গণধর্ষণের পর থানায় বিয়ে, রোববার প্রতিবেদন দেবে তদন্ত কমিটি



ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট, বার্তাটোয়েন্টিফোর.কম, পাবনা
তদন্ত কমিটির সদস্যরা স্থানীয় এলাকাবাসীর সঙ্গে কথা বলছেন, ছবি: বার্তাটোয়েন্টিফোর.কম

তদন্ত কমিটির সদস্যরা স্থানীয় এলাকাবাসীর সঙ্গে কথা বলছেন, ছবি: বার্তাটোয়েন্টিফোর.কম

  • Font increase
  • Font Decrease

মন্ত্রিপরিষদ বিভাগের নির্দেশে গঠন করা তদন্ত কমিটি শনিবার (১৪ সেপ্টেম্বর) টানা তিন ঘণ্টা তদন্ত করেছে পাবনায় গণধর্ষণের পর থানার ভেতরে ধর্ষিতার সঙ্গে ধর্ষকের বিয়ের ঘটনায়। এ দিন দুপুর থেকে পাবনা সদর উপজেলার সাহাপুর যশোদল গ্রামে গণধর্ষণের শিকার ওই গৃহবধুর বাবার বাড়ি যান তদন্ত কমিটির সদস্যরা।

তদন্তকালে ভুক্তভোগী নারী, তার পরিবার এবং স্থানীয় এলাকাবাসীর সঙ্গে কথা বলে কমিটির সদস্যরা। পরে তারা পাবনা সদর থানা পরিদর্শন করেন। তদন্ত শেষে রোববার বেঁধে দেওয়া সময়ের মধ্যেই জেলা প্রশাসকের কাছে তদন্ত প্রতিবেদন দাখিল করবেন বলে জানা যায়।

মন্ত্রিপরিষদ বিভাগের নির্দেশে পাবনা জেলা প্রশাসকের সমন্বয়ে গঠিত তদন্ত কমিটিতে পাবনার অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট জাহেদ নেওয়াজ, পাবনা সদর সার্কেলের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার এবনে মিজান ও ডেপুটি সিভিল সার্জন ডা. একেএম আবু জাফর রয়েছেন।

এদিকে এ ঘটনায় পাবনা সদর উপজেলার দাপুনিয়া ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক শরিফুল ইসলাম ওরফে ঘন্টুকে দল থেকে বহিষ্কার করা হয়েছে।

তদন্ত কমিটির আহবায়ক অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট জাহেদ নেওয়াজ গণমাধ্যমকে জানান, ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছি। বেশ লম্বা সময় নিয়ে ভুক্তভোগী ও সংশ্লিষ্টদের কথা শুনেছি। তিনি বলেন, ঘটনার আরেকস্থল পাবনা সদর থানা। সেখান থেকেও তথ্য-প্রমাণ সংগ্রহ করা হয়েছে। তদন্তের অগ্রগতি সম্পর্কে তিনি বলেন, তদন্ত প্রায় শেষ পর্যায়ে। তবে এ বিষয়ে কোনো মন্তব্য করতে রাজি হননি কমিটির আহবায়ক।

কমিটির সদস্য সদর সার্কেলের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার এবনে মিজান বলেন, ধর্ষণ মামলা দায়েরের পর মামলার অভিযুক্ত ৫ আসামিকে পুলিশ গ্রেফতার করতে সক্ষম হয়েছে। ইতোমধ্যে নির্যাতিত নারীর ডাক্তারি পরীক্ষাও সম্পন্ন হয়েছে।

এ ঘটনায় পুলিশী তদন্ত হলেও মন্ত্রিপরিষদ বিভাগের নির্দেশে গঠিত কমিটির তদন্ত চলছে। এবনে মিজান বলেন, আমাদের বেঁধে দেওয়া সময় আগামিকাল রোববার শেষ হবে। এ সময়ের মধ্যেই জেলা প্রশাসকের কাছে তদন্ত প্রতিবেদন দাখিল করা হবে। জেলা প্রশাসক তদন্ত প্রতিবেদন প্রাপ্তি সাপেক্ষে সেটি মন্ত্রিপরিষদ বিভাগের সামনে উপস্থাপন করবেন বলে জানান তদন্ত কমিটির এ সদস্য।

