খুলনা-৩: নিরপেক্ষ নির্বাচন হলে ঘর তুলবে বিএনপি



মানজারুল ইসলাম, স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম
খুলনা-৩ আসন। ছবি: বার্তা২৪.কম

খুলনা-৩ আসন। ছবি: বার্তা২৪.কম

  • Font increase
  • Font Decrease

খালিশপুর শিল্পাঞ্চল, দৌলতপুর ও খানজাহান আলী থানা নিয়ে খুলনা-৩ আসন গঠিত। রাষ্ট্রায়ত্ত পাটকল থাকায় শ্রমিক অঞ্চল বলে খ্যাতি রয়েছে এ আসনের। মূলত এ আসনের প্রার্থী হিসেবে শ্রমিক বান্ধব নেতাকেই বিগত দিনে ভোট দিয়ে বিজয়ী করেছেন জনগণ। সে কারণে শ্রমিক বান্ধব হবার যোগ্যতা অর্জন করা এ আসনে জন্য আবশ্যক বলে মনে করেন অনেকে।

আসন্ন জাতীয় সংসদ নির্বাচনকে সামনে রেখে খুলনা-৩ আসনের বিভিন্ন দলের মনোনয়ন প্রত্যাশী প্রার্থীরা তোড়জোড় শুরু করেছেন বেশ আগেই। ক্ষমতাসীন দলের মনোনয়ন প্রত্যাশীরা বিভিন্ন রাজনৈতিক সভা-সমাবেশে অংশ নিয়ে নিজেদের অবস্থান জানান দিচ্ছেন।

উন্নয়নের রাজনীতির অংশীদার শুধুমাত্র আওয়ামী লীগ- এ মূলমন্ত্রকে সামনে রেখে নেতাকর্মীদের সঙ্গে নিয়ে আগামীতে আসনটি ধরে রাখার চেষ্টা করছে তারা। অপরদিকে ক্ষমতার বাইরে থাকা বিএনপির প্রার্থীরা নির্বাচনী পরিবেশ স্বাভাবিক থাকলে ও নিরপেক্ষ নির্বাচন হলে এ আসনে নিজেদের ঘর তুলবে বলে দাবি করছেন।

খোঁজ নিয়ে জানা যায়, আসন্ন একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনকে সামনে রেখে খুলনা-৩ আসনে ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগের মনোনয়ন প্রত্যাশী তিনজন। তারা হলেন- বর্তমান সংসদ সদস্য ও সাবেক শ্রম ও কর্মসংস্থান প্রতিমন্ত্রী বেগম মন্নুজান সুফিয়ান, কেন্দ্রীয় আওয়ামী লীগের সদস্য ও ছাত্রলীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক এস এম কামাল হোসেন, দলের দৌলতপুর থানা কমিটির সভাপতি শেখ সৈয়দ আলী।

এছাড়া বিএনপির মনোনয়ন পেতে চেষ্টা চালাচ্ছেন চারজন। তারা হলেন- কেন্দ্রীয় ছাত্রদলের সাবেক সহ-সভাপতি রকিবুল ইসলাম বকুল, নগর বিএনপির কোষাধ্যক্ষ ও খালিশপুর থানা কমিটির সাধারণ সম্পাদক এস এম আরিফুর রহমান মিঠু, মহানগর বিএনপির প্রথম যুগ্ম সম্পাদক অধ্যক্ষ তারিকুল ইসলাম, মহানগর বিএনপির সহ-সভাপতি ও সাবেক সংসদ সদস্য কাজী সেকেন্দার আলী ডালিম।

জাতীয় পার্টির হয়ে এ আসন থেকে মনোনয়ন চেয়েছেন খুলনা মহানগর কমিটির আহ্বায়ক অ্যাড. মঞ্জুরুল আলম।

চরমোনাই পীরের দল ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের হয়ে এ আসন থেকে নির্বাচনে প্রার্থিতা ঘোষণা করেছেন দলের মহানগর সভাপতি অধ্যক্ষ মাওলানা মুজ্জাম্মিল হক।

