সারারাত নদীতে ভেসে থাকার পর যেভাবে উদ্ধার হয় বিথী



গনেশ দাস, স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তাটোয়েন্টিফোর.কম, বগুড়া
সারিয়াকান্দি উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চিকিৎসাধীন বিথী। ছবি: বার্তাটোয়েন্টিফোর.কম।

সারিয়াকান্দি উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চিকিৎসাধীন বিথী। ছবি: বার্তাটোয়েন্টিফোর.কম।

  • Font increase
  • Font Decrease

বগুড়ার সারিয়াকান্দিতে যমুনার চর থেকে জীবিত উদ্ধার করা শিশু মমতা আক্তার বিথী (৭) এখন অনেকটা সুস্থ। হাসপাতালে চিকিৎসাধীন বিথীর পাশে রয়েছেন তার চাচা আব্দুল আউয়াল ও দাদা নজরুল ইসলাম। এছাড়া সঙ্গে রয়েছেন বিথীকে উদ্ধারকারী সেই পারভীন বেগম। তিনি নিজের সন্তানের মতো করে বিথীর সেবা করে যাচ্ছেন। পুরোপুরি সুস্থ না হওয়া পর্যন্ত বিথীর পাশে থাকবেন বলেও জানান তিনি।

বৃহস্পতিবার (৮ আগস্ট) সন্ধ্যায় সারিয়াকান্দি উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে বার্তাটোয়েন্টিফোর.কমের সঙ্গে কথা হয় পারভীন বেগমের। তিনি সারিয়াকান্দি উপজেলার ঘুঘুমারি শেখ পাড়া গ্রামের আব্দুল খালেকের স্ত্রী।

পারভীন বেগম জানান, বৃহস্পতিবার সকালে তিনি তার স্বামী, ভাশুর জালাল, জা আমিনর নেছা যমুনা নদীতে ভেসে আসা খড়ি ধরতে যান। সবাই নদীর পানিতে নেমে ভেসে আসা বিভিন্ন ডালপালা ধরার কাজে ব্যস্ত ছিলেন। এক সময় পারভীনের চোখে পড়ে বালু চরের মধ্যে একটি শিশু আটকা পড়ে আছে। প্রথমে লাশ ভেবে উদ্ধার করে নদীর পাড়ে টেনে তুলেন। তবে নদীর পাড়ে তোলার পরে বুঝতে পারেন বাচ্চাটি জীবিত। তার চোখ মুখ এবং নাক বালু দিয়ে বন্ধ। এরপর সঙ্গে সঙ্গে তাকে বাড়িতে নিয়ে গিয়ে পরিষ্কার করেন এবং সারিয়াকান্দি উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে যান।

সেখানে অক্সিজেন দিয়ে রাখা হয় শিশুটিকে। দুপুরের দিকে শিশুটির জ্ঞান ফিরলে নিজের নাম এবং বাড়ির ঠিকানা বলার পর আবারো জ্ঞান হারিয়ে ফেলে। বিকেলের দিকে তার আবার জ্ঞান ফিরে।

নাম ঠিকানা পাওয়ার পর থানা পুলিশ এবং স্থানীয় গণমাধ্যম কর্মীদের সহযোগিতায় তার স্বজনদের কাছে সংবাদ পাঠানো হয়। বিকেলে শিশুটির চাচা আব্দুল আউয়াল ও দাদা নজরুল ইসলাম সারিয়াকান্দি চলে আসেন।

বিথীর চাচা আব্দুল আউয়াল বার্তাটোয়েন্টিফোর.কমকে জানান, তাদের বাড়ি জামালপুর জেলার দেওয়ানগঞ্জ থানার চর হলকা হাওড়া বাড়িতে। বিথীর বাবা মঈন উদ্দিন ময়মনসিংহে একটি ফিড মিলে কাজ করেন। বুধবার (৭ আগস্ট) বিথী তার বড় ভাই নুরুল ইসলাম (৯) ও মা ফিরোজা বেগমের সঙ্গে জামালপুরের দেওয়ানগঞ্জ উপজেলার চুকাইবাড়ী ইউনিয়ন পরিষদ থেকে ত্রাণ নিয়ে নৌকা যোগে বাড়ি ফিরছিল। নৌকায় নারী, পুরুষ ও শিশুসহ ২৯ জন যাত্রী ছিল। নৌকাটি মাঝ নদীতে ডুবে যায়। বিথীসহ তার মা-ভাই নিখোঁজ হয়। সারারাত খোঁজ করে বৃহস্পতিবার সকালে ৬০ কিলোমিটার ভাটিতে চরের মধ্যে ফিরোজা এবং নুরুল ইসলামকে অজ্ঞান অবস্থায় উদ্ধার করা হয়। বিথীকে খুঁজে পাওয়া যাচ্ছিল না।

