দেশের কয়েকটি জেলায় উদযাপিত হচ্ছে ঈদুল আজহা



কান্ট্রি ডেস্ক, বার্তাটোয়েন্টিফোর.কম
ছবি: বার্তাটোয়েন্টিফোর.কম।

ছবি: বার্তাটোয়েন্টিফোর.কম।

  • Font increase
  • Font Decrease

সৌদি আরবের সঙ্গে মিল রেখে বরিশাল, লালমনিরহাট, পাবনা, ঝিনাইদহ, ময়মনসিংহ, মাদারীপুরসহ দেশের কয়েকটি জেলায় পবিত্র ঈদুল আজহা উদযাপিত হচ্ছে।

বার্তাটোয়েন্টিফোর.কমের ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্টরা বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।

 

জানা গেছে, রোববার (১১ আগস্ট) সকালে বরিশাল নগরীর কয়েকটি ওয়ার্ড ও বিভিন্ন উপজেলায় ঈদুল আজহার নামাজের জামাত অনুষ্ঠিত হয়।

বরিশাল নগরীর প্রধান ও বৃহত্তর জামাত সকাল সাড়ে ৯টায় ২৩ নং ওয়ার্ডের ‘তাজকাঠি জাহাঁগিরিয়া শাহসুফি মমতাজিয়া জামে মসজিদ প্রাঙ্গণে অনুষ্ঠিত হয়। এছাড়াও নগরীর টিয়াখালী চৌধুরী বাড়ি দরবার শরিফ, জিয়া সড়কসহ বরিশাল সদর উপজেলার চাঁদকাঠী, চরকিউট্টা গ্রাম, বন্দর থানা সাহেবের হাটের পতাং গ্রামে কয়েকটি পরিবারের সদস্যরা কোরবানি ঈদের নামাজ আদায় করেন।

পাশাপাশি বরিশাল জেলার মেহেন্দিগঞ্জ উপজেলার তালুকদারচর গ্রাম, বাবুগঞ্জ উপজেলার ওলানকাঠির সরোয়ার খলিফার বাড়ি, খানপুরার জাহাঙ্গীর সিকদারের বাড়ি, মাধবপাশার সাদেক দুয়ারীর বাড়ি, কেদারপুর গ্রামের আবদুল মান্নান হাওলাদারের বাড়িতে পবিত্র ঈদুল আজহা উদযাপিত হচ্ছে।

গৌরনদী উপজেলার শরিকলের আকন বাড়িতে, মুলাদী উপজেলার শ্রীরামপুর ও বদরটুনী দরবার শরিফ, বাকেরগঞ্জ উপজেলার সুন্দরকাঠি, আফালকাঠিতে বইছে কোরবানির ঈদের আমেজ।

এই ঈদের আনন্দকে পরিবারের সঙ্গে উপভোগ করবে জেলার প্রায় আড়াই থেকে তিন হাজার মানুষ। এরা সবাই চট্টগ্রামের চন্দনাইশ উপজেলাস্থ জাহাঁগিরিয়া শাহসুফি মমতাজিয়া দরবার শরিফ ও সাতকানিয়া মির্জাখালী দরবার শরিফের অনুসারী। তারা হানাফি মাজহাবের মত আদর্শে বিশ্বাসী বলেই বিশ্বের যেকোনো দেশে চাঁদ দেখার উপর নির্ভর করে রোজা রাখা শুরু ও দুই ঈদের নামাজ আদায় করেন।

এদিকে সৌদি আরবের সঙ্গে মিল রেখে লালমনিরহাটের কালীগঞ্জ উপজেলার কয়েকটি গ্রামে পবিত্র ঈদুল আজহা উদযাপিত হচ্ছে।

রোববার সকাল ১০টার দিকে কালীগঞ্জ উপজেলার মুন্সিপাড়ায় পবিত্র ঈদুল আজহার নামাজ অনুষ্ঠিত হয়। নামাজে ইমামতি করেন মাওলানা আব্দুল হামিদ।

