শিশু ধর্ষণের অভিযোগে মসজিদের ইমাম রিমান্ডে



ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট, বার্তাটোয়েন্টিফোর.কম, নারায়ণগঞ্জ
অভিযুক্ত ইমাম রফিকুল ইসলামকে আদালতে নিয়ে যাচ্ছে পুলিশ/ ছবি: বার্তাটোয়েন্টিফোর.কম

অভিযুক্ত ইমাম রফিকুল ইসলামকে আদালতে নিয়ে যাচ্ছে পুলিশ/ ছবি: বার্তাটোয়েন্টিফোর.কম

  • Font increase
  • Font Decrease

নারায়ণগঞ্জের সদর উপজেলার ফতুল্লার চাঁদমারিতে মসজিদের ভেতর আট বছরের শিশু ধর্ষণের ঘটনায় গ্রেফতারকৃত মসজিদের ইমামকে পাঁচ দিনের রিমান্ডে নিয়েছে পুলিশ। বৃহস্পতিবার (৮ আগস্ট) সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট কাউসার আলম এই আদেশ দেন।

এর আগে, গত ৭ আগস্ট ধর্ষণ ও ধর্ষণের পর অপহরণ চেষ্টার অভিযোগে ইমাম ফজলুর রহমান ওরফে রফিকুল ইসলাম (৪৫)সহ ছয় জনকে আটক করে র‍্যাব। সাত দিনের রিমান্ড আবেদন করে আসামিদের আদালতে প্রেরণ করে ফতুল্লা মডেল থানা পুলিশ।
শুনানি শেষে আদালত ফজলুর রহমানকে পাঁচ দিনের রিমান্ড মঞ্জুর ও অপর পাঁচ আসামিকে জেলগেটে জিজ্ঞাসাবাদের নির্দেশ দেন।

রিমান্ডকৃত ইমাম রফিকুল ইসলাম নেত্রকোনা জেলার কেন্দুয়া সরাপাড়া এলাকার মৃত রিয়াজ উদ্দিনের ছেলে। তিনি দীর্ঘদিন ফতুল্লার চাঁদমারি এলাকার বায়তুল হাফেজ মসজিদে ইমামতি করতেন। মামলার অপর আসামিরা হচ্ছেন- রমজান আলী, গিয়াস উদ্দিন, হাবিব এ এলাহী হবি, মোতাহার হোসেন ও শরিফ হোসেন।

মামলার এজাহার সূত্রে জানা যায়, নির্যাতনের শিকার শিশুটি রাতের বেলায় বিভিন্ন প্রকার দুঃস্বপ্ন দেখে কান্নাকাটি করত। দীর্ঘদিন চিকিৎসার পরেও ভালো না হওয়ায় স্থানীয় বায়তুল হাফেজ মসজিদের ফজলুর রহমানের কাছে ঝাড়ফুঁক ও পানিপড়া নিতে আসে। দুই থেকে তিন বার ঝাড়ফুঁক ও পানিপড়া নেবার পরেও অবস্থার উন্নতি না দেখে ২ আগসট ভিকটিমের বাবাকে মেয়ের চিকিৎসার জন্য ফজরের আযানের সাথে সাথে মসজিদে আসতে বলেন ইমাম।

কথা অনুযায়ী ঐদিন ভোরে শিশুটির বাবা তাকে নিয়ে মসজিদে যান। ফজরের নামাজের পর শিশু ও তার বাবাকে নিয়ে মসজিদের ৩য় তলায় ইমামের রুমে নিয়ে যায়। এরপর পরিকল্পিতভাবে ভিকটিমের বাবাকে আগরবাতি-মোমবাতি কিনে আনার কথা বলে তাকে বাহিরে পাঠিয়ে দেন। সেই সুযোগে শিশুটিকে নির্মমভাবে পাশবিক নির্যাতন করে এবং তার গলায় ছুরি ধরে তাকেসহ তার বাবা-মাকে হত্যার ভয় দেখায়।

এক পর্যায়ে শিশুটি অসুস্থ হয়ে গেলে ইমাম শিশুটির বাবাকে বিভিন্নভাবে বিভ্রান্ত করে বিদায় করে দেন। বাড়ি ফিরে শিশুটি তার বাবা মাকে সবকিছু খুলে বললে ভুক্তভোগী পরিবার মসজিদ কমিটির নিকট বিচার দেন। তবে মসজিদ কমিটি উল্টো ধর্ষকের পক্ষ নিয়ে শিশু ও তার বাবা মাকে হেনস্থা করে এবং পরিবারটিকে থানা ও হাসপাতালে না যেতে হুঁশিয়ার করে দেয়।

