বেনাপোলে পণ্য পরীক্ষণ জটিলতায় লোকসানে ব্যবসায়ীরা



আজিজুল হক, স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তাটোয়েন্টিফোর.কম, বেনাপোল (যশোর)
বেনাপোল বন্দরে পণ্য খালাসের ফাইল ছবি

বেনাপোল বন্দরে পণ্য খালাসের ফাইল ছবি

  • Font increase
  • Font Decrease

বেনাপোল স্থলবন্দরের যাত্রা শুরু প্রায় ৪৭ বছর আগে। তবে পথ চলার দীর্ঘ সময় অতিবাহিত হলেও বন্দরটি এখন পর্যন্ত প্রয়োজনীয় অবকাঠামো উন্নয়নে পিছিয়ে রয়েছে। বিশেষত কেমিক্যাল ও খাদ্যদ্রব্য পরীক্ষণের কোন ব্যবস্থা নেই এ বন্দরে।

এতে মারাত্মক দুর্ভোগের শিকার হচ্ছেন ব্যবসায়ীরা। ব্যাহত হচ্ছে শিল্পকারখানায় উৎপাদন প্রক্রিয়া। যার প্রভাব পড়ছে বাজারে ভোক্তার ওপর।

ব্যবসায়ীরা জানান, বন্দরের বাইরে থেকে পণ্যের নমুনা পরীক্ষা করিয়ে রেজাল্ট আসতে কখনও কখনও মাসের অধিক সময়ও লেগে যায়। এতে তারা যেমন অর্থনৈতিক ক্ষতির শিকার হন তেমনি বন্দরে লম্বা সময় পণ্য চালান আটকে থেকে গুণগত মানও নষ্ট হয়। সবচেয়ে বেশি রাজস্ব দাতা এ বন্দরে পণ্য পরীক্ষণের নিজস্ব ব্যবস্থার দাবি তুলেছেন ব্যবসায়ীরা।

তবে কাস্টমস কর্তৃপক্ষ ব্যবসায়ীদের দুর্ভোগের কথা স্বীকার করে জানান, পরীক্ষাগার স্থাপনের বিষয়টি ইতিমধ্যে তারা লিখিতভাবে ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে জানিয়েছে।

বন্দর সূত্রে জানা যায়, যোগাযোগ ব্যবস্থা সহজ হওয়াতে দেশের স্থলপথে যে পণ্য আমদানি হয় তার ৭০ শতাংশ আসে বেনাপোল স্থলবন্দর দিয়ে। এ পথে বছরে প্রায় ৪৫ হাজার কোটি টাকার বাণিজ্য হয়ে থাকে, যা থেকে সরকার প্রায় ৫ হাজার কোটি টাকার রাজস্ব আহরণ করে। বন্দরে আমদানি পণ্য খালাসের অন্যতম শর্ত পণ্য পরীক্ষণ। এ বন্দর দিয়ে সাড়ে তিন শতাধিক আইটেমের পণ্য আমদানি হয়। যার মধ্যে খাদ্যদ্যব্যের কাঁচামাল, কসমেটিকস ও শিল্প কারখানার কেমিক্যাল জাতীয় ৫৫টি পণ্য পরীক্ষণ সার্টিফিকেট ছাড়া খালাস করা হয় না। কিন্তু পণ্য পরীক্ষণের ভালো কোন ব্যবস্থা নেই বেনাপোল বন্দরে। ফলে আমদানি করা খাদ্যদ্রব্য, খাদ্যদ্রব্যের কাঁচামাল, কসমেটিকস ও শিল্প কারখানার কেমিক্যাল বাইরে থেকে পরীক্ষণে মাসের অধিক সময় নষ্ট হয়। এ কারণে অনেক ব্যবসায়ী এ বন্দর থেকে মুখ ফিরিয়ে নিচ্ছেন।