বিথীর বাবা মঈন উদ্দিন বার্তাটোয়েন্টিফোর.কমকে জানান, তিনি সংবাদ পেয়ে ময়মনসিংহ থেকে রওনা দিয়ে গাইবান্ধা হয়ে বৃহস্পতিবার বিকেলে বাড়ি ফিরেছেন। মেয়ের সঙ্গে কথা বলেছেন মোবাইল ফোনে।

তিনি আরও জানান, তার স্ত্রী ও দুই সন্তান বেঁচে থাকার কথা না। কিন্তু ভাগ্যক্রমে জীবিত আছেন তিনজনই।

সারিয়াকান্দি উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের চিকিৎসক ডা. রেজাউন নাহার উর্মি বার্তাটোয়েন্টিফোর.কমকে জানান, শিশুটির অবস্থা উন্নতির দিকে। শুক্রবার তাকে হাসপাতাল থেকে ছাড়পত্র দেয়া হবে।

উল্লেখ্য, বুধবার (৭ আগস্ট) রাতে জামালপুরের চর হাওড়াবাড়ী এলাকায় যমুনা নদীতে ২৯ জন যাত্রী নিয়ে নৌকাডুবিতে ৫ জন নিখোঁজ ছিল। বৃহস্পতিবার বিথী ও তার মা-ভাইকে জীবত উদ্ধার করা হয়। এখনো নিখোঁজ রয়েছে আরও ২ জন।

আরও পড়ুন:নৌকাডুবি, সারারাত নদীতে ভেসে থাকা শিশু জীবিত উদ্ধার

   

গড়াই নদীতে ডুবে যুবকের মৃত্যু



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, কুষ্টিয়া
ছবি প্রতীকী

ছবি প্রতীকী

  • Font increase
  • Font Decrease

কুষ্টিয়ার খোকসায় গড়াই নদীতে ডুবে সুমন (২০) নামে এক যুবকের মৃত্যু হয়েছে।

রোববার (৫ এপ্রিল) বিকেলে খোকসা উপজেলার গনেশপুর অংশে গড়াই নদী থেকে মরদেহ উদ্ধার করা হয়।

মৃত সুমন কুমারখালী উপজেলার রাজাপুর গ্রামের নিজাম উদ্দিনের ছেলে।

খোকসা ফায়ার সার্ভিস স্টেশনের ফায়ারম্যান হাবিবুর রহমান জানান, সকালের দিকে গড়াই নদীতে মাছ ধরতে যান সুমন। মাছ ধরার এক পর্যায়ে নদীতে ডুবে যান তিনি। বিকেলের দিকে স্থানীয়দের সহায়তায় তার মরদেহ উদ্ধার করে ফায়ার সার্ভিস।

;

কুমিল্লার নাঙ্গলকোটে বজ্রপাতে কিশোরের মৃত্যু



ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, কুমিল্লা
প্রতীকী ছবি

প্রতীকী ছবি

  • Font increase
  • Font Decrease

কুমিল্লার নাঙ্গলকোটে ফুটবল খেলার সময় বজ্রপাতে সাফায়েত হোসেন (১৯) নামে একজনের মৃত্যু হয়েছে। এ সময় সালাউদ্দিন (২২) নামের আরেক যুবক গুরুতর আহত হন।

রোববার (৫ এপ্রিল) এই বিকেলে এই ঘটনা ঘটে। তাদের উদ্ধার করে সন্ধ্যা সাড়ে ৬টার দিকে লাকসামের একটি ক্লিনিকে নেওয়া হলে কর্তব্যরত চিকিৎসক ওই কিশোরকে মৃত ঘোষণা করেন।

স্থানীয় সূত্র জানায়, উপজেলার আদ্রা দক্ষিণ ইউনিয়নের আটিয়াবাড়ি দক্ষিণপাড়া স্কুল বাড়ির আবদুল আউয়ালের ছেলে সাফায়াত হোসেন এদিন বিকেলে সহপাঠীদের সাথে পার্শ্ববর্তী ঘোড়াময়দান গ্রামের একটি মাঠে ফুটবল খেলতে যায়। বিকাল ৫টার দিকে খেলা চলা অবস্থায় আকস্মিক বজ্রপাতে সাফায়েতের পুরো শরীর ঝলসে যায়। তাৎক্ষনিকভাবে তাকে উদ্ধার করে লাকসামের একটি ক্লিনিকে নেয়া হলে সন্ধ্যায় কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন।

এছাড়া বজ্রপাতে ওই ঘোড়াময়দান গ্রামের নুরুল হকের ছেলে সালাউদ্দিন (২২) গুরুতর আহত হয়ে স্থানীয় একটি ক্লিনিকে চিকিৎসাধীন রয়েছে।

স্থানীয় ইউপি চেয়ারম্যান আবদুল ওহাব ঘটনার এ ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করেছেন।

;

লক্ষ্মী ভাইয়েরা বাসায় যান, নিজেসহ দেশকে বাঁচান



নাহিদ রেজা, স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, ঠাকুরগাঁও
ওসি তানভিরুল ইসলাম।

