বিনা সুদে ঋণ চান আশ্রায়নের বাসিন্দারা



সোহেল মিয়া, স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, রাজবাড়ী, বার্তাটোয়েন্টিফোর.কম
রাজবাড়ীর বালিয়াকান্দির বহরপুর ইউনিয়নের বারুগ্রাম আশ্রয়ণ পল্লীর বাসিন্দারা/ছবি: বার্তাটোয়েন্টিফোর.কম

রাজবাড়ীর বালিয়াকান্দির বহরপুর ইউনিয়নের বারুগ্রাম আশ্রয়ণ পল্লীর বাসিন্দারা/ছবি: বার্তাটোয়েন্টিফোর.কম

  • Font increase
  • Font Decrease

সংগ্রাম করে নিজেদের ভাগ্যের পরিবর্তন করতে চান রাজবাড়ীর বালিয়াকান্দির বহরপুর ইউনিয়নের বারুগ্রাম আশ্রয়ণ পল্লীর ৬১টি পরিবারের প্রায় দুই শতাধিক মানুষ। সরকারি পৃষ্ঠপোষকতা পেলে, বিশেষ করে বিনা সুদে ঋণ পাওয়া গেলে তারা নিজেদের ভাগ্য পরিবর্তন করতে পারবেন। এ জন্য তারা সরকারি-বেসরকারি বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের সুদৃষ্টি কামনা করেছেন।

বালিয়াকান্দি উপজেলা প্রশাসন কার্যালয় সূত্রে জানা গেছে, আট একর ৩২ শতাংশ খাস জমির ওপর ২০০৮ সালে বারুগ্রাম আশ্রয়ন প্রকল্প নির্মাণ করে আওয়ামী লীগ সরকার। এই আশ্রয়ন প্রকল্পে ১৮০টি পরিবারের থাকার জন্য ১৮টি ব্যারাক তৈরি করা হয়। আর প্রতিটি ব্যারাকে দুটি টয়লেট ও নলকূপ স্থাপন করা হয়। আশ্রয়নের শুরুর দিকে ১৮০টি পরিবার থাকলেও এখন রয়েছে ৬১টি। যারা প্রতিনিয়তই জীবনের সাথে যুদ্ধ করে টিকে আছেন। তারা চান সংগ্রাম করে জীবনের মান উন্নয়ন করতে।

https://img.imageboss.me/width/700/quality:100/https://img.barta24.com/uploads/news/2019/Aug/28/1566972193384.jpg

আশ্রয়ণ পল্লীতে গিয়ে দেখা গেছে, প্রকল্পে নারী-পুরুষ সবাই বিভিন্ন কাজে ব্যস্ত। কয়েকজন নারী প্রকল্প এলাকায় মুদির দোকান দিয়েছেন। প্রতিদিন সেখানে ভালো বেচা-বিক্রি হয়। দোকানের আয় দিয়ে সন্তানদের লেখাপড়ার খরচ চলে।

অন্যদিকে, যারা কাজ পান না তারা প্রকল্পের মধ্যে কোনো না কোনো কাজে ব্যস্ত আছেন। কেউ বাড়ির পাশে সবজি বাগান করেছেন, কেউ মাছ ধরার জাল বুনছেন। পরে সেগুলো বাজারে বিক্রি করে উপার্জন করেন।

প্রকল্প এলাকায় বসবাসকারী অধিকাংশ পুরুষ কৃষি কাজের সাথে সম্পৃক্ত। তবে অনেকে ভ্যান-রিক্সা চালান আবার কেউ করখানায় শ্রমিক হিসাবে কাজ করেন।

https://img.imageboss.me/width/700/quality:100/https://img.barta24.com/uploads/news/2019/Aug/28/1566972210896.jpg

আশ্রয়নে বসবাসরত একাধিক নারী ও পুরুষ জানান, তারা কাজ করে ঘুরে দাঁড়াতে চান, কিন্তু কারো সহানুভূতি চান না। সরকার তাদের প্রতি সুদৃষ্টি দিলেই তারা কিছু করে জীবিকা নির্বাহ করতে পারবেন। যেমন সরকার যদি তাদের বিনা সুদে ঋণের ব্যবস্থা করে তাহলে তারা উপকৃত হবে। 

বারুগ্রাম আশ্রয়ন প্রকল্প সমবায় সমিতির সভাপতি আব্দুল আজিজ মোল্লা বার্তাটোয়েন্টিফোর.কম-কে বলেন, ‘আশ্রয়নের বাসিন্দারা খুবই পরিশ্রমী। সরকারি-বেসরকারি যেকোনো ধরণের পৃষ্ঠপোষকতা পেলে ভাগ্য ফেরাতে আমরা সংগ্রাম করতে প্রস্তুত। আমরা জীবনের সাথে যুদ্ধ করেই টিকে থাকতে চাই।’

https://img.imageboss.me/width/700/quality:100/https://img.barta24.com/uploads/news/2019/Aug/28/1566972230778.jpg

