ইন্টারনেটে সুরক্ষিত রাখুন ব্যক্তিগত তথ্য



সেন্ট্রাল ডেস্ক ৩

  • Font increase
  • Font Decrease

ফেসবুকের কোটি কোটি ব্যবহারকারীর তথ্য তাদের অজান্তে 'ক্যামব্রিজ অ্যানালিটিকা' চুরি করেছে বলে প্রকাশ পাওয়ার পর এখন তীব্র বিতর্ক চলছে 'ডাটা প্রাইভেসি' নিয়ে। প্রায় ৫ কোটি ফেসবুক ব্যবহারকারীর প্রোফাইল ঘেঁটে, তাদের অনুমতি ছাড়াই সেখান থেকে ব্যক্তিগত তথ্য চুরি করে ক্যামব্রিজ অ্যানালিটিকা একটি সিস্টেম দাঁড় করিয়েছিল। এরপর যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট নির্বাচনের সময় তারা ব্যবহারকারীদের সাইকোলজিক্যাল প্রোফাইলের ভিত্তিতে তাদের টার্গেট করে রাজনৈতিক বিজ্ঞাপন পাঠাতে থাকে। ফেসবুক বা গুগল যে আপনার অনেক ব্যক্তিগত তথ্য গোপনে সংরক্ষণ করছে, সেটা এই কেলেংকারি ফাঁস হওয়ার পরই কেবল জানা গেল, ব্যাপারটা কিন্তু এমন নয়। যারা খোঁজ-খবর রাখেন, তারা জানেন, এটা চলছে বহুদিন ধরেই। আপনার কি আদৌ কোন ধারণা আছে ফেসবুক বা গুগল আপনার জীবন সম্পর্কে কতটা জানে? অনলাইনে আপনার শেয়ার করা তথ্যের গোপনীয়তা সম্পর্কে যদি আপনার মধ্যে কোন উদ্বেগ থাকে, তাহলে সহজ কিছু পদক্ষেপ নিয়ে আপনি নিজেকে নিরাপদ রাখতে পারেন। বার্লিন ভিত্তিক একটি প্রযুক্তি কোম্পানি 'ট্যাকটিক্যাল টেক' এর সঙ্গে কথা বলে বিবিসি এই সহজ নির্দেশিকা তৈরি করেছে; ১. আপনার ফেসবুক প্রোফাইল ঠিক করুন ফেসবুক আপনাকে সব তথ্য ডাউনলোড করার অপশন দেয়। এর মধ্যে আপনার ছবি থেকে শুরু করে এ যাবত যত মেসেজ আপনি আদান-প্রদান করেছেন, সবকিছু। যদি এসব তথ্যের কপি পেতে চান, তাহলে জেনারেল একাউন্ট সেটিং এ যান। সেখানে 'ডাউনলোড এ কপি অব ইউর ফেসবুক ডাটা'তে ক্লিক করুন। এরপর সব ডাটা আপনার ইমেল ঠিকানায় চলে যাবে। জেনারেল একাউন্ট সেটিং থেকে আপনি 'অ্যাপস' এ ক্লিক করে দেখতে পারেন কোন অ্যাপসগুলি অপ্রয়োজনীয়। এসব অপ্রয়োজনীয় অ্যাপ ডিলিট করতে পারেন। হয়তো বহু বছর আগে ফেসবুবকে একটি কুইজ টেস্টে অংশ নিয়েছিলেন। সেই অ্যাপটি হয়তো আপনার অনেক তথ্য সংরক্ষণ করে রেখেছে। এরকম কোনো অ্যাপ ডিলিট করার আগে দেখে নিতে পারেন, আপনার সম্পর্কে কত কিছু এই অ্যাপ জানে। আপনি নিজেই অবাক হয়ে যাবেন! এছাড়াও আপনাকে ট্যাগ করা হয়েছে এরকম বহু ছবি থেকেও নিজেকে আন-ট্যাগ করতে পারেন। প্রোফাইল পেজে গিয়ে অ্যাকটিভিটি লগ ভালো করে দেখুন। স্ক্রল করে যত ছবি আর পোস্টে আপনাকে ট্যাগ করা হয়েছে সেগুলো দেখুন। আপনার অপছন্দের ছবি আর পোস্ট ডিলিট করুন। ২. ওকে গুগল, আমার সম্পর্কে কতটা জানো তুমি? এমন সম্ভাবনা খুব বেশি যে আপনি প্রতিদিন অন্তত একবার গুগলের কোনো না কোনো কিছু ব্যবহার করেন। এবং বিশ্বের আর যেকোনো কোম্পানির চেয়ে গুগল আপনাকে অনেক ভালোভাবে চেনে। আপনার গুগল একাউন্টে লগ ইন করুন। আপনার লোগোর ওপর ক্লিক করুন। এরপর প্রাইভেসি চেক আপ পেজে গিয়ে আপনার সম্পর্কিত সমস্ত তথ্য নিজের নিয়ন্ত্রণে নিন। সেখানে তিন নম্বর ধাপে পার্সোনালাইজ ইউর গুগল এক্সপেরিয়েন্সে যান। এর মাধ্যমে গুগলের নিয়ন্ত্রণ আপনি নিজের হাতে নিয়ে নিতে পারেন। ভবিষ্যতে গুগল আপনার কোন তথ্য 'লগ' করবে, তার সীমা আপনি ঠিক করে দিতে পারেন। আপনার কী কী তথ্য গুগলের কাছে আছে, সেটা জানতে চাইলে এই লিংকটিতে যেতে পারেন: google.com/takeout ৩. লোকেশন ডাটা সম্পর্কে