নাটোরে চার শহীদের রাষ্ট্রীয় স্বীকৃতি এবং হত্যার বিচার দাবি



ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট, বার্তাটোয়েন্টিফোর.কম, নাটোর
চার শহীদ, ছবি: সংগৃহীত

চার শহীদ, ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

নাটোরে চার শহীদের রাষ্ট্রীয় স্বীকৃতি ও হত্যার বিচার দাবি করেছেন শহীদ পরিবারের সদস্যরা। শহীদরা হলেন- মজিবর রহমান রেজা, গোলাম রব্বানী রঞ্জু, সেলিম চৌধুরী ও আমিরুল ইসলাম বাবুল। প্রতি বছর ১ সেপ্টেম্বর ওই চার বীর মুক্তিযোদ্ধাকে স্মরণ করেন নাটোরবাসী। পাশাপাশি দিনটিকে শোকের দিন হিসেবে পালন করেন। তবে এ দিনটির রাষ্ট্রীয় কোনো স্বীকৃতি নেই।

জানা গেছে, একাত্তরের আজকের এই দিনে পাকসেনা এবং তাদের দোসর রাজাকার, আলবদর বাহিনীর হাতে শহীদ হন মজিবর রহমান রেজা ও গোলাম রব্বানী রঞ্জু। অপর দুই শহীদের মধ্যে বাবুলকে পাকসেনারা ধরে নিয়ে ১৯৭১ সালের ২০ এপ্রিল হত্যা করে এবং সেলিম চৌধুরী নওগাঁর রণাঙ্গনে ১ ডিসেম্বর শহীদ হন। এরপর থেকে প্রতিবছর ১ সেপ্টেম্বর চার শহীদকে স্মরণ করা হয়।

আরও জানা গেছে, একাত্তরে নাটোরের তৎকালীন ছাত্রলীগ ও সংগ্রাম পরিষদ নেতা মজিবর রহমান রেজা এবং গোলাম রব্বানী রঞ্জু ভারতে প্রশিক্ষণ শেষে নাটোরের গুরুদাসপুর এলাকায় যুদ্ধে অবতীর্ণ হন। তবে পাকিস্তানি দোসরদের প্রতারণার শিকার হয়ে রাজাকার-আলবদর বাহিনীর হাতে ধরা পরেন। পাকবাহিনী উপজেলার মশিন্দা এলাকা থেকে ধরে নিয়ে গিয়ে নির্মম নির্যাতনের পর ১ সেপ্টেম্বর তাদের হত্যা করে। পরে তাদের মৃতদেহে পেরেক দিয়ে ছিদ্র করা ও সিগারেটের ছ্যাঁক দেওয়ার চিহ্ন পাওয়া যায়। অন্যদিকে, মৃতদেহ না পাওয়ায় শহীদ সেলিম ও বাবুলের কাপড় একই স্থানে সমাহিত করা হয়। এরপর থেকে প্রতি বছর ১ সেপ্টেম্বর তাদের শ্রদ্ধাভরে স্মরণ করা হয়।

নাটোরে চার শহীদের রাষ্ট্রীয় স্বীকৃতি এবং হত্যার বিচার দাবি

এদিকে, তাদের হত্যাকাণ্ডের সঙ্গে জড়িতদের বিরুদ্ধে মামলা করার হলেও স্বাধীনতার ৪৯ বছরেও বিচার পাননি স্বজনরা। ২০০৮ সালে চিহ্নিত ২৪ জন রাজাকার-আলবদরের বিরুদ্ধে মামলা করেন শহীদ মজিবর রহমান রেজার ভাই বিপ্লব হোসেন। কিন্তু মামলার কোনো অগ্রগতি নেই। এছাড়া শহীদদের পরিবারের অসম্মতি ও বিরোধের কারণে তাদের স্মরণে শহীদ বেদী নির্মাণের উদ্যোগ ভেস্তে যায়।

শহীদ রেজাউন্নবীর ভাতিজা শাহরিয়ার হোসেন জানান, শুরুতে বিভিন্ন রাজনৈতিক দলসহ নানা সংগঠন দিনটিকে শ্রদ্ধাভরে স্মরণ করত। কিন্তু এখন সে সংখ্যা কমে গেছে। তাই প্রতিবছর পারিবারিকভাবেই শহীদদের স্মরণ করা হয়।

শহীদ সেলিম চৌধুরীর ভাতিজা বাসিরুর রহমান খান চৌধুরী জানান, মুক্তিযুদ্ধ চলাকালীন তারা স্থানীয় মুক্তিযোদ্ধাদের সংগঠিত করতেন। অথচ শহীদ হওয়ার পর তাদের রাষ্ট্রীয় স্বীকৃতিই জোটেনি। এমনকি জেলা প্রশাসনও তাদের পক্ষ থেকে কোনো কর্মসূচি পালন করেন না।

শহীদ রঞ্জুর ভাতিজা খালিদ বিন জালাল বাচ্চু জানান, সবাই আশা করে, সরকার চার শহীদের হত্যা মামলাটি গুরুত্বের সঙ্গে নেবে।

