বন্যাকবলিত এলাকার পশুর দাম কম, লোকসানের আশঙ্কা



ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট, বার্তাটোয়েন্টিফোর.কম, নাটোর
গরুর হাট, ছবি: সংগ্রহীত

গরুর হাট, ছবি: সংগ্রহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

ঈদুল আযহার বাকি আর দুই সপ্তাহ। এই ঈদে স্বচ্ছল মুসলিমরা পশু কোরবানি দেন। ফলে সারাদেশে পশুর চাহিদা বেড়ে যায়। ইতোমধ্যে জমে উঠতে শুরু করেছে নাটোরের কোরবানির পশুর হাট। কিন্তু নাটোরের হাটগুলোতে বন্যাকবলিত এলাকা থেকে আসা পশুর দাম কম হওয়ায় লোকসানের আশঙ্কা করছেন ব্যবসায়ীরা।

জানা গেছে, বিভিন্ন অঞ্চলের খামারে পশু পালন হওয়ায় বাজারে পশুর সরবরাহ এমনিতেই বেশি। ৩০ হাজার টাকা থেকে ৩ লাখ টাকায় গরু মিলছে বাজারগুলোতে। তবে বন্যাকবলিত এলাকা থেকে আসা পশুর দাম কম হওয়ায় ক্রেতারা সেগুলোর প্রতি ঝুঁকছেন।

জেলার সিংড়া উপজেলার অর্ধশতাধিক স্থানে কোরবানি উপলক্ষে অস্থায়ী হাট বসলেও সিংড়া পৌরসভার ফেরিঘাটের হাটটি অন্যতম। স্থানীয়ভাবে পালিত গরুর পাশাপাশি বগুড়া ও সিরাজগঞ্জ থেকে আনা হচ্ছে গরু। ফলে স্বাভাবিকভাবেই কোরবানির মৌসুমে গরুর সরবরাহ বেড়েছে। তবে এবার গরুর সংখ্যা বিগত বছরের তুলনায় বেশি।

ব্যবসায়ীদের মতে, চলনবিল অধ্যুষিত সিংড়াজুড়ে সারাবছর পর্যাপ্ত প্রাকৃতিক গো-খাদ্যের সরবরাহ থাকায় এখানে গরু পালন বেশি হয়। স্থানীয়ভাবে পালিত গরুই কোরবানির সময় সিংড়াসহ আশেপাশের জেলাগুলোতে বিক্রি করা হয়। তবে এবার কোরবানির প্রথম হাটেই এখানে এসেছে বগুড়া ও সিরাজগঞ্জের গরু। দুইটি জেলাই বন্যাকবলিত হওয়ায় প্রত্যন্ত এলাকার খামারিরা কম দামে গরু বিক্রি করে দিচ্ছেন। পর্যাপ্ত গো-খাদ্য না থাকায় কোরবানিতে বিক্রির টার্গেট করা পশু ছাড়াও অন্য পশুগুলোও বিক্রি করছেন তারা।

https://img.imageboss.me/width/700/quality:100/https://img.barta24.com/uploads/news/2019/Jul/29/1564417349910.jpg

সোমবার বগুড়ার সোনাতলার খামারি আফাজ শেখ একটি গরু নিয়ে ফেরিঘাট পশুর হাটে এসেছিলেন। তিনি জানান, বাড়িঘর বন্যায় প্লাবিত হওয়ায় কম দামে গরু বিক্রি করতে নাটোরে এসেছেন।

একইদিন সারিয়াকান্দির রৌহদহ গ্রামের জালাল উদ্দিন বিক্রির জন্য তিনটি গরু এনেছিলেন হাটে। তিনি জানান, বন্যার পানিতে গো-খাদ্যের চরম সংকট দেখা দিয়েছে। পর্যাপ্ত খাদ্য না পেয়ে গরুগুলো দুর্বল হয়ে পড়ছে। সবকিছু ভেবে গরু বিক্রির সিদ্ধান্ত নিয়েছেন তিনি।