এবনে মিজান গণমাধ্যমের কাছে বলেন, থানার ভেতরে ধর্ষিতার সঙ্গে ধর্ষকের বিয়ের অভিযোগ প্রমাণ হওয়ায় ইতোমধ্যেই পাবনা সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা ওবাইদুল হককে প্রত্যাহার করে পুলিশ লাইনে সংযুক্ত করা হয়েছে। এছাড়া উপ-পরিদর্শক একরামুল হককে সাময়িক বরখাস্ত করা হয়েছে। তিনি বলেন, তাদের বিরুদ্ধে বিভাগীয় তদন্ত চলমান রয়েছে।

এদিকে গণধর্ষণের ঘটনায় সম্পৃক্ততার অভিযোগে শরিফুল ইসলাম ঘন্টুকে পাবনা সদর উপজেলার দাপুনিয়া ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদকের পদ থেকে বহিষ্কার করা হয়েছে। পাবনা সদর উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক সোহেল হাসান শাহীন বহিষ্কারের বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। তিনি বলেন, ব্যক্তিগত কোনো দায় কোনোভাবেই বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ নেবে না। ঘৃণিত এমন কাজের বিষয়ে কোনো ধরণের সহানুভূতি দেখানোর প্রশ্নই আসে না।

প্রসঙ্গত, আগস্টের ২৭ তারিখ রাতে পাবনা সদর উপজেলার সাহাপুর যশোদল গ্রামের তিন সন্তানের এক জননী ওই গ্রামের আকবর আলীর ছেলে রাসেল আহমেদের সঙ্গে প্রেমের সম্পর্কে ঘর ছেড়ে বেড়িয়ে যায়। এ সময় রাসেলসহ তার অপর দুই বন্ধু তাকে এক বন্ধুর বাড়িতে আটকে রেখে পালাক্রমে করে ধর্ষণ করে। ঘটনার পরদিন ধর্ষণের শিকার ওই নারী স্থানীয় ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক শরিফুল ইসলাম ওরফে ঘন্টুর শরণাপন্ন হয়ে তার কাছে বিচার চান। পরে ঘন্টু ও তার কয়েক বন্ধু মিলে তার ব্যবসায়িক প্রতিষ্ঠানের অফিস কক্ষে আটকে রেখে তিন দিন পালাক্রমে ধর্ষণ করে। সেখান থেকে ওই নারী পালিয়ে বাবার বাড়িতে গিয়ে সব খুলে বলে। ৫ সেপ্টেম্বর ওই নারীকে পাবনা সদর হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। পরদিন রাতে ওই নারী পাবনা সদর থানাতে অভিযোগ দিতে আসলে পুলিশ অভিযোগ না নিয়ে উল্টো ধর্ষক রাসেলকে ডেকে তার সঙ্গে বিয়ে দিয়ে দেয়। বিষয়টি গণমাধ্যমে উঠে আসলে উদ্ভূত পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে রাখতে পুলিশ সুপারের নির্দেশে ধর্ষণ মামলা দায়ের করে মামলার ৫ আসামিকে পুলিশ পর্যায়ক্রমে গ্রেফতার করে। অভিযোগের প্রেক্ষিতে ওসিকে প্রত্যাহার ও এক এসআইকে সাময়িক বরখাস্ত করা হয়। একইসঙ্গে পুলিশের তদন্ত কমিটির পাশাপাশি মন্ত্রিপরিষদ বিভাগের নির্দেশে জেলা প্রশাসনের আরেকটি কমিটি গঠন করা হয়।

   

গড়াই নদীতে ডুবে যুবকের মৃত্যু



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, কুষ্টিয়া
ছবি প্রতীকী

ছবি প্রতীকী

  • Font increase
  • Font Decrease

কুষ্টিয়ার খোকসায় গড়াই নদীতে ডুবে সুমন (২০) নামে এক যুবকের মৃত্যু হয়েছে।

রোববার (৫ এপ্রিল) বিকেলে খোকসা উপজেলার গনেশপুর অংশে গড়াই নদী থেকে মরদেহ উদ্ধার করা হয়।