আমদানিকারক উজ্জ্বল বিশ্বাস বার্তাটোয়েন্টিফোর.কমকে বলেন, বেনাপোল বন্দর দিয়ে যে সব পণ্য ভারত থেকে আমদানি হয় তার বড় একটি অংশ ক্যেমিক্যাল আর শিশুখাদ্য। বন্দরে পণ্য পরীক্ষণের ব্যবস্থা না থাকায় খুলনা বা ঢাকা থেকে নমুনা পরীক্ষা করাতে ১৫ থেকে ২০ দিন আবার কখনও মাসের অধিক সময় লেগে যায়। এতে দীর্ঘদিন ধরে এসব পণ্য বন্দরে পড়ে থাকায় অনেক সময় মানও নষ্ট হয়ে যায়। পাশাপাশি আমদানি পণ্য বন্দর শেডে বা ট্রাকে রেখে মোটা অংকের আর্থিক ক্ষতির সম্মুখীন হতে হয় ব্যবসায়ীদের। যার প্রভাব পড়ছে ভোক্তার ওপর।

বেনাপোল সিঅ্যান্ডএফ এজেন্ট অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি মফিজুর রহমান সজন বার্তাটোয়েন্টিফোরকে বলেন, বন্দরে বিএসটিআই ও বিএসআইআর-এর যে মারাত্মক সমস্যা তা নিরসন হওয়া দরকার। এটা বড় সদস্যা হয়ে দাঁড়িয়েছে। একটি পণ্য চালান আমদানি করতে এলসিসহ ধাপে ধাপে বিভিন্ন খরচ আছে। যদি পরীক্ষণ সমস্যায় লম্বা সময় পণ্য চালান আটকে থাকে তবে সব খরচ ব্যবসায়ীর ঘাড়ের ওপর পড়ে। আর যদি সময়মতো কাঁচামাল কারখানায় না পৌঁছায় তবে তা কাজে লাগাতে পারেন না ব্যবসায়ীরা।

ভারত-বাংলাদেশ ল্যান্ডপোর্ট ইমপোর্ট-এক্সপোর্ট সাব কমিটির চেয়ারম্যান মতিয়ার রহমান বলেন, পরীক্ষা করাতে হয় এমন অনেক পণ্য ভারতের পেট্রাপোল বন্দর দিয়ে রফতানি হয়। কিন্তু সেখানে ৪ থেকে ৫ দিনের মধ্যে পণ্যের রিপোর্ট ই-মেইলের মাধ্যমে চলে আসে। কিন্তু আমাদের দুর্ভাগ্য বেনাপোল বন্দরে এ সুবিধা নাই। চট্রগ্রাম বন্দরে ৫৫টি পণ্যের বাইরে যদি কোন খাদ্যদ্রব্য আমদানি হয় তবে মানুষের খাবারের উপযোগী এমন সার্টিফিকেট দিলে ওই পণ্য পুনরায় আর পরীক্ষার প্রয়োজন হয় না। চট্টগ্রামে যদি ব্যবসায়ীরা পণ্য খালাসের ক্ষেত্রে এমন সুবিধা পান তবে বেনাপোল বন্দরে সেই সুবিধার জন্য জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের দিক-নির্দেশনার বিষয়ে আলোচনা করা যেতে পারে।

বেনাপোলের কাস্টমস কমিশনার মুহাম্মদ বেলাল হুসাইন চৌধুরী জানান, চট্রগ্রাম বন্দরে বিএসটিআই ও বিএসআইআর’র শাখা আছে। সেখানে ব্যবসায়ীরা সুবিধা পেয়ে থাকেন। কিন্তু বেনাপোল বন্দরে এ সুবিধা না থাকায় ব্যবসায়ীরা অর্থনৈতিক ক্ষতির শিকার হয়ে আসছেন। এতে শিল্প কারখানায় উৎপাদন ব্যাহত হওয়ায় প্রভাব পড়ে বাজারে ভোক্তার ওপর। বেনাপোল বন্দরে কাস্টমস হাউজে স্বল্পপরিসরে বিএসটিআই-এর একটি শাখা চালু হয়েছে। তবে বিসিএসআইআর-সহ অন্য প্রতিষ্ঠানগুলোর শাখাও যাতে দ্রুত স্থাপন হয় তা লিখিতভাবে জানানো হয়েছে।

   

