আ’লীগ মনোনয়ন দিলে নির্বাচনে লড়বেন লতিফ সিদ্দিকী



কামরুল ইসলাম, নিউজরুম এডিটর, বার্তা২৪.কম
আব্দুল লতিফ সিদ্দিকী/ ছবি: সংগৃহীত

আব্দুল লতিফ সিদ্দিকী/ ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

আওয়ামী লীগ মনোনয়ন দিলে একাদশ জাতীয় নির্বাচনে টাঙ্গাইল-৪ (কালিহাতি) আসনে দলের পক্ষে নির্বাচনে লড়তে চান সাবেক মন্ত্রী আব্দুল লতিফ সিদ্দিকী। হজ্ব-তাবলিগ জামাত ও প্রধানমন্ত্রীর ছেলে সজীব ওয়াজেদ জয়কে নিয়ে কটূক্তির অভিযোগে তাঁকে আওয়ামী লীগ থেকে বহিষ্কার করা হয়। এ ঘটনার জের ধরে সংসদ সদস্যপদ ও মন্ত্রিত্ব হারান এই বর্ষীয়ান আওয়ামী লীগ নেতা।

সূত্র জানায়, কালিহাতী উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি-সাধারণ সম্পাদকরা বর্তমান সাংসদের কোনো কর্মসূচিতে যান না। আবার উপজেলা আওয়ামী লীগের কোনো কর্মসূচিতেও সাংসদকে দেখা যায় না। এ সভাপতি-সাধারণ সম্পাদকসহ ছাত্রলীগের নেতারাও লতিফ সিদ্দিকীর অনুসারী।

গুলশানের বাসভবনে লতিফ সিদ্দিকীর সঙ্গে অনানুষ্ঠানিক আলোচনার প্রথমে তিনি গণমাধ্যমকে কোনো বক্তব্য দিতে অস্বীকৃতি জানান। তিনি জানান, কিছু গণমাধ্যমে তাঁর খণ্ডিত বক্তব্য প্রকাশিত হয়। এক পর্যায়ে তিনি অনানুষ্ঠানিকভাবেই কথা বলতে রাজি হন।

নির্বাচনে অংশ নেবেন কিনা জানতে চাইলে লতিফ সিদ্দিকী বলেন, ‘নেত্রী (শেখ হাসিনা) চাইলে নির্বাচনে যাব, তবে পাবলিক যদি সবকটি ভোটও আমাকে দিতে রাজি হয়, তারপরও আমি স্বতন্ত্র দাঁড়াব না। তাহলে এটি নিজের জন্য হয়ে যাবে।’

তিনি বলেন, আমি নিজের জন্য কিছু করতে চাই না। যতেষ্ঠ বয়স হয়েছে, এখন নিজের কিছু করতে গেলে নিজেকে ঘৃণিত মনে হবে। যে কয়টা দিন বেঁচে আছি, সম্মানের সঙ্গে বাঁচতে চাই।’

২০১৪ সালের সেপ্টেম্বরে প্রধানমন্ত্রীর সফরসঙ্গী হয়ে নিউইয়র্ক সফরের সময় সেখানকার এক হোটেলে টাঙ্গাইল সমিতির অনুষ্ঠানে হজ্ব, তাবলিগ, সাংবাদিক ও প্রধানমন্ত্রীর ছেলে সজীব ওয়াজেদ জয়কে নিয়ে মন্তব্য করে দেশজুড়ে সমালোচনার মুখে পড়েন লতিফ সিদ্দিকী।

সে সময় এসব বক্তব্যের প্রতিবাদে সারাদেশে তাঁর বিরুদ্ধে ২২টি মামলা হয়। এ মামলায় তাঁকে জেলেও যেতে হয়। দল থেকে বহিষ্কৃত হওয়ায় তাঁর সংসদ সদস্যপদ থাকবে কিনা তা নিয়ে নির্বাচন কমিশনে শুনানি শুরু হয়। শুনানিতে হাজির হয়ে লতিফ সিদ্দিকী কমিশনকে বলেন, তিনি নিজেই পদত্যাগ করবেন। তাই শুনানির আর প্রয়োজন নেই।