তবে শিশুটির বাবা গোপনে তাকে নারায়ণগঞ্জের ভিক্টোরিয়া হাসপাতালে ভর্তি করেন। এ খবর জানতে পেরে ধর্ষক ফজলুর রহমান ও তার অনুসারীরা শিশুটিকে হত্যা ও অপহরণ করার উদ্দেশে হাসপাতালে কয়েক দফায় হামলা চালায়। অপহরণ থেকে বাঁচতে শিশুটিকে হাসপাতালে লুকিয়ে রাখে শিশুটির বাবা। একপর্যায়ে হাসপাতালের নার্সের বোরকা পড়ে র‌্যাব অফিসে এসে অভিযোগ দায়ের করেন শিশুটির বাবা।

ঘটনা জানতে পেরে তাৎক্ষণিকভাবে র‌্যাব-১১ এর একটি টিম ভিক্টোরিয়া জেনারেল হাসপাতালে ছুটে যায়। ভিকটিম ও তার পরিবারের সাথে কথা বলে ঘটনার সত্যতা পেয়ে হাসপাতালে তাদের নিরাপত্তার ব্যবস্থা করে। পরবর্তীতে ৭ আগস্ট ফতুল্লার বিভিন্ন স্থান থেকে আসামিদের গ্রেফতার করা হয়। র‍্যাব জানায় প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে আসামিরা ঘটনার সত্যতা স্বীকার করেছে।

   

গড়াই নদীতে ডুবে যুবকের মৃত্যু



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, কুষ্টিয়া
ছবি প্রতীকী

ছবি প্রতীকী

  • Font increase
  • Font Decrease

কুষ্টিয়ার খোকসায় গড়াই নদীতে ডুবে সুমন (২০) নামে এক যুবকের মৃত্যু হয়েছে।

রোববার (৫ এপ্রিল) বিকেলে খোকসা উপজেলার গনেশপুর অংশে গড়াই নদী থেকে মরদেহ উদ্ধার করা হয়।

মৃত সুমন কুমারখালী উপজেলার রাজাপুর গ্রামের নিজাম উদ্দিনের ছেলে।

খোকসা ফায়ার সার্ভিস স্টেশনের ফায়ারম্যান হাবিবুর রহমান জানান, সকালের দিকে গড়াই নদীতে মাছ ধরতে যান সুমন। মাছ ধরার এক পর্যায়ে নদীতে ডুবে যান তিনি। বিকেলের দিকে স্থানীয়দের সহায়তায় তার মরদেহ উদ্ধার করে ফায়ার সার্ভিস।

;

কুমিল্লার নাঙ্গলকোটে বজ্রপাতে কিশোরের মৃত্যু



ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, কুমিল্লা
প্রতীকী ছবি

প্রতীকী ছবি

  • Font increase
  • Font Decrease

কুমিল্লার নাঙ্গলকোটে ফুটবল খেলার সময় বজ্রপাতে সাফায়েত হোসেন (১৯) নামে একজনের মৃত্যু হয়েছে। এ সময় সালাউদ্দিন (২২) নামের আরেক যুবক গুরুতর আহত হন।

রোববার (৫ এপ্রিল) এই বিকেলে এই ঘটনা ঘটে। তাদের উদ্ধার করে সন্ধ্যা সাড়ে ৬টার দিকে লাকসামের একটি ক্লিনিকে নেওয়া হলে কর্তব্যরত চিকিৎসক ওই কিশোরকে মৃত ঘোষণা করেন।

স্থানীয় সূত্র জানায়, উপজেলার আদ্রা দক্ষিণ ইউনিয়নের আটিয়াবাড়ি দক্ষিণপাড়া স্কুল বাড়ির আবদুল আউয়ালের ছেলে সাফায়াত হোসেন এদিন বিকেলে সহপাঠীদের সাথে পার্শ্ববর্তী ঘোড়াময়দান গ্রামের একটি মাঠে ফুটবল খেলতে যায়। বিকাল ৫টার দিকে খেলা চলা অবস্থায় আকস্মিক বজ্রপাতে সাফায়েতের পুরো শরীর ঝলসে যায়। তাৎক্ষনিকভাবে তাকে উদ্ধার করে লাকসামের একটি ক্লিনিকে নেয়া হলে সন্ধ্যায় কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন।

এছাড়া বজ্রপাতে ওই ঘোড়াময়দান গ্রামের নুরুল হকের ছেলে সালাউদ্দিন (২২) গুরুতর আহত হয়ে স্থানীয় একটি ক্লিনিকে চিকিৎসাধীন রয়েছে।

স্থানীয় ইউপি চেয়ারম্যান আবদুল ওহাব ঘটনার এ ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করেছেন।

;

লক্ষ্মী ভাইয়েরা বাসায় যান, নিজেসহ দেশকে বাঁচান



নাহিদ রেজা, স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, ঠাকুরগাঁও
ওসি তানভিরুল ইসলাম।

ওসি তানভিরুল ইসলাম।

  • Font increase
  • Font Decrease

আমার লক্ষ্মী ভাইয়েরা দয়া করে বাইরে ঘোরাঘুরি না করে বাসায় যান। নিজে বাঁচেন, পরিবারকে বাঁচান, দেশকে বাঁচান। সচেতন হোন।

