পাবনা-৪: নতুন মুখের সম্ভাবনায় আ.লীগ, বিএনপিতে একক প্রার্থী



আরিফ আহমেদ সিদ্দিকী, ডিস্ট্রিক করেসপন্ডেন্ট
পাবনা-৪ আসন। ছবি: বার্তা২৪.কম

পাবনা-৪ আসন। ছবি: বার্তা২৪.কম

  • Font increase
  • Font Decrease

আওয়ামী লীগে নতুন প্রার্থীর সুর আর বিএনপিতে একক প্রার্থী এমন খবরেই সরব পাবনা-৪ নির্বাচনী এলাকা। আওয়ামী লীগ, বিএনপি, জাতীয়পার্টি ও জামায়াতে ইসলামীর প্রার্থীরা স্ব স্ব দল থেকে মনোনয়ন পেতে নির্বাচনী মাঠ চষে বেড়াচ্ছেন। সরকারের উন্নয়ন মূলক কর্মকাণ্ড জনসম্মুখে তুলে ধরাসহ আলাদা আলাদা প্রচার-প্রচারণা চালাচ্ছেন নানা রাজনৈতিক দলের মনোনয়ন প্রত্যাশীরা।

১৯৯১ সালে আওয়ামী লীগের হাবিবুর রহমান হাবিব ও জামায়াতের মাওলানা নাসির উদ্দিনকে হারিয়ে সংসদ সদস্য নির্বাচিত হয়েছিলেন বিএনপির সিরাজুল ইসলাম সরদার। ১৯৯৬ সালে আসনটি দখল করে আওয়ামী লীগের শামসুর রহমান শরীফ ডিলু। সেবার বিএনপির সিরাজুল ইসলাম সরদার ও জামায়াতের মাওলানা নাসির উদ্দিনকে পরাজিত করেন তিনি। এরপর একাধারে ২০০১, ২০০৮ ও ২০১৪ সালে সংসদ নির্বাচিত হন বর্ষীয়ান এই রাজনীতিবিদ। ২০১৪ সালে অবশ্য বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় নির্বাচিত হন। বর্তমানে তিনি জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি ও ভূমি মন্ত্রণালয়ের দায়িত্ব পালন করছেন।

স্থানীয়রা বলছেন, শামসুর রহমান শরীফ ডিলু চারবার সাংসদ নির্বাচিত হওয়ার পেছনে বিএনপির গ্রুপিংকেই দায়ী করছেন প্রবীণ রাজনীতিবিদরা। ১৯৯৬ সালের নির্বাচনে আওয়ামী লীগের মনোনয়ন বঞ্চিত হয়ে ৯০’র স্বৈরাচার বিরোধী তুখোড় ছাত্রনেতা ও ছাত্রলীগের তৎকালীন সভাপতি হাবিবুর রহমান হাবিব যোগ দেন বিএনপিতে। হাবিবের যোগদানের পর বিএনপি হাবিব-সিরাজ দুই গ্রুপে ভাগ হয়ে যায়। ২০০১ সালে সিরাজ সরদার মনোনয়ন পেলে বিদ্রোহী প্রার্থী হন হাবিব। সেইবার হাবিব-সিরাজের দ্বন্দ্বে গোল দেয় আওয়ামী লীগের শরীফ ডিলু। ২০০৮ সালেও দল থেকে মনোনয়ন পান সিরাজ। এবার হাবিব মাঠে বিদ্রোহী না হলেও ভোটে বিদ্রোহী হয়ে দাঁড়ায় সিরাজের বিরুদ্ধে। তাতেই বাজিমাত ডিলুর। তবে বর্তমানে সিরাজের চাইতে হাবিব এলাকায় নিজের গ্রহণযোগ্যতাকে প্রমাণ করার চেষ্টায় অনেকটা এগিয়ে রয়েছেন বলে আলোচনা রয়েছে।

