পরিচয়পত্রের ভিত্তিতে ফেসবুক অ্যাকাউন্ট!



সাব্বিন হাসান, আইসিটি এডিটর, বার্তাটোয়েন্টিফোর.কম
প্রতীকী ছবি

প্রতীকী ছবি

  • Font increase
  • Font Decrease

সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে বহুমাত্রিক সন্ত্রাস ছড়িয়ে পড়ছে। এটা বৈশ্বিক সমস্যা। হরহামেশা দেশে দেশে এ নিয়ে হইচই বেধেই থাকে। এ নিয়ে সরকার আর সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমগুলোর যুক্তিতর্কও হয়ে ওঠে বৈশ্বিক। এমনই আলোচনায় সরব হয়েছে ভারত।

সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে সন্ত্রাস ছড়িয়ে পড়ছে বলে মন্তব্য করেছেন ভারতের অ্যাটর্নি জেনারেল কে কে বেণু গোপাল। এ প্রসঙ্গে জাতীয় স্বার্থে সুপ্রিম কোর্ট ভারতে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ব্যবহারকারীদের সন্ত্রাসী কাজের অনুসন্ধানের জন্য স্যোশাল অ্যাকাউন্টগুলোর সাথে ভারতের আধার কার্ডকে (ভারতের রাষ্ট্রীয় পরিচয়পত্র) সংযুক্ত করার প্রয়োজনীয়তার ওপর গুরুতারোপ করেছে।

বিচারপতি দীপক গুপ্তের নেতৃত্বাধীন বেঞ্চে জ্যেষ্ঠ আইনি কর্মকর্তা বলেছেন, সাইবার অপরাধে জোর দেওয়া, সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ডে স্যোশাল মিডিয়ার ব্যবহার, গুজব সন্ত্রাস, সহিংসতা, অশ্লীলতা প্ররোচনা- এসব অপরাধ নিয়ন্ত্রণ ও শনাক্তে আইন প্রয়োগকারী সংস্থাগুলোর জন্য অভিযুক্ত অ্যাকাউন্ট ব্যবহারকারীদের সব ধরনের তথ্য জানা প্রয়োজন।

তামিলনাড়ুতে ব্লু হোয়েল গেমের ক্ষতিকারক প্রভাবের প্রসঙ্গ তুলে বেণুগোপাল বলেন, স্যোশাল মিডিয়ার বিপদগুলোর মধ্যে ‘ব্লু হোয়েল’ গেম অন্যতম। এই গেমের কারণে অনেক প্রাণহানি হয়েছে। এখনও জানি না যে, এই গেমটির উদ্ভব কী উদ্দেশে হয়েছিল। এ ধরনের গেমের পেছনের মানুষগুলো কেন এমন গেম ছড়িয়ে দিয়েছে।

সামাজিক মিডিয়ায় আধার কার্ডের সংযোগ সম্পর্কিত বিভিন্ন আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে সোশ্যাল মিডিয়া জায়ান্ট ফেসবুক এবং তার মালিকাধীন হোয়াটস অ্যাপের বিরুদ্ধে মামলা চলমান আছে বোম্বে, ওড়িশা ও মাদ্রাজের হাইকোর্টে।

এসব অভিযোগের প্রেক্ষিতে ফেসবুক এবং হোয়াটসঅ্যাপের পক্ষে উপস্থিত জ্যেষ্ঠ আইনজীবী মুকুল রোহাতগি এবং কপিল সিবাল যুক্তি দিয়েছিলেন, সুপ্রিম কোর্টের উচিত এ ধরনের আবেদন নিজের দায়িত্বে না নেওয়া। এটি একটি আন্তর্জাতিক সমস্যা। যেহেতু বিষয়টি একটি নীতিগত বিষয়। তাই কেন্দ্রীয় সরকারের সুস্পষ্ট মতামত না নিয়ে উচ্চ আদালতের এ ধরনের হস্তক্ষেপ করা অনুচিত। 

ইতিমধ্যে কেন্দ্রীয় সরকার বিষয়টি খতিয়ে দেখছে। মাদ্রাজ হাইকোর্টের সিদ্ধান্তের আগে কেন্দ্র এই অবস্থান নিয়েছে যে তারা এই বিষয়ে কিছু দিকনির্দেশনা বিবেচনা করছে। আমরা চাই না যে বিভিন্ন উচ্চ আদালত আমাদের বিভিন্ন ধরণের দিকনির্দেশনা দিয়ে বিভ্রান্তি তৈরি করুক।