গড়াই নদীতে ডুবে যুবকের মৃত্যু



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, কুষ্টিয়া
ছবি প্রতীকী

ছবি প্রতীকী

  • Font increase
  • Font Decrease

কুষ্টিয়ার খোকসায় গড়াই নদীতে ডুবে সুমন (২০) নামে এক যুবকের মৃত্যু হয়েছে।

রোববার (৫ এপ্রিল) বিকেলে খোকসা উপজেলার গনেশপুর অংশে গড়াই নদী থেকে মরদেহ উদ্ধার করা হয়।

মৃত সুমন কুমারখালী উপজেলার রাজাপুর গ্রামের নিজাম উদ্দিনের ছেলে।

খোকসা ফায়ার সার্ভিস স্টেশনের ফায়ারম্যান হাবিবুর রহমান জানান, সকালের দিকে গড়াই নদীতে মাছ ধরতে যান সুমন। মাছ ধরার এক পর্যায়ে নদীতে ডুবে যান তিনি। বিকেলের দিকে স্থানীয়দের সহায়তায় তার মরদেহ উদ্ধার করে ফায়ার সার্ভিস।

;

কুমিল্লার নাঙ্গলকোটে বজ্রপাতে কিশোরের মৃত্যু



ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, কুমিল্লা
প্রতীকী ছবি

প্রতীকী ছবি

  • Font increase
  • Font Decrease

কুমিল্লার নাঙ্গলকোটে ফুটবল খেলার সময় বজ্রপাতে সাফায়েত হোসেন (১৯) নামে একজনের মৃত্যু হয়েছে। এ সময় সালাউদ্দিন (২২) নামের আরেক যুবক গুরুতর আহত হন।

রোববার (৫ এপ্রিল) এই বিকেলে এই ঘটনা ঘটে। তাদের উদ্ধার করে সন্ধ্যা সাড়ে ৬টার দিকে লাকসামের একটি ক্লিনিকে নেওয়া হলে কর্তব্যরত চিকিৎসক ওই কিশোরকে মৃত ঘোষণা করেন।

স্থানীয় সূত্র জানায়, উপজেলার আদ্রা দক্ষিণ ইউনিয়নের আটিয়াবাড়ি দক্ষিণপাড়া স্কুল বাড়ির আবদুল আউয়ালের ছেলে সাফায়াত হোসেন এদিন বিকেলে সহপাঠীদের সাথে পার্শ্ববর্তী ঘোড়াময়দান গ্রামের একটি মাঠে ফুটবল খেলতে যায়। বিকাল ৫টার দিকে খেলা চলা অবস্থায় আকস্মিক বজ্রপাতে সাফায়েতের পুরো শরীর ঝলসে যায়। তাৎক্ষনিকভাবে তাকে উদ্ধার করে লাকসামের একটি ক্লিনিকে নেয়া হলে সন্ধ্যায় কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন।

এছাড়া বজ্রপাতে ওই ঘোড়াময়দান গ্রামের নুরুল হকের ছেলে সালাউদ্দিন (২২) গুরুতর আহত হয়ে স্থানীয় একটি ক্লিনিকে চিকিৎসাধীন রয়েছে।

স্থানীয় ইউপি চেয়ারম্যান আবদুল ওহাব ঘটনার এ ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করেছেন।

;

লক্ষ্মী ভাইয়েরা বাসায় যান, নিজেসহ দেশকে বাঁচান



নাহিদ রেজা, স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, ঠাকুরগাঁও
ওসি তানভিরুল ইসলাম।

ওসি তানভিরুল ইসলাম।

  • Font increase
  • Font Decrease

আমার লক্ষ্মী ভাইয়েরা দয়া করে বাইরে ঘোরাঘুরি না করে বাসায় যান। নিজে বাঁচেন, পরিবারকে বাঁচান, দেশকে বাঁচান। সচেতন হোন।

ঠিক এসব কথা বলে করোনাভাইরাস প্রতিরোধে জনগণকে সচেতন করছেন ঠাকুরগাঁও সদর থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) তানভিরুল ইসলাম। মাঠ পর্যায়ে গিয়ে এভাবে সচেতন করায় সাধুবাদ জানিয়েছে সাধারণ মানুষ।

