বিদ্যালয়ে যৌন নিপীড়ন ও অনিয়মে অভিভাবকদের ক্ষোভ



ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট, বার্তাটোয়েন্টিফোর.কম, নাটোর
নাটোর সরকারি বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ে আয়োজিত মতবিনিময় সভায় অভিভাবকরা। ছবি: বার্তাটোয়েন্টিফোর.কম।

নাটোর সরকারি বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ে আয়োজিত মতবিনিময় সভায় অভিভাবকরা। ছবি: বার্তাটোয়েন্টিফোর.কম।

  • Font increase
  • Font Decrease

নাটোর সরকারি বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ে নানা অনিয়ম ও দুই শিক্ষকের বিরুদ্ধে যৌন নিপীড়নের অভিযোগ তুলে ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন অভিভাবকরা। এ সময় অভিভাবকদের তোপের মুখে পড়েন ওই বিদ্যালয়ের ম্যানেজিং কমিটির সভাপতি ও জেলা প্রশাসক মো. শাহরিয়াজ।

শনিবার (৩১ আগস্ট) দুপুরে সরকারি বালিকা উচ্চ বিদ্যালয় প্রাঙ্গণে 'শিক্ষার মানোন্নয়নে করণীয়' সম্পর্কে অভিভাবক ও সুধীজনদের মধ্যে এক মতবিনিময় সভার আয়োজন করা হয়।

সভায় অভিভাবকরা অভিযোগ করে বলেন, অতীতে বিদ্যালয়টির কতিপয় শিক্ষকের অপ্রতিরোধ্য কোচিং বাণিজ্যে বাধা দেয়া হয়নি। এ কারণে বেপরোয়া শিক্ষকদের নিয়ন্ত্রণে ব্যর্থ হয়েছে বিদ্যালয় প্রশাসন। ফলে যৌন নিপীড়নের মতো ঘটনা ঘটানোর সুযোগ পেয়েছেন তারা। এছাড়া শিক্ষদের অনুপস্থিতি, নিয়মিত ক্লাস না নেয়া, কম্পিউটার ল্যাব থাকার পরও তা ব্যবহারে ফি আদায়, বিবিধ খরচের নামে অতিরিক্ত ১০০ টাকা আদায়সহ নানা অনিয়ম বিদ্যালয়টিতে প্রতিনিয়ত হচ্ছে। কোনো অনিয়মের ব্যাপারে জানাতে গেলে ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক আব্দুল মতিন ছাত্রীদের চিহ্নিত করে পরে শ্রেণির অন্যান্য শিক্ষকদের দিয়ে মানসিকভাবে নাজেহাল করান। এসব বিষয়ে প্রতিকার চেয়ে মৌখিক অভিযোগ করা হলেও অনিয়ম করা থেকে বিরত থাকেনি তারা।

https://img.imageboss.me/width/700/quality:100/https://img.barta24.com/uploads/news/2019/Aug/31/1567247228786.jpg

অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (সার্বিক) আশরাফুল ইসলামের মতবিনিময় সভায় বক্তব্য দেন- জেলা পুলিশ সুপার লিটন কুমার সাহা, পৌর মেয়র উমা চৌধুরী, শিক্ষা কর্মকর্তা রমজান আলী আকন্দ, জর্জকোর্টের পিপি সিরাজুল ইসলাম প্রমুখ।

বিদ্যালয়ের ম্যানেজিং কমিটির সভাপতি ও জেলা প্রশাসক মো. শাহরিয়াজ জানান, চলমান অবস্থার সংকট কাটিয়ে বিদ্যালয়ে সুষ্ঠু পরিবেশে পাঠদানের ব্যবস্থা করা হবে। শিক্ষকদের নিয়মিত ক্লাসে উপস্থিতির বিষয়ে নজরদারি বাড়ানো হবে। যৌন নিপীড়নের সঙ্গে যুক্ত শিক্ষকদের কোনো ভাবেই ছাড় দেয়া হবে না।

উল্লেখ্য, গত ২৬ আগস্ট তৃতীয় শ্রেণির এক ছাত্রীকে যৌন নিপীড়নের ঘটনায় গ্রেফতার হন স্কুলের শারীরিক শিক্ষা বিষয়ের শিক্ষক আব্দুল হাকিম। এ ঘটনার পর ফেসবুকে ছড়িয়ে পড়ে প্রাক্তন এক ছাত্রীর সঙ্গে গণিতের শিক্ষক সাইফুল ইসলামের আপত্তিকর কথোপকথন। যা শিক্ষক ও অভিভাবকদের মাঝে চরম অনাস্থা ও বিব্রতকর পরিস্থিতির সৃষ্টি করে।