এ প্রসঙ্গে হোয়াটসঅ্যাপ সূত্র বলেছে, তাদের বিনিময় বার্তাগুলো অ্যান্ড-টু-অ্যান্ড এনক্রিপশন পদ্ধতির। চাইলেই এসব তথ্যের মধ্যে প্রবেশ করা যায় না।

অন্যদিকে বেণুগোপাল যুক্তি দিয়েছিলেন, প্রতিটি একক বার্তার প্রবর্তক সম্পর্কে তথ্য দিয়ে হবে। বিশেষ করে সন্ত্রাসী কাজের উদ্দেশ্য ব্যবহৃত বার্তাগুলো সম্পর্কে জানার প্রয়োজন আছে।

এ বিষয়ে গঠিন বেঞ্চ আরও পর্যবেক্ষণ করেছে, ‘ডার্ক ওয়েব’ পরিচালিত গেম যেমন ব্লু হোয়েল সমাজের জন্য অনেক বেশি বিপজ্জনক। তবে একই সাথে বিচারপতি গুপ্তা বলেছেন, এ জাতীয় গেমের জন্য কিছু সুরক্ষার ব্যবস্থা এবং শর্ত থাকতে হবে।

অ্যাটর্নি জেনারেল কে কে বেণুগোপাল প্রথমে হাইকোর্টকে দ্রুত সিদ্ধান্ত দেওয়ার জন্য চাপ দিলে আইনজীবী সিবাল এবং রোহাতগি বলেন, তড়িঘড়ি করে দেওয়া আদেশ আরও বেশি বিভ্রান্তির সৃষ্টি করবে।

এ বক্ত্যের প্রেক্ষিতে বেঞ্চ গুগল, টুইটার এবং ইউটিউবকে আনুষ্ঠানিকভাবে নোটিশ জারি করে। এ বিষয়ে আগামী ২ সেপ্টেম্বর শুনানির দিন ধার্য করা হয়। 

এ বিষয়ে মাদ্রাজ হাইকোর্টকে মামলা চালিয়ে যাওয়ার অনুমতি দেওয়া হয়। সঙ্গে বলা হয়, আপাতত এ বিষয়ে দেশটির হাইকোর্ট চূড়ান্ত কোনো নির্দেশ জারি করবে না।

চলমান এ প্রসঙ্গে ভারতের সাইবার আইন বিশেষজ্ঞের পুনিত ভাসিন বলেন, ভুয়া খবর ঠেকানোর প্রবণতা রোধে ভারতের তথ্যপ্রযুক্তি আইন দুর্বল। ভারতের এমন কোনো আইন নেই, যার মাধ্যমে প্রতিষ্ঠানগুলোকে এই ইস্যুতে কাজ করতে বলা যায়। একমাত্র ভারতের দণ্ডবিধি অনুসারে তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া যায়। তাদের বিরুদ্ধে বর্তমান তথ্যপ্রযুক্তি আইনে কোনো ব্যবস্থা নেওয়া যায় না। ডেটা স্থানীয়করণসহ ভারতের এ–সংক্রান্ত আইনটিকে আরও কঠোর করা উচিত। আর তা বাস্তবায়নে কার্যকর ব্যবস্থা নেওয়া প্রয়োজন।

কিছুদিন আগে ভারতের রাজ্য সভায় আইন ও তথ্যপ্রযুক্তিমন্ত্রী বলেছিলেন, অপরাধ সংঘটন, ঘৃণা ছড়ানো, জঙ্গি ও সন্ত্রাসবাদকে উসকানি দেওয়াসহ অর্থ পাচারে ইন্টারনেটকে মাধ্যম হিসেবে ব্যবহার করতে না দেওয়ার বিষয়ে আইন করা হবে।

ভারতে বিদেশি ইন্টারনেট প্রতিষ্ঠানগুলোর কার্যক্রম পরিচালনা ও নিয়ন্ত্রণে বিশেষ ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে। ওই সব প্রতিষ্ঠানকে ভারতের আইন ও বিচার বিভাগের কাছে যথাযথ দায়বদ্ধ থাকতে হবে। 