ঠাকুরগাঁও সদর উপজেলার রহিমানপুর ইউনিয়নের রেজাউল ইসলাম বলেন, ‘আমি ওষুধ কেনার জন্য স্থানীয় বাজারে এসেছিলাম। কিছুক্ষণ পর থানার একটি গাড়ি বাজারের সামনে এসে দাঁড়ায় এবং ওসি তানভিরুল সবাইকে বাসায় থাকার জন্য অনুরোধ করেন। এর আগে কখনো জনগণের সঙ্গে পুলিশের এমন ভালো আচরণ দেখি নাই।’

ঠাকুরগাঁও সদর উপজেলার চৌড়াস্তা মোড়ে কথা হয় জয়নাল নামে এক পথচারীর সঙ্গে। তিনি বলেন, ‘আমাদের জেলার পুলিশ সাধারণ জনগণের সঙ্গে ভালো ব্যবহার করছে। তাদের ভাই বলে বাসায় ফিরে যাওয়ার জন্য অনুরোধ করছে। ওসিসহ পুলিশের সদস্যরা নিজেদের কথা চিন্তা না করে আমাদের জন্য এ কাজটি করে যাচ্ছেন। তাদের ধন্যবাদ জানাই।’

স্থানীয় সাহাদত হোসেন নামে একজন বলেন,‘তানভিরুল ভাই একজন মানবিক পুলিশ অফিসার। তার জন্য শুভকামনা ও দোয়া রইল।’

ঠাকুরগাঁও সদর থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) তানভিরুল ইসলাম বার্তা২৪.কমকে বলেন, ‘করোনাভাইরাস নিয়ে আতঙ্কিত হওয়ার কিছু নেই। এ ভাইরাস প্রতিরোধে আমাদের সবাইকে সচেতন হতে হবে। সরকার যেসব দিক নির্দেশনা দিয়েছে সেগুলো মেনে চলতে হবে। জনগণের সঙ্গে খারাপ ব্যবহার না করে তাদের সচেতন করা হচ্ছে। এতে কাজও হচ্ছে।’

;

ডিবি পরিচয়ে মোবাইল ছিনতাই, যুবক গ্রেফতার



ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, নীলফামারী
গ্রেফতার আবেদ আলী।

গ্রেফতার আবেদ আলী।

  • Font increase
  • Font Decrease

নীলফামারীতে গোয়েন্দা পুলিশের (ডিবি) উপপরিদর্শক পরিচয়ে মোবাইল ছিনতাই করার অপরাধে আবেদ আলী (২৮) নামে এক যুবককে গ্রেফতার করেছে পুলিশ।

রোববার (৫ এপ্রিল) বিকেলে নীলফামারী সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মমিনুল ইসলাম এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।

আবেদ আলী সৈয়দপুর উপজেলার কাশিরাম বেলপুকুর ইউনিয়নের চওড়া গ্রামের খয়রাত হোসেনের ছেলে।

জানা গেছে, শনিবার (৪ এপ্রিল) দুপুরে জেলা সদরের কুন্দপুকুর ইউনিয়নের আঙ্গারপাড়া গ্রামে মোকছেদুল ইসলামসহ কয়েক যুবক মোবাইলে ভিডিও গেম খেলছিলেন। এ সময় আবেদ আলী নিজেকে সৈয়দপুর থানার ডিবি পুলিশের উপপরিদর্শক পরিচয় দিয়ে ওই যুবকদের কাছ থেকে মোবাইলটি নিয়ে যান। পরে এ বিষয়ে মোবাইলের মালিক মোকছেদুল ইসলাম সদর থানায় অভিযোগ করেন।

এরপর রোববার ভোরে আবেদ আলীর বাড়িতে অভিযান চালিয়ে তাকে গ্রেফতার করা হয়। ওই সময় তার কাছ থেকে ছিনতাই কাজে ব্যবহৃত একটি খেলনা পিস্তল ও ওয়্যারলেস সেট, একাধিক মোবাইল সিম এবং দুটি পরিচয়পত্র জব্দ করে পুলিশ।

নীলফামারী সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মমিনুল ইসলাম জানান, প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে ডিবি পুলিশের ভুয়া পরিচয়ে মোবাইল ছিনতাই করার সত্যতা স্বীকার করেছেন আবেদ আলী। এ ঘটনায় মামলা দায়ের করার পর আদালতের মাধ্যমে তাকে কারাগারে পাঠানো হয়েছে।

;