রিফাত হত্যা: পুলিশ প্রতিবেদন বৃহস্পতিবার



ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট, বার্তাটোয়েন্টিফোর.কম, বরগুনা
রিফতাকে কুপিয়ে আঘাত করার সময় তার স্ত্রী থামানোর চেষ্টা করেন, ছবি: সংগৃহীত

রিফতাকে কুপিয়ে আঘাত করার সময় তার স্ত্রী থামানোর চেষ্টা করেন, ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

বরগুনায় আলোচিত রিফাত শরীফ হত্যা মামলার পুলিশ প্রতিবেদন (চার্জশিট) আগামী বৃহস্পতিবার (২২ আগস্ট) দেওয়ার কথা রয়েছে। বরগুনার জ্যেষ্ঠ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট মোহাম্মদ সিরাজুল ইসলাম গাজীর আদালতে এ চার্জশিট দেবে পুলিশ।

এর আগে ১৪ আগস্ট মামলার আসামিদের নিয়মিত হাজিরায় চার্জশিট দেওয়ার কথা ছিল। কিন্তু ওইদিন প্রতিবেদন জমা দিতে না পারায় নতুন করে আগামী ২২ আগস্ট পুলিশের প্রতিবেদন দাখিলের তারিখ ধার্য করেন আদালত।

রিফাতা হত্যা মামলার এজাহারভুক্ত সাতজন ও জড়িত থাকার সন্দেহ আটজনকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। তবে এজাহারভুক্ত পাঁচজনকে এখনো গ্রেফতার করতে পারেনি। অন্যদিকে প্রধান আসামি নয়ন বন্ড গত ২ জুলাই পুলিশের সঙ্গে বন্দুকযুদ্ধে নিহত হয়েছেন।

আরও পড়ুন: মিন্নির রিমান্ড ও জবানবন্দির তথ্য জানতে চান হাইকোর্ট

এজাহারভুক্ত গ্রেফতার আসামিরা হলেন- রিফাত ফরাজী, রিশান ফরাজী, চন্দন সরকার, রাব্বি আকন, হাসান, অলি, টিকটক হৃদয়।

জড়িত সন্দেহে গ্রেফতারকৃতরা হলেন- নিহত রিফাতের স্ত্রী আয়শা সিদ্দিকা মিন্নি, সাগর, কামরুল ইসলাম সাইমুন, আরিয়ান শ্রাবন, রাফিউল ইসলাম রাব্বি, তানভীর, নাজমুল হাসান, রাতুল সিকদার। গ্রেফতারকৃত মিন্নিসহ ১৫ জন এই হত্যার সঙ্গে প্রত্যক্ষ বা পরোক্ষভাবে জড়িত থাকার বিষয়ে আদালতে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিয়েছেন।

এদিকে, এজাহারভুক্ত পাঁচজন হলেন- ৭ নম্বর আসামি মোহাইমিনুল ইসলাম সিফাত, ৫নম্বর আসামি মুসা বন্ড, ৮ নম্বর আসামি রায়হান ও ১০ নম্বর আসামি রিফাত হাওলাদারকে এখনো পুলিশ গ্রেফতার করতে পারেনি।

মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা বরগুনা থানার পরিদর্শক মো. হুমায়ুন কবির জানান, প্রতিবেদন তৈরি করতে না পারায় ১৪ আগস্ট ধার্যকৃত তারিখে আদালতে দাখিল করতে পারেননি। তবে পরবর্তী তারিখ ২২ আগস্ট প্রতিবেদন দাখিল করতে পারবেন বলে আশা ব্যক্ত করেছেন তিনি।

আরও পড়ুন: মিন্নিকে কেন জামিন নয়, হাইকোর্টের রুল

মামলার প্রধান সাক্ষী আয়শা সিদ্দিকা মিন্নিকে গত ১৬ জুলাই রাতে পুলিশ গ্রেফতার করেছে। পরেরদিন তাকে পাঁচ দিনের রিমান্ডে নেওয়া হয়। তার দুদিন পরে মিন্নিকে আদালতে হাজির করে ১৬৪ ধারায় স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি রেকর্ড করা হয়। গত ৩১ জুলাই সেই স্বীকারোক্তি প্রত্যাহারের জন্য মিন্নি কারা কর্তৃপক্ষের মাধ্যমে বরগুনার জ্যেষ্ঠ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট মোহাম্মদ সিরাজুল ইসলাম গাজীর আদালতে আবেদন করেছেন। বিচারক তার আবেদন গ্রহণ করে নথিভুক্ত করেছেন।

