অঘটনের জন্ম দিতে চায় আ.লীগ, প্রস্তুত এরশাদ



ফরহাদুজ্জামান ফারুক, স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম
রংপুর-৩ আসন। ছবি: বার্তা২৪.কম

রংপুর-৩ আসন। ছবি: বার্তা২৪.কম

  • Font increase
  • Font Decrease

লাঙ্গল মার্কা হলেই জাতীয় পার্টির (জাপা) দুর্বল প্রার্থীও নির্বাচনে জয়ী হতেন। নির্বাচনী প্রচারণারও খুব একটা প্রয়োজন হতো না। কিন্তু এখন চিত্র একেবারেই উল্টো। আগের মতো নেই রংপুর অঞ্চলের ভোটারদের সস্তা আবেগ। রাজনীতিতে এরশাদের ডিগবাজি নাটকে ভারাক্রান্ত এ অঞ্চলের সাধারণ মানুষ। এতে করে দুর্গ খ্যাত রংপুরে এখন কঠিন পরীক্ষা দিতে হচ্ছে দলটিকে। অথচ এক সময় এরশাদ মানেই রংপুরকে বোঝানো হতো।

অতীত নির্বাচনের ইতিহাস বলছে, ১৯৯১ থেকে ২০০৬ সাল পর্যন্ত রংপুর বিভাগের ৩৩টি আসনে ভোটের লড়াইয়ে জাতীয় পার্টি বরাবরই এগিয়ে ছিল। ১৯৯১ সালে জাতীয় পার্টি ১৭টি, আওয়ামী লীগ ৯টি এবং বিএনপির দখলে ছিল একটি আসন। অন্যান্য দল জয় পেয়েছিল ছয়টি আসনে। ১৯৯৬ সালে জাতীয় পার্টি ২১টি, আওয়ামী লীগ ৮টি, বিএনপি ৩টি আসন পায়। আর অন্যান্য দল পায় একটি আসন। ২০০১ সালে জাতীয় পার্টি ও আওয়ামী লীগের আসন কমে, আর বাড়ে বিএনপির। সে সময় বিএনপি ৯টি, আওয়ামী লীগ ৬টি, জাতীয় পার্টি ১৪টি আসন পায় এবং অন্যান্য দল ৪টি আসন পেয়েছিল।

তবে রাজনীতিতে জোট মহাজোটের নতুন মেরুকরণে ২০০৮ ও ২০১৪ সালের নির্বাচনে জাতীয় পার্টির দখলে ভাগ বসাতে থাকে আওয়ামী লীগ। এতে করে হোঁচট খেয়ে বসে এরশাদের জাতীয় পার্টি। ২০০৮ সালের নির্বাচনে আওয়ামী লীগ ১৯টি, জাতীয় পার্টি ১৩টি এবং অন্যান্য দল একটি আসন পায়। আর সর্বশেষ বিএনপিহীন ২০১৪ সালে ৫ জানুয়ারির নির্বাচনে এরশাদের দুর্গের ভিত তছনছ করে এই বিভাগের ৩৩টি আসনের মধ্যে ২২টি আসনে জয় ছিনিয়ে নেন আওয়ামী লীগ। জাতীয় পার্টি পায় মাত্র সাতটি। আর অন্যান্য দল পায় ৪টি আসন।

একের পর এক নির্বাচনে জাতীয় পার্টির শোচনীয় পরাজয় আর নিজ দুর্গ হাতছাড়া হওয়ায় বর্তমানে রংপুর সিটির মধ্য থেকে ২৫টি ওয়ার্ড ও সদর এলাকা নিয়ে গঠিত রংপুর-৩ আসনে সেই আগের উজ্জ্বলতা নেই।

এখানকার আওয়ামী লীগসহ বাম দলের নেতাদের দাবি, মহাজোটের বাইরে থেকে জাপার চেয়ারম্যান হুসেইন মুহম্মদ এরশাদ এবার নির্বাচন করলে ঘটতে পারে অঘটন। আর সেই অঘটনের জন্ম ঠেকাতে এই নির্বাচনকে চ্যালেঞ্জ হিসেবে নিয়েছে জাতীয় পার্টি। সঙ্গে রংপুর অঞ্চলে হারানো আসনগুলো ফিরে পেতেও চায় তারা।