আইনে সংশোধন আনার পর তা টুইটার, হোয়াটসঅ্যাপ, ফেসবুক, গুগল ও টেলিগ্রামের মতো বহুল জনপ্রিয় যোগাযোগমাধ্যমের কার্যক্রমে প্রভাব ফেলতে পারে। ভুয়া খবরের উৎস শনাক্ত করা, এনক্রিপশনের সুযোগ পাওয়া (এনক্রিপশন প্রক্রিয়ায় নির্দিষ্ট কর্তৃপক্ষ ছাড়া আর কেউ তথ্যে প্রবেশ করতে পারে না), রাজনীতি ও নির্বাচনে হস্তক্ষেপ করে এমন বিষয়, শিশু হয়রানি ও প্রতিশোধমূলক পর্নো চিত্র ছড়ানোর অভিযোগে এসব যোগযোগমাধ্যমের সঙ্গে সরকারের দীর্ঘদিনের মতবিরোধ।

   

এক মাসেও ঠিক হচ্ছে না দ্বিতীয় সাবমেরিন ক্যাবল



ইশতিয়াক হুসাইন, স্পেশাল করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

কাটা পড়ায় দ্বিতীয় সাবমেরিন ক্যাবল (সিমিউই-৫) থেকে ব্যান্ডউইথ সরবরাহ পুরোপুরি বন্ধ হয়ে গিয়েছে। এর ফলে দেশে ইন্টারনেট সমস্যার এখনো কোনো সমাধান হয়নি। ইন্টারনেটের ধীরগতির কারণে গ্রাহকেরা এবার দীর্ঘ দুর্ভোগে পড়েছেন।

ক্যাবল মেরামত না হওয়ায় সহসাই এই সমস্যার সমাধান মিলছে না। রাষ্ট্রায়ত্ব বাংলাদেশ সাবমেরিন ক্যাবল কোম্পানি লিমিটেড সূত্রে জানা গেছে, মূলত গত শুক্রবার দিবাগত রাতে ইন্দোনেশিয়ার সমুদ্র এলাকায় সিমিউই-৫ ক্যাবলটি কাটা পড়ায় দ্বিতীয় সাবমেরিন ক্যাবল থেকে ব্যান্ডউইথ সরবরাহ পুরোপুরি বন্ধ হয়ে যায়।

সাবমেরিন ক্যাবলের এক কর্মকর্তা নাম না প্রকাশের শর্তে বার্তা২৪.কমকে বলেন, ইন্দোনেশিয়ার সাগর অংশে প্রবেশের অনুমতি এখনো পাওয়া যায়নি। অনুমতি পেতে তিন থেকে চার সপ্তাহ পর্যন্ত লেগে যেতে পারে। এরপর কাটা ক্যাবল মেরামত করতে আরও ৮ থেকে ১০ দিন সময় লেগে যেতে পারে। সব মিলিয়ে এক মাসেও দ্বিতীয় সাবমেরিন ক্যাবল থেকে ব্যান্ডউইথ পুরোপুরি সরবরাহ করা সম্ভব হবে না।

তবে বিকল্প উপায়ে তারা দেশব্যাপী ইন্টারনেট সেবা স্বাভাবিক করার চেষ্টা করছেন। এখন পর্যন্ত তারা যে পরিমাণ ব্যান্ডউইথ সরবরাহের চাহিদা পেয়েছেন প্রথম সাবমেরিন ক্যাবল থেকে আগামী ২ থেকে ৩ দিনের মধ্যে ৪০ শতাংশ পূরণ করতে পারবেন বলে আশা করছেন।

বর্তমানে সিমিউই-৫ দিয়ে দেশে ১ হাজার ৬০০ জিবিপিএস ব্যান্ডউইথ সরবরাহ করা হয়। এই সরবরাহের পুরোটা বন্ধ রয়েছে। সিমিউই-৪ দিয়ে (প্রথম সাবমেরিন ক্যাবল) বিকল্প উপায়ে ইন্টারনেট সচল এখনো করা যায়নি। এজন্য কাজ করছে সাবমেরিন ক্যাবল কোম্পানি। তারা বলছে, ২ থেকে ৩ দিন সময় লাগবে। এই সময়কালে তারা চাহিদার মাত্র ৪০ শতাংশ ইন্টারনেট সচল করতে পারবেন।

