আশ্রয়ণ প্রকল্পে মানবেতর জীবন-যাপন



সোহেল মিয়া, স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, রাজবাড়ী, বার্তাটোয়েন্টিফোর.কম
আশ্রয়ণ এর বাসিন্দারা মানবেতর জীবনযাপন করছে, ছবি: বার্তাটোয়েন্টিফোর.কম

আশ্রয়ণ এর বাসিন্দারা মানবেতর জীবনযাপন করছে, ছবি: বার্তাটোয়েন্টিফোর.কম

  • Font increase
  • Font Decrease

রাজবাড়ীর বালিয়াকান্দি উপজেলার বহরপুর ইউনিয়নে অবস্থিত অসহায় মানুষের জন্য প্রতিষ্ঠিত বারুগ্রাম আশ্রয়ণের ৬১টি পরিবারের প্রায় দুই শতাধিক মানুষ নানা সমস্যায় জর্জরিত। মানবেতর জীবন যাপনের পাশাপাশি অস্বাস্থ্যকর পরিবেশে বেড়ে উঠছে এখানকার শিশুরা।

তবে প্রশাসন বলছে আশ্রয়ণের বাসিন্দাদের যে সমস্যাটুকু রয়েছে তা খুব অচিরেই সমাধান করা হবে। কারণ এরই মধ্যে আশ্রয়ণের নানা সমস্যা চিহিৃত করে বড় একটি প্রকল্প তৈরি করে অর্থ চেয়ে প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের আশ্রয়ণ-২ প্রকল্পের প্রকল্প পরিচালকের কাছে একটি প্রস্তাবনা পাঠানো হয়েছে। অর্থ বরাদ্দ পেলেই আশ্রয়ণের সার্বিক উন্নয়ন কার্যক্রম শুরু করা হবে।

https://img.imageboss.me/width/700/quality:100/https://img.barta24.com/uploads/news/2019/Aug/20/1566279467620.jpg

অনুসন্ধানে জানা যায়, ৮ একর ৩২ শতাংশ খাস জমির ওপর ২০০৮ সালে বর্তমান আওয়ামীলীগ সরকার যাদের মাথা গোজার ঠাঁই নেই তাদের জন্য বারুগ্রাম আশ্রয়ণ প্রকল্প নির্মাণ করে। এই আশ্রয়ণটিতে ১৮০টি পরিবারের থাকার জন্য ১৮টি ব্র্যাক তৈরি করা হয়। আর প্রতিটি ব্র্যাকের জন্য দুটি করে টয়লেট ও নলকূপের ব্যবস্থা করা হয়। আশ্রয়ণের শুরুর দিকে ১৮০টি পরিবার থাকলেও এখন রয়েছে মাত্র ৬১টি পরিবার। নানা সমস্যার কারণে ১১৯টি পরিবার অন্যত্র চলে গেছে।

সরেজমিন গিয়ে দেখা যায়, আশ্রয়ণের মধ্যে ছোট রাস্তাটি চলাচলের একেবারেই অনুপযোগী হয়ে পড়েছে। সামান্য বৃষ্টি হলে চলাচল কঠিন হয়ে যায়। এখানকার মানুষের জন্য নেই পর্যাপ্ত কোনো স্বাস্থ্যসম্মত স্যানিটেশন ও নিরাপদ পানির ব্যবস্থা। আশ্রয়ণের বাসিন্দাদের জন্য নির্মিত টয়লেটের সবগুলোই নষ্ট। অন্যদিকে ৬১টি পরিবারের জন্য মাত্র ৬টি টিউবওয়েল রয়েছে। বাকি সবগুলোই নষ্ট। আশ্রয়ণে যারা থাকছে তাদের থাকার ঘরগুলো দীর্ঘদিন সংস্কার না হওয়ায় সেগুলো এখন বসবাসের অনুপযোগী হয়ে পড়ছে।

https://img.imageboss.me/width/700/quality:100/https://img.barta24.com/uploads/news/2019/Aug/20/1566279480912.jpg

