কিশোরগঞ্জ-১ আসনে সৈয়দ আশরাফের বেদনার্ত অনুপস্থিতি



ড. মাহফুজ পারভেজ, কন্ট্রিবিউটিং এডিটর, বার্তা২৪.কম
সৈয়দ আশরাফুল ইসলাম

সৈয়দ আশরাফুল ইসলাম

  • Font increase
  • Font Decrease

তাঁর অনুপস্থিতি বড় বেশি চোখে পড়েছে। তাঁর না-থাকার ঘটনাটি মানুষের বেদনাকে বাড়িয়েছে বহুগুণ। বার বার মনে হয়েছে তাঁর কথা। জেল হত্যা দিবসে সৈয়দ আশরাফের বেদনার্ত অনুপস্থিতি সবাইকে স্পর্শ করেছে।

অথচ প্রতিটি ৩ নভেম্বর তাঁকে দেখা যায়। কষ্টের পাহাড় বুকে নিয়ে তিনি থাকেন জেল হত্যা দিবসের প্রতিটি অনুষ্ঠানে। বনানী গোরস্তানে কিংবা ঢাকা কেন্দ্রিক কারাগারের সেই প্রকোষ্ঠের সামনে, যেখানে বর্বর ঘাতকের দল নির্মমভাবে হত্যা করেছিল তাঁর পিতা সৈয়দ নজরুল ইসলামসহ জাতীয় চার নেতাকে।

এ বছর জেল হত্যা দিবসে স্বদেশ থেকে সুদূরে ব্যাংককের হাসপাতালে চিকিৎসাধীন সৈয়দ আশরাফুল ইসলাম ছিলেন সকল আয়োজনের আড়ালে। শারীরিক কারণে উপস্থিত থাকতে পারেন নি এই ত্যাগী ও পরীক্ষিত নেতা। না ঢাকায়, না ময়মনসিংহে, না কিশোরগঞ্জের যশোদল ইউনিয়নের বীরদামপাড়া গ্রামে পিতার জন্মভিটায়, কোথাও তিনি থাকতে পারেন নি।

মানুষের অনুসন্ধিৎসু চোখ বার বার খুঁজেছে জাতীয় নেতা সৈয়দ নজরুলের রক্ত ও রাজনীতির উত্তরাধিকার সৈয়দ আশরাফকে। খুঁজেছে আওয়ামী লীগের দুঃসময়ের এই কাণ্ডারীকে। পিতা সৈয়দ নজরুল যেভাবে বঙ্গবন্ধুর অনুসরণের ঐতিহাসিক দৃষ্টান্ত, তেমনি বঙ্গবন্ধু-কন্যা শেখ হাসিনার একনিষ্ঠ অনুসারী সৈয়দ আশরাফকে মানুষ বার বার খুঁজে পেতে চেয়েছে।

আসন্ন নির্বাচনের ডামাডোলে নিজের কিশোরগঞ্জ-১ আসনে সৈয়দ আশরাফ ছিলেন আরও বেশি প্রাসঙ্গিক। সবাই তাঁর কথা, তাঁর শারীরিক অবস্থার কথা জানতে চেয়েছে। সবার মুখেই ছিল একটি প্রশ্ন, 'তিনি কবে আসবেন? এসে নির্বাচনে অংশ নেবেন?'

সৈয়দ আশরাফের আসনে তাঁর অবর্তমানে যারা নির্বাচনের প্রত্যাশায় কাজ করছেন, তাদের সকলেই চান, তিনি সুস্থ হয়ে ফিরে আসুন সবার মাঝে। বস্তুত সকলেই কাজ করছেন সৈয়দ আশরাফের কথা মাথায় রেখে।

কিশোরগঞ্জের রাজনৈতিক সূত্রগুলো বার্তা২৪.কমকে জানায়, সৈয়দ আশরাফের উত্তরসুরী হতে অনেকেই কাজ করছেন। কারণ, রাজনীতি একটি চলমান প্রক্রিয়া। এতে শূন্যতার কোনও সুযোগ নেই। নির্বাচন সৈয়দ আশরাফ করলেও রাজনীতি করছেন দলের অনেক নেতা, যারা প্রয়োজনের সময় নৌকার হাল ধরে ভোটের মাঠে নামার যোগ্যতা রাখেন।