সিরাজগঞ্জের কালিয়াকান্দপাড়ার খামারি ফজলে রাব্বী বার্তাটোয়েন্টিফোর.কম-কে বলেন, 'সিরাজগঞ্জে গরুর দাম নেই। একটু বেশি দাম পাওয়ার আশায়ে নাটোরের হাটে এসেছি।'

এনায়েতপুরের হাশেম মৃধা বলেন, 'বন্যায় বাড়িতে পানি উঠেছে। নিজেদের থাকারই জায়গা নাই। গরু রাখবো কোথায়? তাই বিক্রি করতে এসেছি।'

সিংড়ার হাতিয়ান্দহ গ্রামের খামারি শোয়েব আলী বলেন, 'আমরা কোরবানি ঈদকে টার্গেট করে সারা বছর গরু মোটাতাজা করি। এমনিতেও সেই গরু বিক্রির সময় দাম কমে যায়। তার ওপর বাইরের পশু কম দামে বিক্রি হলে লোকসান গুনতে হবে।'

চৌগ্রাম এলাকার হাবিবুল ইসলাম বলেন, 'হাট কর্তৃপক্ষ বেশি খাজনা আদায়ের জন্য বাইরের গরু হাটে তোলার অনুমতি দিচ্ছে। ফলে আমরা গরু বিক্রি করতে গিয়ে কম দাম পাচ্ছি। এক জেলার গরু আরেক জেলায় বিক্রি বন্ধ না হলে দাম পাওয়া যাবে না। ফলে গরু পালনে নিরুৎসাহিত হবেন খামারিরা।’

এদিকে, হাটে নির্বিঘ্নে কেনাকাটায় স্বস্তি প্রকাশ করেছেন ক্রেতারা। ফেরিঘাট হাটসহ অন্যান্য হাটে নিরাপত্তা নিশ্চিতে পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে।

সিংড়া পৌরসভার মেয়র জান্নাতুল ফেরদৌস বার্তাটোয়েন্টিফোর.কম-কে বলেন, ‘সিংড়ার গরুর হাটে কোনও চাঁদাবাজি বা ব্যবসায়ীদের দালালের খপ্পরে পড়ার সুযোগ নেই। ক্রেতারা নির্বিঘ্নে পশু ক্রয়-বিক্রয় করছেন।’

জেলা প্রাণী সম্পদ কর্মকর্তা বেলাল হোসেন বার্তাটোয়েন্টিফোর.কম-কে বলেন, 'বন্যাদুর্গত এলাকার পশু বাদেও নাটোরে পশুর চাহিদা মেটানোর জন্য স্থানীয় পশুই যথেষ্ট। তবে যেকোনো কারণে বাজারে পশুর সরবরাহ বাড়লে দাম স্বাভাবিকভাবেই কমে যায়।’

নাটোরের বিদায়ী পুলিশ সুপার সাইফুল্লাহ আল মামুন বার্তাটোয়েন্টিফোর.কম-কে বলেন, ‘পশুর হাটগুলোর নিরাপত্তার দায়িত্বে আইন-শৃঙ্খলা বাহিনী সজাগ রয়েছে। জাল টাকা শনাক্তকরণ মেশিনসহ প্রতিটি হাটে নিরাপত্তা সরঞ্জাম পাঠানো হচ্ছে।’

   

গড়াই নদীতে ডুবে যুবকের মৃত্যু



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, কুষ্টিয়া
ছবি প্রতীকী

ছবি প্রতীকী

  • Font increase
  • Font Decrease

কুষ্টিয়ার খোকসায় গড়াই নদীতে ডুবে সুমন (২০) নামে এক যুবকের মৃত্যু হয়েছে।

রোববার (৫ এপ্রিল) বিকেলে খোকসা উপজেলার গনেশপুর অংশে গড়াই নদী থেকে মরদেহ উদ্ধার করা হয়।