স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, কালীগঞ্জ উপজেলার তুষভান্ডার, সুন্দ্রহবী, কাকিনা, চাপারহাট, চন্দ্রপুর, আমিনগঞ্জ ও মুন্সীপাড়া গ্রামের প্রায় শতাধিক পরিবারের মুসল্লিরা রোববার পবিত্র ঈদুল আজহার নামাজ আদায় করেছেন। প্রতি বছর সৌদি আরবের সঙ্গে মিল রেখে একদিন আগে রোজা ও ঈদ করেন এসব গ্রামের মুসল্লিরা।

অপরদিকে পাবনার সুজানগর উপজেলার দুলাই ইউনিয়নের বদনপুর গ্রামে ১২ ঘরের ৬০-৭০ জন মুসল্লি ঈদের নামাজ আদায় করেছেন।

রোববার সকাল ১০টায় নকীবিয়া দরবার শরীফের মাওলানা আবুল কালাম আজাদ ঈদের জামাতের ইমামতি করেন।

ময়মনসিংহের গৌরীপুর উপজেলার বাহাদুরপুর সুরেশ্বর দরবার শরীফে পবিত্র ঈদ-উল-আজহার নামাজ অনুষ্ঠিত হয়েছে। রোববার সকাল ৯টা ৩০ মিনিটে ময়মনসিংহ, ঈশ্বরগঞ্জ, নান্দাইল, ফুলপুর, শম্ভুগঞ্জসহ বিভিন্ন স্থান থেকে ২ শতাধিক ভক্ত ঈদের জামাতে অংশগ্রহণ করেছেন।

ঝিনাইদহের হরিণাকুণ্ডু উপজেলার বেশ কয়েকটি গ্রামের শতাধিক পরিবারের মাঝে ঈদুল আজহা উদযাপিত হচ্ছে। রোববার সকাল ৮টায় হরিণাকুণ্ডু উপজেলা পরিষদ মোড়ে কামরুল ইসলাম বুলবুলের রাইস মিলের চাতালে ঈদের জামাত অনুষ্ঠিত হয়। জামাতে ইমামতি করেন মাওলানা রেজাউল ইসলাম।

এছাড়া ঈদুল আজহা উদযাপন করছে মাদারীপুরের চারটি উপজেলার ৩০ গ্রামের প্রায় ৪৫ হাজার মানুষ। জেলার বেশ কয়েকটি স্থানে ঈদের জামাত অনুষ্ঠিত হয়েছে। তবে বড় জামাত অনুষ্ঠিত হয়েছে মাদারীপুর সদর উপজেলার তাল্লুক গ্রামের চরকালিকাপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় মাঠে। রোববার সকাল সাড়ে ৯টায় এ জামাতের ইমামতি করেন ইমাম আবদুল হাসেম ফকির। জামাত শেষে একে অপরের সঙ্গে কোলাকুলি করে ঈদের আনন্দ ভাগাভাগি করে নেন।

   

কুষ্টিয়ায় আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে সংঘর্ষে আহত ৪



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, কুষ্টিয়া
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

কুষ্টিয়ায় আধিপত্য বিস্তার ও মসজিদ কমিটি কে কেন্দ্র করে আওয়ামী লীগের দুই পক্ষের সংঘর্ষে চারজন আহত হয়েছেন। তাদের স্থানীয়রা উদ্ধার করে কুষ্টিয়া জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি করেছে।

বুধবার (২৪ এপ্রিল) রাতে সদর উপজেলার ইবি থানার উজানগ্রাম ইউনিয়নের বিত্তিপাড়া গ্রামে এ সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে।

আহতরা হলেন- উপজেলার উজানগ্রাম ইউনিয়ন পরিষদের বিত্তিপাড়া গ্রামের মৃত কলিল মন্ডলের ছেলে জাহিদুর মন্ডল (৫৫), মৃত ফকির মন্ডলের ছেলে মনি মন্ডল (৬০), মৃত মকবুল মন্ডলের ছেলে খালেক মন্ডল (৫৫) ও মৃত আহসান আলীর ছেলে আক্কাস মন্ডল (৫০)।

আহতরা সবাই উজানগ্রামের বিত্তিপাড়া ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের সভাপতি আবুল হোসেন মেম্বারের সমর্থক।

আহতরা জানান, মাগরিবের নামাজের পরে বিত্তিপাড়া তেল পাম্পের নিকটে মোহিদের দোকানে বসে চা পান করছিলেন তারা। হঠাৎ করে উজানগ্রাম ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক আবু বক্কার সিদ্দীক ও তার লোকজন তাদের উপর দেশীয় অস্ত্র নিয়ে অতর্কিত হামলা চালায়।