এদিকে এক যুগেরও বেশি সময় ক্ষমতার বাইরে থাকা বিএনপি সাংগঠনিকভাবে অনেকটা দুর্বল হওয়ায় রংপুর-৩ আসনে আওয়ামী লীগের বিকল্প কোনো রাজনৈতিক শক্তি নেই। তাই বর্তমান প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার উন্নয়ন বার্তা তুলে ধরে নৌকার প্রার্থী হতে গণসংযোগ করে বেড়াচ্ছেন বেশ কয়েকজন মনোনয়ন প্রত্যাশী ব্যক্তি।

স্থানীয় ভোটারদের অভিমত, বিএনপি দুইবার ক্ষমতায় থেকে রংপুরের জন্য কিছুই করেনি। বরং রংপুরের মানুষের দীর্ঘদিনের দাবিকে বৃদ্ধাঙ্গুলি দেখিয়ে শিক্ষাবোর্ডকে সরিয়ে দিনাজপুরে দিয়েছেন। বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিষ্ঠাতার নামে টালবাহানা করতে করতে সেটিও নিয়ে গেছেন দিনাজপুরে। এ কারণে বিএনপির প্রতি আস্থা নেই। এই দলের সম্ভাব্য প্রার্থীর তালিকায় রয়েছেন রংপুর মহানগর বিএনপির সভাপতি মুক্তিযোদ্ধা মোজাফ্ফর হোসেন, সাধারণ সম্পাদক শহিদুল ইসলাম মিজু ও সহ-সভাপতি কাওছার জামান বাবলা।

অন্যদিকে নয় বছরের শাসনামলে কোলের ছাওয়াল এরশাদ স্থানীয় জনগণের কাঙ্ক্ষিত দাবি পূরণে ব্যর্থতার পরিচয় দিয়েছেন। তবে জোটগত রাজনীতির মেরুকরণে ভিন্নতা এনে শেখ হাসিনা ও এইচ এম এরশাদ ক্ষমতার মসনদে বসে এখানকার মানুষের দীর্ঘদিনের দাবিগুলো পূরণ করেছেন। রংপুরকে উন্নয়নের মহাসড়কে তুলতে সবটাই করেছেন তারা। রংপুর বিভাগ, সিটি করপোরেশন, বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিষ্ঠা, জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের আঞ্চলিক কেন্দ্র স্থাপনসহ রংপুরে ব্যাপক উন্নয়ন হয়েছে বর্তমান শাসকদলের নেক নজরে। উন্নয়নের ক্যালকুলেশনে জাতীয় পার্টির শক্ত প্রতিদ্বন্দ্বী এখন আওয়ামী লীগ।

এদিকে জাতীয় পার্টি থেকে এরশাদই রংপুর-৩ আসনে নির্বাচন করবেন। ইতোমধ্যে কাঙালি ভোজ, গণসংযোগ, বেশ কয়েকটি ছোট জনসভা করেছেন তিনি। অন্যদিকে আওয়ামী লীগ থেকে নৌকার মনোনয়ন তদবিরে জোর প্রচেষ্টা চালাচ্ছেন দলের কেন্দ্রীয় উপদেষ্টা পরিষদ সদস্য চৌধুরী খালেকুজ্জামান, বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ড পরিচালক ও স্থানীয় আওয়ামী লীগ নেতা অ্যাডভোকেট আনোয়ারুল ইসলাম, জেলা যুব মহিলা লীগের সাধারণ সম্পাদক ও সদর উপজেলা চেয়ারম্যান নাছিমা জামান ববিসহ বেশ কয়েকজন। সমর্থকদের সঙ্গে নিয়ে পাড়া-মহল্লায় প্রচারণার পাশাপাশি ব্যানার, পোস্টার, ফেস্টুন সাঁটিয়েছেন নৌকা প্রতীক প্রত্যাশীরা।

সদর উপজেলা চেয়ারম্যান নাছিমা জামান ববি বলেন, সস্তা আবেগ আর মায়াকান্না দিয়ে এখন ভোট হয় না। মানুষ উন্নয়নে বিশ্বাসী। কাজ দেখতে চায়। বর্তমান প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা রংপুরবাসীর জন্য অনেক কিছু করেছেন। এ কারণে তার প্রতি কৃতজ্ঞতা। শেখ হাসিনার ঋণ শোধ করতে নৌকা প্রতীকে ব্যালট বিপ্লব হবার সম্ভাবনা অনেক বেশি।