   

গড়াই নদীতে ডুবে যুবকের মৃত্যু



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, কুষ্টিয়া
ছবি প্রতীকী

ছবি প্রতীকী

  • Font increase
  • Font Decrease

কুষ্টিয়ার খোকসায় গড়াই নদীতে ডুবে সুমন (২০) নামে এক যুবকের মৃত্যু হয়েছে।

রোববার (৫ এপ্রিল) বিকেলে খোকসা উপজেলার গনেশপুর অংশে গড়াই নদী থেকে মরদেহ উদ্ধার করা হয়।

মৃত সুমন কুমারখালী উপজেলার রাজাপুর গ্রামের নিজাম উদ্দিনের ছেলে।

খোকসা ফায়ার সার্ভিস স্টেশনের ফায়ারম্যান হাবিবুর রহমান জানান, সকালের দিকে গড়াই নদীতে মাছ ধরতে যান সুমন। মাছ ধরার এক পর্যায়ে নদীতে ডুবে যান তিনি। বিকেলের দিকে স্থানীয়দের সহায়তায় তার মরদেহ উদ্ধার করে ফায়ার সার্ভিস।

;

কুমিল্লার নাঙ্গলকোটে বজ্রপাতে কিশোরের মৃত্যু



ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, কুমিল্লা
প্রতীকী ছবি

প্রতীকী ছবি

  • Font increase
  • Font Decrease

কুমিল্লার নাঙ্গলকোটে ফুটবল খেলার সময় বজ্রপাতে সাফায়েত হোসেন (১৯) নামে একজনের মৃত্যু হয়েছে। এ সময় সালাউদ্দিন (২২) নামের আরেক যুবক গুরুতর আহত হন।

রোববার (৫ এপ্রিল) এই বিকেলে এই ঘটনা ঘটে। তাদের উদ্ধার করে সন্ধ্যা সাড়ে ৬টার দিকে লাকসামের একটি ক্লিনিকে নেওয়া হলে কর্তব্যরত চিকিৎসক ওই কিশোরকে মৃত ঘোষণা করেন।

স্থানীয় সূত্র জানায়, উপজেলার আদ্রা দক্ষিণ ইউনিয়নের আটিয়াবাড়ি দক্ষিণপাড়া স্কুল বাড়ির আবদুল আউয়ালের ছেলে সাফায়াত হোসেন এদিন বিকেলে সহপাঠীদের সাথে পার্শ্ববর্তী ঘোড়াময়দান গ্রামের একটি মাঠে ফুটবল খেলতে যায়। বিকাল ৫টার দিকে খেলা চলা অবস্থায় আকস্মিক বজ্রপাতে সাফায়েতের পুরো শরীর ঝলসে যায়। তাৎক্ষনিকভাবে তাকে উদ্ধার করে লাকসামের একটি ক্লিনিকে নেয়া হলে সন্ধ্যায় কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন।

এছাড়া বজ্রপাতে ওই ঘোড়াময়দান গ্রামের নুরুল হকের ছেলে সালাউদ্দিন (২২) গুরুতর আহত হয়ে স্থানীয় একটি ক্লিনিকে চিকিৎসাধীন রয়েছে।

স্থানীয় ইউপি চেয়ারম্যান আবদুল ওহাব ঘটনার এ ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করেছেন।

;

লক্ষ্মী ভাইয়েরা বাসায় যান, নিজেসহ দেশকে বাঁচান



নাহিদ রেজা, স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, ঠাকুরগাঁও
ওসি তানভিরুল ইসলাম।

ওসি তানভিরুল ইসলাম।

  • Font increase
  • Font Decrease

আমার লক্ষ্মী ভাইয়েরা দয়া করে বাইরে ঘোরাঘুরি না করে বাসায় যান। নিজে বাঁচেন, পরিবারকে বাঁচান, দেশকে বাঁচান। সচেতন হোন।

ঠিক এসব কথা বলে করোনাভাইরাস প্রতিরোধে জনগণকে সচেতন করছেন ঠাকুরগাঁও সদর থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) তানভিরুল ইসলাম। মাঠ পর্যায়ে গিয়ে এভাবে সচেতন করায় সাধুবাদ জানিয়েছে সাধারণ মানুষ।