মাঠ পর্যায়ে প্রাপ্ত তথ্যে জানা যায়, তরুণ আওয়ামী লীগ নেতা ও সৈয়দ আশরাফের চাচাতো ভাই সৈয়দ আশফাকুল ইসলাম কিশোরগঞ্জে সৈয়দ পরিবাররের রাজনৈতিক প্রতিনিধিত্ব করছেন। সৈয়দ আশরাফের আপন ভাইদের কেউ একজনও প্রয়োজনে স্থানীয় রাজনীতির মাঠে আবির্ভূত হতে পারেন।

তাছাড়া রাষ্ট্রপতির মেজো ছেলে রাসেল আহমেদ তুহিন নৌকা ও উন্নয়নের পক্ষে ব্যাপক জনসংযোগ করায় তার প্রার্থীতাও সামনে চলে এসেছে। আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় উপ-কমিটির সদস্য কৃষিবিদ মশিউর রহমান হুমায়ূন, কিশোরগঞ্জ সদর উত্তরাঞ্চলের একজন আইনজীবী নেতা ও সদর দক্ষিণাঞ্চলের একজন কলেজ শিক্ষক নেতা আগে থেকেই তৃণমূলে কাজ করছেন। সৈয়দ আশরাফ নির্বাচনে অংশ নিতে না পারলে এদের কেউ একজন নৌকার মাঝি হয়ে ভোটের নদি পাড়ি দিতে পারেন।

তবে, সৈয়দ আশরাফের দীর্ঘ অসুস্থতা ও অনুপস্থিতিতে তাঁর সম্পর্কে সাধারণ মানুষের ভালোবাসা প্রসঙ্গই এখন প্রধান। নতুন প্রার্থীর চেয়ে অনুপস্থিত সৈয়দ আশরাফকে নিয়েই সবাই চিন্তিত। অনেকে এমনও বলেছেন যে, সৈয়দ আশরাফুল ইসলাম কেবিনেট মন্ত্রী, আওয়ামী লীগ প্রেসিডিয়াম মেম্বার হিসাবে বহাল তবিয়ত। তিনি অফিসিয়ালি সংসদ থেকে চিকিৎসার্থে স্বাভাবিক ছুটিতে। এ অবস্থায় জল্পনা-কল্পনাভিত্তিক তিনি যদি এমপি নির্বাচন করতে না পারেন, তাহলে যে বা যারা প্রত্যক্ষ কিংবা পরোক্ষভাবে কৌশলী ভাষায় তিনি সুস্থ হয়ে আসুন, নির্বাচন করুন বা করবেন ইত্যাদি বলে নিজকে বিমোচক প্রার্থী হিসেবে প্রচারণায় লিপ্ত তা যৌক্তিক নয়।

নাম প্রকাশ না করার শর্তে কিশোরগঞ্জ জেলা আওয়ামী লীগের একজন সিনিয়র নেতা ক্ষোভের ভাষায় প্রশ্ন করেন, 'সৈয়দ আশরাফের প্রতি মমত্ব ও সম্মান প্রকাশের পাশাপাশি আনন্দময় শারীরিক ভাষায় ছবির পোজ দিয়ে বিকল্পে প্রার্থী দাবিদারের সমর্থনে প্রচার মাধ্যমে নৌকায় ভোট প্রার্থনা চিকিৎসাধীন নেতার প্রতি কোন ধরনের ভালোবাসা?'

কিশোরগঞ্জ-১ আসনে সৈয়দ আশরাফের বেদনার্ত অনুপস্থিতি বিরাট বড় রাজনৈতিক ফ্যাক্টর হয়ে আছে বলে বিশ্লেষকরা মনে করছেন। নতুন কোনও প্রার্থীকে মাঠে জায়গা পেতে হলে এ বাস্তবতা বুঝেই অগ্রসর হতে হবে বলেও মন্তব্য করেন স্থানীয় রাজনীতির পর্যবেক্ষকরা।

   

ভোটের তিন বছর পর কাউন্সিলর হচ্ছেন আলী আহাম্মদ



উপজেলা করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, গৌরীপুর (ময়মনসিংহ)
ভোটের তিন বছর পর কাউন্সিলর হচ্ছেন আলী আহাম্মদ

ভোটের তিন বছর পর কাউন্সিলর হচ্ছেন আলী আহাম্মদ

  • Font increase
  • Font Decrease

ভোট গ্রহণের তিন বছর পর আদালতের রায়ে ময়মনসিংহের গৌরীপুর পৌরসভার ৯ নং ওয়ার্ড কাউন্সিলর পদে জয় পেয়েছেন এসএম আলী আহাম্মদ।