বর্তমানে দেশে সাড়ে ৫ হাজার ব্যান্ডউইথের চাহিদা রয়েছে। এর মধ্যে সাবমেরিন ক্যাবল কোম্পানি আড়াই হাজারের বেশি ব্যান্ডউইথ সরবরাহ করে। বাকি চাহিদা মিটিয়ে থাকে ইন্টারন্যাশনাল টেরেস্ট্রিয়াল ক্যাবল (আইটিসি)।

;

ডেটায় সর্বোচ্চ শতাংশ ফোরজি গ্রাহক নিয়ে শীর্ষে রবি



স্পেশাল করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, ঢাকা
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

দেশের সামষ্টিক অর্থনীতিতে চ্যালেঞ্জ ও তীব্র প্রতিযোগিতা থাকার পরেও ডেটা সেবা থেকে আয়ের উপর নির্ভর করে সামগ্রিক আয়ের প্রবৃদ্ধি ধরে রেখেছে রবি। মোট ডেটা গ্রাহকের বিচারে এই খাতে সর্বোচ্চ শতাংশ ফোরজি গ্রাহক নিয়ে রবি ক্রমবর্ধমান ডিজিটাল অর্থনীতিতে তার অবস্থান সুদৃঢ় করেছে।

নেটওয়ার্ক শক্তিশালী করতে চলতি বছরের প্রথম প্রান্তিকে নতুন ৫৭৭টি ফোরজি সাইট যুক্ত করেছে রবি। পরিষেবার মান উন্নত করার জন্য এই ধরনের উদ্যোগের ফলে রবি'র ৮১ শতাংশের বেশি ডেটা গ্রাহক এখন ফোরজি ব্যবহারকারী, যা এই খাতে সর্বোচ্চ। চলতি বছরের প্রথম প্রান্তিকের (জানুয়ারি-মার্চ, ২০২৪) প্রকাশিত আর্থিক প্রতিবেদনে এমন চিত্রই উঠে এসেছে।

বছরের প্রথম প্রান্তিকে রবির আয় হয়েছে ২ হাজার ৫১৬ দশমিক ২ কোটি টাকা। যা আগের বছরের একই প্রান্তিকের তুলনায় ৭ দশমিক ২ শতাংশ বেশি। একই সময়ের ব্যবধানে ডেটা থেকে আয় বেড়েছে ২৫ দশমিক ৭ শতাংশ।

রবি'র আর্নিংস বিফোর ইন্টারেস্ট, ট্যাক্স, ডেপ্রিসিয়েশন এবং এমোর্টাইজেশন (ইবিআইটিডিএ) গত বছরের একই প্রান্তিকের তুলনায় ১৬ শতাংশ বেড়ে ২০২৪ সালের প্রথম প্রান্তিকে ৪৮ দশমিক ৫ শতাংশ মার্জিনসহ ১ হাজার ২২০ দশমিক ২ কোটি টাকা হয়েছে। ২০২৪ সালের প্রথম প্রান্তিকে কর-পরবর্তী মুনাফা (পিএটি) ছিল ১০৬ দশমিক ৭ কোটি টাকা, আর কোম্পানির শেয়ার প্রতি আয় (ইপিএস) ছিল শূন্য দশমিক ২ টাকা।

চলতি বছরের প্রথম প্রান্তিকে রবির গ্রাহক সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ৫ কোটি ৮১ লাখে। ইন্টারনেট ব্যবহারকারীর সংখ্যা ৪ কোটি ৩৬ লাখ। ফোরজি ব্যবহারকারী গ্রাহকের সংখ্যা ৩ কোটি ৫৫ লাখ। রবির গ্রাহকদের ৭৫ শতাংশেরও বেশি ডেটা ব্যবহার করেন যা এই খাতে সর্বোচ্চ।

চলতি বছরের প্রথম প্রান্তিকে রাষ্ট্রীয় কোষাগারে জমা দেওয়া হয়েছে এক হাজার ৬০৫ দশমিক ৫ কোটি টাকা, যা ২০২৪ সালের প্রথম প্রান্তিকে রবির অর্জিত আয়ের ৬৩ দশমিক ৮ শতাংশ। এ সময়ে ৩৬৬ দশমিক ২ কোটি টাকা মূলধনী বিনিয়োগ করেছে কোম্পানিটি।

