ঈদকে ঘিরে চুয়াডাঙ্গার কামারদের বাড়তি লাভের আশা



ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট, বার্তাটোয়েন্টিফোর.কম, চুয়াডাঙ্গা
কামারদের শেষ সময়ের ব্যস্ততা, ছবি: বার্তাটোয়েন্টিফোর.কম

কামারদের শেষ সময়ের ব্যস্ততা, ছবি: বার্তাটোয়েন্টিফোর.কম

  • Font increase
  • Font Decrease

কোরবানির ঈদের আর মাত্র কয়েকদিন বাকি। তাই ঈদকে সামনে রেখে ব্যস্ত সময় পার করছে কামার পরিবারের প্রতিটি সদস্যরা। শেষ সময়ে এসে দিন রাত তাদের কাজ করতে হচ্ছে। এদিকে অর্ডার নেওয়া দা, ছুরি, কোদাল, চাকু, বটিসহ নানান ধারালো অস্ত্র ক্রেতাদের কাছে সময় মতো পৌঁছে দিতে কামারের দোকানগুলোতে নেয়া হয়েছে বাড়তি লোকজন।

গতবারের তুলনায় এবছর এসব জিনিষপত্রের দাম তুলনামূলকভাবে বেশি। তবে কামাররা বলছেন, কয়লাসহ নানান জিনিসের দাম বৃদ্ধি পাওয়ায় তাদের তৈরিকৃত জিনিসপত্রে দাম বাড়াতে হয়েছে।

https://img.imageboss.me/width/700/quality:100/https://img.barta24.com/uploads/news/2019/Aug/06/1565093914201.jpg
ক্রেতাদের অর্ডার দেয়া ছুরি সময়মতো পৌঁছে দিতে ব্যস্ত কামাররা, ছবি: বার্তাটোয়েন্টিফোর.কম

 

শহরের কয়েকটি স্থান ঘুরে দেখা গেছে, কোরবানিতে পশু জবাইয়ের জন্য ছুরি, দা, ছোট চাকু তৈরি এবং ধার দিতেই ব্যস্ত তারা। এখন আর নতুন করে অর্ডার নিচ্ছেন না তারা। গতবারের থেকে এবার ক্রেতাদের চাপ বেশি। তবে গতবারের তুলনায় এবার এই পেশায় কামারের সংখ্যা কম। যে কারণে পুরনো কিছু দোকানেই ক্রেতাদের ভিড় সবচেয়ে বেশি লক্ষ্য করা গেছে।

শহরের বড় বাজার, রেল বাজার, ঝিনাইদহ বাসস্ট্যান্ডসহ শহরতলীর দৌলতদিয়ার বেশ কয়েকটি কামারের দোকান ঘুরে দেখা গেছে, সকাল থেকে রাত পর্যন্ত তারা ব্যস্ত কোরবানি জবাইয়ের বিভিন্ন সামগ্রী তৈরিতে। তীব্র গরমের মাঝেও আগুনের তীব্র তাপ আর শরীরের ঘাম দিয়ে সামান্য কিছু টাকা লাভের আশায় তারা ধারালো অস্ত্র সান দিতেই ব্যস্ত।

https://img.imageboss.me/width/700/quality:100/https://img.barta24.com/uploads/news/2019/Aug/06/1565094016516.jpg
ঝালাইয়ের কাজ চলছে, ছবি: বার্তাটোয়েন্টিফোর.কম

 

ঈদের আগে ব্যস্ত সময় কাটালেও সারা বছর তাদের তেমন একটা কাজ থাকে না। বছরের বেশিরভাগ সময় অল্প কিছু কাজ করলেও বেশিরভাগ সময় তাদের বেকার জীবন কাটাতে হয়। কাজ পেলে টাকা আসে। তাই ঈদের মৌসুমে বাড়তি আয় ও সারাবছরের ক্ষতি পুষিয়ে নিতে ক্রেতাদের থেকে বাড়তি টাকা নিচ্ছেন বলে জানান কারিগররা। তবে কয়লার দাম বৃদ্ধি পাওয়ায় তেমন মুনাফা করতে পারছেন না বলেও অভিযোগ পাওয়া গেছে।

চুয়াডাঙ্গা বড় বাজারের লোহাপট্টির কামার চিত্ত বাবু জানান, গত বছরের থেকে এবছর চাপ অনেক বেশি। তবে এসব তৈরিতে যে পরিমাণ শ্রম দিতে হয় সেই মোতাবেক ন্যায্য মূল্য কারিগররা পান না।

https://img.imageboss.me/width/700/quality:100/https://img.barta24.com/uploads/news/2019/Aug/06/1565094074347.jpg
শেষ সময়ে কামারদের দ্রুত কাজ শেষ করার চেষ্টা, ছবি: বার্তাটোয়েন্টিফোর.কম