মৃত সুমন কুমারখালী উপজেলার রাজাপুর গ্রামের নিজাম উদ্দিনের ছেলে।

খোকসা ফায়ার সার্ভিস স্টেশনের ফায়ারম্যান হাবিবুর রহমান জানান, সকালের দিকে গড়াই নদীতে মাছ ধরতে যান সুমন। মাছ ধরার এক পর্যায়ে নদীতে ডুবে যান তিনি। বিকেলের দিকে স্থানীয়দের সহায়তায় তার মরদেহ উদ্ধার করে ফায়ার সার্ভিস।

;

কুমিল্লার নাঙ্গলকোটে বজ্রপাতে কিশোরের মৃত্যু



ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, কুমিল্লা
প্রতীকী ছবি

প্রতীকী ছবি

  • Font increase
  • Font Decrease

কুমিল্লার নাঙ্গলকোটে ফুটবল খেলার সময় বজ্রপাতে সাফায়েত হোসেন (১৯) নামে একজনের মৃত্যু হয়েছে। এ সময় সালাউদ্দিন (২২) নামের আরেক যুবক গুরুতর আহত হন।

রোববার (৫ এপ্রিল) এই বিকেলে এই ঘটনা ঘটে। তাদের উদ্ধার করে সন্ধ্যা সাড়ে ৬টার দিকে লাকসামের একটি ক্লিনিকে নেওয়া হলে কর্তব্যরত চিকিৎসক ওই কিশোরকে মৃত ঘোষণা করেন।

স্থানীয় সূত্র জানায়, উপজেলার আদ্রা দক্ষিণ ইউনিয়নের আটিয়াবাড়ি দক্ষিণপাড়া স্কুল বাড়ির আবদুল আউয়ালের ছেলে সাফায়াত হোসেন এদিন বিকেলে সহপাঠীদের সাথে পার্শ্ববর্তী ঘোড়াময়দান গ্রামের একটি মাঠে ফুটবল খেলতে যায়। বিকাল ৫টার দিকে খেলা চলা অবস্থায় আকস্মিক বজ্রপাতে সাফায়েতের পুরো শরীর ঝলসে যায়। তাৎক্ষনিকভাবে তাকে উদ্ধার করে লাকসামের একটি ক্লিনিকে নেয়া হলে সন্ধ্যায় কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন।

এছাড়া বজ্রপাতে ওই ঘোড়াময়দান গ্রামের নুরুল হকের ছেলে সালাউদ্দিন (২২) গুরুতর আহত হয়ে স্থানীয় একটি ক্লিনিকে চিকিৎসাধীন রয়েছে।

স্থানীয় ইউপি চেয়ারম্যান আবদুল ওহাব ঘটনার এ ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করেছেন।

;

লক্ষ্মী ভাইয়েরা বাসায় যান, নিজেসহ দেশকে বাঁচান



নাহিদ রেজা, স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, ঠাকুরগাঁও
ওসি তানভিরুল ইসলাম।

ওসি তানভিরুল ইসলাম।

  • Font increase
  • Font Decrease

আমার লক্ষ্মী ভাইয়েরা দয়া করে বাইরে ঘোরাঘুরি না করে বাসায় যান। নিজে বাঁচেন, পরিবারকে বাঁচান, দেশকে বাঁচান। সচেতন হোন।

ঠিক এসব কথা বলে করোনাভাইরাস প্রতিরোধে জনগণকে সচেতন করছেন ঠাকুরগাঁও সদর থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) তানভিরুল ইসলাম। মাঠ পর্যায়ে গিয়ে এভাবে সচেতন করায় সাধুবাদ জানিয়েছে সাধারণ মানুষ।

ঠাকুরগাঁও সদর উপজেলার রহিমানপুর ইউনিয়নের রেজাউল ইসলাম বলেন, ‘আমি ওষুধ কেনার জন্য স্থানীয় বাজারে এসেছিলাম। কিছুক্ষণ পর থানার একটি গাড়ি বাজারের সামনে এসে দাঁড়ায় এবং ওসি তানভিরুল সবাইকে বাসায় থাকার জন্য অনুরোধ করেন। এর আগে কখনো জনগণের সঙ্গে পুলিশের এমন ভালো আচরণ দেখি নাই।’