ওসি তানভিরুল ইসলাম।

  • Font increase
  • Font Decrease

আমার লক্ষ্মী ভাইয়েরা দয়া করে বাইরে ঘোরাঘুরি না করে বাসায় যান। নিজে বাঁচেন, পরিবারকে বাঁচান, দেশকে বাঁচান। সচেতন হোন।

ঠিক এসব কথা বলে করোনাভাইরাস প্রতিরোধে জনগণকে সচেতন করছেন ঠাকুরগাঁও সদর থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) তানভিরুল ইসলাম। মাঠ পর্যায়ে গিয়ে এভাবে সচেতন করায় সাধুবাদ জানিয়েছে সাধারণ মানুষ।

ঠাকুরগাঁও সদর উপজেলার রহিমানপুর ইউনিয়নের রেজাউল ইসলাম বলেন, ‘আমি ওষুধ কেনার জন্য স্থানীয় বাজারে এসেছিলাম। কিছুক্ষণ পর থানার একটি গাড়ি বাজারের সামনে এসে দাঁড়ায় এবং ওসি তানভিরুল সবাইকে বাসায় থাকার জন্য অনুরোধ করেন। এর আগে কখনো জনগণের সঙ্গে পুলিশের এমন ভালো আচরণ দেখি নাই।’

ঠাকুরগাঁও সদর উপজেলার চৌড়াস্তা মোড়ে কথা হয় জয়নাল নামে এক পথচারীর সঙ্গে। তিনি বলেন, ‘আমাদের জেলার পুলিশ সাধারণ জনগণের সঙ্গে ভালো ব্যবহার করছে। তাদের ভাই বলে বাসায় ফিরে যাওয়ার জন্য অনুরোধ করছে। ওসিসহ পুলিশের সদস্যরা নিজেদের কথা চিন্তা না করে আমাদের জন্য এ কাজটি করে যাচ্ছেন। তাদের ধন্যবাদ জানাই।’

স্থানীয় সাহাদত হোসেন নামে একজন বলেন,‘তানভিরুল ভাই একজন মানবিক পুলিশ অফিসার। তার জন্য শুভকামনা ও দোয়া রইল।’

ঠাকুরগাঁও সদর থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) তানভিরুল ইসলাম বার্তা২৪.কমকে বলেন, ‘করোনাভাইরাস নিয়ে আতঙ্কিত হওয়ার কিছু নেই। এ ভাইরাস প্রতিরোধে আমাদের সবাইকে সচেতন হতে হবে। সরকার যেসব দিক নির্দেশনা দিয়েছে সেগুলো মেনে চলতে হবে। জনগণের সঙ্গে খারাপ ব্যবহার না করে তাদের সচেতন করা হচ্ছে। এতে কাজও হচ্ছে।’

;

ডিবি পরিচয়ে মোবাইল ছিনতাই, যুবক গ্রেফতার



ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, নীলফামারী
গ্রেফতার আবেদ আলী।

গ্রেফতার আবেদ আলী।

  • Font increase
  • Font Decrease

নীলফামারীতে গোয়েন্দা পুলিশের (ডিবি) উপপরিদর্শক পরিচয়ে মোবাইল ছিনতাই করার অপরাধে আবেদ আলী (২৮) নামে এক যুবককে গ্রেফতার করেছে পুলিশ।

রোববার (৫ এপ্রিল) বিকেলে নীলফামারী সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মমিনুল ইসলাম এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।

আবেদ আলী সৈয়দপুর উপজেলার কাশিরাম বেলপুকুর ইউনিয়নের চওড়া গ্রামের খয়রাত হোসেনের ছেলে।

জানা গেছে, শনিবার (৪ এপ্রিল) দুপুরে জেলা সদরের কুন্দপুকুর ইউনিয়নের আঙ্গারপাড়া গ্রামে মোকছেদুল ইসলামসহ কয়েক যুবক মোবাইলে ভিডিও গেম খেলছিলেন। এ সময় আবেদ আলী নিজেকে সৈয়দপুর থানার ডিবি পুলিশের উপপরিদর্শক পরিচয় দিয়ে ওই যুবকদের কাছ থেকে মোবাইলটি নিয়ে যান। পরে এ বিষয়ে মোবাইলের মালিক মোকছেদুল ইসলাম সদর থানায় অভিযোগ করেন।

এরপর রোববার ভোরে আবেদ আলীর বাড়িতে অভিযান চালিয়ে তাকে গ্রেফতার করা হয়। ওই সময় তার কাছ থেকে ছিনতাই কাজে ব্যবহৃত একটি খেলনা পিস্তল ও ওয়্যারলেস সেট, একাধিক মোবাইল সিম এবং দুটি পরিচয়পত্র জব্দ করে পুলিশ।

নীলফামারী সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মমিনুল ইসলাম জানান, প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে ডিবি পুলিশের ভুয়া পরিচয়ে মোবাইল ছিনতাই করার সত্যতা স্বীকার করেছেন আবেদ আলী। এ ঘটনায় মামলা দায়ের করার পর আদালতের মাধ্যমে তাকে কারাগারে পাঠানো হয়েছে।

;