খুলনা-৩ আসনের নির্বাচনী এলাকার বিভিন্ন সূত্র থেকে জানা যায়, বর্তমান সংসদ সদস্য সাবেক শ্রম ও কর্মসংস্থান প্রতিমন্ত্রী বেগম মন্নুজান সুফিয়ান একজন শ্রমিক নেত্রী। শ্রমিকদের অধিকার আদায়ে দীর্ঘদিন তিনি রাজপথে থেকেছেন। এবারো এ আসন থেকে নির্বাচনে অংশগ্রহণের জন্য মনোনয়ন প্রত্যাশী তিনি। নির্বাচনী আসনের অন্তর্ভুক্ত এলাকায় বিভিন্ন দলীয় কর্মকাণ্ডে অংশগ্রহণ করেন নেত্রী। তবে অনেকের অভিযোগও আছে তার বিরুদ্ধে। নির্বাচনী এলাকায় তিনি নিয়মিত নন বলেও দাবি একটি অংশের।

এছাড়া এ আসন থেকে আওয়ামী লীগের মনোনয়ন দৌড়ে যার নাম বেশি শোনা যাচ্ছে তিনি হলেন- এস এম কামাল হোসেন। কেন্দ্রীয় আওয়ামী লীগের সদস্য তিনি। শুভেচ্ছা বার্তা সম্বলিত সাবেক এ ছাত্রনেতার শত শত ব্যানার ও ফেস্টুন চোখে পড়ছে। কিছুদিন আগে হয়ে যাওয়া খুলনা সিটি নির্বাচনে আওয়ামী লীগের প্রার্থীর প্রচারণার সময় খুলনা-৩ সংসদীয় আসনে তিনি নিজেকেও পরিচিত করেছেন বলে গুঞ্জন শোনা যায়। বর্তমানে প্রায়ই তিনি নির্বাচনী এলাকায় সাংগঠনিক কার্যক্রমে যোগ দিচ্ছেন।

খুলনা-৩ আসনে আওয়ামী লীগের মনোনয়ন দৌড়ে কিছুটা পিছিয়ে থাকলেও নাম শোনা যাচ্ছে বিশিষ্ট পাট ব্যবসায়ী ও দৌলতপুর থানা আওয়ামী লীগের সভাপতি শেখ সৈয়দ আলীর। দীর্ঘদিন তিনি আওয়ামী লীগের রাজনীতির সঙ্গে যুক্ত ছিলেন। তবে সংসদ সদস্য বেগম মন্নুজান সুফিয়ানের সঙ্গে সু-সম্পর্ক থাকায় তিনি আগে মনোনয়ন চাইতে পারেননি। এবার দলীয় মনোনয়ন নিয়ে নির্বাচন করার আশা তার।

অপরদিকে, বিএনপির মনোনয়নের টিকিট পেতে যে চারজন চেষ্টা চালাচ্ছেন তাদের ভেতরে এগিয়ে আছেন কেন্দ্রীয় ছাত্রদলের সাবেক সহ-সভাপতি রকিবুল ইসলাম বকুল। অসংখ্যা প্যানা, ফেস্টুন আর পোস্টার লাগিয়ে তিনি নির্বাচনী এলাকায় তার অবস্থান জানান দিচ্ছেন। তবে তিনি নির্বাচনী এলাকায় এসে প্রচার প্রচারণা করেন না। শোনা যাচ্ছে সাবেক এ ছাত্রনেতার সঙ্গে কেন্দ্রীয় বিএনপির সম্পর্ক ভালো থাকায় সবুজ সংকেতের আশায় চেষ্টা চালাচ্ছেন তিনি।

এছাড়া তৃণমূলে জনপ্রিয়তা অর্জন করেছেন বলে দাবি করেন বিএনপির নগর কমিটির কোষাধ্যক্ষ ও খালিশপুর থানা কমিটির সাধারণ সম্পাদক এস এম আরিফুর রহমান মিঠুর কর্মী-সমর্থকরা। কর্মীদের সঙ্গে নিয়ে বিগত দিনে বিএনপির সকল আন্দোলনে অংশ নিয়ে তরুণ এ নেতা তার সুদৃঢ় অবস্থান তৈরি করেছেন। মহানগর সভাপতির সঙ্গে মতবিরোধ থাকার কারণে দীর্ঘদিন ধরে তিনি পৃথকভাবে দলীয় কর্মসূচি পালন করে আসছেন।