বালিয়াকান্দি উপজেলা নির্বাহী অফিসার ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট ইশরাত জাহান বার্তাটোয়েন্টিফোর.কম-কে বলেন, ‘আশ্রয়ণের বাসিন্দারা যাতে স্বাবলম্বী হতে পারেন সেজন্য উদ্যেগ নেওয়া হয়েছে। তার মধ্যে গাভীপালন, মৎস্য পালন ও নারীদের জন্য অগ্রাধিকারভিত্তিতে বিউটিশিয়ানের প্রশিক্ষণ দেওয়া অন্যতম।’

তিনি আরো বলেন, ‘আশ্রয়ন প্রকল্পে প্রধানমন্ত্রীর বিশেষ নজরদারি রয়েছে। আশ্রয়নের সার্বিক উন্নয়নের জন্য আমরা ইতোমধ্যে ৭৩ লাখ ৩৭ হাজার ৬৪৮ টাকার প্রকল্প তৈরি করে আশ্রয়ন-২ প্রকল্পের পরিচালকের কাছে পাঠানো হয়েছে। অর্থ বরাদ্দ পেলেই আশ্রয়নের সব সমস্যা সমাধান করা হবে।

   

গড়াই নদীতে ডুবে যুবকের মৃত্যু



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, কুষ্টিয়া
ছবি প্রতীকী

ছবি প্রতীকী

  • Font increase
  • Font Decrease

কুষ্টিয়ার খোকসায় গড়াই নদীতে ডুবে সুমন (২০) নামে এক যুবকের মৃত্যু হয়েছে।

রোববার (৫ এপ্রিল) বিকেলে খোকসা উপজেলার গনেশপুর অংশে গড়াই নদী থেকে মরদেহ উদ্ধার করা হয়।

মৃত সুমন কুমারখালী উপজেলার রাজাপুর গ্রামের নিজাম উদ্দিনের ছেলে।

খোকসা ফায়ার সার্ভিস স্টেশনের ফায়ারম্যান হাবিবুর রহমান জানান, সকালের দিকে গড়াই নদীতে মাছ ধরতে যান সুমন। মাছ ধরার এক পর্যায়ে নদীতে ডুবে যান তিনি। বিকেলের দিকে স্থানীয়দের সহায়তায় তার মরদেহ উদ্ধার করে ফায়ার সার্ভিস।

;

কুমিল্লার নাঙ্গলকোটে বজ্রপাতে কিশোরের মৃত্যু



ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, কুমিল্লা
প্রতীকী ছবি

প্রতীকী ছবি

  • Font increase
  • Font Decrease

কুমিল্লার নাঙ্গলকোটে ফুটবল খেলার সময় বজ্রপাতে সাফায়েত হোসেন (১৯) নামে একজনের মৃত্যু হয়েছে। এ সময় সালাউদ্দিন (২২) নামের আরেক যুবক গুরুতর আহত হন।

রোববার (৫ এপ্রিল) এই বিকেলে এই ঘটনা ঘটে। তাদের উদ্ধার করে সন্ধ্যা সাড়ে ৬টার দিকে লাকসামের একটি ক্লিনিকে নেওয়া হলে কর্তব্যরত চিকিৎসক ওই কিশোরকে মৃত ঘোষণা করেন।

স্থানীয় সূত্র জানায়, উপজেলার আদ্রা দক্ষিণ ইউনিয়নের আটিয়াবাড়ি দক্ষিণপাড়া স্কুল বাড়ির আবদুল আউয়ালের ছেলে সাফায়াত হোসেন এদিন বিকেলে সহপাঠীদের সাথে পার্শ্ববর্তী ঘোড়াময়দান গ্রামের একটি মাঠে ফুটবল খেলতে যায়। বিকাল ৫টার দিকে খেলা চলা অবস্থায় আকস্মিক বজ্রপাতে সাফায়েতের পুরো শরীর ঝলসে যায়। তাৎক্ষনিকভাবে তাকে উদ্ধার করে লাকসামের একটি ক্লিনিকে নেয়া হলে সন্ধ্যায় কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন।

এছাড়া বজ্রপাতে ওই ঘোড়াময়দান গ্রামের নুরুল হকের ছেলে সালাউদ্দিন (২২) গুরুতর আহত হয়ে স্থানীয় একটি ক্লিনিকে চিকিৎসাধীন রয়েছে।

স্থানীয় ইউপি চেয়ারম্যান আবদুল ওহাব ঘটনার এ ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করেছেন।

;

লক্ষ্মী ভাইয়েরা বাসায় যান, নিজেসহ দেশকে বাঁচান



নাহিদ রেজা, স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, ঠাকুরগাঁও
ওসি তানভিরুল ইসলাম।

ওসি তানভিরুল ইসলাম।

  • Font increase
  • Font Decrease

আমার লক্ষ্মী ভাইয়েরা দয়া করে বাইরে ঘোরাঘুরি না করে বাসায় যান। নিজে বাঁচেন, পরিবারকে বাঁচান, দেশকে বাঁচান। সচেতন হোন।