 

রেল বাজারের এক কারিগর জানান, বাপের পেশা ছিল এটা। তাই তিনিও এই পেশাই রয়েছেন। তবে এই পেশার কোনো ভবিষ্যৎ নেই। কোরবানিতে সামান্য কিছু টাকা আয় হলেও সারা বছর পরিবার নিয়ে অনাহারে দিনযাপন করতে হয় তাদের।

কারিগররা বলছেন, শরীরের ঘাম আর শত কষ্টের মধ্যেও ঈদের আনন্দ কারও যেন নষ্ট না হয় সে জন্য যত্ন সহকারে ক্রেতাদের দেওয়া অর্ডার মতো কোরবানির পশু কাটার সামগ্রী তৈরি করে দিচ্ছি।

   

গড়াই নদীতে ডুবে যুবকের মৃত্যু



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, কুষ্টিয়া
ছবি প্রতীকী

ছবি প্রতীকী

  • Font increase
  • Font Decrease

কুষ্টিয়ার খোকসায় গড়াই নদীতে ডুবে সুমন (২০) নামে এক যুবকের মৃত্যু হয়েছে।

রোববার (৫ এপ্রিল) বিকেলে খোকসা উপজেলার গনেশপুর অংশে গড়াই নদী থেকে মরদেহ উদ্ধার করা হয়।

মৃত সুমন কুমারখালী উপজেলার রাজাপুর গ্রামের নিজাম উদ্দিনের ছেলে।

খোকসা ফায়ার সার্ভিস স্টেশনের ফায়ারম্যান হাবিবুর রহমান জানান, সকালের দিকে গড়াই নদীতে মাছ ধরতে যান সুমন। মাছ ধরার এক পর্যায়ে নদীতে ডুবে যান তিনি। বিকেলের দিকে স্থানীয়দের সহায়তায় তার মরদেহ উদ্ধার করে ফায়ার সার্ভিস।

;

কুমিল্লার নাঙ্গলকোটে বজ্রপাতে কিশোরের মৃত্যু



ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, কুমিল্লা
প্রতীকী ছবি

প্রতীকী ছবি

  • Font increase
  • Font Decrease

কুমিল্লার নাঙ্গলকোটে ফুটবল খেলার সময় বজ্রপাতে সাফায়েত হোসেন (১৯) নামে একজনের মৃত্যু হয়েছে। এ সময় সালাউদ্দিন (২২) নামের আরেক যুবক গুরুতর আহত হন।

রোববার (৫ এপ্রিল) এই বিকেলে এই ঘটনা ঘটে। তাদের উদ্ধার করে সন্ধ্যা সাড়ে ৬টার দিকে লাকসামের একটি ক্লিনিকে নেওয়া হলে কর্তব্যরত চিকিৎসক ওই কিশোরকে মৃত ঘোষণা করেন।

স্থানীয় সূত্র জানায়, উপজেলার আদ্রা দক্ষিণ ইউনিয়নের আটিয়াবাড়ি দক্ষিণপাড়া স্কুল বাড়ির আবদুল আউয়ালের ছেলে সাফায়াত হোসেন এদিন বিকেলে সহপাঠীদের সাথে পার্শ্ববর্তী ঘোড়াময়দান গ্রামের একটি মাঠে ফুটবল খেলতে যায়। বিকাল ৫টার দিকে খেলা চলা অবস্থায় আকস্মিক বজ্রপাতে সাফায়েতের পুরো শরীর ঝলসে যায়। তাৎক্ষনিকভাবে তাকে উদ্ধার করে লাকসামের একটি ক্লিনিকে নেয়া হলে সন্ধ্যায় কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন।

এছাড়া বজ্রপাতে ওই ঘোড়াময়দান গ্রামের নুরুল হকের ছেলে সালাউদ্দিন (২২) গুরুতর আহত হয়ে স্থানীয় একটি ক্লিনিকে চিকিৎসাধীন রয়েছে।

স্থানীয় ইউপি চেয়ারম্যান আবদুল ওহাব ঘটনার এ ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করেছেন।

;

লক্ষ্মী ভাইয়েরা বাসায় যান, নিজেসহ দেশকে বাঁচান



নাহিদ রেজা, স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, ঠাকুরগাঁও
ওসি তানভিরুল ইসলাম।

ওসি তানভিরুল ইসলাম।

  • Font increase
  • Font Decrease

আমার লক্ষ্মী ভাইয়েরা দয়া করে বাইরে ঘোরাঘুরি না করে বাসায় যান। নিজে বাঁচেন, পরিবারকে বাঁচান, দেশকে বাঁচান। সচেতন হোন।