ঐদিন নির্বাচন কমিশন থেকে বেরিয়ে লতিফ সিদ্দিকী বলেছিলেন, ‘যেহেতু আমার নেত্রী চান না আমি সংসদে থাকি তাই আমি নিজেই পদত্যাগ করব।’ সেই সময় হজ্ব ও তাবলিগ জামাত নিয়ে তাঁর মন্তব্য খণ্ডিতভাবে এসেছে বলেও দাবি করেছিলেন বহিষ্কৃত এই আওয়ামী লীগ নেতা।

কালিহাতীতে নিজের অবস্থানের বর্ণনা দিয়ে লতিফ সিদ্দিকী বলেন, ‘এলাকায় আমার পজিশন ভালো, আমার জীবনেও এতো ভালো পজিশন কালিহাতিতে ছিলো না। আমাকে নিয়ে বিতর্ক ছিলো অনেক। আমাকে শুধু একেবারে সাধারণ মানুষ ভোট দিত।’

কালিহাতী উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি মো: মোজহারুল ইসলাম তালুকার বলেন, ‘বর্তমান এমপি (হাসান ইমাম খান সোহেল হাজারী) বাদে দল থেকে যাকে মনোনয়ন দেবে তাঁর জন্যই আমরা মাঠে নামব।’

লতিফ সিদ্দিকী সম্পর্কে জানতে চাইলে মোজহারুল ইসলাম বলেন, ‘তিনি আমাদের বড় নেতা। দল তাঁকে মনোনয়ন দিলে আমরা তাঁর হয়ে কাজ করব।’

এদিকে লতিফ সিদ্দিকী তাঁর সহধর্মিনী লায়লা সিদ্দিকীকে মনোনয়ন দিলে সেটির বিরোধিতা করবেন বলে জানান। তিনি বলেন, ‘বেগম সাহেবকে (লায়লা সিদ্দিকী) মনোনয়ন দিলেও আমি এর বিরোধিতা করব। কেননা তিনি রাজনীতি করার লোক নন। তিনি আরাম আয়েশের লোক।’

লতিফ সিদ্দিকীর ছোট ভাই কৃষক শ্রমিক জনতা লীগের সভাপতি বঙ্গবীর কাদের সিদ্দিকীর জাতীয় ঐক্যফ্রন্টে যোগ নেওয়া নিয়ে কোনো মন্তব্য করেননি তিনি। তবে সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে ঐক্যফ্রন্টের সমাবেশে কাদের সিদ্দিকীর কিছু কথা বলা ঠিক হয়নি বলে মনে করেন সাবেক এই সাংসদ।

টাঙ্গাইলের এই সংসদীয় আসনের বর্তমান সাংসদ হাসান ইমাম খান সোহেল হাজারী ২০১৬ সালে উপ-নির্বাচনে জয়ী হন। উপজেলা আওয়ামী লীগের নেতাদের অভিযোগ, নির্বাচিত হওয়ার পর থেকে সোহেল হাজারী তাদেরকে উপেক্ষা করে জামায়াত-রাজাকারের বংশধরদের কাছে টানেন।

উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক মো: আনছার আলী বলেন, ‘কালিহাতী আওয়ামী লীগ লতিফ সিদ্দিকীর হাতে গড়া। দল তাকে মনোনয়ন দিলে স্বতস্ফূর্তভাবে তাঁর হয়ে কাজ করব।’

আওয়ামী লীগের মনোনয়নে নৌকা প্রতীকে কালিহাতীতে লতিফ সিদ্দিকী প্রথম সাংসদ নির্বাচিত হন ১৯৯৬ সালে। তারপরে ২০০৮ সালের ৯ম জাতীয় নির্বাচনেও নৌকা প্রতীকে জয়লাভ করেন তিনি। ২০০৯ সালে আওয়ামী লীগ সরকার গঠন করলে তাঁকে পাট ও বস্ত্র মন্ত্রণালয়ের দায়িত্ব পান।

২০১৪ সালের জাতীয় নির্বাচনে লতিফ সিদ্দিকী আবারও সাংসদ নির্বাচিত হন। এবার তিনি ডাক, টেলিযোগাযোগ ও তথ্যপ্রযুক্তি মন্ত্রণালয়ের দায়িত্ব পান। কিন্তু দেড় বছরের মাথায় দল থেকে বহিষ্কৃত হওয়ার পরে পদত্যাগ করেন লতিফ সিদ্দিকী।