শহীদ বাবুলের ছোট বোন রোকসানা পারভীন জানান, মুক্তিযোদ্ধা রেজা, রঞ্জু ও সেলিম শহীদের মর্যাদা পেলেও বাবুলকে শহীদের মর্যাদা দেয়া হয়নি। এমনকি সকল সুযোগ সুবিধা থেকে তার পরিবার বঞ্চিত।

নাটোর পৌরসভার মেয়র উমা চৌধুরী বার্তাটোয়েন্টিফোর.কম-কে বলেন, 'নির্বাচিত হওয়ার পর চার শহীদের কবরস্থান এলাকায় অত্যাধুনিক স্মৃতি সৌধ নির্মাণের উদ্যোগ নিয়েছিলাম। কিন্তু শহীদ পরিবারের বিরোধিতার কারণে তা ভেস্তে যায়। তবে আমি এখনো চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছি।'

এদিকে দিনটির স্মরণে শহরের কানইখালীস্থ চার শহীদের সমাধিতে পুষ্পস্তবক অর্পণ করে শ্রদ্ধা জানায় জেলা আওয়ামী লীগ, ছাত্রলীগসহ বিভিন্ন সামাজিক সংগঠন। এ সময় উপস্থিত ছিলেন- জেলা আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি ও পৌর মেয়র উমা চৌধুরী, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মর্তুজা আলী বাবলু, ছাত্রলীগ সভাপতি রাকিবুল হাসান জেমস, সাধারণ সম্পাদক রিয়াজুল ইসলাম মাসুম, যুবলীগ নেতা আব্দুর রাজ্জাক ডাবলু প্রমুখ।

   

গড়াই নদীতে ডুবে যুবকের মৃত্যু



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, কুষ্টিয়া
ছবি প্রতীকী

ছবি প্রতীকী

  • Font increase
  • Font Decrease

কুষ্টিয়ার খোকসায় গড়াই নদীতে ডুবে সুমন (২০) নামে এক যুবকের মৃত্যু হয়েছে।

রোববার (৫ এপ্রিল) বিকেলে খোকসা উপজেলার গনেশপুর অংশে গড়াই নদী থেকে মরদেহ উদ্ধার করা হয়।

মৃত সুমন কুমারখালী উপজেলার রাজাপুর গ্রামের নিজাম উদ্দিনের ছেলে।

খোকসা ফায়ার সার্ভিস স্টেশনের ফায়ারম্যান হাবিবুর রহমান জানান, সকালের দিকে গড়াই নদীতে মাছ ধরতে যান সুমন। মাছ ধরার এক পর্যায়ে নদীতে ডুবে যান তিনি। বিকেলের দিকে স্থানীয়দের সহায়তায় তার মরদেহ উদ্ধার করে ফায়ার সার্ভিস।

;

কুমিল্লার নাঙ্গলকোটে বজ্রপাতে কিশোরের মৃত্যু



ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, কুমিল্লা
প্রতীকী ছবি

প্রতীকী ছবি

  • Font increase
  • Font Decrease

কুমিল্লার নাঙ্গলকোটে ফুটবল খেলার সময় বজ্রপাতে সাফায়েত হোসেন (১৯) নামে একজনের মৃত্যু হয়েছে। এ সময় সালাউদ্দিন (২২) নামের আরেক যুবক গুরুতর আহত হন।

রোববার (৫ এপ্রিল) এই বিকেলে এই ঘটনা ঘটে। তাদের উদ্ধার করে সন্ধ্যা সাড়ে ৬টার দিকে লাকসামের একটি ক্লিনিকে নেওয়া হলে কর্তব্যরত চিকিৎসক ওই কিশোরকে মৃত ঘোষণা করেন।

স্থানীয় সূত্র জানায়, উপজেলার আদ্রা দক্ষিণ ইউনিয়নের আটিয়াবাড়ি দক্ষিণপাড়া স্কুল বাড়ির আবদুল আউয়ালের ছেলে সাফায়াত হোসেন এদিন বিকেলে সহপাঠীদের সাথে পার্শ্ববর্তী ঘোড়াময়দান গ্রামের একটি মাঠে ফুটবল খেলতে যায়। বিকাল ৫টার দিকে খেলা চলা অবস্থায় আকস্মিক বজ্রপাতে সাফায়েতের পুরো শরীর ঝলসে যায়। তাৎক্ষনিকভাবে তাকে উদ্ধার করে লাকসামের একটি ক্লিনিকে নেয়া হলে সন্ধ্যায় কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন।

এছাড়া বজ্রপাতে ওই ঘোড়াময়দান গ্রামের নুরুল হকের ছেলে সালাউদ্দিন (২২) গুরুতর আহত হয়ে স্থানীয় একটি ক্লিনিকে চিকিৎসাধীন রয়েছে।

স্থানীয় ইউপি চেয়ারম্যান আবদুল ওহাব ঘটনার এ ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করেছেন।

;

লক্ষ্মী ভাইয়েরা বাসায় যান, নিজেসহ দেশকে বাঁচান



নাহিদ রেজা, স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, ঠাকুরগাঁও
ওসি তানভিরুল ইসলাম।

