ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় জমজমাট ১০১ পশুর হাট



আল মামুন, ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট, বার্তাটোয়েন্টিফোর.কম, ব্রাহ্মণবাড়িয়া
১০১টি পশুর হাটে বিক্রি হচ্ছে গরু, ছাগল ও মহিষ, ছবি: বার্তাটোয়েন্টিফোর.কম

১০১টি পশুর হাটে বিক্রি হচ্ছে গরু, ছাগল ও মহিষ, ছবি: বার্তাটোয়েন্টিফোর.কম

  • Font increase
  • Font Decrease

ঈদুল আযহার বাকি আর মাত্র কয়েকদিন। ঈদকে সামনে রেখে ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় জমে উঠতে শুরু করেছে কোরবানির পশুর হাট। ঈদের দিন যত এগিয়ে আসছে তার সঙ্গে পাল্লা দিয়ে বাড়ছে বিভিন্ন হাটে ক্রেতা-বিক্রেতার ভিড়। ঈদকে সামনে রেখে জেলায় ১০১টি পশুর হাটে প্রতিদিনই বিক্রি হচ্ছে গরু, ছাগল ও মহিষ। তবে ব্যবসায়ীদের দাবি এই বছর তুলনামূলকভাবে দাম কম। 

এদিকে কোরবানির পশুর হাটগুলোতে যাতে কেউ হয়রানির শিকার না হয় সেজন্য ব্রাহ্মণবাড়িয়া পুলিশ প্রশাসনও সার্বক্ষণিক নজরদারি করছেন। প্রতিটি হাটে রয়েছে তিন স্তরের নিরাপত্তা ব্যবস্থা।

সরেজমিনে জেলার বিভিন্ন পশুর হাট ঘুরে দেখা যায়, ঈদ যত ঘনিয়ে আসছে তার সাথে পাল্লা দিয়ে কোরবানির গরু, ছাগল ও মহিষ কিনতে হাটগুলোতে বাড়ছে ক্রেতাদের ভিড়। পছন্দ মতো গরু-মহিষ কিনতে ক্রেতারা ঘুরছেন বিভিন্ন বাজারে। তাছাড়া ক্রেতাদের কথা বিবেচনা করে প্রতিনিয়ত হাটে বাড়ছে গরু মহিষের আমদানি।

https://img.imageboss.me/width/700/quality:100/https://img.barta24.com/uploads/news/2019/Aug/07/1565185199749.jpg
জমে উঠেছে কোরবানির পশুর হাট

 

এবার জেলায় মোট ১০১টি স্থায়ী ও অস্থায়ী হাট রয়েছে। যার মধ্যে সদর উপজেলায় ১২টি, আশুগঞ্জ উপজেলায় ৮টি, নাসিরনগর উপজেলায় ৭টি, সরাইল উপজেলায় ৬টি, নবীনগর উপজেলায় ১৩টি, আখাউড়া উপজেলায় ৫টি, কসবা উপজেলায় ১৫টি, বাঞ্ছারামপুর উপজেলায় ২৫টি, বিজয়নগর উপজেলায় ১০টি স্থায়ী-অস্থায়ী হাট রয়েছে। এছাড়াও প্রতিটি উপজেলায় আরও কিছু হাট রয়েছে। সব মিলিয়ে জেলায় প্রায় দুই শতাধিক হাট রয়েছে। সবগুলো হাটে বিভিন্ন সময়ে চলছে বেচাকেনা।

https://img.imageboss.me/width/700/quality:100/https://img.barta24.com/uploads/news/2019/Aug/07/1565185329685.jpg
দাম কম হওয়ায় সন্তুষ্ট ক্রেতারা

 

বুধবার (৭ আগস্ট) জেলার নবীনগরের বাইশমৌজা বাজারে সকাল থেকে সন্ধ্যা পর্যন্ত একটানা চলে কোরবানির পশু বেচাকেনা। ক্রেতা ও বিক্রেতাদের সবার উপস্থিতিও লক্ষ করা গেছে এই হাটে।