রবির ব্যবস্থাপনা পরিচালক ও সিইও রাজীব শেঠি বলেন, ‍আমরা দেখতে পাচ্ছি সামগ্রিক অর্থনৈতিক পরিস্থিতি এবং মূল্যস্ফীতির প্রভাব আমাদের গ্রাহকদের মোবাইল ব্যবহারের ওপর পড়ছে। একইসাথে লক্ষণীয় যে, স্মার্টফোন ডিভাইসের ব্যবহারের প্রসার অনেকাংশে থমকে গেছে।

উল্লেখ্য, পার্শ্ববর্তী অন্যান্য দেশের তুলনায় ডেটা ব্যবহার বাড়ানোর অনেক সুযোগ রয়েছে বাংলাদেশের। তবে এ সম্ভাবনা কাজে লাগাতে হলে অতি সত্বর স্মার্টফোন ব্যবহারের প্রসার বাড়াতে সরকার থেকে নীতি সহায়তা প্রয়োজন।

গুণগত মান নিশ্চিত করে সেবা দেওয়ার বিষয়টি তুলে ধরে রাজীব শেঠি বলেন, গ্রাহকের অভিজ্ঞতা দিয়েই বলা যায়, আমাদের নেওয়া উদ্যোগের মাধ্যমে নেটওয়ার্কে উল্লেখযোগ্য উন্নতি হয়েছে, যার জন্য আমি গর্বিত। গত এক বছরে গড় ডেটা স্পিড শতভাগেরও বেশি বেড়েছে। সারাদেশে কভারেজ ও নেটওয়ার্কের সর্বত্র ধারাবাহিক স্পিড নিশ্চিত করার মাধ্যমে এ উন্নতি অর্জন করা হয়েছে। কল ড্রপের হার একইভাবে গত এক বছরে উল্লেখযোগ্যভাবে কমেছে। আমরা নিশ্চিত যে পরিষেবার গুণমান বৃদ্ধির উপর চলমান উদ্যোগ গ্রাহকের আস্থা অর্জনে বিশেষ ভূমিকা পালন করবে।

;

ইন্টারনেটের ধীরগতি প্রকট হতে পারে



স্পেশাল করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, ঢাকা
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

সারাদেশে ইন্টারনেটে ধীরগতি পাওয়া যাচ্ছে। মূলত দ্বিতীয় সাবমেরিন কেবলের (সিমিউই-৫) ব্যান্ডউইথ সরবরাহ পুরোপুরি বন্ধ হয়ে যাওয়ায় এই সমস্যা তৈরি হয়েছে। ইন্টারনেটের এই ধীরগতি প্রকট আকার ধারণ করতে পারে।

শুক্রবার (১৯ এপ্রিল) দিবাগত রাত ১২টার পর থেকে এই সমস্যা শুরু হয়েছে। সমস্যা সমাধানে তিন দিনের বেশি সময় লাগতে পারে। যেহেতু এই সমস্যা প্রকট আকার ধারণ করতে পারে তাই বিকল্প উপায় খোঁজার তাগিদ দিয়েছেন ইন্টারনেট সেবাদানকারী প্রতিষ্ঠানগুলো।

জানা গেছে, সিঙ্গাপুরে ফাইবার কেবল `ব্রেক’ করায় এই সংকট তৈরি হয়েছে। তবে সিঙ্গাপুরে ফাইবার ব্রেক করায় বাংলাদেশ ছাড়াও আরও কিছু দেশে ইন্টারনেটে এই পরিস্থিতির তৈরি হয়েছে।

এ বিষযে বাংলাদেশ সাবমেরিন কেবল কোম্পানি লিমিটেডের ব্যবস্থাপনা পরিচালক মির্জা কামাল আহমেদ জানান, ইন্টারনেটের সমস্যা মেরামতে তিন দিনের বেশি সময় লাগতে পারে। এই সময়ে গ্রাহকদের ভোগান্তি কমাতে তারা চেষ্টা করছেন।

বর্তমানে সিমিউই-৫ দিয়ে দেশে ১ হাজার ৬০০ জিবিপিএস ব্যান্ডউইথ সরবরাহ করা হয়। এই সরবরাহের পুরোটা বন্ধ রয়েছে। সিমিউই-৪ দিয়ে (প্রথম সাবমেরিন কেবল) বিকল্প উপায়ে ইন্টারনেট সরবরাহ ঠিক রাখার চেষ্টা চলছে।