মিন্নিকে গ্রেফতারের পরে বরগুনার পুলিশ সুপার মো. মারুফ হোসেন বলেছিলেন, ‘রিফাত হত্যার পরিকল্পনার সঙ্গে মিন্নি জড়িত। পরবর্তীতে বলেছেন, হত্যাকারী অনেকের সঙ্গে মিন্নির আগে ও পরে কথা হয়েছে। হত্যার পরিকল্পনাকারী হিসেবে মিন্নির নাম চার্জশিটে যুক্ত হবে, এটা অনেকটা নিশ্চিত।’

মিন্নির আইনজীবী অ্যাডভোকেট মাহাবুবুল বারী আসলাম জানান, গত ৩০ জুলাই তদন্তকারী কর্মকর্তার প্রতিবেদন দাখিলের কথা ছিল। ওই তারিখে তিনি প্রতিবেদন দাখিল করতে পারেননি। আজকেরও পুলিশ প্রতিবেদন দাখিল করতে পারেননি। তবে বৃহস্পতিবার পুলিশের রির্পোট দাখিল করবে।

তিনি আরও জানান, রিফাত হত্যার সঙ্গে জড়িত থাকা আসামিদের নাম উল্লেখ করে মামলার তদন্ত কর্মকর্তা প্রতিবেদন করলে এবং বিচারক তা গ্রহণ করলে সেটিই চার্জশিট হিসেবে গণ্য হবে।

আরও পড়ুন: মিন্নির জবানবন্দির আগে এসপির সংবাদ সম্মেলন, প্রশ্ন হাইকোর্টের

অন্যদিকে, রিফাত শরীফ হত্যা মামলায় তার স্ত্রী আয়শা সিদ্দিকা মিন্নিকে কেন জামিন দেওয়া হবে না, তা জানতে চেয়ে এক সপ্তাহের রুল জারি করেছেন হাইকোর্ট। একইসঙ্গে আগামী ২৮ আগস্ট মামলার তদন্ত কর্মকর্তাকে কেস ডকেট নিয়ে হাইকোর্টে হাজির হতে বলা হয়েছে। তাছাড়া মিন্নির সংশ্লিষ্টতার বিষয় জানিয়ে করা সংবাদ সম্মেলনের বিষয়ে পুলিশ সুপারকে লিখিত ব্যাখ্যা দিতে বলা হয়েছে। বিচারপতি এম ইনায়েতুর রহিম ও বিচারপতি মো. মোস্তাফিজুর রহমানের হাইকোর্ট বেঞ্চ গত মঙ্গলবার (২০ আগস্ট) এ আদেশ দেন।

মিন্নিকে কখন গ্রেফতার করা হয়েছে, আদালতে নেওয়া হয়েছে ও কোথায় কখন জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়েছে এবং পুলিশ সুপার কবে তার সংশ্লিষ্টতার বিষয়ে সংবাদ সম্মেলন করেছেন, তা সুস্পষ্টভাবে জানতে চেয়েছেন হাইকোর্ট।

উল্লেখ্য, গত ২৬ জুন সকালে বরগুনা সরকারি কলেজ গেটের সামনে প্রকাশ্যে রিফাতকে কুপিয়ে আহত করা হয়। গুরুতর আহত অবস্থায় বরিশাল নেওয়ার পর তিনি মারা যায়। এ ঘটনায় রিফাতের বাবা আবদুল হালিম দুলাল শরীফ বাদী হয়ে ১২ জনকে আসামি করে বরগুনা থানায় হত্যা মামলা করেছে।

   

গড়াই নদীতে ডুবে যুবকের মৃত্যু



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, কুষ্টিয়া
ছবি প্রতীকী

ছবি প্রতীকী

  • Font increase
  • Font Decrease

কুষ্টিয়ার খোকসায় গড়াই নদীতে ডুবে সুমন (২০) নামে এক যুবকের মৃত্যু হয়েছে।

রোববার (৫ এপ্রিল) বিকেলে খোকসা উপজেলার গনেশপুর অংশে গড়াই নদী থেকে মরদেহ উদ্ধার করা হয়।