জেলার নবীনগর উপজেলার বাইশমৌজা এলাকার মো. ফালু মিয়া এই বাজার থেকে গরু কিনেছেন। তিনি বার্তাটোয়েন্টিফোর.কমকে জানান 'এবার বাজরে গরু মহিষের দাম অনেকটাই হাতের নাগালে। সকাল থেকেই বাজারে ক্রেতাদের উপচে পড়া ভিড় লক্ষ্য করা গেছে। বিক্রেতারাও অনেক গরু, ছাগল ও মহিষ বিক্রি করতে পেরেছেন।'

জেলার আশুগঞ্জ হাটে গরু কিনতে আসা শহিদুল মিয়া বার্তাটোয়েন্টিফোর.কমকে বলেন, 'বিভিন্ন বাজার ঘুরে ঘুরে দেখছি। গত বছরের তুলনায় দাম অনেকটাই স্থিতিশীল। এবার বাজার মধ্যবিত্তদের হাতের নাগালেই থাকবে বলে মনে হচ্ছে। তবে দিন যত যাচ্ছে ক্রেতাদের ভিড়ও বাড়ছে। শেষ পর্যন্ত দাম কেমন থাকবে তা এখনও বলা যাচ্ছে না।'

https://img.imageboss.me/width/700/quality:100/https://img.barta24.com/uploads/news/2019/Aug/07/1565185503781.jpg
সকাল থেকে সন্ধ্যা পর্যন্ত হাটে ক্রেতা সমাগম দেখা গেছে 

 

আশুগঞ্জ হাটে গরু ও মহিষ বিক্রেতা মো. আবু সাইদ মিয়া বার্তাটোয়েন্টিফোর.কমকে বলেন, ‘নিজেরা গরু মহিষ লালন পালন করে কিছুটা লাভের আশায় বিক্রি করতে এসেছি। এখনো দাম অনেকটাই কম বলছে ক্রেতারা। দাম যদি এই অবস্থায় থাকে তাহলে অনেকটা লোকসান গুনতে হবে।’

জেলা প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা ডা. তাপস কান্তি দত্ত বার্তাটোয়েন্টিফোর.কমকে জানান, জেলার কোরবানির পশুর চাহিদা মেটাতে ১ লাখ ৫ হাজার ৯৬০টি পশু মজুদ রয়েছে। যার কারণে এবার জেলার কোরবানির পশুর কোন সংকটের সম্ভাবনা নেই। পাশাপাশি আমরা অসুস্থ পশু শনাক্তকরণে জেলার প্রতিটি হাটে মোবাইল মেডিক্যাল টিম রেখেছি। তারা সবসময় মাঠে সক্রিয় রয়েছে।

https://img.imageboss.me/width/700/quality:100/https://img.barta24.com/uploads/news/2019/Aug/07/1565185848390.jpg
জেলা পুলিশ প্রশাসন থেকে নেয়া হয়েছে পর্যাপ্ত নিরাপত্তা ব্যবস্থা

 

এদিকে, ঈদকে সামনে রেখে যাতে কোন রকম অনাকাঙ্ক্ষিত ঘটনা না ঘটে সেজন্য জেলা পুলিশ প্রশাসন থেকে নেয়া হয়েছে পর্যাপ্ত নিরাপত্তা ব্যবস্থা। প্রতিটি হাটেই পুলিশের তিন স্তরের নিরাপত্তা ব্যবস্থা নেয়া হয়েছে। এছাড়াও পুলিশের মোবাইল ও পেট্রোল টিম টহলে থাকবে। যেকোন নাশকতা এড়াতে পুলিশ কাজ করছে বলে জানায় জেলা পুলিশ।

ব্রাহ্মণবাড়িয়ার পুলিশ সুপার মোহাম্মদ আনিসুর রহমান বার্তাটোয়েন্টিফোর.কমকে জানান, জেলার ১০১ টি পশুর হাটে পুলিশের বিশেষ টিম কাজ করছে। এছাড়াও অজ্ঞানপার্টি কিংবা জাল টাকা সনাক্ত করতে সাদা পোশাকেও পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে। যেকোন ধরনের বিশৃঙ্খলা এড়াতে ক্রেতা বিক্রেতাদের সার্বক্ষণিক নিরাপত্তা দিতে আমরা তাদের পাশে থাকব। কারো কোন অভিযোগ থাকলে সেটি তাৎক্ষণিক দেখা হবে বলেও জানান তিনি।

   