   

উপজেলা নির্বাচন: ছুটির দিনেও খোলা থাকবে অফিস



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, ঢাকা
উপজেলা নির্বাচন: ছুটির দিনেও খোলা থাকবে অফিস

উপজেলা নির্বাচন: ছুটির দিনেও খোলা থাকবে অফিস

  • Font increase
  • Font Decrease

আসন্ন ষষ্ঠ উপজেলা পরিষদের প্রথম ধাপের ১৫২ নির্বাচন উপলক্ষ্যে সরকারি ও সাপ্তাহিক ছুটির দিনেও অফিস খোলা রেখে কাজ করার জন্য মাঠ কর্মকর্তাদের নির্দেশ দিয়েছে নির্বাচন কমিশন (ইসি)।

সংস্থাটির নির্বাচন ব্যবস্থাপনা শাখার উপসচিব মো. আতিয়ার রহমান এ সংক্রান্ত নির্দেশনা মাঠ পর্যায়ের জেলা নির্বাচন কর্মকর্তা ও সংশ্লিষ্ট রিটার্নিং কর্মকর্তাদেরে পাঠিয়েছেন।

নির্দেশনায় বলা হয়েছে, নির্বাচন উপলক্ষে সাপ্তাহিক ও সরকারি ছুটির দিনে অফিস খোলা রেখে নির্বাচনি কার্যক্রম পরিচালনার ব্যবস্থা করতে হবে।

আগামী ৮ মে প্রথম ধাপে ১৫২ উপজেলা পরিষদ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে। প্রথম ধাপের মনোনয়নপত্র দাখিলের শেষ তারিখ ১৫ এপ্রিল। মনোনয়নপত্র বাছাই ১৭ এপ্রিল। রিটার্নিং কর্মকর্তার সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে আপিল ১৮ থেকে ২০ এপ্রিল। আপিল নিষ্পত্তি ২১ এপ্রিল, প্রার্থিতা প্রত্যাহারের শেষ সময় ২২ এপ্রিল। প্রতীক বরাদ্দ ২৩ এপ্রিল, আর ভোটগ্রহণ হবে ৮ মে।

নির্বাচনে রিটার্নিং কর্মকর্তা হিসেবে জেলা নির্বাচন কর্মকর্তা ও সহকারী রিটার্নিং কর্মকর্তা হিসেবে উপজেলা নির্বাচন কর্মকর্তাদের নিয়োগ করা হয়েছে। রিটার্নিং কর্মকর্তার সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে দায়ের করা আপিল আবেদন নিষ্পত্তি করবেন আপিল কর্তৃপক্ষ হিসেবে জেলা প্রশাসক।

মোট চার ধাপে অনুষ্ঠেয় ষষ্ঠ উপজেলা পরিষদ নির্বাচনের পরবর্তীতে তিন ধাপের ভোটগ্রহণ ২৩ ও ২৯ মে এবং ৫ জুন অনুষ্ঠিত হবে। দেশে মোট উপজেলার সংখ্যা ৪৯৫টি।

;

উপজেলা নির্বাচন: প্রার্থীরা সমান ভোট পেলে লটারিতে বিজয়ী নির্ধারণ



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, চট্টগ্রাম
ছবি: বার্তা২৪.কম

ছবি: বার্তা২৪.কম

  • Font increase
  • Font Decrease

আসন্ন ষষ্ঠ উপজেলা পরিষদের প্রথম ধাপের ১৫২ নির্বাচনে একই পদে প্রার্থীরা সমান ভোট পেলে লটারি করে বিজয়ী নির্ধারণে রিটার্নিং কর্মকর্তাদের নির্দেশ দিয়েছে নির্বাচন কমিশন (ইসি)।

বুধবার (২৭ মার্চ) সংস্থাটির ইসির নির্বাচন ব্যবস্থাপনা শাখার উপ-সচিব মো. আতিয়ার রহমান এই নির্দেশনাটি মাঠ পর্যায়ে কর্মকর্তাদের পাঠিয়েছেন।