এ আসন থেকে আগামী একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে বর্তমান এমপি ভূমিমন্ত্রী শামসুর রহমান শরীফ ডিলুর মনোনয়ন অনেকটাই নিশ্চিত বলে দাবি করছে তার সমর্থিত নেতাকর্মীরা। তারা বলছে, মনোনয়ন চাওয়া ও জয়ী হওয়ার মতো শক্ত কোনো প্রতিদ্বন্দ্বী নেই তার। তবে নতুন করে নির্বাচনী মাঠে সরব উপস্থিতি লক্ষ্য করা যাচ্ছে ডিজিএফআইয়ের সাবেক মহাপরিচালক মেজর জেনারেল (অব.) এএসএম নজরুল ইসলাম রবির। এই আসনে তিনি আওয়ামী লীগের মনোনয়ন প্রত্যাশার কথা জানিয়ে ইতোমধ্যে এলাকায় ব্যাপক সভা-সমাবেশ, মিছিল, মিটিং, সরকারের উন্নয়ন বার্তা জানান দেয়াসহ নির্বাচনমুখী নানা প্রচার-প্রচারণায় ব্যস্ত সময় পার করছেন।

তবে এ বিষয়ে এলাকার সাধারণ মানুষ ও ত্যাগী নেতাকর্মীরা ভিন্ন মত পোষণ করেছেন। তাদের অভিযোগ, মন্ত্রী হবার পর ঈশ্বরদীতে নিজ দলের মধ্যে বিভক্তি তৈরির পেছনে তার ভূমিকা রয়েছে। পরিবার কেন্দ্রিক রাজনীতি করার চেষ্টা করছেন, দলের নেতাকর্মীদের মূল্যায়ন করতে পারেননি। সর্বশেষ নিজ জামাতা ও ছেলের মধ্যে বিভাজন, হামলা ও ভাঙচুরের ঘটনা নিয়ে তুমুল বিতর্ক ওঠে নিজ দলের মধ্যেই। এছাড়া তার বয়স হয়েছে। তাই এবারের নির্বাচনে নতুন নেতৃত্ব দেখতে চায় ঈশ্বরদী আওয়ামী লীগ ও সাধারণ মানুষ।

এই সুযোগ পেতে নৌকার প্রার্থী হতে প্রচার-প্রচারণা চালাচ্ছেন সাবেক সংসদ সদস্য পাঞ্জাব আলী বিশ্বাস, কেন্দ্রীয় স্বেচ্ছাসেবক লীগের মুক্তিযোদ্ধা বিষয়ক সম্পাদক রফিকুল ইসলাম লিটন, সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী রবিউল আলম বুদু, মন্ত্রীর জামাই ও ঈশ্বরদী পৌর মেয়র আবুল কালাম আজাদ মিন্টু।

অপরদিকে এবার মনোনয়ন পাওয়ার ব্যাপারে আশাবাদী জেলা বিএনপির সাবেক সভাপতি ও সাবেক এমপি সিরাজুল ইসলাম সরদার। কিন্তু নেতাকর্মীরা তার ওপর হতাশ, দীর্ঘদিন ধরে তিনি মাঠের বাইরে আছেন বলে এলাকায় প্রচার রয়েছে। আন্দোলন সংগ্রামে কিছুটা পিছিয়ে তিনি। তবে বিএনপি চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা হাবিবুর রহমান হাবিবের সমর্থকদের দাবি, এবার মনোনয়ন পাবেন তিনি। এ ব্যাপারে দলের শীর্ষ পর্যায় থেকে সবুজ সংকেতও পেয়েছেন বলে তারা দাবি করছেন।

