চট্টগ্রাম বিভাগে এরশাদের খসড়া প্রার্থীরা



সেরাজুল ইসলাম সিরাজ, স্পেশাল করেসপন্ডেন্ট
জাতীয় পার্টির লোগো, ছবি: সংগৃহীত

জাতীয় পার্টির লোগো, ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

জাতীয় পার্টি আওয়ামী জোটের বাইরে গিয়ে নির্বাচনে অংশ নিলে চট্টগ্রাম বিভাগের অনেকগুলো আসনে সম্মিলিতি জাতীয় জোটের শরিকদের প্রার্থী দেখা যেতে পারে। বিএনপি নির্বাচনে না এলে সম্মিলিতি জাতীয় জোটের ব্যানারে নির্বাচন করতে চায় জাপা।

সম্মিলিতি জোটের ব্যানারে অংশ নেওয়ার প্রস্তুতি হিসেবে চট্টগ্রাম বিভাগের ৫৮টি আসনের প্রায় ২২টিতে জোটের প্রার্থী খসড়া তালিকায় রাখা হয়েছে। তবে চট্টগ্রাম-২, চট্টগ্রাম-১৩, চট্টগ্রাম-১৪, ব্রাহ্মণবাড়িয়া-১, নোয়াখালী-১ আসন জোটকে ছেড়ে দিতে যাচ্ছে এটা প্রায় নিশ্চিত বলেছেন সিনিয়র নেতৃবৃন্দ নিশ্চিত করেছেন।

চট্টগ্রাম জেলা
চট্টগ্রাম-১ শায়েস্তা খান চৌধুরী, চট্টগ্রাম-২ আসনটি ইসলামী ফ্রন্টকে দেওয়া হতে পারে। এখানে আল্লামা এমএ মান্নানকে এক নম্বরে রাখা হয়েছে। আরও রয়েছেন জহুরুল ইসলাম রেজা, আফছার উদ্দিন চৌধুরী, চট্টগ্রাম-৩ এমএ ছালাম, অ্যাড. শাহাবুদ্দিন মাহমুদ ও আব্দুল মান্নান, চট্টগ্রাম-৪ দিদারুল কবির দিদার ও আল্লামা এমএ মান্নান (ইসলামী ফ্রন্ট), আল্লামা এমএ মান্নানকে-৫ বর্তমান এমপি ব্যরিস্টার আনিসুল ইসলাম মাহমুদ ও নাছির উদ্দিন, চট্টগ্রাম-৬ শফিকুল ইসলাম শফিক, নাছির উদ্দিন ছিদ্দিকী ও মেজবাহ উদ্দিন আকবর, চট্টগ্রাম-৭ নজরুল ইসলাম ও আল্লামা এমএ মান্নান (ইসলামী ফ্রন্ট), চট্টগ্রাম-৮ আমান উল্লাহ আমান, জহুরুল ইসলাম রেজা, এয়াকুব হোসেন ও কাজী মুজিবুর রহমান।

চট্টগ্রাম-৯ বর্তমান এমপি জিয়াউদ্দিন আহমেদ বাবলু, চট্টগ্রাম-১০ মোর্শেদ মুরাদ ইব্রাহিম, আবুল হাসনাত (ইসলামী মহাজোট), শেখ শামসীর উদ্দিন ও ওসমান খান, চট্টগ্রাম-১১ সোলায়মান আলম শেঠ, আব্দুল লতিফ, শওকত আকবর, এমএ মতিন (ইসলামী ফ্রন্ট), চট্টগ্রাম-১২ সামছুল আলম মাস্টার, এমএ মতিন (ইসলামী ফ্রন্ট), চট্টগ্রাম-১৩ ইসলামী ফ্রন্টের এমএ মতিনকে এক নম্বরে রাখা হয়েছে তালিকায়, আরও রয়েছেন শ্রী তপন চক্রবর্তী, আব্দুর রব চৌধুরী ও আব্দুস সাত্তার রনি, চট্টগ্রাম-১৪ আসনে ইসলামী ফ্রন্টের সউম আব্দুস সামাদকে এক নম্বরে রাখা হয়েছে, আরও রয়েছেন জাপার আব্দুল গফুর চৌধুরী, আনিসুল ইসলাম চৌধুরী, ও মোহাম্মদ আলী, চট্টগ্রাম-১৫ আলহাজ মো. ছালেম ও হাজী আব্দুস সাত্তার, চট্টগ্রাম-১৬ মাহমুদুল ইসলাম চৌধুরী ও আবু বক্কর সিদ্দিকী।