নির্দেশনায় বলা হয়েছে, চেয়ারম্যান, ভাইস চেয়ারম্যান, মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান ও মহিলা সদস্য নির্বাচনের ক্ষেত্রে, ভোট গণনার ফালাফল একত্রীকরণের পর যদি দেখা যায় যে, দুই বা ততোধিক প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থীর অনুকূলে সমান সংখ্যক ভোট দেওয়ার কারণে উপ-বিধি (২)’র অধীন কোনো প্রার্থীকে নির্বাচিত করা সম্ভব নয়, তাহলে রিটার্নিং অফিসার লটারির মাধ্যমে ফলাফল নির্ধারণ করবেন, লটারি যে প্রার্থীর অনুকূলে যাবে সেই প্রার্থী সবোর্চ্চ ভোট প্রাপ্ত হয়েছেন বলে গণ্য হবে এবং রিটার্নিং অফিসার তাকে নির্বাচিত ঘোষণা করবেন, রিটার্নিং অফিসার কর্তৃক সম্পাদিত লটারির সম্পূর্ণ কার্যক্রম লিপিবদ্ধ করে একটি কার্যবিবরণী প্রস্তুত করবেন এবং উক্ত কার্যবিবরণীতে উপস্থিত প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থী বা নির্বাচনী এজেন্টের স্বাক্ষর গ্রহণ করবেন।

এছাড়া ভোট গ্রহণের পূর্বে চেয়ারম্যান, ভাইস চেয়ারম্যান ও মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান পদে মনোনীত বৈধ কোনো প্রার্থীর মৃত্যু হলে সংশ্লিষ্ট উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান, ভাইস চেয়ারম্যান ও মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান পদের নির্বাচন কার্যক্রম রিটার্নিং অফিসারগণ বিজ্ঞপ্তির দ্বারা বাতিল করে দেবেন।

পরবর্তীতে কমিশন সংশ্লিষ্ট নির্বাচনী এলাকার সংশ্লিষ্ট পদে নতুন নির্বাচনের তফসিল ঘোষণা করবেন এবং কমিশনের উক্ত সিদ্ধান্ত অনুসারে রিটার্নিং অফিসার নির্বাচন অনুষ্ঠানের পরবর্তী কার্যক্রম গ্রহণ করবেন। তবে শর্ত থাকে যে, ইতোপূর্বে কোন প্রার্থীর মনোনয়নপত্র বৈধ বলে সাব্যস্ত হয়ে থাকলে এবং তিনি তার প্রার্থিতা প্রত্যাহার না করে থাকলে তাকে নতুন করে মনোনয়নপত্র দাখিল করতে হবে না। ভোট গ্রহণের পূর্বে মহিলা সদস্য পদে মনোনীত বৈধ কোন প্রার্থীর মৃত্যু হলে ভোটগ্রহণ অবশিষ্ট প্রার্থীগণের মধ্যে সীমাবদ্ধ থাকবে।

আগামী ৮ মে প্রথম ধাপে ১৫২ উপজেলা পরিষদ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে। প্রথম ধাপের মনোনয়নপত্র দাখিলের শেষ তারিখ ১৫ এপ্রিল। মনোনয়নপত্র বাছাই ১৭ এপ্রিল। রিটার্নিং কর্মকর্তার সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে আপিল ১৮ থেকে ২০ এপ্রিল। আপিল নিষ্পত্তি ২১ এপ্রিল, প্রার্থিতা প্রত্যাহারের শেষ সময় ২২ এপ্রিল। প্রতীক বরাদ্দ ২৩ এপ্রিল, আর ভোটগ্রহণ হবে ৮ মে।

নির্বাচনে রিটার্নিং কর্মকর্তা হিসেবে জেলা নির্বাচন কর্মকর্তা ও সহকারী রিটার্নিং কর্মকর্তা হিসেবে উপজেলা নির্বাচন কর্মকর্তাদের নিয়োগ করা হয়েছে। রিটার্নিং কর্মকর্তার সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে দায়ের করা আপিল আবেদন নিষ্পত্তি করবেন আপিল কর্তৃপক্ষ হিসেবে জেলা প্রশাসক।

মোট চার ধাপে অনুষ্ঠেয় ষষ্ঠ উপজেলা পরিষদ নির্বাচনের পরবর্তীতে তিন ধাপের ভোটগ্রহণ ২৩ ও ২৯ মে এবং ৫ জুন অনুষ্ঠিত হবে। দেশে মোট উপজেলার সংখ্যা ৪৯৫টি।

