শারীরিক অক্ষমতাকে জয় করতে চায় রাজীব



ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট, বার্তাটোয়েন্টিফোর.কম, ভোলা
এক হাত হারানো ৬ষ্ঠ শ্রেণীর ছাত্র রাজীব/ ছবি: বার্তাটোয়েন্টিফোর.কম

এক হাত হারানো ৬ষ্ঠ শ্রেণীর ছাত্র রাজীব/ ছবি: বার্তাটোয়েন্টিফোর.কম

  • Font increase
  • Font Decrease

ছয় বছর বয়সে গাছ থেকে পড়ে বাম হাত ভেঙে যায় রাজীবের। পরিবারের অর্থিক অস্বচ্ছলতার কারণে বিশেষজ্ঞ ডাক্তারের চিকিৎসা থেকে বঞ্চিত হয় রাজীব। স্থানীয় খনকার-কবিরাজই ছিল রাজীবের পরিবারের একমাত্র ভরসা। কিন্তু তাতে আর কাজ হয়নি।

পরে স্থানীয় উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে গেলে বাম হাতে পচঁন ধরার কারণে ডাক্তার অর্ধেক হাত কেটে ফেলেন। তারপর থেকে কাটা বাম হাত নিয়ে চলতে হচ্ছে রাজীবকে। হাত না থাকলেও দমে যাওয়ার পাত্র নয় রাজীব। শারীরিক অক্ষমতাকে জয় করে এগিয়ে যেতে চায় সামনের দিকে।

সম্প্রতি ভোলায় প্রতিবন্ধীদের জন্য দুইদিন ব্যাপী স্পেশাল অলিম্পিকের বাছই পর্ব অনুষ্ঠিত হয়। সেখানে কোস্ট ট্রাস্ট আইইসিএম প্রকল্পের টগর কিশোর ক্লাব পক্ষে অংশ নিতে এসে তার স্বপ্নের কথা জানায় রাজীব। তার বাড়ি ভোলার চরফ্যাশন উপজেলার ওসমানগঞ্জ ইউনিয়নে।

https://img.imageboss.me/width/700/quality:100/https://img.barta24.com/uploads/news/2019/Aug/04/1564905596115.gif

কৃষক বাবা মো: হোসেন ও মা গৃহিণী হোসনে আরার তিন সন্তানের মধ্যে সবার ছোট রাজীব। বর্তমানে সে উত্তর ফ্যাশন আর্দশ দাখিল মাদ্রাসায় ৬ষ্ঠ শ্রেণীতে পড়াশোনা করছে। রাজীবের হাত না থাকায় বাবা-মায়ের কাছে কিছুটা খারাপ লাগলেও তার সফলতায় অনেক খুশি তারা।

মা হোসনে আরা ছেলেকে চরফ্যাশন থেকে নিয়ে এসেছেন ভোলায় খেলাধুলায় অংশ গ্রহণ করাতে। এখানে অংশ নিতে পেরে ছেলে অনেক খুশি। বিভিন্ন খেলাধুলায় অংশ নেওয়ার পাশাপাশি নাচ, গানেও আনন্দ দিয়েছে সবাইকে। তার ছেলে একদিন জাতীয় পর্যায়েও সুযোগ পাবে- এমন প্রত্যাশা রাজীবের মায়ের।

https://img.imageboss.me/width/700/quality:100/https://img.barta24.com/uploads/news/2019/Aug/04/1564905622502.gif

রাজীব জানায়, খেলাধুলায় অংশ নিতে পেরে তার খুব ভালো লাগছে। সে প্রতিবন্ধী শিশুদের খেলাধুলায় জাতীয়ভাবে অংশ নিতে চায়। ক্রিকেট, ফুটবল, দৌড়, ভলিবল, ব্যাডমিন্টনসহ নানা ধরনের খেলাধুলায় পারদর্শী রাজীব। এমনকি গান ও নাচও করতে ভালো লাগে বলে জানায় সে।

একদিকে পরিবারের দরিদ্রতা, অন্যদিকে তার শারীরিক অক্ষমতা। এক পর্যায়ে তার পড়াশোনা বন্ধ হয়ে যাচ্ছিল। পরে ইউনিসেফের সহযোগিতায় ও কোস্ট ট্রাস্টের ব্যবস্থাপনায় ১৫ হাজার টাকার ‘শিশু সুরক্ষা বৃত্তি’ পায়। তা দিয়ে ছাগল কিনে পালন করে আয় করা অর্থ দিয়ে পড়াশোনারা খরচ চালিয়ে যাচ্ছে সে।

https://img.imageboss.me/width/700/quality:100/https://img.barta24.com/uploads/news/2019/Aug/04/1564905638366.gif