বিএনপির মনোনয়ন নিয়ে খুলনা-৩ আসন থেকে নির্বাচনের আশাবাদ ব্যক্ত করেছেন মহানগর কমিটির প্রথম যুগ্ম সম্পাদক তারিকুল ইসলাম। এ নেতাও বিগত দিনে বিএনপির সকল আন্দোলনে অগ্রণী ভূমিকা রেখেছেন বলে দাবি তার। যে কারণে মনোনয়ন তারই প্রাপ্য বলে দাবি করেন তিনি।

বিএনপির নগর কমিটির সহ-সভাপতি ও খুলনা-৩ আসনের সাবেক সংসদ সদস্য কাজী সেকেন্দার আলী এ আসন থেকে আবারো নির্বাচনে অংশ নিতে ইচ্ছুক। তিনিও বিএনপির আন্দোলনে রাজপথে থেকেছেন নিয়মিত। তবে তরুণ প্রার্থীদের তুলনায় তার সঙ্গে দলীয় নেতা-কর্মীদের তেমন সখ্যতা নেই।

দশম জাতীয় সংসদের প্রধান বিরোধী দল জাতীয় পার্টির হয়ে এ আসন থেকে মনোনয়ন চেয়েছেন খুলনা মহানগর কমিটির আহ্বায়ক অ্যাড. মঞ্জুরুল আলম। তবে তার কোনো কার্যক্রম চোখ পরে না।

চরমোনাই পীরের নেতৃত্বাধীন দল ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের হয়ে এ আসন থেকে নির্বাচনে প্রার্থিতা ঘোষণা করেছেন দলের মহানগর সভাপতি অধ্যক্ষ মাওলানা মুজ্জাম্মিল হক। তিনি দলীয় সভা-সমাবেশে অংশ নিয়ে কর্মীদের সঙ্গে সম্পর্ক রাখছেন নিয়মিত।

নির্বাচন কমিশনের তথ্য মতে, খুলনা-৩ আসনে মোট ভোটার সংখ্যা ২ লাখ ২৬ হাজার ৭০৫ জন। পুরুষ ভোটার ১ লাখ ৪৬ হাজার ৭১২ জন ও নারী ভোটার ১ লাখ ৪৭ হাজার ৩৮৫ জন।

উল্লেখ্য, ১৯৭৩, ১৯৭৯, ১৯৮৬, ১৯৯১, ১৯৯৬, ২০০১, ২০০৮ ও ২০১৪ সালের নির্বাচনের ফলাফল যাচাই করে দেখা যায় খুলনা-৩ আসনে চারবার আওয়ামী লীগ, তিনবার বিএনপি ও একবার জাতীয় পার্টির প্রার্থী বিজয়ী হয়েছে। অর্থাৎ এ আসন থেকে নির্বাচনী দৌড়ে বিজয় অর্জন করা রীতিমতো চ্যালেঞ্জের ব্যাপার।

   

উপজেলা নির্বাচন: ছুটির দিনেও খোলা থাকবে অফিস



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, ঢাকা
উপজেলা নির্বাচন: ছুটির দিনেও খোলা থাকবে অফিস

উপজেলা নির্বাচন: ছুটির দিনেও খোলা থাকবে অফিস

  • Font increase
  • Font Decrease

আসন্ন ষষ্ঠ উপজেলা পরিষদের প্রথম ধাপের ১৫২ নির্বাচন উপলক্ষ্যে সরকারি ও সাপ্তাহিক ছুটির দিনেও অফিস খোলা রেখে কাজ করার জন্য মাঠ কর্মকর্তাদের নির্দেশ দিয়েছে নির্বাচন কমিশন (ইসি)।