কতটা জানেন? আপনার যদি একটি স্মার্টফোন থাকে, তাহলে এমন সম্ভাবনা খুব বেশি যে আপনার অনেক তথ্য চলে যাচ্ছে থার্ড পার্টি অ্যাপসের কাছে। আপনি কে, কোথায় থাকেন, কোথায় যান, সব তাদের জানা। আপনার লোকেশন হিস্ট্রি জানতে আপনাকে যা করতে হবে: • Android: Open Google Maps > menu > Your timeline. Select individual items for more detail. • iPhone: Settings > Privacy > Location Services > scroll down and select System Services >scroll down and select Frequent/Significant Locations. Select individual items for more detail. On your mobile/desktop browser, visit: https://www.google.com/maps/timeline?pb যদি আপনি থার্ড পার্টি অ্যাপসকে আপনার ওপর নজরদারি করতে দিতে না চান তাহলে যেখানে গিয়ে সেটিং বদলাতে পারেন: • Android: Settings > Apps > App permissions > Location. • iPhone: Settings > Privacy > Location Services > manage location access on a per-app basis. ৪. প্রাইভেট ব্রাউজার ব্যবহারের চেষ্টা করুন কোনো একটা শপিং সাইটে গিয়ে কিছু কেনার চেষ্টার পর নিশ্চয়ই খেয়াল করেছেন এরপর যে পেজেই যাচ্ছেন, সেই পণ্যের বিজ্ঞাপন দেখতে পাচ্ছেন? কিছু থার্ড পার্টি কোম্পানি আপনাকে টার্গেট করে এসব পাঠাচ্ছে। এরা পর্দার আড়ালে থেকে আপনার সম্পর্কে অনেক তথ্য জোগাড় করে। আপনি কি সার্চ করছেন, কোন ওয়েবসাইটে যাচ্ছেন এবং আপনার আইপি এড্রেস কি, সব তাদের জানা। আপনার জন্য একটা দুঃসংবাদ হলো, বাজার চলতি কোনো ব্রাউজারের ডিফল্ট সেটিংই আসলে প্রাইভেট বা গোপনীয় নয়। এরা সবাই কুকিজ থেকে শুরু করে ব্রাউজিং হিস্ট্রি, ওয়েব ফর্ম এন্ট্রি থেকে শুরু করে আরও নানা তথ্য মওজুদ করতে থাকে। তবে গুগল, ফায়ারফক্স এবং সাফারিতে প্রাইভেট বা 'ইনকগনিটো' ব্রাউজিং মডের সুযোগ আছে। এই মডে আপনার ব্রাউজিং হিস্ট্রি, কুকিজ, টেম্পোরারি ফাইল এবং ওয়েব এন্ট্রি স্বয়ংক্রিয়ভাবে ডিলিট হয়ে যাবে। নিজে চেষ্টা করে দেখতে পারেন: Open your browser (Firefox, Chrome, Chromium or Safari) and go to Menu > New Private/Incognito Window (depending on the browser).  To set Private Browsing permanently in Firefox or Safari, go to:  Firefox: menu > Preferences > Privacy > History: Firefox will: select Use custom settings for history > check Always use private browsing mode.  Safari: Safari in the top bar > Preferences > General > Safari opens with: select A new private window.  ৫. নিজেকে প্রশ্ন করুন:আমার কী আসলে এত রকমের অ্যাপস দরকার? আপনি কি জানেন আপনার ফোনে কত রকমের অ্যাপস আছে? অনুমান করুন তো? এরপর নিজে গুনে দেখুন। যা ভেবেছিলেন তার চেয়ে বেশি? কোনটা রাখবেন কোনটা ডিলিট করবেন সেই সিদ্ধান্ত নেয়া সত্যিই কঠিন। তবে নীচের প্রশ্নগুলোর উত্তর আপনাকে সাহায্য করবে:  এটা কি আপনার আসলেই দরকার?  কবে আপনি এটি শেষ ব্যবহার করেছেন?  এই অ্যাপটি কি ডাটা সংগ্রহ করে?  এই অ্যাপটি কাদের?  আপনি কি তাদের বিশ্বাস করেন?  আপনি কি তাদের ব্যক্তিগত গোপনীয়তার নীতি সম্পর্কে জানেন?  এসব তথ্যের বিনিময়ে আপনি নিজে কি সুবিধা পাচ্ছেন?  এখন হয়তো আপনি সিদ্ধান্ত নিতে পারবেন কোন অ্যাপগুলো ডিলিট করা যেতে পারে।