মৃত সুমন কুমারখালী উপজেলার রাজাপুর গ্রামের নিজাম উদ্দিনের ছেলে।

খোকসা ফায়ার সার্ভিস স্টেশনের ফায়ারম্যান হাবিবুর রহমান জানান, সকালের দিকে গড়াই নদীতে মাছ ধরতে যান সুমন। মাছ ধরার এক পর্যায়ে নদীতে ডুবে যান তিনি। বিকেলের দিকে স্থানীয়দের সহায়তায় তার মরদেহ উদ্ধার করে ফায়ার সার্ভিস।

;

কুমিল্লার নাঙ্গলকোটে বজ্রপাতে কিশোরের মৃত্যু



ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, কুমিল্লা
প্রতীকী ছবি

প্রতীকী ছবি

  • Font increase
  • Font Decrease

কুমিল্লার নাঙ্গলকোটে ফুটবল খেলার সময় বজ্রপাতে সাফায়েত হোসেন (১৯) নামে একজনের মৃত্যু হয়েছে। এ সময় সালাউদ্দিন (২২) নামের আরেক যুবক গুরুতর আহত হন।

রোববার (৫ এপ্রিল) এই বিকেলে এই ঘটনা ঘটে। তাদের উদ্ধার করে সন্ধ্যা সাড়ে ৬টার দিকে লাকসামের একটি ক্লিনিকে নেওয়া হলে কর্তব্যরত চিকিৎসক ওই কিশোরকে মৃত ঘোষণা করেন।

স্থানীয় সূত্র জানায়, উপজেলার আদ্রা দক্ষিণ ইউনিয়নের আটিয়াবাড়ি দক্ষিণপাড়া স্কুল বাড়ির আবদুল আউয়ালের ছেলে সাফায়াত হোসেন এদিন বিকেলে সহপাঠীদের সাথে পার্শ্ববর্তী ঘোড়াময়দান গ্রামের একটি মাঠে ফুটবল খেলতে যায়। বিকাল ৫টার দিকে খেলা চলা অবস্থায় আকস্মিক বজ্রপাতে সাফায়েতের পুরো শরীর ঝলসে যায়। তাৎক্ষনিকভাবে তাকে উদ্ধার করে লাকসামের একটি ক্লিনিকে নেয়া হলে সন্ধ্যায় কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন।

এছাড়া বজ্রপাতে ওই ঘোড়াময়দান গ্রামের নুরুল হকের ছেলে সালাউদ্দিন (২২) গুরুতর আহত হয়ে স্থানীয় একটি ক্লিনিকে চিকিৎসাধীন রয়েছে।

স্থানীয় ইউপি চেয়ারম্যান আবদুল ওহাব ঘটনার এ ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করেছেন।

;

লক্ষ্মী ভাইয়েরা বাসায় যান, নিজেসহ দেশকে বাঁচান



নাহিদ রেজা, স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, ঠাকুরগাঁও
ওসি তানভিরুল ইসলাম।

ওসি তানভিরুল ইসলাম।

  • Font increase
  • Font Decrease

আমার লক্ষ্মী ভাইয়েরা দয়া করে বাইরে ঘোরাঘুরি না করে বাসায় যান। নিজে বাঁচেন, পরিবারকে বাঁচান, দেশকে বাঁচান। সচেতন হোন।

ঠিক এসব কথা বলে করোনাভাইরাস প্রতিরোধে জনগণকে সচেতন করছেন ঠাকুরগাঁও সদর থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) তানভিরুল ইসলাম। মাঠ পর্যায়ে গিয়ে এভাবে সচেতন করায় সাধুবাদ জানিয়েছে সাধারণ মানুষ।

