চাকরি হারানোর ঝুঁকিতে গ্রামীণফোনের ৬০০ কর্মী
আউটসোর্সিং এর মাধ্যমে (তৃতীয় পক্ষ) অপারেটর চালানোর পরিকল্পনার কারণে দেশের শীর্ষ স্থানীয় মোবাইল অপারেটর কোম্পানি গ্রামীণফোনের ৬শর বেশি স্থায়ী কর্মী চাকরি হারানোর ঝুঁকিতে রয়েছে বলে জানিয়েছে গ্রামীণফোন এমপ্লায়িজ ইউনিয়ন (জিপিইউ)।
কর্মী ছাঁটাই বন্ধ করতে অবিলম্বে ‘কমন ডেলিভারি সেন্টার (সিডিসি) প্রকল্প বাতিলের দাবি জানিয়েছে গ্রামীণফোন এমপ্লায়িজ ইউনিয়ন (জিপিইউ)। একই চাকরির নিশ্চয়তা চেয়ে ১২ দফা দাবিও তুলে ধরে ইউনিয়নটি।
অক্টোবরে এক সংবাদ সম্মেলনে গ্রামীণফোন এমপ্লায়িজ ইউনিয়নের সাধারণ সম্পাদক মিয়া শফিকুর রহমান মাসুদ জানান, গ্রামীণফোন আউটসোর্সিং এর মাধ্যমে লোক নিয়ে কাজ করিয়ে স্থায়ী কর্মীদের ছাঁটাই করছে। সিডিসি প্রকল্প হাতে নিয়েছে। এতে গ্রামীণফোনের টেকনোলজি টিমের ৬ শ কর্মীর চাকরি চলে যাবে।
সিডিসি প্রকল্পের মতো এমন একটি প্রকল্প নিয়ে মালয়েশিয়া ও মিয়ানমারে কিছুদিন আগে অনেক কর্মীকে ছাটাই করে গ্রামীণফোনের মূল কোম্পানি টেলিনর।
মিয়া মাসুদ বলেন, গ্রামীণফোন যদি বাংলাদেশে সিডিসি প্রকল্প বাস্তবায়ন করে আউটসোর্সিং এর মাধ্যমে অপারেটর পরিচালনা করে তাহলে কমপক্ষে ৬০০ বেশি কর্মীর চাকরি চলে যাবে ।
গ্রামীণফোনের এক বিবৃতিতে বলা হয়, গ্রামীণফোন জটিল ব্যবসায়িক পরিবেশের মধ্যে দিয়ে যাচ্ছে। এজন্য গ্রামীণফোনের অত্যাধুনিক নেটওয়ার্ক ব্যবস্থাপনা এবং এ সম্পর্কিত প্রক্রিয়া উন্নয়ন করা হচ্ছে। আমাদের উন্নত নেটওয়ার্ক এবংগ্রাহক সেবা নিশ্চিতকরণে এই উদ্যোগ অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। নেটওয়ার্ক ব্যবস্থাপনা এবং এ সম্পর্কিত প্রক্রিয়া উন্নয়নের মাধ্যমে নতুন কর্মসংস্থানও সুযোগ সৃষ্টি হবে।
এদিকে ইউনিয়নের দাবি, গ্রামীণফোন ২০২০ সালের মধ্যে আরও নতুন একটি প্রকল্প বাস্তবায়ন করতে যাচ্ছে ফলে বর্তমান দুই হাজার ৩০০ কর্মী থেকে এক হাজার কমিয়ে আনবে।
জিপিইউ‘র সভপতি ফজলুর রহমান বলেন, ২০০৭ সালে গ্রামীণফোন তিন হাজার কর্মী ছাঁটাই করেছিলো গ্রামীণফোন। এছাড়া প্রায় এক হাজার কর্মী চাকরি ছেড়ে দিতে বাধ্য হয়েছিলো।