ফেনী জেলা
ফেনী-১ নাজমা আক্তার ও অধ্যাপক এমএ মোমেন (ইসলামী যুবসেনা), ফেনী-২ এমএম ইকবাল আলমগীর ও খন্দকার নজরুল ইসলাম, ফেনী-৩ আসনে এরশাদের প্রচার ও প্রকাশনা বিষয়ক উপদেষ্টা রিন্টু আনোয়ার।

কুমিল্লা জেলা
কুমিল্লা-১ আবু জায়েদ আল মাখন সরকার, সুলতান জিসান উদ্দিন প্রধান, সৈয়দ ইফতেখার আহসান হাসান, ও কালাম পলাশ (ইসলামী মহাজোট), কুমিল্লা-২ বর্তমান এমপি আমির হোসেন ভূঁইয়া, কুমিল্লা-৩ আখতার হোসেন ও জামাল উদ্দিন, কুমিল্লা-৪ জাতীয় পার্টির যুগ্ম-মহাসচিব অধ্যাপক ইকবাল হোসেন রাজু, কুমিল্লা-৫ প্রেসিডিয়াম সদস্য এসএম ফয়সল চিশতী, এমএ কুদ্দুছ মানিক, তাজুল ইসলাম ও তোফায়েল হোসাইন (ইসলামী মহাজোট), কুমিল্লা-৬ সালামত আলী খাঁন বাচ্চু ও সেলিম উদ্দিন, কুমিল্লা-৭ লুৎফর রেজা খোকন, কুমিল্লা-৮ বর্তমান এমপি নুরুল ইসলাম মিলন ও ফখরুল ইসলাম মিলন (ইসলামী মহাজোট) কুমিল্লা-৯ এটিএম আলমগীর ও অধ্যাপক গোলাম মোস্তফা, কুমিল্লা-১০ জোনাকী মুন্নি, কুমিল্লা-১১ এইচএনএম শফিকুর রহমান ও হেলাল উদ্দিন।

ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা
ব্রাহ্মণবাড়িয়া-১ রেজওয়ান আহমেদ ও অ্যাড. ইসলাম উদ্দীন (ইসলামী ফ্রন্ট), ব্রাহ্মণবাড়িয়া-২ বর্তমান এমপি জিয়াউল হক মৃধা ও আব্দুল হামিদ ভাষানী, ব্রাহ্মণবাড়িয়া-৩ এরশাদের যুব বিষয়ক উপদেষ্টা অ্যাড. রেজাউল ইসলাম ভূঁইয়া ও জামাল রানা, তবে রেজাউল ইসলাম ভূঁইয়ার মনোনয়ন প্রায় নিশ্চিত বলা চলে। ব্রাহ্মণবাড়িয়া-৪ তারেক আদেল, জহিরুল ইসলাম জহির, দেলোয়ার হোসেন ও মনিরুল ইসলাম আলম (ইসলামী মহাজোট) ব্রাহ্মণবাড়িয়া-৫ কাজী মামুনুর রশিদ ও মোবারক হোসেন দুলু, ব্রাহ্মণবাড়িয়া-৬ শহিদুল ইসলাম ও আমজাদ হোসেন।

চাঁদপুর জেলা
চাঁদপুর-১ এমদাদুল হক রুমন ও অধ্যাপক শহিদুল ইসলাম, চাঁদপুর-২ এমরান হোসেন মিয়া, চাঁদপুর-৩ অধ্যাপক দেলোয়ার হোসেন খান, ও আব্দুল লতিফ শেখ, চাঁদপুর-৪ মনিরুল ইসলাম মিলন, মাইনুল ইসলাম মানু, মোতাহার হোসেন ও ফজলুল হক ফজলু, চাঁদপুর-৫ খোরশেদ আলম খুশু ও মুক্তিযোদ্ধা হারুনুর রশিদ মুন্সি, কামরুজ্জামান কাজল।