সংস্থাটির নির্বাচন ব্যবস্থাপনা শাখার উপসচিব মো. আতিয়ার রহমান এ সংক্রান্ত নির্দেশনা মাঠ পর্যায়ের জেলা নির্বাচন কর্মকর্তা ও সংশ্লিষ্ট রিটার্নিং কর্মকর্তাদেরে পাঠিয়েছেন।

নির্দেশনায় বলা হয়েছে, নির্বাচন উপলক্ষে সাপ্তাহিক ও সরকারি ছুটির দিনে অফিস খোলা রেখে নির্বাচনি কার্যক্রম পরিচালনার ব্যবস্থা করতে হবে।

আগামী ৮ মে প্রথম ধাপে ১৫২ উপজেলা পরিষদ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে। প্রথম ধাপের মনোনয়নপত্র দাখিলের শেষ তারিখ ১৫ এপ্রিল। মনোনয়নপত্র বাছাই ১৭ এপ্রিল। রিটার্নিং কর্মকর্তার সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে আপিল ১৮ থেকে ২০ এপ্রিল। আপিল নিষ্পত্তি ২১ এপ্রিল, প্রার্থিতা প্রত্যাহারের শেষ সময় ২২ এপ্রিল। প্রতীক বরাদ্দ ২৩ এপ্রিল, আর ভোটগ্রহণ হবে ৮ মে।

নির্বাচনে রিটার্নিং কর্মকর্তা হিসেবে জেলা নির্বাচন কর্মকর্তা ও সহকারী রিটার্নিং কর্মকর্তা হিসেবে উপজেলা নির্বাচন কর্মকর্তাদের নিয়োগ করা হয়েছে। রিটার্নিং কর্মকর্তার সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে দায়ের করা আপিল আবেদন নিষ্পত্তি করবেন আপিল কর্তৃপক্ষ হিসেবে জেলা প্রশাসক।

মোট চার ধাপে অনুষ্ঠেয় ষষ্ঠ উপজেলা পরিষদ নির্বাচনের পরবর্তীতে তিন ধাপের ভোটগ্রহণ ২৩ ও ২৯ মে এবং ৫ জুন অনুষ্ঠিত হবে। দেশে মোট উপজেলার সংখ্যা ৪৯৫টি।

;

উপজেলা নির্বাচন: প্রার্থীরা সমান ভোট পেলে লটারিতে বিজয়ী নির্ধারণ



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, চট্টগ্রাম
ছবি: বার্তা২৪.কম

ছবি: বার্তা২৪.কম

  • Font increase
  • Font Decrease

আসন্ন ষষ্ঠ উপজেলা পরিষদের প্রথম ধাপের ১৫২ নির্বাচনে একই পদে প্রার্থীরা সমান ভোট পেলে লটারি করে বিজয়ী নির্ধারণে রিটার্নিং কর্মকর্তাদের নির্দেশ দিয়েছে নির্বাচন কমিশন (ইসি)।

বুধবার (২৭ মার্চ) সংস্থাটির ইসির নির্বাচন ব্যবস্থাপনা শাখার উপ-সচিব মো. আতিয়ার রহমান এই নির্দেশনাটি মাঠ পর্যায়ে কর্মকর্তাদের পাঠিয়েছেন।

নির্দেশনায় বলা হয়েছে, চেয়ারম্যান, ভাইস চেয়ারম্যান, মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান ও মহিলা সদস্য নির্বাচনের ক্ষেত্রে, ভোট গণনার ফালাফল একত্রীকরণের পর যদি দেখা যায় যে, দুই বা ততোধিক প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থীর অনুকূলে সমান সংখ্যক ভোট দেওয়ার কারণে উপ-বিধি (২)’র অধীন কোনো প্রার্থীকে নির্বাচিত করা সম্ভব নয়, তাহলে রিটার্নিং অফিসার লটারির মাধ্যমে ফলাফল নির্ধারণ করবেন, লটারি যে প্রার্থীর অনুকূলে যাবে সেই প্রার্থী সবোর্চ্চ ভোট প্রাপ্ত হয়েছেন বলে গণ্য হবে এবং রিটার্নিং অফিসার তাকে নির্বাচিত ঘোষণা করবেন, রিটার্নিং অফিসার কর্তৃক সম্পাদিত লটারির সম্পূর্ণ কার্যক্রম লিপিবদ্ধ করে একটি কার্যবিবরণী প্রস্তুত করবেন এবং উক্ত কার্যবিবরণীতে উপস্থিত প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থী বা নির্বাচনী এজেন্টের স্বাক্ষর গ্রহণ করবেন।

