কলা চাষে ঝুঁকছেন বগুড়ার কৃষকরা



গনেশ দাস, স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তাটোয়েন্টিফোর.কম, বগুড়া
কলা বাগান, ছবি: বার্তাটোয়েন্টিফোর.কম

কলা বাগান, ছবি: বার্তাটোয়েন্টিফোর.কম

  • Font increase
  • Font Decrease

অর্থকরি ফসল কলা চাষে ঝুঁকছেন বগুড়ার কৃষকরা। সংশ্লিষ্টরা মনে করছেন, কলা চাষে খরচ কম ও মুনাফা বেশি হওয়ায় প্রতি বছরই কলা চাষ বাড়ছে।

জেলার সব উপজেলাতেই কম বেশি কলা চাষ হলেও দোঁ-আশ মাটি ও উঁচু জমিতে ফলন ভালো হয়। এ কারণে জেলার সদর, গাবতলী ও শিবগঞ্জ উপজেলাতেই কলা চাষ হয় সবচেয়ে বেশি। এ বছর জেলায় ৪৮৩ হেক্টর জমিতে কলা চাষ করা হয়েছে।

এদিকে, তিন উপজেলার সিমান্ত এলাকা চন্ডিহারা নামক স্থানে বগুড়া রংপুর মহাসড়কের দু’পাশে গড়ে উঠেছে কলার পাইকারি হাট। বগুড়ায় চাষ করা কলা স্থানীয় চাহিদা মেটানোর পর ঢাকা, নারায়ণগঞ্জ, সিলেট, কুমিল্লা, চট্টগ্রামসহ বিভিন্ন জেলায় সরবরাহ করা হয়।

শিবগঞ্জ উপজেলার চাঁদনীয়া শিবগঞ্জ গ্রামের কৃষক আবু বক্কর সিদ্দিক জানান, তিনি তিন বিঘা জমিতে এক বছর আগে এক হাজার কলা গাছের চারা রোপণ করেছেন। দুই সপ্তাহ পর থেকে তিনি কলা বিক্রি শুরু করবেন। এক বছরে তার খরচ হয়েছে এক লাখ টাকা। তিন বিঘা জমির কলা বিক্রি হবে তিন লাখ টাকার বেশি।

ট্রাকে কলা বোঝাই করছেন শ্রমিকরা

 

উথলী গ্রামের কৃষক শতীশ চন্দ্র মোদক আড়াই বিঘা জমিতে গত বছর অগ্রহায়ণ মাসে আলুর পাশাপাশি ৭৫০টি কলা গাছের চারা রোপণ করেন। তিনি এ পর্যন্ত খরচ করেছেন ৪০ হাজার টাকা। আরও ২০ হাজার টাকা খরচ হবে। দুইমাস পর তিনি কলা বিক্রি করে ওই জমিতে আবারও আলু রোপণ করবেন।

কৃষকরা জানান, কলা চাষে পুরো এক বছর সময় লাগায় অনেকেই কলা চাষ করতে চান না। তবে গত ২-৩ বছর ধরে ভালো দাম পাওয়ায় কলা চাষে আগ্রহ বাড়ছে। এই এলাকায় অনুপম এবং চাম্পা কলার চাষ হয় বেশি।

মোকামতলার চৌকির ঘাট এলাকার কলা ব্যবসায়ী হারুনার রশিদ বার্তাটোয়েন্টিফোর.কমকে বলেন, ‘আমি মহাসড়কের পাশে ঘর নিয়ে ১২ বছর ধরে কলার ব্যবসা করছি। কয়েক বছর ধরে কলার ব্যবসা লাভজনক। বিভিন্ন বাগান ঘুরে কাঁদি প্রতি ৩০০-৫০০ টাকায় কলা কিনি। আধাপাকা হলে সেই কলা বগুড়া শহরে সরবরাহ করি।’

কলা বাগান

 

শাজাহানপুর উপজেলার মাঝিড়া এলাকার বেলাল হোসেন বার্তাটোয়েন্টিফোর.কমকে বলেন, ‘৩০ বছর ধরে কলার ব্যবসা করছি। চন্ডিহারা হাট থেকে কলা কিনে ট্রাক যোগে বিভিন্ন জেলায় সরবরাহ করি। শনিবার, বুধবার কলার হাট বসে। প্রতি হাটে ২৫-৩০ ট্রাক কলা দেশের বিভিন্ন অঞ্চলে সরবরাহ করতে হয়। চন্ডিহারা হাটে অনুপম কলার কাঁদি ৩৫০-৫০০ টাকা এবং চাম্পা কলার কাঁদি ২৫০ -৩৫০ টাকায় বিক্রি হয়।’