ওসি তানভিরুল ইসলাম।

  • Font increase
  • Font Decrease

আমার লক্ষ্মী ভাইয়েরা দয়া করে বাইরে ঘোরাঘুরি না করে বাসায় যান। নিজে বাঁচেন, পরিবারকে বাঁচান, দেশকে বাঁচান। সচেতন হোন।

ঠিক এসব কথা বলে করোনাভাইরাস প্রতিরোধে জনগণকে সচেতন করছেন ঠাকুরগাঁও সদর থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) তানভিরুল ইসলাম। মাঠ পর্যায়ে গিয়ে এভাবে সচেতন করায় সাধুবাদ জানিয়েছে সাধারণ মানুষ।

ঠাকুরগাঁও সদর উপজেলার রহিমানপুর ইউনিয়নের রেজাউল ইসলাম বলেন, ‘আমি ওষুধ কেনার জন্য স্থানীয় বাজারে এসেছিলাম। কিছুক্ষণ পর থানার একটি গাড়ি বাজারের সামনে এসে দাঁড়ায় এবং ওসি তানভিরুল সবাইকে বাসায় থাকার জন্য অনুরোধ করেন। এর আগে কখনো জনগণের সঙ্গে পুলিশের এমন ভালো আচরণ দেখি নাই।’

ঠাকুরগাঁও সদর উপজেলার চৌড়াস্তা মোড়ে কথা হয় জয়নাল নামে এক পথচারীর সঙ্গে। তিনি বলেন, ‘আমাদের জেলার পুলিশ সাধারণ জনগণের সঙ্গে ভালো ব্যবহার করছে। তাদের ভাই বলে বাসায় ফিরে যাওয়ার জন্য অনুরোধ করছে। ওসিসহ পুলিশের সদস্যরা নিজেদের কথা চিন্তা না করে আমাদের জন্য এ কাজটি করে যাচ্ছেন। তাদের ধন্যবাদ জানাই।’

স্থানীয় সাহাদত হোসেন নামে একজন বলেন,‘তানভিরুল ভাই একজন মানবিক পুলিশ অফিসার। তার জন্য শুভকামনা ও দোয়া রইল।’

ঠাকুরগাঁও সদর থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) তানভিরুল ইসলাম বার্তা২৪.কমকে বলেন, ‘করোনাভাইরাস নিয়ে আতঙ্কিত হওয়ার কিছু নেই। এ ভাইরাস প্রতিরোধে আমাদের সবাইকে সচেতন হতে হবে। সরকার যেসব দিক নির্দেশনা দিয়েছে সেগুলো মেনে চলতে হবে। জনগণের সঙ্গে খারাপ ব্যবহার না করে তাদের সচেতন করা হচ্ছে। এতে কাজও হচ্ছে।’

;

ডিবি পরিচয়ে মোবাইল ছিনতাই, যুবক গ্রেফতার



ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, নীলফামারী
গ্রেফতার আবেদ আলী।

গ্রেফতার আবেদ আলী।

  • Font increase
  • Font Decrease

নীলফামারীতে গোয়েন্দা পুলিশের (ডিবি) উপপরিদর্শক পরিচয়ে মোবাইল ছিনতাই করার অপরাধে আবেদ আলী (২৮) নামে এক যুবককে গ্রেফতার করেছে পুলিশ।

রোববার (৫ এপ্রিল) বিকেলে নীলফামারী সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মমিনুল ইসলাম এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।

আবেদ আলী সৈয়দপুর উপজেলার কাশিরাম বেলপুকুর ইউনিয়নের চওড়া গ্রামের খয়রাত হোসেনের ছেলে।

জানা গেছে, শনিবার (৪ এপ্রিল) দুপুরে জেলা সদরের কুন্দপুকুর ইউনিয়নের আঙ্গারপাড়া গ্রামে মোকছেদুল ইসলামসহ কয়েক যুবক মোবাইলে ভিডিও গেম খেলছিলেন। এ সময় আবেদ আলী নিজেকে সৈয়দপুর থানার ডিবি পুলিশের উপপরিদর্শক পরিচয় দিয়ে ওই যুবকদের কাছ থেকে মোবাইলটি নিয়ে যান। পরে এ বিষয়ে মোবাইলের মালিক মোকছেদুল ইসলাম সদর থানায় অভিযোগ করেন।

এরপর রোববার ভোরে আবেদ আলীর বাড়িতে অভিযান চালিয়ে তাকে গ্রেফতার করা হয়। ওই সময় তার কাছ থেকে ছিনতাই কাজে ব্যবহৃত একটি খেলনা পিস্তল ও ওয়্যারলেস সেট, একাধিক মোবাইল সিম এবং দুটি পরিচয়পত্র জব্দ করে পুলিশ।

নীলফামারী সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মমিনুল ইসলাম জানান, প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে ডিবি পুলিশের ভুয়া পরিচয়ে মোবাইল ছিনতাই করার সত্যতা স্বীকার করেছেন আবেদ আলী। এ ঘটনায় মামলা দায়ের করার পর আদালতের মাধ্যমে তাকে কারাগারে পাঠানো হয়েছে।

;