পাওনা আদায়ের বিরোধ নিষ্পত্তিতে সালিশের দিকে তাকিয়ে গ্রামীণফোন

  • স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তাটোয়েন্টিফোর.কম, ঢাকা
  • |
  • Font increase
  • Font Decrease

সংবাদ সম্মেলনে গ্রামীণফোনের কর্মকর্তারা, ছবি: সংগৃহীত

সংবাদ সম্মেলনে গ্রামীণফোনের কর্মকর্তারা, ছবি: সংগৃহীত

ত্রুটিপূর্ণ অডিটের দাবিকৃত অর্থ আদায়, বিভিন্ন প্রকার অনুমোদন ও অনাপত্তিপত্র প্রদান স্থগিত করণের মাধ্যমে অর্থ আদায়ের জন্য বিটিআরসির জবরদস্তিমূলক কৌশলের প্রতিবাদ জানিয়েছে গ্রামীণফোন। এছাড়াও বিরোধ নিষ্পত্তি করতে সালিশি প্রক্রিয়া অবলম্বন করতে বিটিআরসিকে নোটিশ পাঠাবে গ্রামীণফোন।

বৃহস্পতিবার (২৫ জুলাই) ঢাকার একটি হোটেলে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে অপারেটরটি জানায়, বিটিআরসি এ সিদ্ধান্তটি কোনোভাবেই গ্রাহকদের স্বার্থ বিবেচনা করে নেওয়া হয়নি। বরং এ সিদ্ধান্তে গ্রাহকদের স্বাধীনভাবে সেবা গ্রহণের সুবিধা থেকে বঞ্চিত করা হয়েছে। এ সিদ্ধান্তের ফলে গ্রাহকদের নিরবিচ্ছিন্নভাবে মানসম্পন্ন ফোন কল ইন্টারনেট ব্রাউজিং ডিজিটাল মিডিয়া ও সামাজিক মাধ্যম ব্যবহারের অধিকারকে খর্ব করেছে।

বিজ্ঞাপন

গ্রামীণফোনের ভারপ্রাপ্ত চিফ করপোরেট অ্যাফেয়ার্স অফিসার ও হেড অফ রেগুলেটরি অ্যাফেয়ার্স হোসেন সাদাত বলেন, '২০০২ থেকে ২০০৬ সালের মধ্যে যে স্পেকট্রাম ব্যবহারের মূল্য পরিশোধ করা হয়েছে তা বিটিআরসির ডিমান্ড নোটের ভিত্তিতে করা হয়েছে। তবে অডিটের ফলাফলে এটি উল্লেখ করা হয়েছে। এই ডিমান্ড নোটের নিরূপণ পদ্ধতিতে বিটিআরসি যে ভুল করেছে এক্ষেত্রে ভুলের জন্য বিটিআরসিকে দায়ী করার বদলে বিটিআরসি কর্তৃক নিযুক্ত প্রতিষ্ঠান দাবি করে যে, গ্রামীণফোন শুধুমাত্র ভুলের মাশুলই দেবে না এরূপ ও চক্রবৃদ্ধি হারে সুদ প্রদান করবে।'

এছাড়াও নানা রকম অসঙ্গতিপূর্ণ অডিট এর উদ্দেশ্য নিয়ে প্রশ্ন উত্থাপন করে গ্রামীণফোনের সিইও মাইকেল ফোলি অডিট দাবির চিঠির কথা উল্লেখ করে বলেন, 'চিঠিতে বলা হয়, গ্রামীণফোনের কোন আপত্তিগুলো যেটি ২০ ফেব্রুয়ারি ২০১৮ পর্যন্ত জানানো হয়েছে সেগুলো আমলে নেয়া হয়েছে। কিন্তু গ্রামীণফোন ও বিটিআরসির মধ্যে পরবর্তী আলোচনা বা ২০১৮ সালের সেপ্টেম্বরে ৯ ও ১৮ তারিখের দুটি চিঠির মাধ্যমে জানানো বিস্তারিত যুক্তিতর্কের কোনো কিছুই দাবিনামা পাঠানোর সময় আমলে নেয়া হয়নি।'

বিজ্ঞাপন

ঘটনা সম্পর্কে উদ্বেগ প্রকাশ করে গ্রামীণফোনের সিইও মাইকেল ফোলি বলেন, 'গ্রামীণফোনের উত্থাপিত সকল যুক্তি উপেক্ষিত হয়েছে এবং বিষয়গুলো অমীমাংসিত রয়েছে। এরূপ অযৌক্তিক কার্যকলাপ আমাদের আইনানুগ অধিকার রক্ষার্থে গঠনমূলক সালিশি প্রক্রিয়ার অবলম্বনে দাবিকে সমর্থন করে।'

এ সময় উপস্থিত ছিলেন- গ্রামীণফোনের এক্সটার্নাল কমিউনিকেশন ডেপুটি জেনারেল ম্যানেজার মোহাম্মদ হাসান।