এলাকার সাধারণ মানুষ ও নেতাকর্মীরা জানান, হাবিব মনোনয়ন পেলে বিএনপি আসনটি পুনরুদ্ধার করতে পারে। এছাড়া ঈশ্বরদী উপজেলা বিএনপি সভাপতি শামসুদ্দিন আহমেদ মালিথা, বিএনপির কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য ও সাবেক পৌর মেয়র মকলেছুর রহমান বাবলু, বিএনপি নেতা ও শিল্পপতি আকরাম আলী খান সঞ্জু, পৌর বিএনপির সাধারণ সম্পাদক জাকারিয়া পিন্টু ও বিএনপি নারী নেত্রী ললিতা গুলশান মিতা মনোনয়ন প্রত্যাশা করছেন।

এদিকে ১৯৯১ ও ১৯৯৬ সালের নির্বাচনে শক্ত প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেছিলেন জামায়াতের মাওলানা নাসির উদ্দিন। পরবর্তী ২০০১ ও ২০০৮ সালে জোটকে ছাড় দিয়ে এ আসনে জামায়াতের প্রার্থী প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেনি। জামায়াতের দাবি, জয়ী হওয়ার মতো ভোট ব্যাংক থাকতেও জোটের স্বার্থে দুইবার আসনটি ছেড়ে দিয়েছিল বিএনপিকে। কিন্তু বিএনপির ঘরোয়া দ্বন্দ্বে মাসুল গুনতে হয়েছে জামায়াত ও জোটকে। তাই এবার আসনটি ফিরে পেতে চায় তারা। সেই লক্ষ্যে মাঠ পর্যায়ে প্রচারণা চালাচ্ছে জামায়াত। মাঠ পর্যায়ে ভালো পরিচিতি ও জনপ্রিয়তা থাকায় এখানে জেলা জামায়াতের আমির অধ্যাপক আবু তালেব মণ্ডল প্রার্থী হতে চাইবেন। সর্বশেষ গত উপজেলা নির্বাচনে চেয়ারম্যান, ভাইস-চেয়ারম্যান ও মহিলা ভাইস-চেয়ারম্যানের পদে প্রার্থী দিয়েছিল জামায়াত। এছাড়া এ আসনের অপর উপজেলা আটঘরিয়ায় চেয়ারম্যান পদে জয় পেয়েছিল জামায়াত। অন্যদিকে উপজেলা জাতীয় পার্টির সভাপতি হায়দার আলীর নাম শোনা যাচ্ছে।

এ আসনে জয় পেতে বিএনপির কোন্দল গ্রুপিং মেটানোর কোনো বিকল্প নেই। দ্বন্দ্ব শেষ করে একক প্রার্থী দিলে বিএনপি আসনটি পুনরায় নিজেদের দখলে নিতে পারবে। তা না হলে বরাবরের মতো আসন হারাতে হবে বিএনপিকে। সে হিসেবে সিরাজ সরদার ইতিপূর্বে যেহেতু প্রার্থী হয়ে পরাজিত হয়েছেন, তাই এবার হাবিবুর রহমান হাবিবকে প্রার্থী হিসেবে একবার পরীক্ষা করা যেতেই পারে। এমনটি মনে করছেন বিএনপির অনেকেই।

আর আওয়ামী লীগের প্রার্থী হিসেবে বয়সের কারণে শামসুর রহমান শরীফ ডিলুকে প্রার্থী দেখতে চান না দলের মধ্যে একটি বড় অংশ। কারণ তিনি তিনবার এমপি হয়েছেন, একবার মন্ত্রী হয়েছেন। দীর্ঘদিন ধরে জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি হয়ে রয়েছেন। আর কী তার চাওয়ার আছে? তাই নতুন নেতৃত্ব দেখতে চান নেতাকর্মীরা-এমন জোর আলোচনা রয়েছে। এমন সমীকরণে বর্তমান সাংসদ ডিলুর পরই নজরুল ইসলাম রবি ও পাঞ্জাব বিশ্বাস নৌকার নতুন প্রার্থী হতে পারেন। আর তাতেই লড়াই জমবে আওয়ামী লীগ-বিএনপিতে।

   