রাজীবের মা হোসনে আরা বলেন, ‘প্রতিবন্ধী হলেও রাজীবের পড়াশোনায় আগ্রহের কারণে তাকে স্কুলে ভর্তি করে দিই। সংসারে অভাবের কারণে আমদের পক্ষে ওর পড়াশোনার খরচ চালানো দিন দিন কঠিন হয়ে পড়ছে।‘

কোস্ট ট্রাস্ট আইইসিএম প্রকল্পের সহকারী প্রকল্প সমন্বয়কারী দেবাশীষ মজুমদার বলেন, ‘রাজীবের মতো ভোলার তিনটি উপজেলা প্রান্তিক ও অবহেলিত, বিদ্যালয় হতে ঝড়ে পড়া, এতিম, আশ্রিত, বিশেষ গুণসম্পন্ন প্রতিবন্ধী ও শিশু বিবাহের ঝুঁকিতে থাকা এমন ৫০৮ জন কিশোর-কিশোরীর মাঝে এককালীন ১৫ হাজার টাকা ‘শিশু সুরক্ষা বৃত্তি’ প্রদান করেছি। যার মধ্যে বিশেষ চাহিদা সম্পন্ন শিশু হচ্ছে প্রায় ১০০ জন।’

   

গড়াই নদীতে ডুবে যুবকের মৃত্যু



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, কুষ্টিয়া
ছবি প্রতীকী

ছবি প্রতীকী

  • Font increase
  • Font Decrease

কুষ্টিয়ার খোকসায় গড়াই নদীতে ডুবে সুমন (২০) নামে এক যুবকের মৃত্যু হয়েছে।

রোববার (৫ এপ্রিল) বিকেলে খোকসা উপজেলার গনেশপুর অংশে গড়াই নদী থেকে মরদেহ উদ্ধার করা হয়।

মৃত সুমন কুমারখালী উপজেলার রাজাপুর গ্রামের নিজাম উদ্দিনের ছেলে।

খোকসা ফায়ার সার্ভিস স্টেশনের ফায়ারম্যান হাবিবুর রহমান জানান, সকালের দিকে গড়াই নদীতে মাছ ধরতে যান সুমন। মাছ ধরার এক পর্যায়ে নদীতে ডুবে যান তিনি। বিকেলের দিকে স্থানীয়দের সহায়তায় তার মরদেহ উদ্ধার করে ফায়ার সার্ভিস।

;

কুমিল্লার নাঙ্গলকোটে বজ্রপাতে কিশোরের মৃত্যু



ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, কুমিল্লা
প্রতীকী ছবি

প্রতীকী ছবি

  • Font increase
  • Font Decrease

কুমিল্লার নাঙ্গলকোটে ফুটবল খেলার সময় বজ্রপাতে সাফায়েত হোসেন (১৯) নামে একজনের মৃত্যু হয়েছে। এ সময় সালাউদ্দিন (২২) নামের আরেক যুবক গুরুতর আহত হন।

রোববার (৫ এপ্রিল) এই বিকেলে এই ঘটনা ঘটে। তাদের উদ্ধার করে সন্ধ্যা সাড়ে ৬টার দিকে লাকসামের একটি ক্লিনিকে নেওয়া হলে কর্তব্যরত চিকিৎসক ওই কিশোরকে মৃত ঘোষণা করেন।

স্থানীয় সূত্র জানায়, উপজেলার আদ্রা দক্ষিণ ইউনিয়নের আটিয়াবাড়ি দক্ষিণপাড়া স্কুল বাড়ির আবদুল আউয়ালের ছেলে সাফায়াত হোসেন এদিন বিকেলে সহপাঠীদের সাথে পার্শ্ববর্তী ঘোড়াময়দান গ্রামের একটি মাঠে ফুটবল খেলতে যায়। বিকাল ৫টার দিকে খেলা চলা অবস্থায় আকস্মিক বজ্রপাতে সাফায়েতের পুরো শরীর ঝলসে যায়। তাৎক্ষনিকভাবে তাকে উদ্ধার করে লাকসামের একটি ক্লিনিকে নেয়া হলে সন্ধ্যায় কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন।

এছাড়া বজ্রপাতে ওই ঘোড়াময়দান গ্রামের নুরুল হকের ছেলে সালাউদ্দিন (২২) গুরুতর আহত হয়ে স্থানীয় একটি ক্লিনিকে চিকিৎসাধীন রয়েছে।

স্থানীয় ইউপি চেয়ারম্যান আবদুল ওহাব ঘটনার এ ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করেছেন।

;

লক্ষ্মী ভাইয়েরা বাসায় যান, নিজেসহ দেশকে বাঁচান



নাহিদ রেজা, স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, ঠাকুরগাঁও
ওসি তানভিরুল ইসলাম।

ওসি তানভিরুল ইসলাম।

  • Font increase
  • Font Decrease

আমার লক্ষ্মী ভাইয়েরা দয়া করে বাইরে ঘোরাঘুরি না করে বাসায় যান। নিজে বাঁচেন, পরিবারকে বাঁচান, দেশকে বাঁচান। সচেতন হোন।