শুক্রবার (১৯ এপ্রিল) নির্বাচন কমিশনের উপসচিব মো. মিজানুর রহমান এই বিষয়ে যথাযথ ব্যবস্থা গ্রহণ ও দায়িত্ব বুঝিয়ে দেওয়ার জন্য ময়মনসিংহ বিভাগীয় কমিশনারকে চিঠি দিয়েছেন।

এর আগে মঙ্গলবার এই সংক্রান্ত প্রজ্ঞাপন জারি করে নির্বাচন কমিশন।

জানা গেছে, ২০২১ সালের ৩০ জানুয়ারি গৌরীপুর পৌরসভার নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়। ওই নির্বাচনে পৌরসভার ৯ নং ওয়ার্ড থেকে কাউন্সিলর পদে ডালিম প্রতীক নিয়ে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেন এসএম আলী আহাম্মদ। ভোটগ্রহণ শেষে প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থী উটপাখি প্রতীকের মোহাম্মদ আরিফুল ইসলাম ভূঁইয়াকে বিজয়ী ঘোষণা করে নির্বাচন কমিশন।

এদিকে ফলাফল প্রত্যাখান করে আইনের আশ্রয় নিয়ে আদালতের দ্বারস্থ হন আলী আহাম্মদ। দীর্ঘ আইনি লড়াই শেষে আদালত পুনরায় ভোট গণনার নির্দেশ দেওয়ার পর দেখা যায় ডালিম প্রতীক ৬০৪ ভোট ও উটপাখি প্রতীক ৫৩৯ ভোট পেয়েছে। গত বছর ২৯ অক্টোবর নিম্ন আদালত আগের ঘোষিত ফলাফল বাতিল করে ডালিম প্রতীকের প্রার্থী আলী আহাম্মদকে বিজয়ী ঘোষণা করেন।

এরপর নিম্ন আদালতের রায়ের বিরুদ্ধে উচ্চ আদালতে আপিল করেন উটপাখি প্রতীকের প্রার্থী মোহাম্মদ আরিফুল ইসলাম ভূঁইয়া। আপিলের পর উচ্চ আদালত গত ২৫ জানুয়ারি নিম্ন আদালতের রায়ের ওপর ৮ সপ্তাহ স্থগিতাদেশ দেন।

এরপর আবারও আইনি লড়াই শুরু হয়। গত ৩ মার্চ উচ্চ আদালত ও নির্বাচনী ট্রাইব্যুনাল আপিলের চূড়ান্ত রায় ঘোষণা করে নিম্ন আদালতের রায় বহাল রাখেন।

এস এম আলী আহাম্মদ বলেন, ‘ভোটারদের প্রতি আমার আস্থা ছিল। পাশাপাশি আমি সবসময় আইনের প্রতি শ্রদ্ধাশীল ছিলাম। আমার সাথে যে অন্যায় হয়েছিল, তার জন্য ন্যায় বিচার পেতে আইনের দ্বারস্থ হয়েছি। আইনি লড়াইয়ে ন্যায় বিচার পেয়ে জয়ী হয়েছি’।

অপরদিকে মোহাম্মদ আরিফুল ইসলাম ভূঁইয়া বলেন, ‘এই মুহূর্তে আমি এই বিষয়টি নিয়ে কোনো মন্তব্য করতে চাচ্ছি না’।

এ বিষয়ে যোগাযোগ করা হলে গৌরীপুর উপজেলা নির্বাহী অফিসার মো. শাকিল আহমেদ বলেন, ‘ময়মনসিংহ বিভাগীয় কমিশনার স্যার এ বিষয়ে পরবর্তী পদক্ষেপ নেবেন।’

;

গাজীপুরে উপজেলা নির্বাচন উপলক্ষে মতবিনিময় সভা



ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, গাজীপুর
গাজীপুরে উপজেলা নির্বাচন উপলক্ষে মতবিনিময় সভা

গাজীপুরে উপজেলা নির্বাচন উপলক্ষে মতবিনিময় সভা

  • Font increase
  • Font Decrease

আসন্ন ৬ষ্ঠ উপজেলা পরিষদ সাধারণ নির্বাচনকে অবাধ, সুষ্ঠু করতে গাজীপুরে নির্বাচন সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তাদের মতবিনিময় সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে।

বৃহস্পতিবার (১৮ এপ্রিল) বিকেলে গাজীপুর জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ের ভাওয়াল সম্মেলন কক্ষে এ সভার আয়োজন করা হয়।

মতবিনিময় সভায় প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন- নির্বাচন কমিশনার মো. আলমগীর। এতে সভাপতিত্ব করেন- জেলা প্রশাসক আবুল ফাতে মোহাম্মদ সফিকুল ইসলাম।