সদ্যপুস্করণী ইউনিয়নের কৃষক আবদুল হামিদ মিয়া, মাহিগঞ্জ এলাকার আসমত উল্লাহ বলেন, ‘আমরা তো বারবার লাঙ্গলে ভোট দিয়েছি। এরশাদকে জেল থেকে মুক্ত করেছি। কিন্তু আমাদের জন্য তিনি তো কিছুই করেননি। কয়েক দফায় এমপি নির্বাচিত হয়েও এলাকার কাঙ্ক্ষিত উন্নয়ন করতে পারেননি। বেশিরভাগ সময় তিনি ঢাকায় থাকেন। তাকে সুখ-দুঃখে কাছে পাওয়া যায় না। এ বিষয়টি প্রবীণ ভোটারদের পাশাপাশি তরুণ ভোটারদেরও ভাবাচ্ছে। তাই আসন্ন নির্বাচনে ভোটাররা নতুন প্রতিনিধিকে নির্বাচিত করলে অবাক হবার কিছুই থাকবে না।’

এরশাদের বাসার পাশের এলাকা শাপলা চত্বর। সেখানকার ব্যবসায়ী সেকেন্দার আলী জানান, এই নির্বাচনে আওয়ামী লীগ একজন সৎ ও যোগ্য প্রার্থীকে মনোনয়ন দিলে এরশাদকে জিততে অনেক কাঠখড় পোড়াতে হবে। সুযোগ সন্ধানী আচরণ ও কথা-কাজের মধ্যে অমিলের কারণে আগের মতো এরাশাদকে বিশ্বাস করতে পারে না মানুষ।

সাধারণ ভোটারদের এই ভাবনা সঠিক নয় বলে মনে করছেন রংপুর মহানগর জাতীয় পার্টির সভাপতি ও সিটি মেয়র মোস্তাফিজার রহমান মোস্তফা। তিনি জানান, রংপুরের উন্নয়নে হুসেইন মুহম্মদ এরশাদের যে অবদান রয়েছে, তা আর কোনো এমপির নেই। রংপুরে যা হয়েছে সবই এরশাদের কারণে হয়েছে। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সঙ্গে ভাই-বোনের সম্পর্ক গড়ে তুলে রংপুরকে উন্নয়নের মহাসড়কে তুলেছেন। এখন তিনি প্রতি মাসে রংপুরে আসেন। সাধারণ মানুষের সুখ-দুঃখের কথা শুনে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেন। শুধু তাই নয়, জাতীয় পার্টি এখন পূর্বের যেকোনো সময়ের চেয়ে সাংগঠনিকভাবে অনেক বেশি শক্তিশালী। তাই রংপুর-৩ সহ হারানো সব আসনেই জাতীয় পার্টির প্রার্থীদেরই বিজয়ী হবার সম্ভাবনা অনেক বেশি রয়েছে।

এদিকে নির্বাচনকে ঘিরে রংপুর-৩ আসনে আওয়ামী লীগ ও বিএনপি, জাতীয় পার্টি ছাড়াও জাসদ, বাসদ, ইসলামী আন্দোলন, কৃষক শ্রমিক জনতা লীগ, নাগরিক ঐক্যসহ বিভিন্ন দলের মনোনয়ন প্রত্যাশীরা নিজেদের প্রস্তুত করে দলীয় নেতাকর্মীদের সঙ্গে নিবিড় যোগাযোগ বাড়িয়েছেন। গত নির্বাচনে এরশাদের সঙ্গে লড়াইয়ে জয়ের দ্বারপ্রান্তে থাকা জাসদের সাব্বির আহমেদের এবার নির্বাচন করার কথা রয়েছে।

   

ভোটের তিন বছর পর কাউন্সিলর হচ্ছেন আলী আহাম্মদ



উপজেলা করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, গৌরীপুর (ময়মনসিংহ)
ভোটের তিন বছর পর কাউন্সিলর হচ্ছেন আলী আহাম্মদ

ভোটের তিন বছর পর কাউন্সিলর হচ্ছেন আলী আহাম্মদ

  • Font increase
  • Font Decrease

ভোট গ্রহণের তিন বছর পর আদালতের রায়ে ময়মনসিংহের গৌরীপুর পৌরসভার ৯ নং ওয়ার্ড কাউন্সিলর পদে জয় পেয়েছেন এসএম আলী আহাম্মদ।

শুক্রবার (১৯ এপ্রিল) নির্বাচন কমিশনের উপসচিব মো. মিজানুর রহমান এই বিষয়ে যথাযথ ব্যবস্থা গ্রহণ ও দায়িত্ব বুঝিয়ে দেওয়ার জন্য ময়মনসিংহ বিভাগীয় কমিশনারকে চিঠি দিয়েছেন।