ঠাকুরগাঁও সদর উপজেলার চৌড়াস্তা মোড়ে কথা হয় জয়নাল নামে এক পথচারীর সঙ্গে। তিনি বলেন, ‘আমাদের জেলার পুলিশ সাধারণ জনগণের সঙ্গে ভালো ব্যবহার করছে। তাদের ভাই বলে বাসায় ফিরে যাওয়ার জন্য অনুরোধ করছে। ওসিসহ পুলিশের সদস্যরা নিজেদের কথা চিন্তা না করে আমাদের জন্য এ কাজটি করে যাচ্ছেন। তাদের ধন্যবাদ জানাই।’

স্থানীয় সাহাদত হোসেন নামে একজন বলেন,‘তানভিরুল ভাই একজন মানবিক পুলিশ অফিসার। তার জন্য শুভকামনা ও দোয়া রইল।’

ঠাকুরগাঁও সদর থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) তানভিরুল ইসলাম বার্তা২৪.কমকে বলেন, ‘করোনাভাইরাস নিয়ে আতঙ্কিত হওয়ার কিছু নেই। এ ভাইরাস প্রতিরোধে আমাদের সবাইকে সচেতন হতে হবে। সরকার যেসব দিক নির্দেশনা দিয়েছে সেগুলো মেনে চলতে হবে। জনগণের সঙ্গে খারাপ ব্যবহার না করে তাদের সচেতন করা হচ্ছে। এতে কাজও হচ্ছে।’

;

ডিবি পরিচয়ে মোবাইল ছিনতাই, যুবক গ্রেফতার



ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, নীলফামারী
গ্রেফতার আবেদ আলী।

গ্রেফতার আবেদ আলী।

  • Font increase
  • Font Decrease

নীলফামারীতে গোয়েন্দা পুলিশের (ডিবি) উপপরিদর্শক পরিচয়ে মোবাইল ছিনতাই করার অপরাধে আবেদ আলী (২৮) নামে এক যুবককে গ্রেফতার করেছে পুলিশ।

রোববার (৫ এপ্রিল) বিকেলে নীলফামারী সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মমিনুল ইসলাম এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।

আবেদ আলী সৈয়দপুর উপজেলার কাশিরাম বেলপুকুর ইউনিয়নের চওড়া গ্রামের খয়রাত হোসেনের ছেলে।

জানা গেছে, শনিবার (৪ এপ্রিল) দুপুরে জেলা সদরের কুন্দপুকুর ইউনিয়নের আঙ্গারপাড়া গ্রামে মোকছেদুল ইসলামসহ কয়েক যুবক মোবাইলে ভিডিও গেম খেলছিলেন। এ সময় আবেদ আলী নিজেকে সৈয়দপুর থানার ডিবি পুলিশের উপপরিদর্শক পরিচয় দিয়ে ওই যুবকদের কাছ থেকে মোবাইলটি নিয়ে যান। পরে এ বিষয়ে মোবাইলের মালিক মোকছেদুল ইসলাম সদর থানায় অভিযোগ করেন।

এরপর রোববার ভোরে আবেদ আলীর বাড়িতে অভিযান চালিয়ে তাকে গ্রেফতার করা হয়। ওই সময় তার কাছ থেকে ছিনতাই কাজে ব্যবহৃত একটি খেলনা পিস্তল ও ওয়্যারলেস সেট, একাধিক মোবাইল সিম এবং দুটি পরিচয়পত্র জব্দ করে পুলিশ।

নীলফামারী সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মমিনুল ইসলাম জানান, প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে ডিবি পুলিশের ভুয়া পরিচয়ে মোবাইল ছিনতাই করার সত্যতা স্বীকার করেছেন আবেদ আলী। এ ঘটনায় মামলা দায়ের করার পর আদালতের মাধ্যমে তাকে কারাগারে পাঠানো হয়েছে।

;