গড়াই নদীতে ডুবে যুবকের মৃত্যু



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, কুষ্টিয়া
ছবি প্রতীকী

ছবি প্রতীকী

  • Font increase
  • Font Decrease

কুষ্টিয়ার খোকসায় গড়াই নদীতে ডুবে সুমন (২০) নামে এক যুবকের মৃত্যু হয়েছে।

রোববার (৫ এপ্রিল) বিকেলে খোকসা উপজেলার গনেশপুর অংশে গড়াই নদী থেকে মরদেহ উদ্ধার করা হয়।

মৃত সুমন কুমারখালী উপজেলার রাজাপুর গ্রামের নিজাম উদ্দিনের ছেলে।

খোকসা ফায়ার সার্ভিস স্টেশনের ফায়ারম্যান হাবিবুর রহমান জানান, সকালের দিকে গড়াই নদীতে মাছ ধরতে যান সুমন। মাছ ধরার এক পর্যায়ে নদীতে ডুবে যান তিনি। বিকেলের দিকে স্থানীয়দের সহায়তায় তার মরদেহ উদ্ধার করে ফায়ার সার্ভিস।

;

কুমিল্লার নাঙ্গলকোটে বজ্রপাতে কিশোরের মৃত্যু



ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, কুমিল্লা
প্রতীকী ছবি

প্রতীকী ছবি

  • Font increase
  • Font Decrease

কুমিল্লার নাঙ্গলকোটে ফুটবল খেলার সময় বজ্রপাতে সাফায়েত হোসেন (১৯) নামে একজনের মৃত্যু হয়েছে। এ সময় সালাউদ্দিন (২২) নামের আরেক যুবক গুরুতর আহত হন।

রোববার (৫ এপ্রিল) এই বিকেলে এই ঘটনা ঘটে। তাদের উদ্ধার করে সন্ধ্যা সাড়ে ৬টার দিকে লাকসামের একটি ক্লিনিকে নেওয়া হলে কর্তব্যরত চিকিৎসক ওই কিশোরকে মৃত ঘোষণা করেন।

স্থানীয় সূত্র জানায়, উপজেলার আদ্রা দক্ষিণ ইউনিয়নের আটিয়াবাড়ি দক্ষিণপাড়া স্কুল বাড়ির আবদুল আউয়ালের ছেলে সাফায়াত হোসেন এদিন বিকেলে সহপাঠীদের সাথে পার্শ্ববর্তী ঘোড়াময়দান গ্রামের একটি মাঠে ফুটবল খেলতে যায়। বিকাল ৫টার দিকে খেলা চলা অবস্থায় আকস্মিক বজ্রপাতে সাফায়েতের পুরো শরীর ঝলসে যায়। তাৎক্ষনিকভাবে তাকে উদ্ধার করে লাকসামের একটি ক্লিনিকে নেয়া হলে সন্ধ্যায় কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন।

এছাড়া বজ্রপাতে ওই ঘোড়াময়দান গ্রামের নুরুল হকের ছেলে সালাউদ্দিন (২২) গুরুতর আহত হয়ে স্থানীয় একটি ক্লিনিকে চিকিৎসাধীন রয়েছে।

স্থানীয় ইউপি চেয়ারম্যান আবদুল ওহাব ঘটনার এ ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করেছেন।

;

লক্ষ্মী ভাইয়েরা বাসায় যান, নিজেসহ দেশকে বাঁচান



নাহিদ রেজা, স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, ঠাকুরগাঁও
ওসি তানভিরুল ইসলাম।

ওসি তানভিরুল ইসলাম।

  • Font increase
  • Font Decrease

আমার লক্ষ্মী ভাইয়েরা দয়া করে বাইরে ঘোরাঘুরি না করে বাসায় যান। নিজে বাঁচেন, পরিবারকে বাঁচান, দেশকে বাঁচান। সচেতন হোন।

ঠিক এসব কথা বলে করোনাভাইরাস প্রতিরোধে জনগণকে সচেতন করছেন ঠাকুরগাঁও সদর থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) তানভিরুল ইসলাম। মাঠ পর্যায়ে গিয়ে এভাবে সচেতন করায় সাধুবাদ জানিয়েছে সাধারণ মানুষ।