নোয়াখালী জেলা
নোয়াখালী-১ ইসলামী জোটের প্রার্থী আবু নাছের ওয়াহেদ ফারুক , জাপার সালাউদ্দিন আহমেদ, অ্যাড. মাহবুবুর রহমান, নোয়াখালী-২ হাসান মুঞ্জুর, আবু তালেব ও তোতা মিয়া, নোয়াখালী-৩ ফজলে এলাহী সোহাগ, নজরুল ইসলাম, আশরাফ হোসেন (বিএনএ জোট) এসএম ফয়জুল্লাহ পাঠান (ইসলামী মহাজোট), নোয়াখালী-৪ বোরহান উদ্দিন আহমেদ মিঠু, শরিফুল ইসলাম, শাহ কামাল, ও অ্যাড. মাহবুব রশিদ বাবু (ইসলামী জোট), নোয়াখালী-৫ মোকারক হোসেন আজাদ, নোয়াখালী-৬ নবী উল্লাহ আসিফ ও অ্যাড. বায়েজিদ।

লক্ষীপুর জেলা
লক্ষীপুর-১ বেলাল হোসেন, লক্ষীপুর-২ বর্তমান এমপি মোহাম্মদ নোমান, মাওলানা আলতাফ মোল্লা (ইসলামী মহাজোট), লক্ষীপুর-৩ এমআর মাসুদ ও মোহাম্মদ উল্লাহ, লক্ষীপুর-৪ সিহাব উদ্দিন।

কক্সবাজার জেলা
কক্সবাজার-১ আসনে বর্তমান এমপি মৌলভী ইলিয়াছ, অ্যাড. সেলিম, আসমাউল হুসনা, জসিম উদ্দিন, কক্সবাজার-২ আলহাজ মোহাম্মদ মোহিবুল্লাহ ও মাওলানা মঞ্জুর আহমদ, কক্সবাজার-৩ অ্যাড. মো. তারেক ও মুফিজুর রহমান মুফিজ, কক্সবাজার-৪ মঞ্জুর মাস্টার ও অধ্যাপক একেএম নুরুল বশর সুজন।

বান্দরবান জেলা
জেলার একমাত্র আসন বান্দরবান-১ কৈ শৈ অং চাকমা ও শওকত জামান মিশুককে খসড়ায় রাখা হয়েছে।

রাঙ্গামাটি জেলা
রাঙ্গামাটি-১ এরফান আলী, প্রজেশ চাকমা, উত্তম কুমার বড়ুয়া, সুকৃতি জীবন খীশা চাকমা, এমএ কে পারভেজ তালুকদার ও কবিতা ত্রিপুরা

খাগড়াছড়ি জেলা
খাগড়াছড়ি-১ আসনে সোলায়মান আলম শেঠ, প্রকৌশলী বাবু কেশব লাল দে, অমিত্র লাল ত্রিপুরা ও ইঞ্জিনিয়ার খোরশেদ আলম।

   

উপজেলা নির্বাচন: ছুটির দিনেও খোলা থাকবে অফিস



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, ঢাকা
উপজেলা নির্বাচন: ছুটির দিনেও খোলা থাকবে অফিস

উপজেলা নির্বাচন: ছুটির দিনেও খোলা থাকবে অফিস

  • Font increase
  • Font Decrease

আসন্ন ষষ্ঠ উপজেলা পরিষদের প্রথম ধাপের ১৫২ নির্বাচন উপলক্ষ্যে সরকারি ও সাপ্তাহিক ছুটির দিনেও অফিস খোলা রেখে কাজ করার জন্য মাঠ কর্মকর্তাদের নির্দেশ দিয়েছে নির্বাচন কমিশন (ইসি)।

সংস্থাটির নির্বাচন ব্যবস্থাপনা শাখার উপসচিব মো. আতিয়ার রহমান এ সংক্রান্ত নির্দেশনা মাঠ পর্যায়ের জেলা নির্বাচন কর্মকর্তা ও সংশ্লিষ্ট রিটার্নিং কর্মকর্তাদেরে পাঠিয়েছেন।

নির্দেশনায় বলা হয়েছে, নির্বাচন উপলক্ষে সাপ্তাহিক ও সরকারি ছুটির দিনে অফিস খোলা রেখে নির্বাচনি কার্যক্রম পরিচালনার ব্যবস্থা করতে হবে।

