চুয়াডাঙ্গা বিএনপি কার্যালয় এখন মুরগীর খাবারের দোকান



ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট, বার্তাটোয়েন্টিফোর.কম, চুয়াডাঙ্গা
বিএনপি কার্যালয় হয়ে গেল মুরগীর খাবারের দোকান, ছবি: বার্তাটোয়েন্টিফোর.কম

বিএনপি কার্যালয় হয়ে গেল মুরগীর খাবারের দোকান, ছবি: বার্তাটোয়েন্টিফোর.কম

  • Font increase
  • Font Decrease

বেশ কিছুদিন আগেই কোনো এক রাতের আঁধারে চুয়াডাঙ্গা জেলা বিএনপি কার্যালয়ের সাইনবোর্ডটি উধাও হয়ে গেছে। এরপর দীর্ঘদিন কার্যালয়টি বন্ধ থাকার পর গত ৩-৪ দিন আগে জেলা বিএনপির সেই অফিসেই স্থানীয় এক দোকানদার মুরগীর খাবারের দোকান দিয়ে বসেছেন।

বিএনপির কার্যালয়ের হঠাৎ বন্ধ হয়ে যাওয়ায় বিএনপির সাধারণ নেতাকর্মীদের মধ্যেও দেখা দিয়েছে মিশ্র প্রতিক্রিয়া। বুধবার (৭ আগস্ট) সকালে জেলা শহরের নতুন বাজারের অহিদুল ইসলামের বিএনপি অফিসে গেলে কোনো কর্মীকে পাওয়া যায়নি।

জেলা বিএনপি অফিসের আশপাশের ব্যবসায়ীরা বলছেন, 'অহিদুল ইসলামকে দল থেকে বহিষ্কারের পর তাকে আর অফিসে দেখা যায়নি।' হঠাৎ করে কেন অফিসটি উধাও হয়ে গেল এ বিষয়ে কোনো সঠিক উত্তর দিতে পারেনি জেলা বিএনপির সিনিয়র নেতারাও।

জেলা বিএনপির অফিস কেন এখন মুরগীর খাবারের দোকান এ বিষয়ে সুস্পষ্ট কোন কথা বলেননি দলটির সাবেক আহ্বায়ক অহিদুল ইসলাম বিশ্বাসের ঘনিষ্ঠজনরা। এই অফিসে বসেই বিএনপির সকল কার্যক্রম চালাত জেলা বিএনপির সাবেক এ আহ্বায়ক।

চুয়াডাঙ্গার বিএনপির অফিস এখন মুরগীর খাবারের দোকান

তবে বিএনপির নির্ভরযোগ্য সূত্র বলছে, চলতি বছরের ২ এপ্রিল কেন্দ্রের সিদ্ধান্ত মোতাবেক তাকে জেলা বিএনপির আহ্বায়ক ও বিএনপির সদস্য পদ থেকে অব্যাহতি দেয়া হয়। একই সঙ্গে বাবু খানকে চুয়াডাঙ্গা জেলা বিএনপির ভারপ্রাপ্ত আহ্বায়ক ঘোষণা করা হয়। কেন্দ্র থেকে এমন ঘোষণা দেওয়ার পরপরই বিএনপি ছাড়ার সিদ্ধান্ত নেন আহিদুল ইসলাম। তিনি ঘোষণা দেন, বিএনপির রাজনীতির সঙ্গে আর জড়িত হবেন না। ঐদিনই সন্ধ্যায় বন্ধ করে দেয়া হয় অহিদুল ইসলামের বিএনপি কার্যালয়টি।

অহিদুল বিশ্বাসের অনুসারীরা বলছেন, দল থেকে অব্যাহতি দেওয়ার পরই অভিমান আর কষ্টে অফিস ছেড়ে দিয়েছেন তিনি। তবে মনে প্রাণে এখনো তিনি বিএিনপির রাজনীতির প্রতি শ্রদ্ধাশীল।

এদিকে অভিযোগ রয়েছে, চুয়াডাঙ্গা বিএনপির রাজনীতির গ্রুপিং রয়েছে। অভিভাবকহীন আর গ্রপিংয়ের কারণে দলীয় সব অনুষ্ঠান করা হয় ভিন্ন ভিন্ন ভাবে। দীর্ঘদিন ধরে দলীয় কোন্দলের কারণে জেলা বিএনপির কার্যক্রম হয়ে পড়েছে অনেকটা দুর্বল।

বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান শামসুজ্জামান দুদু বার্তাটোয়েন্টিফোর.কম-কে বলেন, 'অহিদুল ইসলাম বিশ্বাসকে কেন্দ্রীয় সিদ্ধান্ত মোতাবেক জেলা বিএনপির আহ্বায়ক থেকে অব্যাহতি দেয়া হয়েছে। এমনকি তার ন্যূনতম বিএনপির সদস্য পদও এখন নেই। সুতরাং তিনি বিএনপির কোনো কর্মীও নন।'