অন্যদিকে, আশ্রয়ণটির বাসিন্দাদের নিরাপত্তার জন্য নেই কোনো বেষ্টনী। আশ্রয়ণটি খোলা মাঠের মধ্যে হওয়ায় সেখানে দিনরাত বহিরাগত বিভিন্ন মানুষ অবাধ যাতায়াত করছে। ফলে নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছে এই পল্লীর বাসিন্দারা।

আশ্রয়ণের একাধিক বাসিন্দা বার্তাটোয়েন্টিফোর.কমকে বলেন, ‘আমরা এখানে ১১ বছর ধরে বাস করছি। সরকার আমাদের যা দেয় তাতে আমরা খুশি। কারণ আমাদের মাথা গোঁজার মতো কোনো জায়গা ছিলনা। তবে এই আশ্রয়ণটি তৈরি হওয়ার পর এখানে উল্লেখযোগ্য কোনো সংস্কার কাজ করা হয়নি। যার কারণে এখানে আমাদের নানা সমস্যা হচ্ছে। আমাদের এখানে টয়লেট নষ্ট, নলকূপ একেবারেই অল্প সংখ্যক। আশ্রয়ণের মধ্যে যে রাস্তা রয়েছে বৃষ্টি হলে আর চলতে পারিনা। আশ্রয়ণের চারপাশেই খোলা। রাতে আমরা নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছি।’

https://img.imageboss.me/width/700/quality:100/https://img.barta24.com/uploads/news/2019/Aug/20/1566279493855.jpg

বারুগ্রাম আশ্রয়ণ প্রকল্প সমবায় সমিতির সভাপতি আব্দুল আজিজ মোল্লা বার্তাটোয়েন্টিফোর.কমকে বলেন, ‘আশ্রয়ণে কিছু সমস্যা রয়েছে। আমরা সমস্যাগুলোর কথা প্রশাসনকে জানিয়েছি। তারা বলেছে খুব দ্রুতই সমস্যার সমাধান করা হবে।’

বালিয়াকান্দি উপজেলা নির্বাহী অফিসার ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট ইশরাত জাহান বার্তাটোয়েন্টিফোর.কমকে বলেন, ‘আশ্রয়ণ প্রকল্পটিতে মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর বিশেষ নজরদারি রয়েছে। আমরা বারুগ্রাম আশ্রয়ণের উন্নয়নের জন্য এরই মধ্যে ৭৩ লক্ষ ৩৭ হাজার ৬৪৮ টাকার একটি প্রকল্প তৈরি করে প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের আশ্রয়ণ-২ প্রকল্পের প্রকল্প পরিচালকের কাছে একটি প্রস্তাবনা পাঠিয়েছি। অর্থ বরাদ্দ পেলেই আমরা দ্রুতগতিতে আশ্রয়ণের সকল সমস্যা দূর করার চেষ্টা করব।’

   

গড়াই নদীতে ডুবে যুবকের মৃত্যু



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, কুষ্টিয়া
ছবি প্রতীকী

ছবি প্রতীকী

  • Font increase
  • Font Decrease

কুষ্টিয়ার খোকসায় গড়াই নদীতে ডুবে সুমন (২০) নামে এক যুবকের মৃত্যু হয়েছে।

রোববার (৫ এপ্রিল) বিকেলে খোকসা উপজেলার গনেশপুর অংশে গড়াই নদী থেকে মরদেহ উদ্ধার করা হয়।

মৃত সুমন কুমারখালী উপজেলার রাজাপুর গ্রামের নিজাম উদ্দিনের ছেলে।

খোকসা ফায়ার সার্ভিস স্টেশনের ফায়ারম্যান হাবিবুর রহমান জানান, সকালের দিকে গড়াই নদীতে মাছ ধরতে যান সুমন। মাছ ধরার এক পর্যায়ে নদীতে ডুবে যান তিনি। বিকেলের দিকে স্থানীয়দের সহায়তায় তার মরদেহ উদ্ধার করে ফায়ার সার্ভিস।