ঠিক এসব কথা বলে করোনাভাইরাস প্রতিরোধে জনগণকে সচেতন করছেন ঠাকুরগাঁও সদর থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) তানভিরুল ইসলাম। মাঠ পর্যায়ে গিয়ে এভাবে সচেতন করায় সাধুবাদ জানিয়েছে সাধারণ মানুষ।

ঠাকুরগাঁও সদর উপজেলার রহিমানপুর ইউনিয়নের রেজাউল ইসলাম বলেন, ‘আমি ওষুধ কেনার জন্য স্থানীয় বাজারে এসেছিলাম। কিছুক্ষণ পর থানার একটি গাড়ি বাজারের সামনে এসে দাঁড়ায় এবং ওসি তানভিরুল সবাইকে বাসায় থাকার জন্য অনুরোধ করেন। এর আগে কখনো জনগণের সঙ্গে পুলিশের এমন ভালো আচরণ দেখি নাই।’

ঠাকুরগাঁও সদর উপজেলার চৌড়াস্তা মোড়ে কথা হয় জয়নাল নামে এক পথচারীর সঙ্গে। তিনি বলেন, ‘আমাদের জেলার পুলিশ সাধারণ জনগণের সঙ্গে ভালো ব্যবহার করছে। তাদের ভাই বলে বাসায় ফিরে যাওয়ার জন্য অনুরোধ করছে। ওসিসহ পুলিশের সদস্যরা নিজেদের কথা চিন্তা না করে আমাদের জন্য এ কাজটি করে যাচ্ছেন। তাদের ধন্যবাদ জানাই।’

স্থানীয় সাহাদত হোসেন নামে একজন বলেন,‘তানভিরুল ভাই একজন মানবিক পুলিশ অফিসার। তার জন্য শুভকামনা ও দোয়া রইল।’

ঠাকুরগাঁও সদর থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) তানভিরুল ইসলাম বার্তা২৪.কমকে বলেন, ‘করোনাভাইরাস নিয়ে আতঙ্কিত হওয়ার কিছু নেই। এ ভাইরাস প্রতিরোধে আমাদের সবাইকে সচেতন হতে হবে। সরকার যেসব দিক নির্দেশনা দিয়েছে সেগুলো মেনে চলতে হবে। জনগণের সঙ্গে খারাপ ব্যবহার না করে তাদের সচেতন করা হচ্ছে। এতে কাজও হচ্ছে।’

;

ডিবি পরিচয়ে মোবাইল ছিনতাই, যুবক গ্রেফতার



ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, নীলফামারী
গ্রেফতার আবেদ আলী।

গ্রেফতার আবেদ আলী।

  • Font increase
  • Font Decrease

নীলফামারীতে গোয়েন্দা পুলিশের (ডিবি) উপপরিদর্শক পরিচয়ে মোবাইল ছিনতাই করার অপরাধে আবেদ আলী (২৮) নামে এক যুবককে গ্রেফতার করেছে পুলিশ।

রোববার (৫ এপ্রিল) বিকেলে নীলফামারী সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মমিনুল ইসলাম এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।

আবেদ আলী সৈয়দপুর উপজেলার কাশিরাম বেলপুকুর ইউনিয়নের চওড়া গ্রামের খয়রাত হোসেনের ছেলে।

জানা গেছে, শনিবার (৪ এপ্রিল) দুপুরে জেলা সদরের কুন্দপুকুর ইউনিয়নের আঙ্গারপাড়া গ্রামে মোকছেদুল ইসলামসহ কয়েক যুবক মোবাইলে ভিডিও গেম খেলছিলেন। এ সময় আবেদ আলী নিজেকে সৈয়দপুর থানার ডিবি পুলিশের উপপরিদর্শক পরিচয় দিয়ে ওই যুবকদের কাছ থেকে মোবাইলটি নিয়ে যান। পরে এ বিষয়ে মোবাইলের মালিক মোকছেদুল ইসলাম সদর থানায় অভিযোগ করেন।

এরপর রোববার ভোরে আবেদ আলীর বাড়িতে অভিযান চালিয়ে তাকে গ্রেফতার করা হয়। ওই সময় তার কাছ থেকে ছিনতাই কাজে ব্যবহৃত একটি খেলনা পিস্তল ও ওয়্যারলেস সেট, একাধিক মোবাইল সিম এবং দুটি পরিচয়পত্র জব্দ করে পুলিশ।

নীলফামারী সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মমিনুল ইসলাম জানান, প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে ডিবি পুলিশের ভুয়া পরিচয়ে মোবাইল ছিনতাই করার সত্যতা স্বীকার করেছেন আবেদ আলী। এ ঘটনায় মামলা দায়ের করার পর আদালতের মাধ্যমে তাকে কারাগারে পাঠানো হয়েছে।

;