   

হোয়াটসঅ্যাপে আসছে নতুন ফিচার, দুর্দান্ত সুবিধা পাবেন ব্যবহারকারীরা!



নিউজ ডেস্ক
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

ভারত তথা সারা বিশ্বে সবথেকে জনপ্রিয় মেসেজিং অ্যাপ হোয়াটসঅ্যাপ (WhatsApp)। দিনের শুরু থেকে শেষ পর্যন্ত হোয়াটসঅ্যাপেই থাকা হয়! বলা যায়, যোগাযোগের অপরিহার্য মাধ্যম হোয়াটসঅ্যাপ।

মেটা-মালিকানাধীন এই সংস্থা ব্যবহারকারীদের দুর্দান্ত অভিজ্ঞতা দিতে বেশ কিছু নতুন ফিচার আনার কথা ঘোষণা করেছে। যার মাধ্যমে ব্যবহারকারীরা সহজেই বিভিন্ন ডকুমেন্ট আদান-প্রদান করতে পারবেন।

ডব্লিউ বেটা ইনফো’র প্রতিবেদন অনুসারে, অ্যান্ড্রয়েডের জন্য নতুন ফিচার পরীক্ষা-নিরীক্ষা করছে হোয়াটসঅ্যাপ। মেসেজিং অ্যাপটি ডকুমেন্ট প্রিভিউ অন্তর্ভুক্ত করার বিষয়টি নিয়ে চিন্তাভাবনা করছে। অর্থাৎ যখন কোনও ব্যবহারকারী কোনও ডকুমেন্ট শেয়ার করবেন, তিনি সেটা খোলার আগেই একটা ছোট্ট ছবি দেখতে পেয়ে যাবেন।

এতে চ্যাটের সঠিক নথি খুঁজে বার করা অনেকটাই সহজ হয়ে যাবে। কারণ ব্যবহারকারীরা না খুলেই এটি এটি দেখতে পাবেন। ফটো-ভিডিও শেয়ার করার ক্ষেত্রে অনেকটাই সুবিধা হবে। আর প্রিভিউ দেখার ফলে ব্যবহারকারীরা বুঝতে পারবেন, কন্টেন্ট খোলা উচিত না কি উচিত নয়।

এখন হোয়াটসঅ্যাপ-এ কোনও ছবি বা ভিডিও ডকুমেন্ট হিসেবে যদি শেয়ার করা হয়, প্রাপক সেটা ডাউনলোড না করলে দেখতে পারেন না। আসন্ন এই ফিচার আনা হলে সমস্যার সমাধান হবে।

এর পাশাপাশি হোয়াটসঅ্যাপ আরও একটি ফিচার নিয়েও কাজ করছে। যেখানে কোন কন্ট্যাক্টের সঙ্গে চ্যাট করা যাবে, তার সাজেশনও আসবে। এই ধরনের কন্ট্যাক্টগুলি এমন কন্ট্যাক্ট হবে, যাদের সঙ্গে বহুদিন যোগাযোগ হয়নি।