এর আগে মঙ্গলবার এই সংক্রান্ত প্রজ্ঞাপন জারি করে নির্বাচন কমিশন।

জানা গেছে, ২০২১ সালের ৩০ জানুয়ারি গৌরীপুর পৌরসভার নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়। ওই নির্বাচনে পৌরসভার ৯ নং ওয়ার্ড থেকে কাউন্সিলর পদে ডালিম প্রতীক নিয়ে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেন এসএম আলী আহাম্মদ। ভোটগ্রহণ শেষে প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থী উটপাখি প্রতীকের মোহাম্মদ আরিফুল ইসলাম ভূঁইয়াকে বিজয়ী ঘোষণা করে নির্বাচন কমিশন।

এদিকে ফলাফল প্রত্যাখান করে আইনের আশ্রয় নিয়ে আদালতের দ্বারস্থ হন আলী আহাম্মদ। দীর্ঘ আইনি লড়াই শেষে আদালত পুনরায় ভোট গণনার নির্দেশ দেওয়ার পর দেখা যায় ডালিম প্রতীক ৬০৪ ভোট ও উটপাখি প্রতীক ৫৩৯ ভোট পেয়েছে। গত বছর ২৯ অক্টোবর নিম্ন আদালত আগের ঘোষিত ফলাফল বাতিল করে ডালিম প্রতীকের প্রার্থী আলী আহাম্মদকে বিজয়ী ঘোষণা করেন।

এরপর নিম্ন আদালতের রায়ের বিরুদ্ধে উচ্চ আদালতে আপিল করেন উটপাখি প্রতীকের প্রার্থী মোহাম্মদ আরিফুল ইসলাম ভূঁইয়া। আপিলের পর উচ্চ আদালত গত ২৫ জানুয়ারি নিম্ন আদালতের রায়ের ওপর ৮ সপ্তাহ স্থগিতাদেশ দেন।

এরপর আবারও আইনি লড়াই শুরু হয়। গত ৩ মার্চ উচ্চ আদালত ও নির্বাচনী ট্রাইব্যুনাল আপিলের চূড়ান্ত রায় ঘোষণা করে নিম্ন আদালতের রায় বহাল রাখেন।

এস এম আলী আহাম্মদ বলেন, ‘ভোটারদের প্রতি আমার আস্থা ছিল। পাশাপাশি আমি সবসময় আইনের প্রতি শ্রদ্ধাশীল ছিলাম। আমার সাথে যে অন্যায় হয়েছিল, তার জন্য ন্যায় বিচার পেতে আইনের দ্বারস্থ হয়েছি। আইনি লড়াইয়ে ন্যায় বিচার পেয়ে জয়ী হয়েছি’।

অপরদিকে মোহাম্মদ আরিফুল ইসলাম ভূঁইয়া বলেন, ‘এই মুহূর্তে আমি এই বিষয়টি নিয়ে কোনো মন্তব্য করতে চাচ্ছি না’।

এ বিষয়ে যোগাযোগ করা হলে গৌরীপুর উপজেলা নির্বাহী অফিসার মো. শাকিল আহমেদ বলেন, ‘ময়মনসিংহ বিভাগীয় কমিশনার স্যার এ বিষয়ে পরবর্তী পদক্ষেপ নেবেন।’

;

গাজীপুরে উপজেলা নির্বাচন উপলক্ষে মতবিনিময় সভা



ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, গাজীপুর
গাজীপুরে উপজেলা নির্বাচন উপলক্ষে মতবিনিময় সভা

গাজীপুরে উপজেলা নির্বাচন উপলক্ষে মতবিনিময় সভা

  • Font increase
  • Font Decrease

আসন্ন ৬ষ্ঠ উপজেলা পরিষদ সাধারণ নির্বাচনকে অবাধ, সুষ্ঠু করতে গাজীপুরে নির্বাচন সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তাদের মতবিনিময় সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে।

বৃহস্পতিবার (১৮ এপ্রিল) বিকেলে গাজীপুর জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ের ভাওয়াল সম্মেলন কক্ষে এ সভার আয়োজন করা হয়।

মতবিনিময় সভায় প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন- নির্বাচন কমিশনার মো. আলমগীর। এতে সভাপতিত্ব করেন- জেলা প্রশাসক আবুল ফাতে মোহাম্মদ সফিকুল ইসলাম।