উপজেলা নির্বাচন: রাজশাহীর তিন উপজেলায় বৈধ ৩১ জন



ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, রাজশাহী
ছবি: বার্তা২৪.কম

ছবি: বার্তা২৪.কম

  • Font increase
  • Font Decrease

আগামী ২১ মে দ্বিতীয় ধাপে ষষ্ঠ উপজেলা পরিষদ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে। এতে রাজশাহী জেলার পুঠিয়া, দূর্গাপুর ও বাগমারা উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে চেয়ারম্যান, ভাইস-চেয়ারম্যান ও নারী ভাইস-চেয়ারম্যান পদে মোট ৩১ জন প্রার্থীর মনোনয়নপত্র বৈধ হয়েছে। প্রার্থীদের জমাকৃত মনোনয়নপত্র যাচাই-বাছাই শেষে বৈধতার ঘোষণা দেওয়া হয়।

মঙ্গলবার (২৩ এপ্রিল) বেলা ১২টায় জেলা প্রশাসকের সম্মেলন কক্ষে মনোনয়নপত্র যাচাই-বাছাই শেষে রিটার্নিং অফিসার ও অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (সার্বিক) কল্যাণ চৌধুরী এই তথ্য নিশ্চিত করেছেন।

রিটার্নিং অফিসার কল্যাণ চৌধুরী বলেন, দ্বিতীয় ধাপে আগামী ২১ মে উপজেলা পরিষদ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে। আগামী ২ মে প্রতীক বরাদ্দের মধ্য দিয়ে প্রার্থীদের মূল প্রচারণা শুরু হবে। উপজেলা পরিষদ নির্বাচন অবাধ ও শান্তিপূর্ণ করার লক্ষ্যে নির্বাচনী সভা এবং প্রচার-প্রচারণা সংক্রান্ত নির্বাচন কমিশনের নির্দেশনা সকল প্রার্থীদের যথাযথভাবে মানতে অনুরোধ জানান।

তফসিল অনুযায়ী, মনোনয়নপত্র বাছাই করা হবে ২৩ এপ্রিল। মনোনয়নপত্র বাতিলের বিরুদ্ধে আপিল করা যাবে ২৪-২৬ এপ্রিল। আপিল নিষ্পত্তি হবে ২৭-২৯ এপ্রিলের মধ্যে। মনোনয়নপত্র প্রত্যাহারের শেষ তারিখ ৩০ এপ্রিল। প্রতীক বরাদ্দ দেওয়া হবে ২ মে। প্রচার শেষে আগামী ২১ মে হবে ভোটগ্রহণ।

এসময় জানানো হয়, এই তিনটি উপজেলায় ৩১ জন প্রার্থী মনোনয়নপত্র জমা দিয়েছিলেন। চেয়ারম্যান ১০ জন, ভাইস চেয়ারম্যান ১১ জন ও মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান পদে ১০ জন প্রার্থী তাদের মনোনয়নপত্র জমা দেন। এর মধ্যে ৩১ জনের মনোনয়নপত্র বৈধ ঘোষণা করা হয়।

উপজেলা চেয়ারম্যান পদে বৈধ প্রার্থী ঘোষিত হলেন- দূর্গাপুর উপজেলার বর্তমান চেয়ারম্যান বীর মুক্তিযোদ্ধা নজরুল ইসলাম, মো. শরিফুজ্জামান, মো. আব্দুল মজিদ; পুঠিয়া উপজেলার বর্তমান চেয়ারম্যান জি.এম হিরা বাচ্চু, মো. মখলেসুর রহমান, মো. আব্দুস সামাদ, মো. আহসান উল হক মাসুদ; বাগমারা উপজেলার মো. জাকিরুল ইসলাম, মো. আ. রাজ্জাক সরকার, মোহা. নাছিমা আক্তার।