প্রথমে এই ফিচার শুধুমাত্র অ্যান্ড্রয়েড ব্যবহারকারীরা পাবেন। কিছুটা দেরীতে হলেও আইওএস ব্যবহারকারীরাও এই ফিচার পাবেন। এখন পরীক্ষা-নিরীক্ষা চলছে। যোগাযোগের অভিজ্ঞতা আরও উন্নত করতেই এই উদ্যোগ হোয়াটসঅ্যাপের।

;

বিদ্যুৎ বিভ্রাটে নাকাল টেলিটকের নেটওয়ার্ক



ইশতিয়াক হুসাইন, স্পেশাল করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

এমনিতেই রাষ্ট্রায়ত্ত মোবাইল অপারেটর টেলিটকের নেটওয়ার্ক কাভারেজ খুবই দুর্বল। এরপর গরমে লোডশেডিংয়ে টেলিটকের গ্রাহকেরা আরো বেশি নেটওয়ার্ক বিভ্রাটে পড়েছেন।

গরম বেড়ে যাওয়ার সঙ্গে সঙ্গে ঢাকাসহ সারাদেশে লোডশেডিং বাড়ছে। বিশেষ করে গ্রামাঞ্চলের বিদ্যুৎ বিভ্রাট অসহনীয় পর্যায়ে চলে যাচ্ছে। এ অবস্থায় টেলিটকের গ্রাহকদের নেটওয়ার্ক সমস্যায় চরম ভোগান্তিতে পড়ার সম্ভাবনা রয়েছে।

খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, টেলিটকের ৫ হাজার ৬শ ৬১টি বিটিএস (বেস ট্রান্সিভার স্টেশন) রয়েছে, যার মাধ্যমে তারা নেটওয়ার্ক কাভারেজ নিশ্চিত করে থাকে। টেলিটকের ৩ হাজার ৮শ ৫৬টি টাওয়ার ব্যাটারি সাপোর্ট রয়েছে। তবে টেলিটকের ৮শ ৩০টি টাওয়ারে এক মিনিটের ব্যাটারি সাপোর্ট দেওয়ার সক্ষমতা নেই।

এছাড়া টেলিটকের ৪০ শতাংশ টাওয়ার এক ঘণ্টার বেশি সময় ধরে বিদ্যুৎ না থাকলে নেটওয়ার্ক সচল রাখতে পারে না।

সাধারণত, একটি বিটিএসে ৪ থেকে ৮ ঘণ্টা ব্যাটারি সাপোর্ট থাকার কথা, যাতে বিদ্যুৎ চলে গেলে টাওয়ারগুলোকে সচল রাখা যায়। টেলিটক ২০১৩ সালে ৩জি রোল আউটের সময় এসব টাওয়ারে ব্যাটারি সাপোর্ট বসিয়েছিল। যে হারে লোডশেডিং হচ্ছে, তাতে করে টেলিটকের টাওয়ারের একটি বড় অংশ অন্ধকারে নিমজ্জিত হচ্ছে এবং গ্রাহকেরা কাভারেজ পেতে দুর্ভোগে পড়ছেন।

টেলিটকের ব্যবস্থাপনা পরিচালক হাবিবুর রহমান এই দূরবস্থার কথা স্বীকার করে বলেন, এটি অস্বীকার করার উপায় নেই যে, টেলিটকের ব্যাটারি সাপোর্ট খুবই স্বল্প। একবার যদি বিদ্যুৎ চলে যায়, তাহলে গ্রাহকেরা নেটওয়ার্ক পেতে দুর্ভোগে পড়ছেন।

তিনি বলেন, ‘টাওয়ারগুলোকে সচল রাখতে আমরা ৪৫ কোটি টাকার একটি প্রকল্প প্রস্তাব করেছি, যা এখন পরিকল্পনা কমিশনে মূল্যায়নের অপেক্ষা করছে’।

এছাড়াও ৫জি প্রকল্পের জন্য ২ হাজার ২শ ৪ কোটি টাকার একটি প্রকল্প চলমান রয়েছে। এই প্রকল্প থেকে যদি কোনো অর্থ সাশ্রয় করা যায়, তা দিয়ে ব্যাটারি সাপোর্ট নিশ্চিতে কাজে লাগানো হবে। বর্তমানে টেলিটের গ্রাহক সংখ্যা ৬৫ লাখ। বিগত বছরে টেলিটক গ্রাহক বাড়ার পরিবর্তে উল্টো ২ লাখ ৩০ হাজার গ্রাহক হারিয়েছে।