ঠাকুরগাঁও সদর উপজেলার রহিমানপুর ইউনিয়নের রেজাউল ইসলাম বলেন, ‘আমি ওষুধ কেনার জন্য স্থানীয় বাজারে এসেছিলাম। কিছুক্ষণ পর থানার একটি গাড়ি বাজারের সামনে এসে দাঁড়ায় এবং ওসি তানভিরুল সবাইকে বাসায় থাকার জন্য অনুরোধ করেন। এর আগে কখনো জনগণের সঙ্গে পুলিশের এমন ভালো আচরণ দেখি নাই।’

ঠাকুরগাঁও সদর উপজেলার চৌড়াস্তা মোড়ে কথা হয় জয়নাল নামে এক পথচারীর সঙ্গে। তিনি বলেন, ‘আমাদের জেলার পুলিশ সাধারণ জনগণের সঙ্গে ভালো ব্যবহার করছে। তাদের ভাই বলে বাসায় ফিরে যাওয়ার জন্য অনুরোধ করছে। ওসিসহ পুলিশের সদস্যরা নিজেদের কথা চিন্তা না করে আমাদের জন্য এ কাজটি করে যাচ্ছেন। তাদের ধন্যবাদ জানাই।’

স্থানীয় সাহাদত হোসেন নামে একজন বলেন,‘তানভিরুল ভাই একজন মানবিক পুলিশ অফিসার। তার জন্য শুভকামনা ও দোয়া রইল।’

ঠাকুরগাঁও সদর থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) তানভিরুল ইসলাম বার্তা২৪.কমকে বলেন, ‘করোনাভাইরাস নিয়ে আতঙ্কিত হওয়ার কিছু নেই। এ ভাইরাস প্রতিরোধে আমাদের সবাইকে সচেতন হতে হবে। সরকার যেসব দিক নির্দেশনা দিয়েছে সেগুলো মেনে চলতে হবে। জনগণের সঙ্গে খারাপ ব্যবহার না করে তাদের সচেতন করা হচ্ছে। এতে কাজও হচ্ছে।’

;

ডিবি পরিচয়ে মোবাইল ছিনতাই, যুবক গ্রেফতার



ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, নীলফামারী
গ্রেফতার আবেদ আলী।

গ্রেফতার আবেদ আলী।

  • Font increase
  • Font Decrease

নীলফামারীতে গোয়েন্দা পুলিশের (ডিবি) উপপরিদর্শক পরিচয়ে মোবাইল ছিনতাই করার অপরাধে আবেদ আলী (২৮) নামে এক যুবককে গ্রেফতার করেছে পুলিশ।

রোববার (৫ এপ্রিল) বিকেলে নীলফামারী সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মমিনুল ইসলাম এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।

আবেদ আলী সৈয়দপুর উপজেলার কাশিরাম বেলপুকুর ইউনিয়নের চওড়া গ্রামের খয়রাত হোসেনের ছেলে।

জানা গেছে, শনিবার (৪ এপ্রিল) দুপুরে জেলা সদরের কুন্দপুকুর ইউনিয়নের আঙ্গারপাড়া গ্রামে মোকছেদুল ইসলামসহ কয়েক যুবক মোবাইলে ভিডিও গেম খেলছিলেন। এ সময় আবেদ আলী নিজেকে সৈয়দপুর থানার ডিবি পুলিশের উপপরিদর্শক পরিচয় দিয়ে ওই যুবকদের কাছ থেকে মোবাইলটি নিয়ে যান। পরে এ বিষয়ে মোবাইলের মালিক মোকছেদুল ইসলাম সদর থানায় অভিযোগ করেন।

এরপর রোববার ভোরে আবেদ আলীর বাড়িতে অভিযান চালিয়ে তাকে গ্রেফতার করা হয়। ওই সময় তার কাছ থেকে ছিনতাই কাজে ব্যবহৃত একটি খেলনা পিস্তল ও ওয়্যারলেস সেট, একাধিক মোবাইল সিম এবং দুটি পরিচয়পত্র জব্দ করে পুলিশ।

নীলফামারী সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মমিনুল ইসলাম জানান, প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে ডিবি পুলিশের ভুয়া পরিচয়ে মোবাইল ছিনতাই করার সত্যতা স্বীকার করেছেন আবেদ আলী। এ ঘটনায় মামলা দায়ের করার পর আদালতের মাধ্যমে তাকে কারাগারে পাঠানো হয়েছে।

;