এসময় ভাইস-চেয়ারম্যান পদে বৈধ প্রার্থী ঘোষিত হন- দূর্গাপুর উপজেলা মো. আ. কাদের মন্ডল, মো. হাসেম আলী, মো. আ. মোতালেব, মো. শামীম ফিরোজ, মো. মোসাব্বের সরকার জিন্নাহ, মো. আব্দুল হক; পুঠিয়া উপজেলার মো. ফজলে রাব্বি মুরাদ, মো. আব্দুল মতিন মুকুল, মো. জামাল উদ্দিন বাগমারা উপজেলার মো. আতাউর রহমান; বাগমারা উপজেলার মো. আতাউর রহমান, মো. শহিদুল ইসলাম, মোছা. বানেছা বেগম, মোসা. সারমিন আহম্মেদ, মোসা. কহিনুর বেগম; পুঠিয়া উপজেলার মৌসুমী রহমান, মোছা. পরিজান বেগম, মোছা. শাবনাজ আক্তার; বাগমারা উপজেলার মোছা. শাহিনুর খাতুন, কহিনুর বানু, খন্দকার শাহিদা আলম, মোছা. মমতাজ আক্তার বেবী।

মনোনয়নপত্র যাচাই-বাছাই সম্পর্কে দূর্গাপুর উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান প্রার্থীরা জানান, মনোনয়নপত্র যাচাই-বাছাই শেষে তারা বৈধতা পেয়েছেন। জেলা প্রশাসন চুল ছেঁড়া যাচাই-বাছাই শেষে প্রার্থীতা বৈধ ঘোষণা করেছেন।

মনোনয়নপত্র যাচাই-বাছাইয়ের সময় উপস্থিত ছিলেন- সহকারী কমিশনার ও এক্সিকিউটিভ ম্যাজিস্ট্রেট সাকিব হাছান খাঁন, সহকারী কমিশনার ও এক্সিকিউটিভ ম্যাজিস্ট্রেট সানিয়া বিনতে আফজাল, উপজেলা নির্বাচন অফিসার দূর্গাপুর মো. জয়নুল আবেদীন, রাজশাহী জেলার ডিএসবি মো. আলাউদ্দিন প্রমুখ।

;

কুষ্টিয়ার দুই উপজেলায় প্রার্থীদের প্রতীক বরাদ্দ



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম,কুষ্টিয়া
ছবি: বার্তা ২৪

ছবি: বার্তা ২৪

  • Font increase
  • Font Decrease

উপজেলা পরিষদ নির্বাচনের প্রথম ধাপে কুষ্টিয়ার দুই উপজেলার প্রার্থীদের মাঝে প্রতীক বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে।

মঙ্গলবার (২৩ এপ্রিল) বেলা সাড়ে ১১টায় জেলা নির্বাচন অফিসের সভাকক্ষে কুষ্টিয়া সদর ও খোকসা উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বি ২৩ প্রার্থীদের মাঝে প্রতীক বরাদ্দ দেওয়া হয়।

কুষ্টিয়া জেলা নির্বাচন অফিসার ও রিটার্নিং অফিসার মুহাম্মদ আবু আনসার উপস্থিত প্রার্থীদের হাতে প্রতীক তুলে দেন।

এর মধ্যে কুষ্টিয়া সদর উপজেলায় চেয়ারম্যান পদে ২ জন, ভাইস চেয়ারম্যান পদে ২ জন এবং মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান পদে ২ জন এবং খোকসা উপজেলায় চেয়ারম্যান পদে ৬ জন, ভাইস চেয়ারম্যান পদে ৮ জন এবং মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান পদে ৩ জন প্রার্থী রয়েছেন।

প্রতীক বরাদ্দ পাওয়ার পরপরই প্রার্থীরা মঙ্গলবার থেকে প্রচারণায় নেমে পড়েন। আগামী ৮ মে ভোটগ্রহণ অনুষ্ঠিত হবে।

;

ঝিনাইদহ-১ আসনের উপনির্বাচন ৫ জুন



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, ঢাকা
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