ঠাকুরগাঁও সদর উপজেলার রহিমানপুর ইউনিয়নের রেজাউল ইসলাম বলেন, ‘আমি ওষুধ কেনার জন্য স্থানীয় বাজারে এসেছিলাম। কিছুক্ষণ পর থানার একটি গাড়ি বাজারের সামনে এসে দাঁড়ায় এবং ওসি তানভিরুল সবাইকে বাসায় থাকার জন্য অনুরোধ করেন। এর আগে কখনো জনগণের সঙ্গে পুলিশের এমন ভালো আচরণ দেখি নাই।’

ঠাকুরগাঁও সদর উপজেলার চৌড়াস্তা মোড়ে কথা হয় জয়নাল নামে এক পথচারীর সঙ্গে। তিনি বলেন, ‘আমাদের জেলার পুলিশ সাধারণ জনগণের সঙ্গে ভালো ব্যবহার করছে। তাদের ভাই বলে বাসায় ফিরে যাওয়ার জন্য অনুরোধ করছে। ওসিসহ পুলিশের সদস্যরা নিজেদের কথা চিন্তা না করে আমাদের জন্য এ কাজটি করে যাচ্ছেন। তাদের ধন্যবাদ জানাই।’

স্থানীয় সাহাদত হোসেন নামে একজন বলেন,‘তানভিরুল ভাই একজন মানবিক পুলিশ অফিসার। তার জন্য শুভকামনা ও দোয়া রইল।’

ঠাকুরগাঁও সদর থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) তানভিরুল ইসলাম বার্তা২৪.কমকে বলেন, ‘করোনাভাইরাস নিয়ে আতঙ্কিত হওয়ার কিছু নেই। এ ভাইরাস প্রতিরোধে আমাদের সবাইকে সচেতন হতে হবে। সরকার যেসব দিক নির্দেশনা দিয়েছে সেগুলো মেনে চলতে হবে। জনগণের সঙ্গে খারাপ ব্যবহার না করে তাদের সচেতন করা হচ্ছে। এতে কাজও হচ্ছে।’

;

ডিবি পরিচয়ে মোবাইল ছিনতাই, যুবক গ্রেফতার



ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, নীলফামারী
গ্রেফতার আবেদ আলী।

গ্রেফতার আবেদ আলী।

  • Font increase
  • Font Decrease

নীলফামারীতে গোয়েন্দা পুলিশের (ডিবি) উপপরিদর্শক পরিচয়ে মোবাইল ছিনতাই করার অপরাধে আবেদ আলী (২৮) নামে এক যুবককে গ্রেফতার করেছে পুলিশ।

রোববার (৫ এপ্রিল) বিকেলে নীলফামারী সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মমিনুল ইসলাম এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।

আবেদ আলী সৈয়দপুর উপজেলার কাশিরাম বেলপুকুর ইউনিয়নের চওড়া গ্রামের খয়রাত হোসেনের ছেলে।

জানা গেছে, শনিবার (৪ এপ্রিল) দুপুরে জেলা সদরের কুন্দপুকুর ইউনিয়নের আঙ্গারপাড়া গ্রামে মোকছেদুল ইসলামসহ কয়েক যুবক মোবাইলে ভিডিও গেম খেলছিলেন। এ সময় আবেদ আলী নিজেকে সৈয়দপুর থানার ডিবি পুলিশের উপপরিদর্শক পরিচয় দিয়ে ওই যুবকদের কাছ থেকে মোবাইলটি নিয়ে যান। পরে এ বিষয়ে মোবাইলের মালিক মোকছেদুল ইসলাম সদর থানায় অভিযোগ করেন।

এরপর রোববার ভোরে আবেদ আলীর বাড়িতে অভিযান চালিয়ে তাকে গ্রেফতার করা হয়। ওই সময় তার কাছ থেকে ছিনতাই কাজে ব্যবহৃত একটি খেলনা পিস্তল ও ওয়্যারলেস সেট, একাধিক মোবাইল সিম এবং দুটি পরিচয়পত্র জব্দ করে পুলিশ।

নীলফামারী সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মমিনুল ইসলাম জানান, প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে ডিবি পুলিশের ভুয়া পরিচয়ে মোবাইল ছিনতাই করার সত্যতা স্বীকার করেছেন আবেদ আলী। এ ঘটনায় মামলা দায়ের করার পর আদালতের মাধ্যমে তাকে কারাগারে পাঠানো হয়েছে।

;