সম্প্রতি, দায়িত্ব নিয়েই মন্ত্রণালয়ে বসে টেলিযোগাযোগ ও তথ্যযোগাযোগ প্রযুক্তি প্রতিমন্ত্রী জুনায়েদ আহমেদ পলক টেলিটকসহ রাষ্ট্রীয় মালিকানাধীন সব প্রতিষ্ঠানকে ৩০ জুনের মধ্যে লাভে আনার নির্দেশনা দেন।

প্রতিমন্ত্রী বলেন, এই সময়ের মধ্যে লোকসানি প্রতিষ্ঠানগুলো লাভে না এলে তাদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়া হবে। টেলিযোগাযোগ বিভাগের কোনো কোম্পানি লোকসানে থাকতে পারবে না।

এখন পর্যন্ত প্রতিষ্ঠানটির দেনার পরিমাণ পাঁচ হাজার কোটি টাকার বেশি। এর মধ্যে দুইবার শুধু লাভের মুখ দেখেছিল। সরকারের কাছেই দেনা আছে দুই হাজার কোটি টাকা।

বিটিআরসির কাছে পাওনা আছে, একই পরিমাণ অর্থ। পল্লী বিদ্যুতায়ন বোর্ডের কাছে দেনা ৩শ ৮৯ কোটি টাকার বেশি। এর বাইরে বেসরকারি প্রতিষ্ঠান, ব্যাংক ও ঋণ প্রদানকারীদের কাছে ঋণের পরিমাণ ৩শ ৬০ কোটি টাকা। দেনার বিপরীতে টেলিটকের কাছে পাওনা ১শ ৪১ কোটি টাকা।

 

;

এবার পিক্সেল ৯ সিরিজে পাওয়া যাবে জরুরি স্যাটেলাইট সংযোগ!



নিউজ ডেস্ক, বার্তা২৪.কম
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

এখন গুগল পিক্সেল ৯ সিরিজে পাওয়া যাবে জরুরি স্যাটেলাইট সংযোগ। অ্যান্ড্রয়েড কর্তৃপক্ষ পিক্সেল ৯ সিরিজে আসা কিছু মডেম আপগ্রেড করেছে যা জরুরি স্যাটেলাইট সংযোগসহ কিছু গুরুত্বপূর্ণ আপগ্রেড নিয়ে বাজারে আসছে। প্রতিবেদন- অ্যান্ড্রয়েড অথরিটি।

বেশিরভাগ ব্যবহারকারী মোবাইল কেনার ক্ষেত্রে মডেমের প্রতি গুরুত্ব দেন না। তবে এটা কিন্তু সবচেয়ে জরুরি। কারণ ইন্টারনেট সংযোগে ব্যঘাত ঘটলে তা মোটেও কাজের ক্ষেত্রে সুফলদায়ক হয় না।

এদিকে সাম্প্রতিক বছরগুলোতে, সংযোগের এই সমস্যাগুলো সিরিজের অন্যতম বড় সমস্যা হয়ে দাঁড়িয়েছে। তবে এবার এ পরিস্থিতির উন্নতি স্বরুপ আসন্ন পিক্সেল ৯ সিরিজ আরও ভাল কিছু নিয়ে আসছে বলে আশা অ্যান্ড্রয়েড কর্তৃপক্ষের।

পিক্সেল ৯ সিরিজে প্রথমেই যে বিষয়টি অ্যান্ড্রয়েড কর্তৃপক্ষ গুরুত্ব দিয়েছে তা হল এর মডেম। ২০২১ সালে গুগল টেনসর চিপগুলোতে স্যুইচ করার পর থেকে মডেমগুলো পিক্সেলে সমস্যার কারণ হয়ে দাঁড়ায়। যেহেতু চিপগুলো স্যামসাংয়ের এসএলএসআই বিভাগের সহযোগিতায় তৈরি করা হয়েছিল, তাই গুগল পূর্ববর্তী পিক্সেলগুলোর বিপরীতে বিকাশকে সহজ করার জন্য এক্সিনোস মডেম বেছে নিয়েছিল। যা কোয়ালকমের সমাধানে ব্যবহার কড়া হয়েছিল।