ঠাকুরগাঁও সদর উপজেলার রহিমানপুর ইউনিয়নের রেজাউল ইসলাম বলেন, ‘আমি ওষুধ কেনার জন্য স্থানীয় বাজারে এসেছিলাম। কিছুক্ষণ পর থানার একটি গাড়ি বাজারের সামনে এসে দাঁড়ায় এবং ওসি তানভিরুল সবাইকে বাসায় থাকার জন্য অনুরোধ করেন। এর আগে কখনো জনগণের সঙ্গে পুলিশের এমন ভালো আচরণ দেখি নাই।’

ঠাকুরগাঁও সদর উপজেলার চৌড়াস্তা মোড়ে কথা হয় জয়নাল নামে এক পথচারীর সঙ্গে। তিনি বলেন, ‘আমাদের জেলার পুলিশ সাধারণ জনগণের সঙ্গে ভালো ব্যবহার করছে। তাদের ভাই বলে বাসায় ফিরে যাওয়ার জন্য অনুরোধ করছে। ওসিসহ পুলিশের সদস্যরা নিজেদের কথা চিন্তা না করে আমাদের জন্য এ কাজটি করে যাচ্ছেন। তাদের ধন্যবাদ জানাই।’

স্থানীয় সাহাদত হোসেন নামে একজন বলেন,‘তানভিরুল ভাই একজন মানবিক পুলিশ অফিসার। তার জন্য শুভকামনা ও দোয়া রইল।’

ঠাকুরগাঁও সদর থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) তানভিরুল ইসলাম বার্তা২৪.কমকে বলেন, ‘করোনাভাইরাস নিয়ে আতঙ্কিত হওয়ার কিছু নেই। এ ভাইরাস প্রতিরোধে আমাদের সবাইকে সচেতন হতে হবে। সরকার যেসব দিক নির্দেশনা দিয়েছে সেগুলো মেনে চলতে হবে। জনগণের সঙ্গে খারাপ ব্যবহার না করে তাদের সচেতন করা হচ্ছে। এতে কাজও হচ্ছে।’

;

ডিবি পরিচয়ে মোবাইল ছিনতাই, যুবক গ্রেফতার



ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, নীলফামারী
গ্রেফতার আবেদ আলী।

গ্রেফতার আবেদ আলী।

  • Font increase
  • Font Decrease

নীলফামারীতে গোয়েন্দা পুলিশের (ডিবি) উপপরিদর্শক পরিচয়ে মোবাইল ছিনতাই করার অপরাধে আবেদ আলী (২৮) নামে এক যুবককে গ্রেফতার করেছে পুলিশ।

রোববার (৫ এপ্রিল) বিকেলে নীলফামারী সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মমিনুল ইসলাম এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।

আবেদ আলী সৈয়দপুর উপজেলার কাশিরাম বেলপুকুর ইউনিয়নের চওড়া গ্রামের খয়রাত হোসেনের ছেলে।

জানা গেছে, শনিবার (৪ এপ্রিল) দুপুরে জেলা সদরের কুন্দপুকুর ইউনিয়নের আঙ্গারপাড়া গ্রামে মোকছেদুল ইসলামসহ কয়েক যুবক মোবাইলে ভিডিও গেম খেলছিলেন। এ সময় আবেদ আলী নিজেকে সৈয়দপুর থানার ডিবি পুলিশের উপপরিদর্শক পরিচয় দিয়ে ওই যুবকদের কাছ থেকে মোবাইলটি নিয়ে যান। পরে এ বিষয়ে মোবাইলের মালিক মোকছেদুল ইসলাম সদর থানায় অভিযোগ করেন।

এরপর রোববার ভোরে আবেদ আলীর বাড়িতে অভিযান চালিয়ে তাকে গ্রেফতার করা হয়। ওই সময় তার কাছ থেকে ছিনতাই কাজে ব্যবহৃত একটি খেলনা পিস্তল ও ওয়্যারলেস সেট, একাধিক মোবাইল সিম এবং দুটি পরিচয়পত্র জব্দ করে পুলিশ।

নীলফামারী সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মমিনুল ইসলাম জানান, প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে ডিবি পুলিশের ভুয়া পরিচয়ে মোবাইল ছিনতাই করার সত্যতা স্বীকার করেছেন আবেদ আলী। এ ঘটনায় মামলা দায়ের করার পর আদালতের মাধ্যমে তাকে কারাগারে পাঠানো হয়েছে।

;