এছাড়া ভোট গ্রহণের পূর্বে চেয়ারম্যান, ভাইস চেয়ারম্যান ও মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান পদে মনোনীত বৈধ কোনো প্রার্থীর মৃত্যু হলে সংশ্লিষ্ট উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান, ভাইস চেয়ারম্যান ও মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান পদের নির্বাচন কার্যক্রম রিটার্নিং অফিসারগণ বিজ্ঞপ্তির দ্বারা বাতিল করে দেবেন।

পরবর্তীতে কমিশন সংশ্লিষ্ট নির্বাচনী এলাকার সংশ্লিষ্ট পদে নতুন নির্বাচনের তফসিল ঘোষণা করবেন এবং কমিশনের উক্ত সিদ্ধান্ত অনুসারে রিটার্নিং অফিসার নির্বাচন অনুষ্ঠানের পরবর্তী কার্যক্রম গ্রহণ করবেন। তবে শর্ত থাকে যে, ইতোপূর্বে কোন প্রার্থীর মনোনয়নপত্র বৈধ বলে সাব্যস্ত হয়ে থাকলে এবং তিনি তার প্রার্থিতা প্রত্যাহার না করে থাকলে তাকে নতুন করে মনোনয়নপত্র দাখিল করতে হবে না। ভোট গ্রহণের পূর্বে মহিলা সদস্য পদে মনোনীত বৈধ কোন প্রার্থীর মৃত্যু হলে ভোটগ্রহণ অবশিষ্ট প্রার্থীগণের মধ্যে সীমাবদ্ধ থাকবে।

আগামী ৮ মে প্রথম ধাপে ১৫২ উপজেলা পরিষদ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে। প্রথম ধাপের মনোনয়নপত্র দাখিলের শেষ তারিখ ১৫ এপ্রিল। মনোনয়নপত্র বাছাই ১৭ এপ্রিল। রিটার্নিং কর্মকর্তার সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে আপিল ১৮ থেকে ২০ এপ্রিল। আপিল নিষ্পত্তি ২১ এপ্রিল, প্রার্থিতা প্রত্যাহারের শেষ সময় ২২ এপ্রিল। প্রতীক বরাদ্দ ২৩ এপ্রিল, আর ভোটগ্রহণ হবে ৮ মে।

নির্বাচনে রিটার্নিং কর্মকর্তা হিসেবে জেলা নির্বাচন কর্মকর্তা ও সহকারী রিটার্নিং কর্মকর্তা হিসেবে উপজেলা নির্বাচন কর্মকর্তাদের নিয়োগ করা হয়েছে। রিটার্নিং কর্মকর্তার সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে দায়ের করা আপিল আবেদন নিষ্পত্তি করবেন আপিল কর্তৃপক্ষ হিসেবে জেলা প্রশাসক।

মোট চার ধাপে অনুষ্ঠেয় ষষ্ঠ উপজেলা পরিষদ নির্বাচনের পরবর্তীতে তিন ধাপের ভোটগ্রহণ ২৩ ও ২৯ মে এবং ৫ জুন অনুষ্ঠিত হবে। দেশে মোট উপজেলার সংখ্যা ৪৯৫টি।

;

উপজেলা ভোটে প্রার্থী কে মনোনয়ন দেবে, দলগুলোকে জানাতে বলল ইসি



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম
উপজেলা ভোটে প্রার্থী কে মনোনয়ন দেবে, দলগুলোকে জানাতে বলল ইসি

উপজেলা ভোটে প্রার্থী কে মনোনয়ন দেবে, দলগুলোকে জানাতে বলল ইসি

  • Font increase
  • Font Decrease

 