বিএনপির অফিসের বিষয়ে জানতে চাওয়া হলে তিনি বলেন, 'বর্তমানে চুয়াডাঙ্গায় বিএনপির কোনো কোন্দল নেই। আর অহিদুল ইসলাম যে অফিসে বসে বিএনপির কার্যক্রম চালাত সেটি জেলা বিএনপির কোনো অফিস নয়। সেটি ছিল তার নিজস্ব অফিস।'

চুয়াডাঙ্গা জেলা বিএনপির ভারপ্রাপ্ত আহবায়ক মাহমুদুল হাসান খান বাবু বার্তাটোয়েন্টিফোর.কম-কে বলেন, 'অহিদুল ইসলাম বিশ্বাসকে গত ২ এপ্রিল কেন্দ্রের সিদ্ধান্ত অনুযায়ী জেলা বিএনপির আহ্বায়ক থেকে অব্যাহতি দেয়া হয়। তবে তার সাধারণ সদস্য পদ এখনও আছে কিনা এ বিষয়ে কিছুই জানা নেই। বর্তমানে চুয়াডাঙ্গায় জেলা বিএনপির কোনো অফিস নেই। তবে অনেকে ব্যক্তিগত অফিস নিয়ে বিএনপি নেতাকর্মীদের নিয়ে বসলেও সেটি বিএনপির কোনো দলীয় কার্যালয় নয়।'

   

গড়াই নদীতে ডুবে যুবকের মৃত্যু



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, কুষ্টিয়া
ছবি প্রতীকী

ছবি প্রতীকী

  • Font increase
  • Font Decrease

কুষ্টিয়ার খোকসায় গড়াই নদীতে ডুবে সুমন (২০) নামে এক যুবকের মৃত্যু হয়েছে।

রোববার (৫ এপ্রিল) বিকেলে খোকসা উপজেলার গনেশপুর অংশে গড়াই নদী থেকে মরদেহ উদ্ধার করা হয়।

মৃত সুমন কুমারখালী উপজেলার রাজাপুর গ্রামের নিজাম উদ্দিনের ছেলে।

খোকসা ফায়ার সার্ভিস স্টেশনের ফায়ারম্যান হাবিবুর রহমান জানান, সকালের দিকে গড়াই নদীতে মাছ ধরতে যান সুমন। মাছ ধরার এক পর্যায়ে নদীতে ডুবে যান তিনি। বিকেলের দিকে স্থানীয়দের সহায়তায় তার মরদেহ উদ্ধার করে ফায়ার সার্ভিস।

;

কুমিল্লার নাঙ্গলকোটে বজ্রপাতে কিশোরের মৃত্যু



ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, কুমিল্লা
প্রতীকী ছবি

প্রতীকী ছবি

  • Font increase
  • Font Decrease

কুমিল্লার নাঙ্গলকোটে ফুটবল খেলার সময় বজ্রপাতে সাফায়েত হোসেন (১৯) নামে একজনের মৃত্যু হয়েছে। এ সময় সালাউদ্দিন (২২) নামের আরেক যুবক গুরুতর আহত হন।

রোববার (৫ এপ্রিল) এই বিকেলে এই ঘটনা ঘটে। তাদের উদ্ধার করে সন্ধ্যা সাড়ে ৬টার দিকে লাকসামের একটি ক্লিনিকে নেওয়া হলে কর্তব্যরত চিকিৎসক ওই কিশোরকে মৃত ঘোষণা করেন।

স্থানীয় সূত্র জানায়, উপজেলার আদ্রা দক্ষিণ ইউনিয়নের আটিয়াবাড়ি দক্ষিণপাড়া স্কুল বাড়ির আবদুল আউয়ালের ছেলে সাফায়াত হোসেন এদিন বিকেলে সহপাঠীদের সাথে পার্শ্ববর্তী ঘোড়াময়দান গ্রামের একটি মাঠে ফুটবল খেলতে যায়। বিকাল ৫টার দিকে খেলা চলা অবস্থায় আকস্মিক বজ্রপাতে সাফায়েতের পুরো শরীর ঝলসে যায়। তাৎক্ষনিকভাবে তাকে উদ্ধার করে লাকসামের একটি ক্লিনিকে নেয়া হলে সন্ধ্যায় কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন।

এছাড়া বজ্রপাতে ওই ঘোড়াময়দান গ্রামের নুরুল হকের ছেলে সালাউদ্দিন (২২) গুরুতর আহত হয়ে স্থানীয় একটি ক্লিনিকে চিকিৎসাধীন রয়েছে।

স্থানীয় ইউপি চেয়ারম্যান আবদুল ওহাব ঘটনার এ ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করেছেন।

;

লক্ষ্মী ভাইয়েরা বাসায় যান, নিজেসহ দেশকে বাঁচান



নাহিদ রেজা, স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, ঠাকুরগাঁও
ওসি তানভিরুল ইসলাম।