ঝিনাইদহ-১ আসনের সংসদ সদস্য আব্দুল হাইয়ের মৃত্যুর পর শূন্য আসনে আগামী ৫ জুন ভোট গ্রহণ করা হবে বলে জানিয়েছেন নির্বাচন কমিশন সচিব জাহাংগীর আলম।

মঙ্গলবার (২৩ এপ্রিল) বিকেলে নির্বাচন কমিশনের ৩২তম সভায় শেষে গণমাধ্যমকে তিনি এই তথ্য জানান।

সভা শেষে ইসি সচিব জাহাংগীর আলম জানান, ঝিনাইদহ-১ আসনের উপনির্বাচনের ভোট গ্রহণ করা হবে। দ্বাদশ সংসদ নির্বাচনে এ আসনে বিজয়ী আব্দুল হাইয়ের মৃত্যুতে আসনটি শূন্য হয়।

উপ-নির্বাচনের তফসিল ঘোষণাপূর্বক ইসি সচিব বলেন, উপনির্বাচনের মনোনয়নপত্র দাখিলের শেষ ৭মে, মনোনয়নপত্র বাছাই ৯ মে, বাছাইয়ের বিরুদ্ধে আপিল ১০ থেকে ১৪ মে, আপিল নিষ্পত্তি ১৫ মে, প্রার্থিতা প্রত্যাহারের শেষ সময় ১৬ মে এবং প্রতীক বরাদ্দ ১৭ মে। এ নির্বাচনের রিটার্নিং কর্মকর্তা হিসেবে দায়িত্ব পালন করবেন খুলনা অঞ্চলের আঞ্চলিক কর্মকর্তা।

;

উপজেলা নির্বাচন: চতুর্থ ধাপে ৫৫ উপজেলার ভোট ৫ জুন



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, ঢাকা
চতুর্থ ধাপে ৫৪ উপজেলার ভোট ৫ জুন

চতুর্থ ধাপে ৫৪ উপজেলার ভোট ৫ জুন

  • Font increase
  • Font Decrease

আসন্ন ষষ্ঠ উপজেলা পরিষদের চতুর্থ ও শেষ ধাপে ৫৫ উপজেলায় আগামী ৫ জুন ভোট গ্রহণ অনুষ্ঠিত হবে বলে জানিয়েছে নির্বাচন কমিশন ইসি।

মঙ্গলবার (২৩ এপ্রিল) বিকেলে আগারগাঁও নির্বাচনে ভবনে ইসির ৩২তম সভায় এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়।

সভা শেষে ইসি সচিব জাহাংগীর আলম উপজেলা ভোটের চতুর্থ ধাপের তফসিল ঘোষণাপূর্বক বলেন, আগামী ৫ জুন দেশের ৫৪ উপজেলায় চতুর্থ ধাপের ভোটগ্রহণ হবে। সকাল ৮টা থেকে বিকেল ৪টা পর্যন্ত একটানা ভোটগ্রহণ চলবে। এর সঙ্গে নওগাঁ জেলার মহাদেবপুর উপজেলার প্রার্থীর মৃত্যুতে স্থগিত হওয়া ভোটও এ ধাপে অনুষ্ঠিত হবে, ফলে মোট ৫৫ উপজেলায় ভোট গ্রহণ হবে।

তিনি জানান, চতুর্থ ধাপে মনোনয়নপত্র দাখিলের শেষ তারিখ ৯ মে, মনোনয়ন যাচাই-বাছাই ১২মে। রিটার্নিং কর্মকর্তার সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে আপিল ১ ৩ থেকে ১৫ মে। প্রার্থিতা প্রত্যাহারের শেষ দিন ১৯ মে। প্রতীক বরাদ্দ দেওয়া হবে ২০ মে।

ইসি সচিব বলেন, চতুর্থ ধাপের ভোটে ৯টি জেলায় ভোট হবে ইভিএমে। বাকিগুলোয় স্বচ্ছ ব্যালট ভোটগ্রহণ করা হবে।

;