বর্তমানে দেশে সাড়ে ৫ হাজার ব্যান্ডউইথের চাহিদা রয়েছে। এর মধ্যে রাষ্ট্রায়ত্ব সাবমেরিন কেবল কোম্পানি আড়াই হাজারের বেশি ব্যান্ডউইথ সরবরাহ করে। বাকি চাহিদা মিটিয়ে থাকে ইন্টারন্যাশনাল টেরেস্ট্রিয়াল কেবল (আইটিসি)।

;

মেটা AI স্মার্ট নতুন ফিচার আনছে হোয়াটসঅ্যাপ



লাইফস্টাইল ডেস্ক, বার্তা২৪.কম
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

হোয়াটসঅ্যাপকে আরও স্মার্ট করার উদ্যোগ নিয়েছে মেটা। তাও এআই স্মার্ট। সম্প্রতি ভারত-সহ বিশ্বজুড়েই ইউজারদের জন্য জেনারেটিভ এআই, মেটা এআই-এর মতো ফিচার ধীরে ধীরে আনতে চলেছে হোয়াটসঅ্যাপ WhatsApp।

চ্যাটজিপিটি জেনারেটিভ এইআই ইউজারদের প্রম্পটের উপর ভিত্তি করে লেখা বা ছবি তৈরি করে দেয়। মেটা এআই ইউজারদের প্রশ্নের উত্তর দেবে, জোকস শোনাবে, ছবি বানিয়ে দেবে, আর সবটাই করবে হোয়াটসঅ্যাপ’র মাধ্যমে। ইউজাররা ডেডিকেটেড চ্যাটবট তো বটেই ব্যক্তিগত বা গ্রুপ চ্যাটের মধ্যেও মেটা এআই-এর সঙ্গে যোগাযোগ করতে পারবেন।

শুরুতে এই ফিচার থাকবে সীমিত সংখ্যক ইউজারের জন্য। শুধুমাত্র ইংরেজি ভাষা থাকবে। মেটা এখনও ফিচারটা নিয়ে পরীক্ষা-নিরীক্ষা করছে। ধীরে ধীরে সবার জন্য উন্মুক্ত করা হবে। যেমন মেটা এআই আগে শুধুমাত্র ছবি তৈরি করতে পারত, এখন সেই ছবিকে জিআইএফে আনতে অ্যানিমেট করতে পারে।

ইউজার এখন আরও মজাদার এবং আকর্ষক চ্যাটিংয়ের জন্য মেটা এআই-এর তৈরি যে কোনও ছবিকে জিআইএফ-এ অ্যানিমেট করতে পারবেন।

হোয়াটসঅ্যাপে মেটা এআই অ্যানিমেট ফিচার ব্যবহার করা যাবে যেভাবে

প্রথমে মেটা এআই খুলতে হবে। চ্যাট ইন্টারফেসের উপরে নীল রঙের গোলাকার আইকন রয়েছে। এতে ক্লিক করতে হবে। এবার চ্যাটে ডাকতে হবে মেটা এআই-কে। ব্যক্তিগত বা গ্রুপ চ্যাটে মেসেজ ফিল্ডে মেটা এআই-কে ট্যাগ করে সেন্ড করতে হবে। প্রম্পটে এআই-কে বলতে হবে পছন্দের ছবি তৈরির কথা।

ছবি তৈরি হয়ে গেলে সেই ছবিতেই মেটা এআইকে অ্যানিমেট করার কথা বলতে হবে। এই প্রম্পট পেলেই মেটা এআই জেনারেট ছবি থেকে জিআইএফ তৈরি করে দেবে।

মনে রাখতে হবে, ইউজার সরাসরি মেটা এআই-কে জিআইএফ তৈরি করার কথা বলতে পারবে না। প্রথমে ছবি করতে বলতে হবে। তারপর সেই ছবিকে জিআইএফে বদলানোর প্রম্পট দিতে হবে।

প্রসঙ্গত, মেটা এআই-কে ডেটা ডিলিটের অনুরোধও করতে পারবেন ইউজাররা। গোপনীয়তা বজায় রাখার জন্য এটা জরুরি।

;