এসময় আসন্ন উপজেলা পরিষদ নির্বাচনকে অবাধ, সুষ্ঠু ও সুশৃঙ্খলভাবে করার জন্য সংশ্লিষ্ট সকলকে নির্দেশনা প্রদানসহ নানা দিক নির্দেশনা দেন নির্বাচন কমিশনার মো. আলমগীর।

এর আগে নির্বাচন কমিশনারকে গাজীপুর সার্কিট হাউজে ফুলেল অভ্যর্থনা জানান জেলা প্রশাসক। পরে পুলিশের একটি দল তাকে গার্ড অফ অনার প্রদান করেন।

সভায় অন্যান্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন, অতিরিক্ত জেলা প্রশাসকবৃন্দ, উপজেলা নির্বাহী অফিসারগণ, রিটার্নিং অফিসার, সহকারী রিটার্নিং অফিসার, নির্বাচন সংশ্লিষ্ট অন্যান্য ব্যক্তিবর্গ ও আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্যবৃন্দ।

;

উপজেলা নির্বাচন: আন্তঃমন্ত্রণালয় সভা ২৩ এপ্রিল



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, ঢাকা
ছবি: বার্তা২৪.কম

ছবি: বার্তা২৪.কম

  • Font increase
  • Font Decrease

আসন্ন ষষ্ঠ উপজেলা পরিষদ নির্বাচন সুষ্ঠুভাবে সম্পন্ন করার জন্য আগামী মঙ্গলবার (২৩ এপ্রিল) আন্তঃমন্ত্রণালয় সভা ডেকেছে নির্বাচন কমিশন (ইসি)।

বৃহস্পতিবার (১৮ এপ্রিল) নির্বাচন পরিচালনা শাখার উপসচিব মো. আতিয়ার রহমান ইতিমধ্যে সংশ্লিষ্টদের এ সংক্রান্ত চিঠি পাঠিয়েছেন।

এতে উল্লেখ করা হয়েছে, ষষ্ঠ উপজেলা পরিষদ সাধারণ নির্বাচন সুষ্ঠু ও সুন্দরভাবে অনুষ্ঠানের নিমিত্তে সংশ্লিষ্টদের উপস্থিতিতে এক সভা আগামী ২৩ এপ্রিল বেলা সকাল ১১টায় নির্বাচন কমিশন সচিবালয়ের সভাকক্ষে অনুষ্ঠিত হবে।

প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) কাজী হাবিবুল আউয়ালের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠেয় সভায় নির্বাচন কমিশনারগণ, নির্বাচন কমিশন সচিবালয়ের সচিব ও সংশ্লিষ্ট অন্যান্য কর্মকর্তাগণ উপস্থিত থাকবেন।

চিঠিতে সভায় যথাসময়ে উপস্থিত থাকার জন্য নির্দেশিত হয়ে অনুরোধ জানানো হয়েছে।

আতিয়ার রহমান সভার চিঠি জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়, জননিরাপত্তা বিভাগের সিনিয়র সচিব, মন্ত্রিপরিষদ বিভাগের (সমন্বয় ও সংস্কার) সচিব, স্থানীয় সরকার বিভাগের সচিব, মহাপুলিশ পরিদর্শক, বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ/র‍্যাব/কোস্টগার্ড/আনসার ও ভিডিপি/ডিজিএফআই/এনএসআই, মহাপরিচালক ও অতিরিক্ত মহাপুলিশ পরিদর্শককে (এসবি) পাঠিয়েছেন।

চার ধাপে অনুষ্ঠেয় ষষ্ঠ উপজেলা পরিষদ নির্বাচনের ইতিমধ্যে তিন ধাপের তফসিল দিয়েছে ইসি।

প্রথম ধাপের তফসিল অনুযায়ী, মনোনয়নপত্র দাখিল ও বাছাইয়ের সময় শেষ। বৈধ প্রার্থী এক হাজার ৭৮৬ জন, রিটার্নিং কর্মকর্তার সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে আপিল ১৮ থেকে ২০ এপ্রিল। আপিল নিষ্পত্তি ২১ এপ্রিল, প্রার্থিতা প্রত্যাহারের শেষ সময় ২২ এপ্রিল। প্রতীক বরাদ্দ ২৩ এপ্রিল, আর ১৫২ উপজেলায় ভোটগ্রহণ হবে ৮ মে।