ঠিক এসব কথা বলে করোনাভাইরাস প্রতিরোধে জনগণকে সচেতন করছেন ঠাকুরগাঁও সদর থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) তানভিরুল ইসলাম। মাঠ পর্যায়ে গিয়ে এভাবে সচেতন করায় সাধুবাদ জানিয়েছে সাধারণ মানুষ।

ঠাকুরগাঁও সদর উপজেলার রহিমানপুর ইউনিয়নের রেজাউল ইসলাম বলেন, ‘আমি ওষুধ কেনার জন্য স্থানীয় বাজারে এসেছিলাম। কিছুক্ষণ পর থানার একটি গাড়ি বাজারের সামনে এসে দাঁড়ায় এবং ওসি তানভিরুল সবাইকে বাসায় থাকার জন্য অনুরোধ করেন। এর আগে কখনো জনগণের সঙ্গে পুলিশের এমন ভালো আচরণ দেখি নাই।’

ঠাকুরগাঁও সদর উপজেলার চৌড়াস্তা মোড়ে কথা হয় জয়নাল নামে এক পথচারীর সঙ্গে। তিনি বলেন, ‘আমাদের জেলার পুলিশ সাধারণ জনগণের সঙ্গে ভালো ব্যবহার করছে। তাদের ভাই বলে বাসায় ফিরে যাওয়ার জন্য অনুরোধ করছে। ওসিসহ পুলিশের সদস্যরা নিজেদের কথা চিন্তা না করে আমাদের জন্য এ কাজটি করে যাচ্ছেন। তাদের ধন্যবাদ জানাই।’

স্থানীয় সাহাদত হোসেন নামে একজন বলেন,‘তানভিরুল ভাই একজন মানবিক পুলিশ অফিসার। তার জন্য শুভকামনা ও দোয়া রইল।’

ঠাকুরগাঁও সদর থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) তানভিরুল ইসলাম বার্তা২৪.কমকে বলেন, ‘করোনাভাইরাস নিয়ে আতঙ্কিত হওয়ার কিছু নেই। এ ভাইরাস প্রতিরোধে আমাদের সবাইকে সচেতন হতে হবে। সরকার যেসব দিক নির্দেশনা দিয়েছে সেগুলো মেনে চলতে হবে। জনগণের সঙ্গে খারাপ ব্যবহার না করে তাদের সচেতন করা হচ্ছে। এতে কাজও হচ্ছে।’

;

ডিবি পরিচয়ে মোবাইল ছিনতাই, যুবক গ্রেফতার



ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, নীলফামারী
গ্রেফতার আবেদ আলী।

গ্রেফতার আবেদ আলী।

  • Font increase
  • Font Decrease

নীলফামারীতে গোয়েন্দা পুলিশের (ডিবি) উপপরিদর্শক পরিচয়ে মোবাইল ছিনতাই করার অপরাধে আবেদ আলী (২৮) নামে এক যুবককে গ্রেফতার করেছে পুলিশ।

রোববার (৫ এপ্রিল) বিকেলে নীলফামারী সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মমিনুল ইসলাম এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।

আবেদ আলী সৈয়দপুর উপজেলার কাশিরাম বেলপুকুর ইউনিয়নের চওড়া গ্রামের খয়রাত হোসেনের ছেলে।

জানা গেছে, শনিবার (৪ এপ্রিল) দুপুরে জেলা সদরের কুন্দপুকুর ইউনিয়নের আঙ্গারপাড়া গ্রামে মোকছেদুল ইসলামসহ কয়েক যুবক মোবাইলে ভিডিও গেম খেলছিলেন। এ সময় আবেদ আলী নিজেকে সৈয়দপুর থানার ডিবি পুলিশের উপপরিদর্শক পরিচয় দিয়ে ওই যুবকদের কাছ থেকে মোবাইলটি নিয়ে যান। পরে এ বিষয়ে মোবাইলের মালিক মোকছেদুল ইসলাম সদর থানায় অভিযোগ করেন।

এরপর রোববার ভোরে আবেদ আলীর বাড়িতে অভিযান চালিয়ে তাকে গ্রেফতার করা হয়। ওই সময় তার কাছ থেকে ছিনতাই কাজে ব্যবহৃত একটি খেলনা পিস্তল ও ওয়্যারলেস সেট, একাধিক মোবাইল সিম এবং দুটি পরিচয়পত্র জব্দ করে পুলিশ।

নীলফামারী সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মমিনুল ইসলাম জানান, প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে ডিবি পুলিশের ভুয়া পরিচয়ে মোবাইল ছিনতাই করার সত্যতা স্বীকার করেছেন আবেদ আলী। এ ঘটনায় মামলা দায়ের করার পর আদালতের মাধ্যমে তাকে কারাগারে পাঠানো হয়েছে।

;