়ি দক্ষিণপাড়া স্কুল বাড়ির আবদুল আউয়ালের ছেলে সাফায়াত হোসেন এদিন বিকেলে সহপাঠীদের সাথে পার্শ্ববর্তী ঘোড়াময়দান গ্রামের একটি মাঠে ফুটবল খেলতে যায়। বিকাল ৫টার দিকে খেলা চলা অবস্থায় আকস্মিক বজ্রপাতে সাফায়েতের পুরো শরীর ঝলসে যায়। তাৎক্ষনিকভাবে তাকে উদ্ধার করে লাকসামের একটি ক্লিনিকে নেয়া হলে সন্ধ্যায় কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন।

এছাড়া বজ্রপাতে ওই ঘোড়াময়দান গ্রামের নুরুল হকের ছেলে সালাউদ্দিন (২২) গুরুতর আহত হয়ে স্থানীয় একটি ক্লিনিকে চিকিৎসাধীন রয়েছে।

স্থানীয় ইউপি চেয়ারম্যান আবদুল ওহাব ঘটনার এ ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করেছেন।

;

লক্ষ্মী ভাইয়েরা বাসায় যান, নিজেসহ দেশকে বাঁচান



নাহিদ রেজা, স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, ঠাকুরগাঁও
ওসি তানভিরুল ইসলাম।

ওসি তানভিরুল ইসলাম।

  • Font increase
  • Font Decrease

আমার লক্ষ্মী ভাইয়েরা দয়া করে বাইরে ঘোরাঘুরি না করে বাসায় যান। নিজে বাঁচেন, পরিবারকে বাঁচান, দেশকে বাঁচান। সচেতন হোন।

ঠিক এসব কথা বলে করোনাভাইরাস প্রতিরোধে জনগণকে সচেতন করছেন ঠাকুরগাঁও সদর থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) তানভিরুল ইসলাম। মাঠ পর্যায়ে গিয়ে এভাবে সচেতন করায় সাধুবাদ জানিয়েছে সাধারণ মানুষ।

ঠাকুরগাঁও সদর উপজেলার রহিমানপুর ইউনিয়নের রেজাউল ইসলাম বলেন, ‘আমি ওষুধ কেনার জন্য স্থানীয় বাজারে এসেছিলাম। কিছুক্ষণ পর থানার একটি গাড়ি বাজারের সামনে এসে দাঁড়ায় এবং ওসি তানভিরুল সবাইকে বাসায় থাকার জন্য অনুরোধ করেন। এর আগে কখনো জনগণের সঙ্গে পুলিশের এমন ভালো আচরণ দেখি নাই।’

ঠাকুরগাঁও সদর উপজেলার চৌড়াস্তা মোড়ে কথা হয় জয়নাল নামে এক পথচারীর সঙ্গে। তিনি বলেন, ‘আমাদের জেলার পুলিশ সাধারণ জনগণের সঙ্গে ভালো ব্যবহার করছে। তাদের ভাই বলে বাসায় ফিরে যাওয়ার জন্য অনুরোধ করছে। ওসিসহ পুলিশের সদস্যরা নিজেদের কথা চিন্তা না করে আমাদের জন্য এ কাজটি করে যাচ্ছেন। তাদের ধন্যবাদ জানাই।’

স্থানীয় সাহাদত হোসেন নামে একজন বলেন,‘তানভিরুল ভাই একজন মানবিক পুলিশ অফিসার। তার জন্য শুভকামনা ও দোয়া রইল।’

ঠাকুরগাঁও সদর থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) তানভিরুল ইসলাম বার্তা২৪.কমকে বলেন, ‘করোনাভাইরাস নিয়ে আতঙ্কিত হওয়ার কিছু নেই। এ ভাইরাস প্রতিরোধে আমাদের সবাইকে সচেতন হতে হবে। সরকার যেসব দিক নির্দেশনা দিয়েছে সেগুলো মেনে চলতে হবে। জনগণের সঙ্গে খারাপ ব্যবহার না করে তাদের সচেতন করা হচ্ছে। এতে কাজও হচ্ছে।’

;

ডিবি পরিচয়ে মোবাইল ছিনতাই, যুবক গ্রেফতার



ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, নীলফামারী
গ্রেফতার আবেদ আলী।

গ্রেফতার আবেদ আলী।

  • Font increase
  • Font Decrease

নীলফামারীতে গোয়েন্দা পুলিশের (ডিবি) উপপরিদর্শক পরিচয়ে মোবাইল ছিনতাই করার অপরাধে আবেদ আলী (২৮) নামে এক যুবককে গ্রেফতার করেছে পুলিশ।

রোববার (৫ এপ্রিল) বিকেলে নীলফামারী সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মমিনুল ইসলাম এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।

আবেদ আলী সৈয়দপুর উপজেলার কাশিরাম বেলপুকুর ইউনিয়নের চওড়া গ্রামের খয়রাত হোসেনের ছেলে।

জানা গেছে, শনিবার (৪ এপ্রিল) দুপুরে জেলা সদরের কুন্দপুকুর ইউনিয়নের আঙ্গারপাড়া গ্রামে মোকছেদুল ইসলামসহ কয়েক যুবক মোবাইলে ভিডিও গেম খেলছিলেন। এ সময় আবেদ আলী নিজেকে সৈয়দপুর থানার ডিবি পুলিশের উপপরিদর্শক পরিচয় দিয়ে ওই যুবকদের কাছ থেকে মোবাইলটি নিয়ে যান। পরে এ বিষয়ে মোবাইলের মালিক মোকছেদুল ইসলাম সদর থানায় অভিযোগ করেন।

এরপর রোববার ভোরে আবেদ আলীর বাড়িতে অভিযান চালিয়ে তাকে গ্রেফতার করা হয়। ওই সময় তার কাছ থেকে ছিনতাই কাজে ব্যবহৃত একটি খেলনা পিস্তল ও ওয়্যারলেস সেট, একাধিক মোবাইল সিম এবং দুটি পরিচয়পত্র জব্দ করে পুলিশ।

নীলফামারী সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মমিনুল ইসলাম জানান, প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে ডিবি পুলিশের ভুয়া পরিচয়ে মোবাইল ছিনতাই করার সত্যতা স্বীকার করেছেন আবেদ আলী। এ ঘটনায় মামলা দায়ের করার পর আদালতের মাধ্যমে তাকে কারাগারে পাঠানো হয়েছে।

;