স্থানীয় ও পুলিশ সূত্রে জানা গেছে , বিত্তিপাড়া গ্রামে প্রভাব বিস্তার নিয়ে দুপক্ষের বিরোধ অনেক পুরনো। একপক্ষে নেতৃত্ব দেন উজানগ্রাম ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক আবু বক্কার সিদ্দীক এবং অপরপক্ষে বিত্তিপাড়া ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের সভাপতি আবুল হোসেন মেম্বার।

বুধবারের এই ঘটনার আগে গ্রামের ঈদগাহ কমিটি নিয়ে এই দুপক্ষের মতানৈক্য চলছিল। এর আগে ঈদের (ঈদুল ফিতর) নামাজের পর বসে একটি কমিটি গঠনের প্রস্তাব করা হয়েছিল। কিন্তু ১১ এপ্রিল সকাল সাড়ে ৭টার দিকে গোশত কিনতে গিয়ে দু’পক্ষের কর্মী রশিদ ও জামালের মধ্যে কথা কাটাকাটি ও হাতাহাতি হয়।

এরপর ঈদগাহে আসার পথে বক্কার গ্রুপের লোকদের মারধর করা হয়। পরে সাড়ে ৮টার দিকে ঈদগাহের দখল নিয়ে দুপক্ষের তুমুল সংঘর্ষ হয়।

সংঘর্ষে বক্কার গ্রুপের যোয়াদ মণ্ডল, আব্দুল্লাহ, শাহীন ও বাবু এবং হোসেন মেম্বার গ্রুপের রাজা ও মিন্টু আহত হন। পূর্বের ঘটনার জেরে সর্বশেষ এই ঘটনা ঘটেছে।

সদর উপজেলার উজানগ্রাম ইউনিয়ন পরিষদের ৪, ৫, ৬ ওয়ার্ডের মহিলা মেম্বার মোছা. শারমিন আক্তার জানান, ‘আমার মাধ্যমে জেলা পরিষদ থেকে বিত্তিপাড়া জামে মসজিদের গেইটের জন্য এক লক্ষ টাকা অনুদান পাই। পরবর্তীতে আবু বক্কার সিদ্দীক মসজিদে গিয়ে দাবি করেন, তিনি এ টাকা জেলা পরিষদ থেকে নিয়ে এসেছেন, যা সম্পূর্ণ ভিত্তিহীন ও মিথ্যা। সে সময় তিনি দাবি করেন তাকে মসজিদ কমিটির সভাপতি বানাতে হবে। এই নিয়ে মসজিদে মধ্যে হট্টগোল বাঁধে।’

তিনি আরও বলেন, ‘এরপর হোসেন মেম্বারের লোকজন বাজারে গোশত কিনতে আসে। লোক মুখে শুনেছি, তখন সরদার পাড়ার জামাল পাগল অর্থাৎ জামাল খোড়া হোসেন মেম্বারের এক সমর্থককে মারধর করে। পরবর্তীতে উভয়পক্ষ সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়ে। সেই সংঘর্ষে ৭ জন আহত হয়। ওই মারামারি ঘটনা সমাধান না হওয়ার জের ধরে বুধবার অতর্কিতভাবে ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক আবু বাক্কার সিদ্দীকের সমর্থকরা হোসেন মেম্বারের সমর্থকদের উপর এই হামলা চালিয়েছে।’

তিনি আরও দাবি করেন, ‘জেলার শীর্ষ নেতারা উভয় পক্ষের লোকজনদের এক জায়গায় বসিয়ে এই মারামারি, এই সংঘর্ষ পুনরায় যাতে না হয়, সে বিষয়ে একটি সমাধান করে দেবেন। আমরা গ্রামের শান্তি চাই।’

কুষ্টিয়া ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয় থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. মামুন রহমান বিষয়টি নিশ্চিত করে বলেন, এলাকার আধিপত্য বিস্তার ও পূর্বশত্রুতার জেরে এই সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে। এ সংঘর্ষের ঘটনায় ৪ জন অহত হয়েছে। বর্তমানে তারা কুষ্টিয়া জেনারেল হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছে। বিত্তিপাড়া গ্রামে অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে। বর্তমানে এলাকার পরিস্থিতি পুলিশের নিয়ন্ত্রণে রয়েছে।