মৃত সুমন কুমারখালী উপজেলার রাজাপুর গ্রামের নিজাম উদ্দিনের ছেলে।

খোকসা ফায়ার সার্ভিস স্টেশনের ফায়ারম্যান হাবিবুর রহমান জানান, সকালের দিকে গড়াই নদীতে মাছ ধরতে যান সুমন। মাছ ধরার এক পর্যায়ে নদীতে ডুবে যান তিনি। বিকেলের দিকে স্থানীয়দের সহায়তায় তার মরদেহ উদ্ধার করে ফায়ার সার্ভিস।

;

কুমিল্লার নাঙ্গলকোটে বজ্রপাতে কিশোরের মৃত্যু



ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, কুমিল্লা
প্রতীকী ছবি

প্রতীকী ছবি

  • Font increase
  • Font Decrease

কুমিল্লার নাঙ্গলকোটে ফুটবল খেলার সময় বজ্রপাতে সাফায়েত হোসেন (১৯) নামে একজনের মৃত্যু হয়েছে। এ সময় সালাউদ্দিন (২২) নামের আরেক যুবক গুরুতর আহত হন।

রোববার (৫ এপ্রিল) এই বিকেলে এই ঘটনা ঘটে। তাদের উদ্ধার করে সন্ধ্যা সাড়ে ৬টার দিকে লাকসামের একটি ক্লিনিকে নেওয়া হলে কর্তব্যরত চিকিৎসক ওই কিশোরকে মৃত ঘোষণা করেন।

স্থানীয় সূত্র জানায়, উপজেলার আদ্রা দক্ষিণ ইউনিয়নের আটিয়াবাড়ি দক্ষিণপাড়া স্কুল বাড়ির আবদুল আউয়ালের ছেলে সাফায়াত হোসেন এদিন বিকেলে সহপাঠীদের সাথে পার্শ্ববর্তী ঘোড়াময়দান গ্রামের একটি মাঠে ফুটবল খেলতে যায়। বিকাল ৫টার দিকে খেলা চলা অবস্থায় আকস্মিক বজ্রপাতে সাফায়েতের পুরো শরীর ঝলসে যায়। তাৎক্ষনিকভাবে তাকে উদ্ধার করে লাকসামের একটি ক্লিনিকে নেয়া হলে সন্ধ্যায় কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন।

এছাড়া বজ্রপাতে ওই ঘোড়াময়দান গ্রামের নুরুল হকের ছেলে সালাউদ্দিন (২২) গুরুতর আহত হয়ে স্থানীয় একটি ক্লিনিকে চিকিৎসাধীন রয়েছে।

স্থানীয় ইউপি চেয়ারম্যান আবদুল ওহাব ঘটনার এ ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করেছেন।

;

লক্ষ্মী ভাইয়েরা বাসায় যান, নিজেসহ দেশকে বাঁচান



নাহিদ রেজা, স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, ঠাকুরগাঁও
ওসি তানভিরুল ইসলাম।

ওসি তানভিরুল ইসলাম।

  • Font increase
  • Font Decrease

আমার লক্ষ্মী ভাইয়েরা দয়া করে বাইরে ঘোরাঘুরি না করে বাসায় যান। নিজে বাঁচেন, পরিবারকে বাঁচান, দেশকে বাঁচান। সচেতন হোন।

ঠিক এসব কথা বলে করোনাভাইরাস প্রতিরোধে জনগণকে সচেতন করছেন ঠাকুরগাঁও সদর থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) তানভিরুল ইসলাম। মাঠ পর্যায়ে গিয়ে এভাবে সচেতন করায় সাধুবাদ জানিয়েছে সাধারণ মানুষ।

ঠাকুরগাঁও সদর উপজেলার রহিমানপুর ইউনিয়নের রেজাউল ইসলাম বলেন, ‘আমি ওষুধ কেনার জন্য স্থানীয় বাজারে এসেছিলাম। কিছুক্ষণ পর থানার একটি গাড়ি বাজারের সামনে এসে দাঁড়ায় এবং ওসি তানভিরুল সবাইকে বাসায় থাকার জন্য অনুরোধ করেন। এর আগে কখনো জনগণের সঙ্গে পুলিশের এমন ভালো আচরণ দেখি নাই।’