আগামী ৮ মে প্রথম ধাপে ১৫২ উপজেলা পরিষদ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে। প্রথম ধাপের মনোনয়নপত্র দাখিলের শেষ তারিখ ১৫ এপ্রিল। মনোনয়নপত্র বাছাই ১৭ এপ্রিল। রিটার্নিং কর্মকর্তার সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে আপিল ১৮ থেকে ২০ এপ্রিল। আপিল নিষ্পত্তি ২১ এপ্রিল, প্রার্থিতা প্রত্যাহারের শেষ সময় ২২ এপ্রিল। প্রতীক বরাদ্দ ২৩ এপ্রিল, আর ভোটগ্রহণ হবে ৮ মে।

নির্বাচনে রিটার্নিং কর্মকর্তা হিসেবে জেলা নির্বাচন কর্মকর্তা ও সহকারী রিটার্নিং কর্মকর্তা হিসেবে উপজেলা নির্বাচন কর্মকর্তাদের নিয়োগ করা হয়েছে। রিটার্নিং কর্মকর্তার সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে দায়ের করা আপিল আবেদন নিষ্পত্তি করবেন আপিল কর্তৃপক্ষ হিসেবে জেলা প্রশাসক।

মোট চার ধাপে অনুষ্ঠেয় ষষ্ঠ উপজেলা পরিষদ নির্বাচনের পরবর্তীতে তিন ধাপের ভোটগ্রহণ ২৩ ও ২৯ মে এবং ৫ জুন অনুষ্ঠিত হবে। দেশে মোট উপজেলার সংখ্যা ৪৯৫টি।

;

উপজেলা নির্বাচন: প্রার্থীরা সমান ভোট পেলে লটারিতে বিজয়ী নির্ধারণ



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, চট্টগ্রাম
ছবি: বার্তা২৪.কম

ছবি: বার্তা২৪.কম

  • Font increase
  • Font Decrease

আসন্ন ষষ্ঠ উপজেলা পরিষদের প্রথম ধাপের ১৫২ নির্বাচনে একই পদে প্রার্থীরা সমান ভোট পেলে লটারি করে বিজয়ী নির্ধারণে রিটার্নিং কর্মকর্তাদের নির্দেশ দিয়েছে নির্বাচন কমিশন (ইসি)।

বুধবার (২৭ মার্চ) সংস্থাটির ইসির নির্বাচন ব্যবস্থাপনা শাখার উপ-সচিব মো. আতিয়ার রহমান এই নির্দেশনাটি মাঠ পর্যায়ে কর্মকর্তাদের পাঠিয়েছেন।

নির্দেশনায় বলা হয়েছে, চেয়ারম্যান, ভাইস চেয়ারম্যান, মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান ও মহিলা সদস্য নির্বাচনের ক্ষেত্রে, ভোট গণনার ফালাফল একত্রীকরণের পর যদি দেখা যায় যে, দুই বা ততোধিক প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থীর অনুকূলে সমান সংখ্যক ভোট দেওয়ার কারণে উপ-বিধি (২)’র অধীন কোনো প্রার্থীকে নির্বাচিত করা সম্ভব নয়, তাহলে রিটার্নিং অফিসার লটারির মাধ্যমে ফলাফল নির্ধারণ করবেন, লটারি যে প্রার্থীর অনুকূলে যাবে সেই প্রার্থী সবোর্চ্চ ভোট প্রাপ্ত হয়েছেন বলে গণ্য হবে এবং রিটার্নিং অফিসার তাকে নির্বাচিত ঘোষণা করবেন, রিটার্নিং অফিসার কর্তৃক সম্পাদিত লটারির সম্পূর্ণ কার্যক্রম লিপিবদ্ধ করে একটি কার্যবিবরণী প্রস্তুত করবেন এবং উক্ত কার্যবিবরণীতে উপস্থিত প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থী বা নির্বাচনী এজেন্টের স্বাক্ষর গ্রহণ করবেন।

এছাড়া ভোট গ্রহণের পূর্বে চেয়ারম্যান, ভাইস চেয়ারম্যান ও মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান পদে মনোনীত বৈধ কোনো প্রার্থীর মৃত্যু হলে সংশ্লিষ্ট উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান, ভাইস চেয়ারম্যান ও মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান পদের নির্বাচন কার্যক্রম রিটার্নিং অফিসারগণ বিজ্ঞপ্তির দ্বারা বাতিল করে দেবেন।