এসময় আসন্ন উপজেলা পরিষদ নির্বাচনকে অবাধ, সুষ্ঠু ও সুশৃঙ্খলভাবে করার জন্য সংশ্লিষ্ট সকলকে নির্দেশনা প্রদানসহ নানা দিক নির্দেশনা দেন নির্বাচন কমিশনার মো. আলমগীর।

এর আগে নির্বাচন কমিশনারকে গাজীপুর সার্কিট হাউজে ফুলেল অভ্যর্থনা জানান জেলা প্রশাসক। পরে পুলিশের একটি দল তাকে গার্ড অফ অনার প্রদান করেন।

সভায় অন্যান্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন, অতিরিক্ত জেলা প্রশাসকবৃন্দ, উপজেলা নির্বাহী অফিসারগণ, রিটার্নিং অফিসার, সহকারী রিটার্নিং অফিসার, নির্বাচন সংশ্লিষ্ট অন্যান্য ব্যক্তিবর্গ ও আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্যবৃন্দ।

;

উপজেলা নির্বাচন: আন্তঃমন্ত্রণালয় সভা ২৩ এপ্রিল



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, ঢাকা
ছবি: বার্তা২৪.কম

ছবি: বার্তা২৪.কম

  • Font increase
  • Font Decrease

আসন্ন ষষ্ঠ উপজেলা পরিষদ নির্বাচন সুষ্ঠুভাবে সম্পন্ন করার জন্য আগামী মঙ্গলবার (২৩ এপ্রিল) আন্তঃমন্ত্রণালয় সভা ডেকেছে নির্বাচন কমিশন (ইসি)।

বৃহস্পতিবার (১৮ এপ্রিল) নির্বাচন পরিচালনা শাখার উপসচিব মো. আতিয়ার রহমান ইতিমধ্যে সংশ্লিষ্টদের এ সংক্রান্ত চিঠি পাঠিয়েছেন।

এতে উল্লেখ করা হয়েছে, ষষ্ঠ উপজেলা পরিষদ সাধারণ নির্বাচন সুষ্ঠু ও সুন্দরভাবে অনুষ্ঠানের নিমিত্তে সংশ্লিষ্টদের উপস্থিতিতে এক সভা আগামী ২৩ এপ্রিল বেলা সকাল ১১টায় নির্বাচন কমিশন সচিবালয়ের সভাকক্ষে অনুষ্ঠিত হবে।

প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) কাজী হাবিবুল আউয়ালের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠেয় সভায় নির্বাচন কমিশনারগণ, নির্বাচন কমিশন সচিবালয়ের সচিব ও সংশ্লিষ্ট অন্যান্য কর্মকর্তাগণ উপস্থিত থাকবেন।

চিঠিতে সভায় যথাসময়ে উপস্থিত থাকার জন্য নির্দেশিত হয়ে অনুরোধ জানানো হয়েছে।

আতিয়ার রহমান সভার চিঠি জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়, জননিরাপত্তা বিভাগের সিনিয়র সচিব, মন্ত্রিপরিষদ বিভাগের (সমন্বয় ও সংস্কার) সচিব, স্থানীয় সরকার বিভাগের সচিব, মহাপুলিশ পরিদর্শক, বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ/র‍্যাব/কোস্টগার্ড/আনসার ও ভিডিপি/ডিজিএফআই/এনএসআই, মহাপরিচালক ও অতিরিক্ত মহাপুলিশ পরিদর্শককে (এসবি) পাঠিয়েছেন।

চার ধাপে অনুষ্ঠেয় ষষ্ঠ উপজেলা পরিষদ নির্বাচনের ইতিমধ্যে তিন ধাপের তফসিল দিয়েছে ইসি।

প্রথম ধাপের তফসিল অনুযায়ী, মনোনয়নপত্র দাখিল ও বাছাইয়ের সময় শেষ। বৈধ প্রার্থী এক হাজার ৭৮৬ জন, রিটার্নিং কর্মকর্তার সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে আপিল ১৮ থেকে ২০ এপ্রিল। আপিল নিষ্পত্তি ২১ এপ্রিল, প্রার্থিতা প্রত্যাহারের শেষ সময় ২২ এপ্রিল। প্রতীক বরাদ্দ ২৩ এপ্রিল, আর ১৫২ উপজেলায় ভোটগ্রহণ হবে ৮ মে।