   

গড়াই নদীতে ডুবে যুবকের মৃত্যু



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, কুষ্টিয়া
ছবি প্রতীকী

ছবি প্রতীকী

  • Font increase
  • Font Decrease

কুষ্টিয়ার খোকসায় গড়াই নদীতে ডুবে সুমন (২০) নামে এক যুবকের মৃত্যু হয়েছে।

রোববার (৫ এপ্রিল) বিকেলে খোকসা উপজেলার গনেশপুর অংশে গড়াই নদী থেকে মরদেহ উদ্ধার করা হয়।

মৃত সুমন কুমারখালী উপজেলার রাজাপুর গ্রামের নিজাম উদ্দিনের ছেলে।

খোকসা ফায়ার সার্ভিস স্টেশনের ফায়ারম্যান হাবিবুর রহমান জানান, সকালের দিকে গড়াই নদীতে মাছ ধরতে যান সুমন। মাছ ধরার এক পর্যায়ে নদীতে ডুবে যান তিনি। বিকেলের দিকে স্থানীয়দের সহায়তায় তার মরদেহ উদ্ধার করে ফায়ার সার্ভিস।

;

কুমিল্লার নাঙ্গলকোটে বজ্রপাতে কিশোরের মৃত্যু



ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, কুমিল্লা
প্রতীকী ছবি

প্রতীকী ছবি

  • Font increase
  • Font Decrease

কুমিল্লার নাঙ্গলকোটে ফুটবল খেলার সময় বজ্রপাতে সাফায়েত হোসেন (১৯) নামে একজনের মৃত্যু হয়েছে। এ সময় সালাউদ্দিন (২২) নামের আরেক যুবক গুরুতর আহত হন।

রোববার (৫ এপ্রিল) এই বিকেলে এই ঘটনা ঘটে। তাদের উদ্ধার করে সন্ধ্যা সাড়ে ৬টার দিকে লাকসামের একটি ক্লিনিকে নেওয়া হলে কর্তব্যরত চিকিৎসক ওই কিশোরকে মৃত ঘোষণা করেন।

স্থানীয় সূত্র জানায়, উপজেলার আদ্রা দক্ষিণ ইউনিয়নের আটিয়াবাড়ি দক্ষিণপাড়া স্কুল বাড়ির আবদুল আউয়ালের ছেলে সাফায়াত হোসেন এদিন বিকেলে সহপাঠীদের সাথে পার্শ্ববর্তী ঘোড়াময়দান গ্রামের একটি মাঠে ফুটবল খেলতে যায়। বিকাল ৫টার দিকে খেলা চলা অবস্থায় আকস্মিক বজ্রপাতে সাফায়েতের পুরো শরীর ঝলসে যায়। তাৎক্ষনিকভাবে তাকে উদ্ধার করে লাকসামের একটি ক্লিনিকে নেয়া হলে সন্ধ্যায় কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন।

এছাড়া বজ্রপাতে ওই ঘোড়াময়দান গ্রামের নুরুল হকের ছেলে সালাউদ্দিন (২২) গুরুতর আহত হয়ে স্থানীয় একটি ক্লিনিকে চিকিৎসাধীন রয়েছে।

স্থানীয় ইউপি চেয়ারম্যান আবদুল ওহাব ঘটনার এ ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করেছেন।

;

লক্ষ্মী ভাইয়েরা বাসায় যান, নিজেসহ দেশকে বাঁচান



নাহিদ রেজা, স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, ঠাকুরগাঁও
ওসি তানভিরুল ইসলাম।

ওসি তানভিরুল ইসলাম।

  • Font increase
  • Font Decrease

আমার লক্ষ্মী ভাইয়েরা দয়া করে বাইরে ঘোরাঘুরি না করে বাসায় যান। নিজে বাঁচেন, পরিবারকে বাঁচান, দেশকে বাঁচান। সচেতন হোন।

ঠিক এসব কথা বলে করোনাভাইরাস প্রতিরোধে জনগণকে সচেতন করছেন ঠাকুরগাঁও সদর থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) তানভিরুল ইসলাম। মাঠ পর্যায়ে গিয়ে এভাবে সচেতন করায় সাধুবাদ জানিয়েছে সাধারণ মানুষ।