পরবর্তীতে কমিশন সংশ্লিষ্ট নির্বাচনী এলাকার সংশ্লিষ্ট পদে নতুন নির্বাচনের তফসিল ঘোষণা করবেন এবং কমিশনের উক্ত সিদ্ধান্ত অনুসারে রিটার্নিং অফিসার নির্বাচন অনুষ্ঠানের পরবর্তী কার্যক্রম গ্রহণ করবেন। তবে শর্ত থাকে যে, ইতোপূর্বে কোন প্রার্থীর মনোনয়নপত্র বৈধ বলে সাব্যস্ত হয়ে থাকলে এবং তিনি তার প্রার্থিতা প্রত্যাহার না করে থাকলে তাকে নতুন করে মনোনয়নপত্র দাখিল করতে হবে না। ভোট গ্রহণের পূর্বে মহিলা সদস্য পদে মনোনীত বৈধ কোন প্রার্থীর মৃত্যু হলে ভোটগ্রহণ অবশিষ্ট প্রার্থীগণের মধ্যে সীমাবদ্ধ থাকবে।

আগামী ৮ মে প্রথম ধাপে ১৫২ উপজেলা পরিষদ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে। প্রথম ধাপের মনোনয়নপত্র দাখিলের শেষ তারিখ ১৫ এপ্রিল। মনোনয়নপত্র বাছাই ১৭ এপ্রিল। রিটার্নিং কর্মকর্তার সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে আপিল ১৮ থেকে ২০ এপ্রিল। আপিল নিষ্পত্তি ২১ এপ্রিল, প্রার্থিতা প্রত্যাহারের শেষ সময় ২২ এপ্রিল। প্রতীক বরাদ্দ ২৩ এপ্রিল, আর ভোটগ্রহণ হবে ৮ মে।

নির্বাচনে রিটার্নিং কর্মকর্তা হিসেবে জেলা নির্বাচন কর্মকর্তা ও সহকারী রিটার্নিং কর্মকর্তা হিসেবে উপজেলা নির্বাচন কর্মকর্তাদের নিয়োগ করা হয়েছে। রিটার্নিং কর্মকর্তার সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে দায়ের করা আপিল আবেদন নিষ্পত্তি করবেন আপিল কর্তৃপক্ষ হিসেবে জেলা প্রশাসক।

মোট চার ধাপে অনুষ্ঠেয় ষষ্ঠ উপজেলা পরিষদ নির্বাচনের পরবর্তীতে তিন ধাপের ভোটগ্রহণ ২৩ ও ২৯ মে এবং ৫ জুন অনুষ্ঠিত হবে। দেশে মোট উপজেলার সংখ্যা ৪৯৫টি।

;

উপজেলা ভোটে প্রার্থী কে মনোনয়ন দেবে, দলগুলোকে জানাতে বলল ইসি



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম
উপজেলা ভোটে প্রার্থী কে মনোনয়ন দেবে, দলগুলোকে জানাতে বলল ইসি

উপজেলা ভোটে প্রার্থী কে মনোনয়ন দেবে, দলগুলোকে জানাতে বলল ইসি

  • Font increase
  • Font Decrease

 

আসন্ন ষষ্ঠ উপজেলা নির্বাচনের প্রথম ধাপের ১৫২ উপজেলা নির্বাচনে ভোটে দলগুলোর প্রার্থী কে মনোনয়ন দেবে, তার নাম ও স্বাক্ষর জানতে চেয়েছে নির্বাচন কমিশন (ইসি)।

রোববার (২৪ মার্চ) এই তথ্য জানিয়েছেন সাংবিধানিক সংস্থাটির জনসংযোগ পরিচালক মো. শরিফুল আলম।

ইসি জানায়, তফসিল ঘোষণার সাত দিনের মধ্য এই তথ্য জানাতে হবে। সেই অনুযায়ী আগামী ২৮ মার্চের মধ্য জানাতে হবে।