এই ধাপের নির্বাচনে রিটার্নিং কর্মকর্তা হিসেবে জেলা নির্বাচন কর্মকর্তা ও সহকারী রিটার্নিং কর্মকর্তা হিসেবে উপজেলা নির্বাচন কর্মকর্তাদের নিয়োগ করা হয়েছে। রিটার্নিং কর্মকর্তার সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে দায়ের করা আপিল আবেদন নিষ্পত্তি করবেন আপিল কর্তৃপক্ষ হিসেবে জেলা প্রশাসক।

দ্বিতীয় ধাপের তফসিল অনুযায়ী, মনোনয়নপত্র দাখিল ২১ এপ্রিল শেষ সময়, মনোনয়নপত্র বাছাই ২৩ এপ্রিল, আপিল গ্রহণ ২৪-২৬ এপ্রিল, আপিল নিষ্পত্তি ২৭ থেকে ২৯ এপ্রিল। প্রার্থিতা প্রত্যাহারের শেষ সময় ৩০ এপ্রিল, প্রতীক বরাদ্দ প্রতীক বরাদ্দ ২ মে। আর ১৬১ উপজেলায় ভোটগ্রহণ হবে ২১ মে।

এই ধাপের নির্বাচনে অতিরিক্ত জেলা প্রশাসকদের রিটার্নিং কর্মকর্তা ও উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তাদের সহকারী রিটার্নিং কর্মকর্তা হিসেবে নিয়োগ দেওয়া হয়েছে। ভোটারের সংখ্যা ৫ লাখের বেশি যেখানে সেখানে একাধিক সহকারী রিটার্নিং অফিসার নিয়োজিত থাকবেন।

তৃতীয় ধাপের তফসিল অনুযায়ী, মনোনয়ন ফরম জমার শেষ তারিখ ২ মে, মনোনয়ন যাচাই-বাছাই ৫ মে। রিটার্নিং কর্মকর্তার সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে আপিল ৬ থেকে ৮মে।

আপিল নিষ্পত্তি ৯ থেকে ১১ মে। প্রার্থীতা প্রত্যাহারের শেষ দিন ১২ই মে। প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থীদের মাঝে প্রতীক বরাদ্দ ১৩ই মে এবং ভোট ২৯শে মে। এই ধাপে ১১২ উপজেলায় ভোট হবে।

এই ধাপে রিটার্নিং কর্মকর্তা হিসেবে অতিরিক্ত জেলা ও অতিরিক্ত আঞ্চলিক নির্বাচন কর্মকর্তা এবং অতিরিক্ত জেলা প্রশাসকদের নিয়োগ দেওয়া হয়েছে৷

আগামী ৫ জুন চতুর্থ ধাপের নির্বাচন অনুষ্ঠিত হতে পারে।

;

১৫০ উপজেলায় বৈধ প্রার্থী ১৭৮৬



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, ঢাকা
১৫০ উপজেলায় বৈধ প্রার্থী ১৭৮৬

১৫০ উপজেলায় বৈধ প্রার্থী ১৭৮৬

  • Font increase
  • Font Decrease

আসন্ন ষষ্ঠ উপজেলা নির্বাচনের প্রথম ধাপের রিটার্নিং কর্মকর্তা যাচাই বাছাই শেষে মোট বৈধ প্রার্থী দাঁড়াল এক হাজর ৭৮৬ জন।

বৃহস্পতিবার (১৮ এপ্রিল) মাঠ পর্যায় থেকে পাঠানো তথ্য একীভূত করার পর এ তথ্য জানিয়েছেন নির্বাচন কমিশনের অতিরিক্ত সচিব অশোক কুমার দেবনাথ।

তিনি জানান, প্রথম ধাপে চেয়ারম্যান, ভাইস চেয়ারম্যান ও মহিলা ভাইসচেয়ারম্যান পদে মনোনয়নপত্র দাখিল করেছিলেন এক হাজার ৮৯০ জন। এদের মধ্যে বাছাইয়ে বাতিল হয়েছে ১০৪ জনের মনোনয়নপত্র। আর বৈধ প্রার্থীর সংখ্যা এক হাজার ৭৮৬ জন।

নির্বাচন কমিশন ঘোষিত তফসিল অনুযায়ী, রিটার্নিং কর্মকর্তার সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে আপিল ১৮ থেকে ২০ এপ্রিল। আপিল নিষ্পত্তি ২১ এপ্রিল, প্রার্থিতা প্রত্যাহারের শেষ সময় ২২ এপ্রিল। প্রতীক বরাদ্দ ২৩ এপ্রিল আর ১৫০ উপজেলায় ভোটগ্রহণ হবে ৮ মে।

;