আসন্ন ষষ্ঠ উপজেলা নির্বাচনের প্রথম ধাপের ১৫২ উপজেলা নির্বাচনে ভোটে দলগুলোর প্রার্থী কে মনোনয়ন দেবে, তার নাম ও স্বাক্ষর জানতে চেয়েছে নির্বাচন কমিশন (ইসি)।

রোববার (২৪ মার্চ) এই তথ্য জানিয়েছেন সাংবিধানিক সংস্থাটির জনসংযোগ পরিচালক মো. শরিফুল আলম।

ইসি জানায়, তফসিল ঘোষণার সাত দিনের মধ্য এই তথ্য জানাতে হবে। সেই অনুযায়ী আগামী ২৮ মার্চের মধ্য জানাতে হবে।

ইসি জানায়, আগামী ৮ মে বিভিন্ন উপজেলা পরিষদ সাধারণ নির্বাচনের ভোটগ্রহণ অনুষ্ঠিত হবে। উপজেলা পরিষদ নির্বাচন বিধিমালা, ২০১৩ এর বিধি ১৫ এর উপবিধি (৩)(গ)(ইইই) অনুযায়ী চেয়ারম্যান/ভাইস চেয়ারম্যান/মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান পদে অংশগ্রহণের জন্য নিবন্ধিত রাজনৈতিক দলের সভাপতি বা সাধারণ সম্পাদক বা সমপর্যায়ের পদাধিকারী বা তাহাদের নিকট হতে ক্ষমতাপ্রাপ্ত ব্যক্তির স্বাক্ষরসহ তালিকা সংশ্লিষ্ট রিটার্নিং অফিসারগণকে প্রেরণের জন্য এবং একই সাথে উক্ত পত্রের অনুলিপি নির্বাচন কমিশনে প্রেরণের জন্য বলা হয়েছে।

আগামী ৮ মে দেশের ১৫২টি উপজেলায় প্রথম ধাপের নির্বাচন হবে। তফসিল অনুযায়ী, মনোনয়নপত্র জমার শেষ সময় ১৫ এপ্রিল, বাছাই ১৭ এপ্রিল। রিটার্নিং কর্মকর্তার সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে আপিল ১৮ থেকে ২০ এপ্রিল। আপিল নিষ্পত্তি ২১ এপ্রিল, প্রার্থিতা প্রত্যাহারের শেষ সময় ২২ এপ্রিল। প্রতীক বরাদ্দ ২৩ এপ্রিল, আর ভোটগ্রহণ হবে ৮ মে।

নির্বাচনে রিটার্নিং কর্মকর্তা হিসেবে জেলা নির্বাচন কর্মকর্তা ও সহকারি রিটার্নিং কর্মকর্তা হিসেবে উপজেলা নির্বাচন কর্মকর্তাদের নিয়োগ করা হয়েছে। রিটার্নিং কর্মকর্তার সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে দায়ের করা আপিল আবেদন নিষ্পত্তি করবেন আপিল কর্তৃপক্ষ হিসেবে জেলা প্রশাসক।

মোট চার ধাপে অনুষ্ঠেয় ষষ্ঠ উপজেলা পরিষদ নির্বাচনের পরবর্তীতে তিন ধাপের ভোট ২৩ ও ২৯ মে এবং ৫ জুন অনুষ্ঠিত হবে। দেশে মোট উপজেলার সংখ্যা ৪৯৫টি।

;

‘স্মার্ট বাংলাদেশ নির্মাণে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখছে ইসি’



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, ঢাকা
ছবি: বার্তা২৪.কম

ছবি: বার্তা২৪.কম

  • Font increase
  • Font Decrease

বাংলাদেশ ‘স্মার্ট বাংলাদেশ’-এ রূপান্তরের কাজ দ্রুত গতিতে এগিয়ে চলেছে। নির্বাচন কমিশন (ইসি) স্মার্ট বাংলাদেশ বিনির্মাণে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখছে বলে জানিয়েছেন জ্যেষ্ঠ নির্বাচন কমিশনার ব্রিগেডিয়ার জেনারেল মো. আহসান হাবিব খান (অব.)।