;

উপজেলা ভোটে প্রার্থী কে মনোনয়ন দেবে, দলগুলোকে জানাতে বলল ইসি



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম
উপজেলা ভোটে প্রার্থী কে মনোনয়ন দেবে, দলগুলোকে জানাতে বলল ইসি

উপজেলা ভোটে প্রার্থী কে মনোনয়ন দেবে, দলগুলোকে জানাতে বলল ইসি

  • Font increase
  • Font Decrease

 

আসন্ন ষষ্ঠ উপজেলা নির্বাচনের প্রথম ধাপের ১৫২ উপজেলা নির্বাচনে ভোটে দলগুলোর প্রার্থী কে মনোনয়ন দেবে, তার নাম ও স্বাক্ষর জানতে চেয়েছে নির্বাচন কমিশন (ইসি)।

রোববার (২৪ মার্চ) এই তথ্য জানিয়েছেন সাংবিধানিক সংস্থাটির জনসংযোগ পরিচালক মো. শরিফুল আলম।

ইসি জানায়, তফসিল ঘোষণার সাত দিনের মধ্য এই তথ্য জানাতে হবে। সেই অনুযায়ী আগামী ২৮ মার্চের মধ্য জানাতে হবে।

ইসি জানায়, আগামী ৮ মে বিভিন্ন উপজেলা পরিষদ সাধারণ নির্বাচনের ভোটগ্রহণ অনুষ্ঠিত হবে। উপজেলা পরিষদ নির্বাচন বিধিমালা, ২০১৩ এর বিধি ১৫ এর উপবিধি (৩)(গ)(ইইই) অনুযায়ী চেয়ারম্যান/ভাইস চেয়ারম্যান/মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান পদে অংশগ্রহণের জন্য নিবন্ধিত রাজনৈতিক দলের সভাপতি বা সাধারণ সম্পাদক বা সমপর্যায়ের পদাধিকারী বা তাহাদের নিকট হতে ক্ষমতাপ্রাপ্ত ব্যক্তির স্বাক্ষরসহ তালিকা সংশ্লিষ্ট রিটার্নিং অফিসারগণকে প্রেরণের জন্য এবং একই সাথে উক্ত পত্রের অনুলিপি নির্বাচন কমিশনে প্রেরণের জন্য বলা হয়েছে।

আগামী ৮ মে দেশের ১৫২টি উপজেলায় প্রথম ধাপের নির্বাচন হবে। তফসিল অনুযায়ী, মনোনয়নপত্র জমার শেষ সময় ১৫ এপ্রিল, বাছাই ১৭ এপ্রিল। রিটার্নিং কর্মকর্তার সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে আপিল ১৮ থেকে ২০ এপ্রিল। আপিল নিষ্পত্তি ২১ এপ্রিল, প্রার্থিতা প্রত্যাহারের শেষ সময় ২২ এপ্রিল। প্রতীক বরাদ্দ ২৩ এপ্রিল, আর ভোটগ্রহণ হবে ৮ মে।

নির্বাচনে রিটার্নিং কর্মকর্তা হিসেবে জেলা নির্বাচন কর্মকর্তা ও সহকারি রিটার্নিং কর্মকর্তা হিসেবে উপজেলা নির্বাচন কর্মকর্তাদের নিয়োগ করা হয়েছে। রিটার্নিং কর্মকর্তার সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে দায়ের করা আপিল আবেদন নিষ্পত্তি করবেন আপিল কর্তৃপক্ষ হিসেবে জেলা প্রশাসক।

মোট চার ধাপে অনুষ্ঠেয় ষষ্ঠ উপজেলা পরিষদ নির্বাচনের পরবর্তীতে তিন ধাপের ভোট ২৩ ও ২৯ মে এবং ৫ জুন অনুষ্ঠিত হবে। দেশে মোট উপজেলার সংখ্যা ৪৯৫টি।

;

‘স্মার্ট বাংলাদেশ নির্মাণে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখছে ইসি’