;

মাটি খননের সময়ে বেরিয়ে আসা মাইন ও মর্টার শেল বিস্ফোরণ



ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, নীলফামারী
ছবি: বার্তা২৪.কম

ছবি: বার্তা২৪.কম

  • Font increase
  • Font Decrease

নীলফামারীর কিশোরগঞ্জে মাটি খননের সময়ে বেরিয়ে আসা দুইটি মাইন ও একটি মর্টার শেল বিস্ফোরণ ঘটিয়েছে সেনাবাহিনীর বোম ডিসপোজাল ইউনিট।

বৃহস্পতিবার (২৫ এপ্রিল) সকালে উপজেলার ছিটরাজিব ক্যানেলের বাজার এলাকায় সেনাবাহিনীর বোম ডিসপোজাল ইউনিট বিস্ফোরণ ঘটায় ।

পুলিশ ও এলাকাবাসী সূত্রে জানা যায়, সোমবার (২২ এপ্রিল) বিকালে ছিটরাজিব ক্যানেলের বাজার এলাকায় ক্যানেলের পাশের এক পতিত জমি খননের সময়ে শ্রমিকরা থ্রি নট থ্রি রাইফেলের যন্ত্রাংশ, দুইটি মাইন ও একটি মটরসেল দেখতে পায়। পরে এলাকাবাসী জানাজানি হলে সবাই দেখতে ছুটে আসেন। সেসময় পুলিশকে খবর দিলে পুলিশ এসে তা উদ্ধার করে। পরে বোম ডিসপোজাল ইউনিটকে খবর দিলে তারা এসে বিস্ফোরণ করেন। ধারণা করা হয় উদ্ধারকৃত অস্ত্রগুলো মুক্তিযুদ্ধের সময় ব্যবহার করা হয়েছিল। উদ্ধারকৃত রাইফেলের যন্ত্রাংশ মরিচা ধরে অকেজো হয়ে পড়লেও মাইন ও মর্টার শেলটি তাজা ছিল।

এবিষয়ে কিশোরগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) পলাশ চন্দ্র মন্ডল বলেন, উদ্ধারকৃত রাইফেলের যন্ত্রাংশ মরিচা ধরে অকেজো হয়ে পড়লেও মাইন ও মর্টার শেলটি তাজা ছিল। সেনাবাহিনীর বোম ডিসপোজাল ইউনিট এসে সেগুলো বিস্ফোরণ করেন।

;

নওগাঁয় বৃষ্টির জন্য ইসতিসকার নামাজ আদায়



ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, নওগাঁ
ছবি: বার্তা২৪.কম

ছবি: বার্তা২৪.কম

  • Font increase
  • Font Decrease

নওগাঁর পত্নীতলায় তীব্র তাপদাহ হতে রক্ষা ও বৃষ্টি চেয়ে এবং জনজীবনে স্বস্তির আশায় নজিপুর পৌর শহরের শেখ রাসেল মিনি স্টেডিয়াম মাঠে সালাতুল ইসতিসকার বিশেষ নামাজ আদায় করেছেন ধর্মপ্রাণ মুসল্লিরা।

বৃহস্পতিবার (২৫ এপ্রিল) সকাল ৯ টায় তাপদাহ থেকে মুক্তি পেতে ও রহমতের বৃষ্টি বর্ষণের জন্য পত্নীতলা উপজেলার নজিপুর পৌর শহরের শেখ রাসেল মিনি স্টেডিয়াম মাঠে এ নামাজ আদায় করা হয় । এই নামাজের আয়োজন করেন সর্বস্তরের স্থানীয় মুসল্লিরা। এ সময় বিশেষ এই নামাজ আদায় করতে জড়ো হয় বিভিন্ন এলাকার শতশত ধর্মপ্রাণ মুসল্লিরা।