ঠিক এসব কথা বলে করোনাভাইরাস প্রতিরোধে জনগণকে সচেতন করছেন ঠাকুরগাঁও সদর থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) তানভিরুল ইসলাম। মাঠ পর্যায়ে গিয়ে এভাবে সচেতন করায় সাধুবাদ জানিয়েছে সাধারণ মানুষ।

ঠাকুরগাঁও সদর উপজেলার রহিমানপুর ইউনিয়নের রেজাউল ইসলাম বলেন, ‘আমি ওষুধ কেনার জন্য স্থানীয় বাজারে এসেছিলাম। কিছুক্ষণ পর থানার একটি গাড়ি বাজারের সামনে এসে দাঁড়ায় এবং ওসি তানভিরুল সবাইকে বাসায় থাকার জন্য অনুরোধ করেন। এর আগে কখনো জনগণের সঙ্গে পুলিশের এমন ভালো আচরণ দেখি নাই।’

ঠাকুরগাঁও সদর উপজেলার চৌড়াস্তা মোড়ে কথা হয় জয়নাল নামে এক পথচারীর সঙ্গে। তিনি বলেন, ‘আমাদের জেলার পুলিশ সাধারণ জনগণের সঙ্গে ভালো ব্যবহার করছে। তাদের ভাই বলে বাসায় ফিরে যাওয়ার জন্য অনুরোধ করছে। ওসিসহ পুলিশের সদস্যরা নিজেদের কথা চিন্তা না করে আমাদের জন্য এ কাজটি করে যাচ্ছেন। তাদের ধন্যবাদ জানাই।’

স্থানীয় সাহাদত হোসেন নামে একজন বলেন,‘তানভিরুল ভাই একজন মানবিক পুলিশ অফিসার। তার জন্য শুভকামনা ও দোয়া রইল।’

ঠাকুরগাঁও সদর থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) তানভিরুল ইসলাম বার্তা২৪.কমকে বলেন, ‘করোনাভাইরাস নিয়ে আতঙ্কিত হওয়ার কিছু নেই। এ ভাইরাস প্রতিরোধে আমাদের সবাইকে সচেতন হতে হবে। সরকার যেসব দিক নির্দেশনা দিয়েছে সেগুলো মেনে চলতে হবে। জনগণের সঙ্গে খারাপ ব্যবহার না করে তাদের সচেতন করা হচ্ছে। এতে কাজও হচ্ছে।’

;

ডিবি পরিচয়ে মোবাইল ছিনতাই, যুবক গ্রেফতার



ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, নীলফামারী
গ্রেফতার আবেদ আলী।

গ্রেফতার আবেদ আলী।

  • Font increase
  • Font Decrease

নীলফামারীতে গোয়েন্দা পুলিশের (ডিবি) উপপরিদর্শক পরিচয়ে মোবাইল ছিনতাই করার অপরাধে আবেদ আলী (২৮) নামে এক যুবককে গ্রেফতার করেছে পুলিশ।

রোববার (৫ এপ্রিল) বিকেলে নীলফামারী সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মমিনুল ইসলাম এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।

আবেদ আলী সৈয়দপুর উপজেলার কাশিরাম বেলপুকুর ইউনিয়নের চওড়া গ্রামের খয়রাত হোসেনের ছেলে।

জানা গেছে, শনিবার (৪ এপ্রিল) দুপুরে জেলা সদরের কুন্দপুকুর ইউনিয়নের আঙ্গারপাড়া গ্রামে মোকছেদুল ইসলামসহ কয়েক যুবক মোবাইলে ভিডিও গেম খেলছিলেন। এ সময় আবেদ আলী নিজেকে সৈয়দপুর থানার ডিবি পুলিশের উপপরিদর্শক পরিচয় দিয়ে ওই যুবকদের কাছ থেকে মোবাইলটি নিয়ে যান। পরে এ বিষয়ে মোবাইলের মালিক মোকছেদুল ইসলাম সদর থানায় অভিযোগ করেন।

এরপর রোববার ভোরে আবেদ আলীর বাড়িতে অভিযান চালিয়ে তাকে গ্রেফতার করা হয়। ওই সময় তার কাছ থেকে ছিনতাই কাজে ব্যবহৃত একটি খেলনা পিস্তল ও ওয়্যারলেস সেট, একাধিক মোবাইল সিম এবং দুটি পরিচয়পত্র জব্দ করে পুলিশ।

নীলফামারী সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মমিনুল ইসলাম জানান, প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে ডিবি পুলিশের ভুয়া পরিচয়ে মোবাইল ছিনতাই করার সত্যতা স্বীকার করেছেন আবেদ আলী। এ ঘটনায় মামলা দায়ের করার পর আদালতের মাধ্যমে তাকে কারাগারে পাঠানো হয়েছে।

;