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, ঢাকা
ছবি: বার্তা২৪.কম

ছবি: বার্তা২৪.কম

  • Font increase
  • Font Decrease

বাংলাদেশ ‘স্মার্ট বাংলাদেশ’-এ রূপান্তরের কাজ দ্রুত গতিতে এগিয়ে চলেছে। নির্বাচন কমিশন (ইসি) স্মার্ট বাংলাদেশ বিনির্মাণে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখছে বলে জানিয়েছেন জ্যেষ্ঠ নির্বাচন কমিশনার ব্রিগেডিয়ার জেনারেল মো. আহসান হাবিব খান (অব.)।

রোববার (২৪ মার্চ) নির্বাচন কমিশন সচিবালয়ের আইডেন্টিফিকেশন সিস্টেম ফর এনহ্যান্সিং এক্সেস টু সার্ভিসেস-আইডিইএ (২য় পর্যায়) প্রকল্পের আয়োজিত কর্মশালায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব বলেন।

কর্মশালায় ইসি সচিব মো. জাহাংগীর আলম, অতিরিক্ত সচিব অশোক কুমার দেবনাথ, আইডিইএ প্রকল্প পরিচালক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল আবুল হাসনাত মোহাম্মদ সায়েম, নির্বাচন প্রশিক্ষণ ইনস্টিটিউটের মহাপরিচালক এসএম আসাদুজ্জামান, আইডিইএ প্রকল্পের অতিরিক্ত প্রকল্প পরিচালক মুহাম্মদ হাসানুজ্জামান এবং সিস্টেম ম্যানেজার, সিনিয়র জেলা/জেলা নির্বাচন কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।

ইসি আহসান হাবিব জানান, স্বাধীনতার মাস মার্চ। আমি গভীর শ্রদ্ধার সঙ্গে স্মরণ করছি, স্বাধীন বাংলাদেশের মহান স্থপতি, সর্বকালের সর্বশ্রেষ্ঠ বাঙালি, জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে, যার ৭ই মার্চের ঐতিহাসিক ভাষণে উদ্বুদ্ধ হয়েছিল দেশের স্বাধীনতাকামী জনগণ। আমি স্মরণ করছি অমর শহিদদের ও বীর মুক্তিযোদ্ধাদের, যাদের অসীম সাহস ও আত্মত্যাগের বিনিময়ে অর্জিত হয়েছে আমাদের স্বাধীনতা।

তিনি জানান, বাংলাদেশ ‘স্মার্ট বাংলাদেশ’-এ রূপান্তরে দ্রুত গতিতে এগিয়ে চলেছে। এরই অংশ হিসেবে, নির্বাচন কমিশন সচিবালয়ের এনআইডি অনুবিভাগ ও আইডিইএ প্রকল্প (২য় পর্যায়) মাধ্যমে দেশে-বিদেশে বাংলাদেশি নাগরিকদের জাতীয় পরিচয়পত্র সেবা, স্মার্ট জাতীয় পরিচয়পত্র, ভোটার তালিকা হালনাগাদ ও প্রস্তুতে কারিগরি সহায়তা করতে গুরুত্বপূর্ণ অবদান রাখছে। এই কর্মকাণ্ডের মাধ্যমে বাংলাদেশ নির্বাচন কমিশন ‘স্মার্ট বাংলাদেশ’ বিনির্মাণের অগ্রযাত্রায় গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রেখে চলেছে।

জ্যেষ্ঠ এ নির্বাচন কমিশনার বলেন, নাগরিকের তথ্য/উপাত্ত সংশোধন আবেদন সিএমএস-এ স্বয়ংক্রিয়ভাবে ‘আবেদনের ধরণ/ক্যাটাগরি’ দিতে হবে। যাতে সম্মানিত নাগরিকগণকে দ্রুত সেবা নিশ্চিত করা যায়। উপজেলা পর্যায়ে নাগরিকদের বায়োমেট্রিক যাচাই করা করার সুবিধা চালু করা, বর্তমানে একজন নাগরিককে জেলা পর্যায়ে আসতে হয়। এ সেবাটি সহজ করে, উপজেলা থেকে দেয়া সম্ভব হলে বিপুল সংখ্যক নাগরিকের ভোগান্তি লাঘব হবে। আমি আশা করি দু’দিনব্যাপী আয়োজিত এ কর্মশালায় বিস্তারিতভাবে আলোচিত হবে এবং সংশ্লিষ্ট সমস্যাসমূহ ও এর উত্তরণের উপায় বেরিয়ে আসবে।

;