ওসি তানভিরুল ইসলাম।

  • Font increase
  • Font Decrease

আমার লক্ষ্মী ভাইয়েরা দয়া করে বাইরে ঘোরাঘুরি না করে বাসায় যান। নিজে বাঁচেন, পরিবারকে বাঁচান, দেশকে বাঁচান। সচেতন হোন।

ঠিক এসব কথা বলে করোনাভাইরাস প্রতিরোধে জনগণকে সচেতন করছেন ঠাকুরগাঁও সদর থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) তানভিরুল ইসলাম। মাঠ পর্যায়ে গিয়ে এভাবে সচেতন করায় সাধুবাদ জানিয়েছে সাধারণ মানুষ।

ঠাকুরগাঁও সদর উপজেলার রহিমানপুর ইউনিয়নের রেজাউল ইসলাম বলেন, ‘আমি ওষুধ কেনার জন্য স্থানীয় বাজারে এসেছিলাম। কিছুক্ষণ পর থানার একটি গাড়ি বাজারের সামনে এসে দাঁড়ায় এবং ওসি তানভিরুল সবাইকে বাসায় থাকার জন্য অনুরোধ করেন। এর আগে কখনো জনগণের সঙ্গে পুলিশের এমন ভালো আচরণ দেখি নাই।’

ঠাকুরগাঁও সদর উপজেলার চৌড়াস্তা মোড়ে কথা হয় জয়নাল নামে এক পথচারীর সঙ্গে। তিনি বলেন, ‘আমাদের জেলার পুলিশ সাধারণ জনগণের সঙ্গে ভালো ব্যবহার করছে। তাদের ভাই বলে বাসায় ফিরে যাওয়ার জন্য অনুরোধ করছে। ওসিসহ পুলিশের সদস্যরা নিজেদের কথা চিন্তা না করে আমাদের জন্য এ কাজটি করে যাচ্ছেন। তাদের ধন্যবাদ জানাই।’

স্থানীয় সাহাদত হোসেন নামে একজন বলেন,‘তানভিরুল ভাই একজন মানবিক পুলিশ অফিসার। তার জন্য শুভকামনা ও দোয়া রইল।’

ঠাকুরগাঁও সদর থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) তানভিরুল ইসলাম বার্তা২৪.কমকে বলেন, ‘করোনাভাইরাস নিয়ে আতঙ্কিত হওয়ার কিছু নেই। এ ভাইরাস প্রতিরোধে আমাদের সবাইকে সচেতন হতে হবে। সরকার যেসব দিক নির্দেশনা দিয়েছে সেগুলো মেনে চলতে হবে। জনগণের সঙ্গে খারাপ ব্যবহার না করে তাদের সচেতন করা হচ্ছে। এতে কাজও হচ্ছে।’

;

ডিবি পরিচয়ে মোবাইল ছিনতাই, যুবক গ্রেফতার



ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, নীলফামারী
গ্রেফতার আবেদ আলী।

গ্রেফতার আবেদ আলী।

  • Font increase
  • Font Decrease

নীলফামারীতে গোয়েন্দা পুলিশের (ডিবি) উপপরিদর্শক পরিচয়ে মোবাইল ছিনতাই করার অপরাধে আবেদ আলী (২৮) নামে এক যুবককে গ্রেফতার করেছে পুলিশ।

রোববার (৫ এপ্রিল) বিকেলে নীলফামারী সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মমিনুল ইসলাম এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।

আবেদ আলী সৈয়দপুর উপজেলার কাশিরাম বেলপুকুর ইউনিয়নের চওড়া গ্রামের খয়রাত হোসেনের ছেলে।

জানা গেছে, শনিবার (৪ এপ্রিল) দুপুরে জেলা সদরের কুন্দপুকুর ইউনিয়নের আঙ্গারপাড়া গ্রামে মোকছেদুল ইসলামসহ কয়েক যুবক মোবাইলে ভিডিও গেম খেলছিলেন। এ সময় আবেদ আলী নিজেকে সৈয়দপুর থানার ডিবি পুলিশের উপপরিদর্শক পরিচয় দিয়ে ওই যুবকদের কাছ থেকে মোবাইলটি নিয়ে যান। পরে এ বিষয়ে মোবাইলের মালিক মোকছেদুল ইসলাম সদর থানায় অভিযোগ করেন।

এরপর রোববার ভোরে আবেদ আলীর বাড়িতে অভিযান চালিয়ে তাকে গ্রেফতার করা হয়। ওই সময় তার কাছ থেকে ছিনতাই কাজে ব্যবহৃত একটি খেলনা পিস্তল ও ওয়্যারলেস সেট, একাধিক মোবাইল সিম এবং দুটি পরিচয়পত্র জব্দ করে পুলিশ।

নীলফামারী সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মমিনুল ইসলাম জানান, প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে ডিবি পুলিশের ভুয়া পরিচয়ে মোবাইল ছিনতাই করার সত্যতা স্বীকার করেছেন আবেদ আলী। এ ঘটনায় মামলা দায়ের করার পর আদালতের মাধ্যমে তাকে কারাগারে পাঠানো হয়েছে।

;