ঠিক এসব কথা বলে করোনাভাইরাস প্রতিরোধে জনগণকে সচেতন করছেন ঠাকুরগাঁও সদর থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) তানভিরুল ইসলাম। মাঠ পর্যায়ে গিয়ে এভাবে সচেতন করায় সাধুবাদ জানিয়েছে সাধারণ মানুষ।

ঠাকুরগাঁও সদর উপজেলার রহিমানপুর ইউনিয়নের রেজাউল ইসলাম বলেন, ‘আমি ওষুধ কেনার জন্য স্থানীয় বাজারে এসেছিলাম। কিছুক্ষণ পর থানার একটি গাড়ি বাজারের সামনে এসে দাঁড়ায় এবং ওসি তানভিরুল সবাইকে বাসায় থাকার জন্য অনুরোধ করেন। এর আগে কখনো জনগণের সঙ্গে পুলিশের এমন ভালো আচরণ দেখি নাই।’

ঠাকুরগাঁও সদর উপজেলার চৌড়াস্তা মোড়ে কথা হয় জয়নাল নামে এক পথচারীর সঙ্গে। তিনি বলেন, ‘আমাদের জেলার পুলিশ সাধারণ জনগণের সঙ্গে ভালো ব্যবহার করছে। তাদের ভাই বলে বাসায় ফিরে যাওয়ার জন্য অনুরোধ করছে। ওসিসহ পুলিশের সদস্যরা নিজেদের কথা চিন্তা না করে আমাদের জন্য এ কাজটি করে যাচ্ছেন। তাদের ধন্যবাদ জানাই।’

স্থানীয় সাহাদত হোসেন নামে একজন বলেন,‘তানভিরুল ভাই একজন মানবিক পুলিশ অফিসার। তার জন্য শুভকামনা ও দোয়া রইল।’

ঠাকুরগাঁও সদর থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) তানভিরুল ইসলাম বার্তা২৪.কমকে বলেন, ‘করোনাভাইরাস নিয়ে আতঙ্কিত হওয়ার কিছু নেই। এ ভাইরাস প্রতিরোধে আমাদের সবাইকে সচেতন হতে হবে। সরকার যেসব দিক নির্দেশনা দিয়েছে সেগুলো মেনে চলতে হবে। জনগণের সঙ্গে খারাপ ব্যবহার না করে তাদের সচেতন করা হচ্ছে। এতে কাজও হচ্ছে।’

;

ডিবি পরিচয়ে মোবাইল ছিনতাই, যুবক গ্রেফতার



ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, নীলফামারী
গ্রেফতার আবেদ আলী।

গ্রেফতার আবেদ আলী।

  • Font increase
  • Font Decrease

নীলফামারীতে গোয়েন্দা পুলিশের (ডিবি) উপপরিদর্শক পরিচয়ে মোবাইল ছিনতাই করার অপরাধে আবেদ আলী (২৮) নামে এক যুবককে গ্রেফতার করেছে পুলিশ।

রোববার (৫ এপ্রিল) বিকেলে নীলফামারী সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মমিনুল ইসলাম এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।

আবেদ আলী সৈয়দপুর উপজেলার কাশিরাম বেলপুকুর ইউনিয়নের চওড়া গ্রামের খয়রাত হোসেনের ছেলে।

জানা গেছে, শনিবার (৪ এপ্রিল) দুপুরে জেলা সদরের কুন্দপুকুর ইউনিয়নের আঙ্গারপাড়া গ্রামে মোকছেদুল ইসলামসহ কয়েক যুবক মোবাইলে ভিডিও গেম খেলছিলেন। এ সময় আবেদ আলী নিজেকে সৈয়দপুর থানার ডিবি পুলিশের উপপরিদর্শক পরিচয় দিয়ে ওই যুবকদের কাছ থেকে মোবাইলটি নিয়ে যান। পরে এ বিষয়ে মোবাইলের মালিক মোকছেদুল ইসলাম সদর থানায় অভিযোগ করেন।

এরপর রোববার ভোরে আবেদ আলীর বাড়িতে অভিযান চালিয়ে তাকে গ্রেফতার করা হয়। ওই সময় তার কাছ থেকে ছিনতাই কাজে ব্যবহৃত একটি খেলনা পিস্তল ও ওয়্যারলেস সেট, একাধিক মোবাইল সিম এবং দুটি পরিচয়পত্র জব্দ করে পুলিশ।

নীলফামারী সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মমিনুল ইসলাম জানান, প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে ডিবি পুলিশের ভুয়া পরিচয়ে মোবাইল ছিনতাই করার সত্যতা স্বীকার করেছেন আবেদ আলী। এ ঘটনায় মামলা দায়ের করার পর আদালতের মাধ্যমে তাকে কারাগারে পাঠানো হয়েছে।

;