রোববার (২৪ মার্চ) নির্বাচন কমিশন সচিবালয়ের আইডেন্টিফিকেশন সিস্টেম ফর এনহ্যান্সিং এক্সেস টু সার্ভিসেস-আইডিইএ (২য় পর্যায়) প্রকল্পের আয়োজিত কর্মশালায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব বলেন।

কর্মশালায় ইসি সচিব মো. জাহাংগীর আলম, অতিরিক্ত সচিব অশোক কুমার দেবনাথ, আইডিইএ প্রকল্প পরিচালক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল আবুল হাসনাত মোহাম্মদ সায়েম, নির্বাচন প্রশিক্ষণ ইনস্টিটিউটের মহাপরিচালক এসএম আসাদুজ্জামান, আইডিইএ প্রকল্পের অতিরিক্ত প্রকল্প পরিচালক মুহাম্মদ হাসানুজ্জামান এবং সিস্টেম ম্যানেজার, সিনিয়র জেলা/জেলা নির্বাচন কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।

ইসি আহসান হাবিব জানান, স্বাধীনতার মাস মার্চ। আমি গভীর শ্রদ্ধার সঙ্গে স্মরণ করছি, স্বাধীন বাংলাদেশের মহান স্থপতি, সর্বকালের সর্বশ্রেষ্ঠ বাঙালি, জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে, যার ৭ই মার্চের ঐতিহাসিক ভাষণে উদ্বুদ্ধ হয়েছিল দেশের স্বাধীনতাকামী জনগণ। আমি স্মরণ করছি অমর শহিদদের ও বীর মুক্তিযোদ্ধাদের, যাদের অসীম সাহস ও আত্মত্যাগের বিনিময়ে অর্জিত হয়েছে আমাদের স্বাধীনতা।

তিনি জানান, বাংলাদেশ ‘স্মার্ট বাংলাদেশ’-এ রূপান্তরে দ্রুত গতিতে এগিয়ে চলেছে। এরই অংশ হিসেবে, নির্বাচন কমিশন সচিবালয়ের এনআইডি অনুবিভাগ ও আইডিইএ প্রকল্প (২য় পর্যায়) মাধ্যমে দেশে-বিদেশে বাংলাদেশি নাগরিকদের জাতীয় পরিচয়পত্র সেবা, স্মার্ট জাতীয় পরিচয়পত্র, ভোটার তালিকা হালনাগাদ ও প্রস্তুতে কারিগরি সহায়তা করতে গুরুত্বপূর্ণ অবদান রাখছে। এই কর্মকাণ্ডের মাধ্যমে বাংলাদেশ নির্বাচন কমিশন ‘স্মার্ট বাংলাদেশ’ বিনির্মাণের অগ্রযাত্রায় গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রেখে চলেছে।

জ্যেষ্ঠ এ নির্বাচন কমিশনার বলেন, নাগরিকের তথ্য/উপাত্ত সংশোধন আবেদন সিএমএস-এ স্বয়ংক্রিয়ভাবে ‘আবেদনের ধরণ/ক্যাটাগরি’ দিতে হবে। যাতে সম্মানিত নাগরিকগণকে দ্রুত সেবা নিশ্চিত করা যায়। উপজেলা পর্যায়ে নাগরিকদের বায়োমেট্রিক যাচাই করা করার সুবিধা চালু করা, বর্তমানে একজন নাগরিককে জেলা পর্যায়ে আসতে হয়। এ সেবাটি সহজ করে, উপজেলা থেকে দেয়া সম্ভব হলে বিপুল সংখ্যক নাগরিকের ভোগান্তি লাঘব হবে। আমি আশা করি দু’দিনব্যাপী আয়োজিত এ কর্মশালায় বিস্তারিতভাবে আলোচিত হবে এবং সংশ্লিষ্ট সমস্যাসমূহ ও এর উত্তরণের উপায় বেরিয়ে আসবে।

;