নামাজ আদায় শেষে আল্লাহপাকের রহমত কামনা করে তাপদাহ থেকে মুক্তি, ফসল রক্ষা এবং বৃষ্টি বর্ষণের জন্য আল্লাহর দরবারে হাত তুলে মোনাজাত করে ধর্মপ্রাণ মুসল্লিগণ। মোনাজাতে অংশগ্রহণ করেন এলাকার সর্বস্তরের মুসল্লিগণ।

নামাজে অংশ নেয়া মুসল্লি তরিকুল ইসলাম বলেন, গত দুই সপ্তাহ থেকে তীব্র তাপদাহ বইছে। প্রচণ্ড গরমে অতিষ্ঠ হয়ে পড়েছে সাধারণ মানুষ। এছাড়াও ধান ও আমের গুটির জন্য মারাত্মক ভয়ঙ্কর এই আবহাওয়া। এই মুহূর্তে বৃষ্টির পানির ভীষণ দরকার। তাই মহান সৃষ্টিকর্তার নিকট বৃষ্টির পানি চেয়ে ইসতিসকার নামাজ আদায় ও মোনাজাত করেছেন তিনি।

শাহারিয়ার শান্ত বলেন, হাদিসে রয়েছে মহানবী হযরত মুহাম্মদ (সা.) বলেছেন, দুইটা সময় জাহান্নাম নিশ্বাস ছাড়ে গ্রীষ্মকাল ও শীতকালে। অতিরিক্ত শীত যখন হয় তখন সৃষ্টিকর্তার কাছে প্রার্থনা করা হয় এবং অতিরিক্ত গরমেও সমস্যার সমাধানে দোয়া করা হয়। অতীতে আরব দেশে যখন এমন প্রখর রোদ আর গরম ছিল তখন হযরত মুহাম্মদ (সা.) গরম থেকে পরিত্রাণ চেয়ে সাহাবাদের নিয়ে এভাবেই আল্লাহর কাছে প্রার্থনা করেছিলেন। বৃষ্টি এবং তাপপ্রবাহ থেকে রেহাই পেতে ইসতিসকারের নামাজ আদায় করা হয়েছে। নামাজ শেষে দেশ ও জাতির জন্য কল্যাণ কামনা করা হয়। আল্লাহ চাইলে এ নামাজ কবুল করে রহমতের বৃষ্টি দিয়ে মানুষ, প্রাণিসহ সবািইকে শান্তিতে থাকার পরিবেশ করে দেবেন।

মাওলানা আব্দুল মুকিমের ইমামতিতে ইসতিসকার দুই রাকাত নামাজ আদায় করেন মুসল্লিরা। এরপর দেশ ও জাতির মঙ্গল কামনায় এবং সব মুসলমানদের জন্য দোয়া করা হয়।

;

পিরোজপুর বৃষ্টির জন্য অঝোরে কাঁদলেন মুসল্লিরা



ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, পিরোজপুর
ছবি: বার্তা২৪.কম

ছবি: বার্তা২৪.কম

  • Font increase
  • Font Decrease

বৃষ্টির জন্য অঝোরে কেঁদে কেঁদে আল্লাহর সাহায্য চাইলেন পিরোজপুর তাফহিমুল কোরআন মাদ্রাসার মাঠে নামাজ আদায় করতে আসা শতশত মুসল্লিরা।

বৃহস্পতিবার (২৫ এপ্রিল ) সকাল ৮টায় মাদরাসার মাঠে সালাতুল ইসতিসকার নামাজ অনুষ্ঠিত হয়। বিশেষ এ নামাজে সদর উপজেলার বিভিন্ন এলাকার শতশত মুসল্লি অংশগ্রহণ করেন।

নামাজের ইমামতি করান বাইতুস সালাত জামে মসজিদ এর খতিব মাও: আব্দুল হালিম। তিনি বলেন, দীর্ঘদিন বৃষ্টি না হওয়ায় মানুষ খুব বিপদে আছে। বৃষ্টি
বা পানির জন্য আল্লাহ সালাতের মাধ্যমে চাইতে বলেছেন। আল্লাহর কাছে চাওয়া সুন্নাত। নামাজের মাধ্যমে কেঁদে কেঁদে আল্লাহর সাহায্য চাইলে আল্লাহ তা বান্দাদের দিয়ে থাকেন। তাই নামাজের মাধ্যমে আল্লাহর কাছে বৃষ্টির জন্য এই আয়োজন।

;