রাস্তার উপর বিদ্যুতের খুঁটি রেখেই পিচ ঢালাই
নাটোর শহরের হরিশপুর বাইপাস মোড় থেকে বনবেলঘরিয়া বাইপাস মোড় পর্যন্ত রাস্তায় চারটি বিদ্যুতের খুঁটি অপসারণ না করেই পিচ ঢালাই দেওয়া হয়েছে। এতে যেকোনও সময় দুর্ঘটনা ঘটার আশঙ্কা করছেন এলাকাবাসী।
তবে সড়ক ও জনপদ বিভাগের দাবি, খুঁটির জমি অধিগ্রহণ সম্পন্ন না হওয়ায় তা অপসারণ করা হয়নি।
জানা গেছে, হরিশপুর বাইপাস মোড় থেকে বনবেলঘরিয়া বাইপাস মোড় পর্যন্ত প্রধান সড়ক প্রশস্তকরণ প্রকল্প নেওয়া হয়। প্রকল্প ব্যয় ধরা হয় ৫৮ কোটি ৩৩ লাখ টাকা। কিন্তু ৫.৮৬ কিলোমিটার সড়কে বিদ্যুতের খুঁটি রেখেই সম্প্রতি রাস্তার পিচ ঢালাই সম্পন্ন করেছে ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠান মীর হাবিবুল আলম কন্সট্রাকশন। স্থানীয়রা এ বিষয়ে বিদ্যুৎ বিভাগ ও ঠিকাদারের কাছে খুঁটিগুলো অপসারণের দাবি জানালেও তা শোনা হয়নি।
আরও জানা গেছে, ২০১৭ সালের অক্টোবরের মাঝামাঝি সময়ে ওই সড়কের সম্প্রসারণ কাজ শুরু হয়। ওই সময় সড়ক বিভাগ স্থানীয়দের দখলে থাকা জমি উদ্ধার করে। পুনরায় যাতে জমি দখল না হয়ে যায় সেজন্য দুই পাশে ড্রেন কাম ফুটপাত নির্মাণ করা হয়। এতে বৈদ্যুতিক খুঁটিগুলো রাস্তার মাঝ বরাবর চলে আসে। ফলে যান চলাচলে ঝুঁকির সৃষ্টি হয়।
মঙ্গলবার (২৩ জুলাই) শহর ঘুরে দেখা গেছে, শহরের আলাইপুরস্থ নেসকোর আবাসিক প্রকৌশলীর কার্যালয়ের সামনে একটি, উত্তরা সুপার মার্কেটের সামনে ২টি ও ছায়াবাণী মোড় সংলগ্ন পিলখানা রোডের সামনে ১টি বৈদ্যুতিক খুঁটি রেখেই রাস্তায় পিচ ঢালাই ও রোলিং সম্পন্ন করা হয়েছে। এ ব্যাপারে ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠানটির কর্মচারীদের সঙ্গে কথা বলতে চাইলে তারা কোনও মন্তব্য করতে চাননি।
ইজিবাইক চালক মনির, আব্দুল্লাহ ও সমশের আলী জানান, দিনে সমস্যা না হলেও রাতে এসব বৈদ্যুতিক খুঁটি উপেক্ষা করে চলা মুশকিল। সবার ধারণা ছিল রাস্তার পিচ ঢালাইয়ের আগে খুঁটি অপসারণ করা হবে। কিন্তু তা না করেই পিচ ঢালাই দেওয়া হয়েছে।
ঢাকাগামী কোচচালক আবুল বাশার জানান, শহরের আলাইপুরে নেসকো অফিসের সামনের খুঁটিটি এমন অবস্থায় রয়েছে যে রাতে গাড়ির হেডলাইটেও দেখা যায় না। ফলে দ্রুতগতির গাড়িগুলো যেকোনও সময় দুর্ঘটনায় পড়তে পারে।
এ বিষয়ে বিদ্যুৎ উন্নয়ন বিভাগের সহকারী প্রকৌশলী ইসমাইল হোসেন বার্তাটোয়েন্টিফোর.কমকে বলেন, সড়ক বিভাগের নির্দেশনা অনুযায়ী কাজ করা হয়েছে। যেসব খুঁটি অপসারণের নির্দেশনা আসেনি সেসব খুঁটি অপসারণ করা হয়নি।
সড়ক ও জনপথ বিভাগের প্রকৌশলী জাবেদ হোসেন তালুকদার বার্তাটোয়েন্টিফোর.কমকে বলেন, যেসব জায়গায় খুঁটি আছে সেসব জায়গা অধিগ্রহণ করা সম্ভব হয়নি। অধিগ্রহণ প্রক্রিয়া চলমান, শেষ হলেই খুঁটি অপসারণ করা হবে। তবে এতে কোনও দুর্ভোগের আশঙ্কা নেই।