;

কুমিল্লার নাঙ্গলকোটে বজ্রপাতে কিশোরের মৃত্যু



ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, কুমিল্লা
প্রতীকী ছবি

প্রতীকী ছবি

  • Font increase
  • Font Decrease

কুমিল্লার নাঙ্গলকোটে ফুটবল খেলার সময় বজ্রপাতে সাফায়েত হোসেন (১৯) নামে একজনের মৃত্যু হয়েছে। এ সময় সালাউদ্দিন (২২) নামের আরেক যুবক গুরুতর আহত হন।

রোববার (৫ এপ্রিল) এই বিকেলে এই ঘটনা ঘটে। তাদের উদ্ধার করে সন্ধ্যা সাড়ে ৬টার দিকে লাকসামের একটি ক্লিনিকে নেওয়া হলে কর্তব্যরত চিকিৎসক ওই কিশোরকে মৃত ঘোষণা করেন।

স্থানীয় সূত্র জানায়, উপজেলার আদ্রা দক্ষিণ ইউনিয়নের আটিয়াবাড়ি দক্ষিণপাড়া স্কুল বাড়ির আবদুল আউয়ালের ছেলে সাফায়াত হোসেন এদিন বিকেলে সহপাঠীদের সাথে পার্শ্ববর্তী ঘোড়াময়দান গ্রামের একটি মাঠে ফুটবল খেলতে যায়। বিকাল ৫টার দিকে খেলা চলা অবস্থায় আকস্মিক বজ্রপাতে সাফায়েতের পুরো শরীর ঝলসে যায়। তাৎক্ষনিকভাবে তাকে উদ্ধার করে লাকসামের একটি ক্লিনিকে নেয়া হলে সন্ধ্যায় কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন।

এছাড়া বজ্রপাতে ওই ঘোড়াময়দান গ্রামের নুরুল হকের ছেলে সালাউদ্দিন (২২) গুরুতর আহত হয়ে স্থানীয় একটি ক্লিনিকে চিকিৎসাধীন রয়েছে।

স্থানীয় ইউপি চেয়ারম্যান আবদুল ওহাব ঘটনার এ ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করেছেন।

;

লক্ষ্মী ভাইয়েরা বাসায় যান, নিজেসহ দেশকে বাঁচান



নাহিদ রেজা, স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, ঠাকুরগাঁও
ওসি তানভিরুল ইসলাম।

ওসি তানভিরুল ইসলাম।

  • Font increase
  • Font Decrease

আমার লক্ষ্মী ভাইয়েরা দয়া করে বাইরে ঘোরাঘুরি না করে বাসায় যান। নিজে বাঁচেন, পরিবারকে বাঁচান, দেশকে বাঁচান। সচেতন হোন।

ঠিক এসব কথা বলে করোনাভাইরাস প্রতিরোধে জনগণকে সচেতন করছেন ঠাকুরগাঁও সদর থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) তানভিরুল ইসলাম। মাঠ পর্যায়ে গিয়ে এভাবে সচেতন করায় সাধুবাদ জানিয়েছে সাধারণ মানুষ।

ঠাকুরগাঁও সদর উপজেলার রহিমানপুর ইউনিয়নের রেজাউল ইসলাম বলেন, ‘আমি ওষুধ কেনার জন্য স্থানীয় বাজারে এসেছিলাম। কিছুক্ষণ পর থানার একটি গাড়ি বাজারের সামনে এসে দাঁড়ায় এবং ওসি তানভিরুল সবাইকে বাসায় থাকার জন্য অনুরোধ করেন। এর আগে কখনো জনগণের সঙ্গে পুলিশের এমন ভালো আচরণ দেখি নাই।’