তবে দুর্ভাগ্যবশত, নতুন মডেমগুলোতে চলমান সফ্টওয়্যারটির স্থায়িত্ব খুবই কম ছিল, বিশেষ করে শুরুর দিকে। উদাহরণস্বরূপ, পিক্সেল ৬ ব্যবহারকারী একজন ব্যক্তিগত অভিজ্ঞতা সম্পর্কে বলেছেন, আমি এমন সমস্যার মুখোমুখি হয়েছি যেখানে মডেমটি ক্র্যাশ হওয়া এবং এমনকি অন্যান্য সাবসিস্টেমগুলো যেমন এটির সেন্সরগুলো অফলাইনে নিয়ে যাওয়ার মত সমস্যার সম্মুখীন হয়েছি। তবে শুধু আমি একাই পিক্সেল ৬ সংযোগের সমস্যাগুলোর সম্মুখীন হওয়ার ক্ষেত্রে একা ছিলাম না।

এছাড়াও পিক্সেল ৭ এবং ৮ ব্যবহারকারীরা মার্চ ২০২৪ আপডেটের পর থেকে এর ধরনের সমস্যার কথা জানিয়েছেন। সাম্প্রতিক এক জরিপ অনুযায়ী, প্রায় ৬০ শতাংশ উত্তরদাতারা এই সমস্যাগুলোর মুখোমুখি হওয়ার কথা জানিয়েছেন।

টেনসর জি ৪, পিক্সেল ৯ সিরিজে প্রথমবারের মতো একটি উচ্চ ক্ষমতা সম্পন্ন স্যামসাং মডেম ৫৪০০ আনছে অ্যান্ড্রয়েড কর্তৃপক্ষ। যদিও এটি কোয়ালকম মডেম নয়। তবে তারা আশা করছে এটি পূর্ববর্তী প্রজন্মের তুলনায় দ্রুত এবং আরও শক্তিশালী হবে। এছাড়া এটির সফ্টওয়্যার স্ট্যাক আপগ্রেড করা হয়েছে, যা পূর্ববর্তী প্রজন্মের তুলনার দীর্ঘস্থায়ী হবে। এর ৫ জি নন-টেরেস্ট্রিয়াল নেটওয়ার্ক (এনটিএন), বা অন্য কথায় উপগ্রহ-ভিত্তিক যোগাযোগের সুবিধা নিয়ে আসছে।

ধারণা করা হচ্ছে পিক্সেল ৯ সিরিজই প্রথম অ্যান্ড্রয়েডের নেটিভ স্যাটেলাইট বাস্তবায়নকে সমর্থন করবে।

প্রাথমিকভাবে এই বৈশিষ্ট্যটি মোবাইল (স্পেসএক্সের সহযোগিতায় নির্মিত) দ্বারা সরবরাহ করা হবে এবং ভবিষ্যতে অন্যান্য সরবরাহকারীদের সাথে যুক্ত হবে। স্যাটেলাইট লিঙ্কটি দিয়ে টেক্সট করা গেলেও কল করা যাবে না। সহজভাবে বলতে গেলে, একটি বিশেষ স্যাটেলাইট গেটওয়ে অ্যাপ্লিকেশন 'জরুরি এসওএস' নামে একটি বৈশিষ্ট্যের মাধ্যমে জরুরি যোগাযোগের সুবিধা দেবে।

মডেমটি পিক্সেল ৯ সিরিজ এবং পরবর্তী প্রজন্মের পিক্সেল ফোল্ড সহ সমস্ত সেলুলার-সক্ষম টেনসর জি ৪ ডিভাইসে আসছে। অ্যান্ড্রয়েড অথরিটির সূত্র অনুযায়ী, গুগল একই মডেমসহ একটি ৫ জি ট্যাবলেট, কোডনেম 'ক্লিমেন্টাইন' বিকাশের প্রাথমিক পর্যায়ে রয়েছে। তবে ডিভাইসটি কখন বাজারে আসবে তা এখনো জানা যায়নি।

;

স্মার্ট বাংলাদেশ গড়তে স্মার্ট ট্যাক্সেশন ইকোসিস্টেম লাগবে: পলক



স্পেশাল করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, ঢাকা
‘স্মার্ট বাংলাদেশ গড়তে স্মার্ট ট্যাক্সেশন ইকোসিস্টেম লাগবে’

‘স্মার্ট বাংলাদেশ গড়তে স্মার্ট ট্যাক্সেশন ইকোসিস্টেম লাগবে’