ঠাকুরগাঁও সদর উপজেলার চৌড়াস্তা মোড়ে কথা হয় জয়নাল নামে এক পথচারীর সঙ্গে। তিনি বলেন, ‘আমাদের জেলার পুলিশ সাধারণ জনগণের সঙ্গে ভালো ব্যবহার করছে। তাদের ভাই বলে বাসায় ফিরে যাওয়ার জন্য অনুরোধ করছে। ওসিসহ পুলিশের সদস্যরা নিজেদের কথা চিন্তা না করে আমাদের জন্য এ কাজটি করে যাচ্ছেন। তাদের ধন্যবাদ জানাই।’

স্থানীয় সাহাদত হোসেন নামে একজন বলেন,‘তানভিরুল ভাই একজন মানবিক পুলিশ অফিসার। তার জন্য শুভকামনা ও দোয়া রইল।’

ঠাকুরগাঁও সদর থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) তানভিরুল ইসলাম বার্তা২৪.কমকে বলেন, ‘করোনাভাইরাস নিয়ে আতঙ্কিত হওয়ার কিছু নেই। এ ভাইরাস প্রতিরোধে আমাদের সবাইকে সচেতন হতে হবে। সরকার যেসব দিক নির্দেশনা দিয়েছে সেগুলো মেনে চলতে হবে। জনগণের সঙ্গে খারাপ ব্যবহার না করে তাদের সচেতন করা হচ্ছে। এতে কাজও হচ্ছে।’

;

ডিবি পরিচয়ে মোবাইল ছিনতাই, যুবক গ্রেফতার



ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, নীলফামারী
গ্রেফতার আবেদ আলী।

গ্রেফতার আবেদ আলী।

  • Font increase
  • Font Decrease

নীলফামারীতে গোয়েন্দা পুলিশের (ডিবি) উপপরিদর্শক পরিচয়ে মোবাইল ছিনতাই করার অপরাধে আবেদ আলী (২৮) নামে এক যুবককে গ্রেফতার করেছে পুলিশ।

রোববার (৫ এপ্রিল) বিকেলে নীলফামারী সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মমিনুল ইসলাম এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।

আবেদ আলী সৈয়দপুর উপজেলার কাশিরাম বেলপুকুর ইউনিয়নের চওড়া গ্রামের খয়রাত হোসেনের ছেলে।

জানা গেছে, শনিবার (৪ এপ্রিল) দুপুরে জেলা সদরের কুন্দপুকুর ইউনিয়নের আঙ্গারপাড়া গ্রামে মোকছেদুল ইসলামসহ কয়েক যুবক মোবাইলে ভিডিও গেম খেলছিলেন। এ সময় আবেদ আলী নিজেকে সৈয়দপুর থানার ডিবি পুলিশের উপপরিদর্শক পরিচয় দিয়ে ওই যুবকদের কাছ থেকে মোবাইলটি নিয়ে যান। পরে এ বিষয়ে মোবাইলের মালিক মোকছেদুল ইসলাম সদর থানায় অভিযোগ করেন।

এরপর রোববার ভোরে আবেদ আলীর বাড়িতে অভিযান চালিয়ে তাকে গ্রেফতার করা হয়। ওই সময় তার কাছ থেকে ছিনতাই কাজে ব্যবহৃত একটি খেলনা পিস্তল ও ওয়্যারলেস সেট, একাধিক মোবাইল সিম এবং দুটি পরিচয়পত্র জব্দ করে পুলিশ।

নীলফামারী সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মমিনুল ইসলাম জানান, প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে ডিবি পুলিশের ভুয়া পরিচয়ে মোবাইল ছিনতাই করার সত্যতা স্বীকার করেছেন আবেদ আলী। এ ঘটনায় মামলা দায়ের করার পর আদালতের মাধ্যমে তাকে কারাগারে পাঠানো হয়েছে।

;