ঠাকুরগাঁও সদর উপজেলার চৌড়াস্তা মোড়ে কথা হয় জয়নাল নামে এক পথচারীর সঙ্গে। তিনি বলেন, ‘আমাদের জেলার পুলিশ সাধারণ জনগণের সঙ্গে ভালো ব্যবহার করছে। তাদের ভাই বলে বাসায় ফিরে যাওয়ার জন্য অনুরোধ করছে। ওসিসহ পুলিশের সদস্যরা নিজেদের কথা চিন্তা না করে আমাদের জন্য এ কাজটি করে যাচ্ছেন। তাদের ধন্যবাদ জানাই।’

স্থানীয় সাহাদত হোসেন নামে একজন বলেন,‘তানভিরুল ভাই একজন মানবিক পুলিশ অফিসার। তার জন্য শুভকামনা ও দোয়া রইল।’

ঠাকুরগাঁও সদর থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) তানভিরুল ইসলাম বার্তা২৪.কমকে বলেন, ‘করোনাভাইরাস নিয়ে আতঙ্কিত হওয়ার কিছু নেই। এ ভাইরাস প্রতিরোধে আমাদের সবাইকে সচেতন হতে হবে। সরকার যেসব দিক নির্দেশনা দিয়েছে সেগুলো মেনে চলতে হবে। জনগণের সঙ্গে খারাপ ব্যবহার না করে তাদের সচেতন করা হচ্ছে। এতে কাজও হচ্ছে।’

;

ডিবি পরিচয়ে মোবাইল ছিনতাই, যুবক গ্রেফতার



ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, নীলফামারী
গ্রেফতার আবেদ আলী।

গ্রেফতার আবেদ আলী।

  • Font increase
  • Font Decrease

নীলফামারীতে গোয়েন্দা পুলিশের (ডিবি) উপপরিদর্শক পরিচয়ে মোবাইল ছিনতাই করার অপরাধে আবেদ আলী (২৮) নামে এক যুবককে গ্রেফতার করেছে পুলিশ।

রোববার (৫ এপ্রিল) বিকেলে নীলফামারী সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মমিনুল ইসলাম এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।

আবেদ আলী সৈয়দপুর উপজেলার কাশিরাম বেলপুকুর ইউনিয়নের চওড়া গ্রামের খয়রাত হোসেনের ছেলে।

জানা গেছে, শনিবার (৪ এপ্রিল) দুপুরে জেলা সদরের কুন্দপুকুর ইউনিয়নের আঙ্গারপাড়া গ্রামে মোকছেদুল ইসলামসহ কয়েক যুবক মোবাইলে ভিডিও গেম খেলছিলেন। এ সময় আবেদ আলী নিজেকে সৈয়দপুর থানার ডিবি পুলিশের উপপরিদর্শক পরিচয় দিয়ে ওই যুবকদের কাছ থেকে মোবাইলটি নিয়ে যান। পরে এ বিষয়ে মোবাইলের মালিক মোকছেদুল ইসলাম সদর থানায় অভিযোগ করেন।

এরপর রোববার ভোরে আবেদ আলীর বাড়িতে অভিযান চালিয়ে তাকে গ্রেফতার করা হয়। ওই সময় তার কাছ থেকে ছিনতাই কাজে ব্যবহৃত একটি খেলনা পিস্তল ও ওয়্যারলেস সেট, একাধিক মোবাইল সিম এবং দুটি পরিচয়পত্র জব্দ করে পুলিশ।

নীলফামারী সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মমিনুল ইসলাম জানান, প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে ডিবি পুলিশের ভুয়া পরিচয়ে মোবাইল ছিনতাই করার সত্যতা স্বীকার করেছেন আবেদ আলী। এ ঘটনায় মামলা দায়ের করার পর আদালতের মাধ্যমে তাকে কারাগারে পাঠানো হয়েছে।

;