  • Font increase
  • Font Decrease

টেলিযোগাযোগ ও তথ্যপ্রযুক্তি প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলক বলেছেন, করখাত পুনর্গঠনের সাথে সাথে টেলিযোগাযোগ খাত কীভাবে স্মার্ট বাংলাদেশ গঠনে অবদান রাখতে পারে সেই লক্ষে কাজ করতে হবে। রাজস্ব আদায়ের বড় খাত এখন টেলিযোগাযোগ। এই খাতের অবদানকে কীভাবে জিডিপি বাড়ানোর ক্ষেত্রে সমন্বয় করা যায় তা চিন্তা করতে হবে।

মোবাইল অপারেটরেরা এখন আসলে ডিজিটাল অপারেটর। বিটিআরসিও যেন নিয়ন্ত্রণকারী সংস্থা না হয় সেই দিকে খেয়াল করার আহ্বান জানিয়ে তিনি বলেন, কমিশনকে উদ্ভাবনী সংস্থা হিসেবে তৈরি হতে হবে। এনবিআরকেও স্মার্ট প্রতিষ্ঠান হিসেবে গড়ে তুলতে হবে। টেলিযোগাযোগ খাতকে স্মার্ট খাত হিসেবে তৈরি করতে হবে। স্মার্ট ট্যাক্সেশন ইকোসিস্টেম গড়তে কাজ করতে হবে।

রোববার (৭ এপ্রিল) সোনারগাঁও হোটেলে বাংলাদেশ টেলিকম এন্ড টেকনোলজি রিপোটাস নেটওয়ার্ক (টিআরএনবি) ও অ্যাসোসিয়েশন অব মোবাইল টেলিকম অপারেটরস অব বাংলাদেশ (এমটব) আয়োজিত রাউন্ড টেবিল বৈঠকে প্রতিমন্ত্রী এসব একথা বলেন। অনুষ্ঠান সঞ্চালনা করেন টিআরএনবি সভাপতি রাশেদ মেহেদী।

এসময় বাংলাদেশ টেলিযোগাযোগ নিয়ন্ত্রণ কমিশনের (বিটিআরসি) চেয়ারম্যান মহিউদ্দিন আহমেদ, বাংলাদেশ স্যাটেলাইট কোম্পানির চেয়ারম্যান শাহজাহান মাহমুদ, এমটবের প্রেসিডেন্ট ও গ্রামীণফোনের সিইও ইয়াসির আজমান, রবির চিফ কর্পোরেট এন্ড রেগুলেটরি অ্যাফেয়ার্স অফিসার সাহেদ আলম, গ্রামীণফোনের সিনিয়র ডিরেক্টর (কর্পোরেট অ্যাফেয়ার্স ) হোসেন সাহাদাত, বাংলালিংকের ভারপ্রাপ্ত সিইও তাইমুর রহমান, ফরেন ইনভেস্টরস চেম্বার অব কমাস এন্ড ইন্ডাস্ট্রির নির্বাহী পরিচালক টিআইএম নুরুল কবির, ফাইবার@হোমের সিটিও সুমন আহমেদ সাবির উপস্থিত ছিলেন।

এতে মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন এমটের সেক্রেটারি জেনারেল লে: কর্নেল (অব) জুলফিকার আহমেদ। বক্তব্য রাখেন- টিআরএনবি'র সাধারণ সম্পাদক মাসুদুজ্জামান রবিন।

বাংলাদেশ টেলিযোগাযোগ নিয়ন্ত্রণ কমিশনের (বিটিআরসি) চেয়ারম্যান মহিউদ্দিন আহমেদ বলেন, ডিজিটাল বাংলাদেশের মধ্য দিয়ে স্মার্ট বাংলাদেশের দিকে যাচ্ছি। আমাদের লক্ষে পৌঁছতে হলে টেলিযোগাযোগ খাতের কর পুনর্বিবেচনা করাসহ সবকিছু সহজিকরণ করতে হবে। আগামী ১০ থেকে ১৫ বছরে ভিন্ন পৃথিবী দেখবে মানুষ। বাংলাদেশও সেই ভিন্ন পৃথিবীর অংশ হবে।

বাংলাদেশ স্যাটেলাইট কোম্পানির চেয়ারম্যান শাহজাহান মাহমুদ করনীতি পুনর্গঠন করার ওপর গুরুত্বারোপ করেন।