ঠাকুরগাঁও সদর উপজেলার রহিমানপুর ইউনিয়নের রেজাউল ইসলাম বলেন, ‘আমি ওষুধ কেনার জন্য স্থানীয় বাজারে এসেছিলাম। কিছুক্ষণ পর থানার একটি গাড়ি বাজারের সামনে এসে দাঁড়ায় এবং ওসি তানভিরুল সবাইকে বাসায় থাকার জন্য অনুরোধ করেন। এর আগে কখনো জনগণের সঙ্গে পুলিশের এমন ভালো আচরণ দেখি নাই।’

ঠাকুরগাঁও সদর উপজেলার চৌড়াস্তা মোড়ে কথা হয় জয়নাল নামে এক পথচারীর সঙ্গে। তিনি বলেন, ‘আমাদের জেলার পুলিশ সাধারণ জনগণের সঙ্গে ভালো ব্যবহার করছে। তাদের ভাই বলে বাসায় ফিরে যাওয়ার জন্য অনুরোধ করছে। ওসিসহ পুলিশের সদস্যরা নিজেদের কথা চিন্তা না করে আমাদের জন্য এ কাজটি করে যাচ্ছেন। তাদের ধন্যবাদ জানাই।’

স্থানীয় সাহাদত হোসেন নামে একজন বলেন,‘তানভিরুল ভাই একজন মানবিক পুলিশ অফিসার। তার জন্য শুভকামনা ও দোয়া রইল।’

ঠাকুরগাঁও সদর থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) তানভিরুল ইসলাম বার্তা২৪.কমকে বলেন, ‘করোনাভাইরাস নিয়ে আতঙ্কিত হওয়ার কিছু নেই। এ ভাইরাস প্রতিরোধে আমাদের সবাইকে সচেতন হতে হবে। সরকার যেসব দিক নির্দেশনা দিয়েছে সেগুলো মেনে চলতে হবে। জনগণের সঙ্গে খারাপ ব্যবহার না করে তাদের সচেতন করা হচ্ছে। এতে কাজও হচ্ছে।’

;

ডিবি পরিচয়ে মোবাইল ছিনতাই, যুবক গ্রেফতার



ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, নীলফামারী
গ্রেফতার আবেদ আলী।

গ্রেফতার আবেদ আলী।

  • Font increase
  • Font Decrease

নীলফামারীতে গোয়েন্দা পুলিশের (ডিবি) উপপরিদর্শক পরিচয়ে মোবাইল ছিনতাই করার অপরাধে আবেদ আলী (২৮) নামে এক যুবককে গ্রেফতার করেছে পুলিশ।

রোববার (৫ এপ্রিল) বিকেলে নীলফামারী সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মমিনুল ইসলাম এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।

আবেদ আলী সৈয়দপুর উপজেলার কাশিরাম বেলপুকুর ইউনিয়নের চওড়া গ্রামের খয়রাত হোসেনের ছেলে।

জানা গেছে, শনিবার (৪ এপ্রিল) দুপুরে জেলা সদরের কুন্দপুকুর ইউনিয়নের আঙ্গারপাড়া গ্রামে মোকছেদুল ইসলামসহ কয়েক যুবক মোবাইলে ভিডিও গেম খেলছিলেন। এ সময় আবেদ আলী নিজেকে সৈয়দপুর থানার ডিবি পুলিশের উপপরিদর্শক পরিচয় দিয়ে ওই যুবকদের কাছ থেকে মোবাইলটি নিয়ে যান। পরে এ বিষয়ে মোবাইলের মালিক মোকছেদুল ইসলাম সদর থানায় অভিযোগ করেন।

এরপর রোববার ভোরে আবেদ আলীর বাড়িতে অভিযান চালিয়ে তাকে গ্রেফতার করা হয়। ওই সময় তার কাছ থেকে ছিনতাই কাজে ব্যবহৃত একটি খেলনা পিস্তল ও ওয়্যারলেস সেট, একাধিক মোবাইল সিম এবং দুটি পরিচয়পত্র জব্দ করে পুলিশ।

নীলফামারী সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মমিনুল ইসলাম জানান, প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে ডিবি পুলিশের ভুয়া পরিচয়ে মোবাইল ছিনতাই করার সত্যতা স্বীকার করেছেন আবেদ আলী। এ ঘটনায় মামলা দায়ের করার পর আদালতের মাধ্যমে তাকে কারাগারে পাঠানো হয়েছে।

;