এই ধাপের নির্বাচনে রিটার্নিং কর্মকর্তা হিসেবে জেলা নির্বাচন কর্মকর্তা ও সহকারী রিটার্নিং কর্মকর্তা হিসেবে উপজেলা নির্বাচন কর্মকর্তাদের নিয়োগ করা হয়েছে। রিটার্নিং কর্মকর্তার সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে দায়ের করা আপিল আবেদন নিষ্পত্তি করবেন আপিল কর্তৃপক্ষ হিসেবে জেলা প্রশাসক।

দ্বিতীয় ধাপের তফসিল অনুযায়ী, মনোনয়নপত্র দাখিল ২১ এপ্রিল শেষ সময়, মনোনয়নপত্র বাছাই ২৩ এপ্রিল, আপিল গ্রহণ ২৪-২৬ এপ্রিল, আপিল নিষ্পত্তি ২৭ থেকে ২৯ এপ্রিল। প্রার্থিতা প্রত্যাহারের শেষ সময় ৩০ এপ্রিল, প্রতীক বরাদ্দ প্রতীক বরাদ্দ ২ মে। আর ১৬১ উপজেলায় ভোটগ্রহণ হবে ২১ মে।

এই ধাপের নির্বাচনে অতিরিক্ত জেলা প্রশাসকদের রিটার্নিং কর্মকর্তা ও উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তাদের সহকারী রিটার্নিং কর্মকর্তা হিসেবে নিয়োগ দেওয়া হয়েছে। ভোটারের সংখ্যা ৫ লাখের বেশি যেখানে সেখানে একাধিক সহকারী রিটার্নিং অফিসার নিয়োজিত থাকবেন।

তৃতীয় ধাপের তফসিল অনুযায়ী, মনোনয়ন ফরম জমার শেষ তারিখ ২ মে, মনোনয়ন যাচাই-বাছাই ৫ মে। রিটার্নিং কর্মকর্তার সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে আপিল ৬ থেকে ৮মে।

আপিল নিষ্পত্তি ৯ থেকে ১১ মে। প্রার্থীতা প্রত্যাহারের শেষ দিন ১২ই মে। প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থীদের মাঝে প্রতীক বরাদ্দ ১৩ই মে এবং ভোট ২৯শে মে। এই ধাপে ১১২ উপজেলায় ভোট হবে।

এই ধাপে রিটার্নিং কর্মকর্তা হিসেবে অতিরিক্ত জেলা ও অতিরিক্ত আঞ্চলিক নির্বাচন কর্মকর্তা এবং অতিরিক্ত জেলা প্রশাসকদের নিয়োগ দেওয়া হয়েছে৷

আগামী ৫ জুন চতুর্থ ধাপের নির্বাচন অনুষ্ঠিত হতে পারে।

;

১৫০ উপজেলায় বৈধ প্রার্থী ১৭৮৬



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, ঢাকা
১৫০ উপজেলায় বৈধ প্রার্থী ১৭৮৬

১৫০ উপজেলায় বৈধ প্রার্থী ১৭৮৬

  • Font increase
  • Font Decrease

আসন্ন ষষ্ঠ উপজেলা নির্বাচনের প্রথম ধাপের রিটার্নিং কর্মকর্তা যাচাই বাছাই শেষে মোট বৈধ প্রার্থী দাঁড়াল এক হাজর ৭৮৬ জন।

বৃহস্পতিবার (১৮ এপ্রিল) মাঠ পর্যায় থেকে পাঠানো তথ্য একীভূত করার পর এ তথ্য জানিয়েছেন নির্বাচন কমিশনের অতিরিক্ত সচিব অশোক কুমার দেবনাথ।

তিনি জানান, প্রথম ধাপে চেয়ারম্যান, ভাইস চেয়ারম্যান ও মহিলা ভাইসচেয়ারম্যান পদে মনোনয়নপত্র দাখিল করেছিলেন এক হাজার ৮৯০ জন। এদের মধ্যে বাছাইয়ে বাতিল হয়েছে ১০৪ জনের মনোনয়নপত্র। আর বৈধ প্রার্থীর সংখ্যা এক হাজার ৭৮৬ জন।

নির্বাচন কমিশন ঘোষিত তফসিল অনুযায়ী, রিটার্নিং কর্মকর্তার সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে আপিল ১৮ থেকে ২০ এপ্রিল। আপিল নিষ্পত্তি ২১ এপ্রিল, প্রার্থিতা প্রত্যাহারের শেষ সময় ২২ এপ্রিল। প্রতীক বরাদ্দ ২৩ এপ্রিল আর ১৫০ উপজেলায় ভোটগ্রহণ হবে ৮ মে।

;