এমটবের প্রেসিডেন্ট ও গ্রামীণফোনের সিইও ইয়াসির আজমান বলেন, শুধু ইন্টারনেটের ক্ষেত্রে সাপ্লিমেন্টারি ডিউটি যেন বাদ দেওয়া হয়। স্মার্টফোনকে বাদ দিয়ে স্মার্ট বাংলাদেশ অর্জন কঠিন হবে। তাই মোবাইল ফোনের পেনেট্রেশন বাড়ানোর ক্ষেত্রে ফোনের ওপর থেকে যৌক্তিক কর ধার্য করা উচিত। সবকিছুতে জটিলতার জায়গা থেকে সহজিকরণ কীভাবে করা যায় সেই চিন্তা করা উচিত বলে তিনি মন্তব্য করেন।

তিনি বলেন, স্মার্ট বাংলাদেশ বাস্তবায়নে কর যেন অনেক বড় বোঝা না হয়।

রবির চিফ কর্পোরেট এন্ড রেগুলেটরি অ্যাফেয়ার্স অফিসার সাহেদ আলম বলেন, করের ক্ষেত্রে শুরুতেই এন্ট্রি ব্যারিয়ার থাকে। যেমন সিম ট্যাক্স শুরুতে ১২০০ টাকা ছিল, যা এখন ১০০ টাকা। অথচ এন্ট্রি ব্যারিয়ার তৈরি না করলে বরং পরবর্তীতে এখান থেকে আরো বেশি কর আদায় সম্ভব। টেলিযোগাযোগ খাতকে স্পেশাল খাত হিসেবে গণ্য করা হলেও স্পেশাল মর্যাদা দেওয়া হয় না। তরঙ্গের ওপর কর বিশ্বের কোথাও নেই। আমাদের এখানে তরঙ্গকে অবকাঠামো হিসেবে গণ্য করা হয়েছে।

গ্রামীণফোনের সিনিয়র ডিরেক্টর (কর্পোরেট অ্যাফেয়ার্স) হোসেন সাহাদাত বলেন, এবারের বাজেটে কাঙ্ক্ষিত ফলাফল পাবো। স্মার্ট বাংলাদেশ রূপকল্প বাস্তবায়নে সম্মিলিতভাবে যাতে এগিয়ে যেতে হবে। কর্পোরেট ট্যাক্সটাকে রেশনালাইজ করা উচিত।

বাংলালিংকের ভারপ্রাপ্ত সিইও তাইমুর রহমান বলেন, স্মার্ট ট্যাক্সেশন তৈরি করতে হবে। ট্যাক্স নেট কীভাবে বাড়াবো সেই পদক্ষেপ নেওয়া হচ্ছে না।

ফরেন ইনভেস্টরস চেম্বার অব কমাস এন্ড ইন্ডাস্ট্রির নির্বাহী পরিচালক টিআইএম নুরুল কবির বলেন, টেলিযোগাযোগ খাত চেঞ্জ মেকার। সিগারেট কোম্পানি ও টেলিকম খাতের কর কেন একই হারে হবে। কারণ সিগারেট কোম্পানি স্বাস্থ্যখাতের ব্যয় বাড়াবে। প্রযুক্তি কোনো আলাদা খাত নয়। বিদেশি বিনিয়োগকারীরা ভীত সন্ত্রস্ত হয়ে যাচ্ছে। অমীমাংসিত ইস্যুগুলো যদি সমাধান না হয় তাহলে খাত এগোবে না।

ফাইবার@হোমের চিফ টেকনিক্যাল অফিসার (সিটিও) সুমন আহমেদ সাবির বলেন, ডিজিটাল বাংলাদেশ থেকে স্মার্ট বাংলাদেশে যাচ্ছি। যে-সব দেশে কর কম সেদেশে জিডিপি তত বেশি। প্রতিটি লেয়ারে আমরা ভ্যাট দিচ্ছি। কর এমনভাবে আরোপ করা হোক যাতে এটি বোঝা না হয়।

লে: কনেল (অব) জুলফিকার আহমেদ বলেন, ডিজিটাল কানেক্টিভিটির পর এবার ডিজিটাল ইকোনমিতে সফলতা চাই। তবে এক্ষেত্রে অনেক ধরনের বাধা রয়েছে। বাংলাদেশ টেলিযোগাযোগ খাতে ৮ম সর্বোচ্চ মোবাইল মার্কেট। ১০ লাখ মানুষের কর্মসংস্থান হয়েছে। প্রায় প্রতি বছর ৫ হাজার কোটি টাকার বেশি বিনিয়োগ হচ্ছে। অথচ এই খাতে যৌক্তিক কর আদায় হচ্ছে না। বিশ্বের বহু দেশের চেয়ে বাংলাদেশে টেলিযোগাযোগ খাতে কর বেশি।

;