ইসি জানায়, আগামী ৮ মে বিভিন্ন উপজেলা পরিষদ সাধারণ নির্বাচনের ভোটগ্রহণ অনুষ্ঠিত হবে। উপজেলা পরিষদ নির্বাচন বিধিমালা, ২০১৩ এর বিধি ১৫ এর উপবিধি (৩)(গ)(ইইই) অনুযায়ী চেয়ারম্যান/ভাইস চেয়ারম্যান/মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান পদে অংশগ্রহণের জন্য নিবন্ধিত রাজনৈতিক দলের সভাপতি বা সাধারণ সম্পাদক বা সমপর্যায়ের পদাধিকারী বা তাহাদের নিকট হতে ক্ষমতাপ্রাপ্ত ব্যক্তির স্বাক্ষরসহ তালিকা সংশ্লিষ্ট রিটার্নিং অফিসারগণকে প্রেরণের জন্য এবং একই সাথে উক্ত পত্রের অনুলিপি নির্বাচন কমিশনে প্রেরণের জন্য বলা হয়েছে।

আগামী ৮ মে দেশের ১৫২টি উপজেলায় প্রথম ধাপের নির্বাচন হবে। তফসিল অনুযায়ী, মনোনয়নপত্র জমার শেষ সময় ১৫ এপ্রিল, বাছাই ১৭ এপ্রিল। রিটার্নিং কর্মকর্তার সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে আপিল ১৮ থেকে ২০ এপ্রিল। আপিল নিষ্পত্তি ২১ এপ্রিল, প্রার্থিতা প্রত্যাহারের শেষ সময় ২২ এপ্রিল। প্রতীক বরাদ্দ ২৩ এপ্রিল, আর ভোটগ্রহণ হবে ৮ মে।

নির্বাচনে রিটার্নিং কর্মকর্তা হিসেবে জেলা নির্বাচন কর্মকর্তা ও সহকারি রিটার্নিং কর্মকর্তা হিসেবে উপজেলা নির্বাচন কর্মকর্তাদের নিয়োগ করা হয়েছে। রিটার্নিং কর্মকর্তার সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে দায়ের করা আপিল আবেদন নিষ্পত্তি করবেন আপিল কর্তৃপক্ষ হিসেবে জেলা প্রশাসক।

মোট চার ধাপে অনুষ্ঠেয় ষষ্ঠ উপজেলা পরিষদ নির্বাচনের পরবর্তীতে তিন ধাপের ভোট ২৩ ও ২৯ মে এবং ৫ জুন অনুষ্ঠিত হবে। দেশে মোট উপজেলার সংখ্যা ৪৯৫টি।

;

‘স্মার্ট বাংলাদেশ নির্মাণে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখছে ইসি’



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, ঢাকা
ছবি: বার্তা২৪.কম

ছবি: বার্তা২৪.কম

  • Font increase
  • Font Decrease

বাংলাদেশ ‘স্মার্ট বাংলাদেশ’-এ রূপান্তরের কাজ দ্রুত গতিতে এগিয়ে চলেছে। নির্বাচন কমিশন (ইসি) স্মার্ট বাংলাদেশ বিনির্মাণে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখছে বলে জানিয়েছেন জ্যেষ্ঠ নির্বাচন কমিশনার ব্রিগেডিয়ার জেনারেল মো. আহসান হাবিব খান (অব.)।

রোববার (২৪ মার্চ) নির্বাচন কমিশন সচিবালয়ের আইডেন্টিফিকেশন সিস্টেম ফর এনহ্যান্সিং এক্সেস টু সার্ভিসেস-আইডিইএ (২য় পর্যায়) প্রকল্পের আয়োজিত কর্মশালায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব বলেন।

কর্মশালায় ইসি সচিব মো. জাহাংগীর আলম, অতিরিক্ত সচিব অশোক কুমার দেবনাথ, আইডিইএ প্রকল্প পরিচালক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল আবুল হাসনাত মোহাম্মদ সায়েম, নির্বাচন প্রশিক্ষণ ইনস্টিটিউটের মহাপরিচালক এসএম আসাদুজ্জামান, আইডিইএ প্রকল্পের অতিরিক্ত প্রকল্প পরিচালক মুহাম্মদ হাসানুজ্জামান এবং সিস্টেম ম্যানেজার, সিনিয়র জেলা/জেলা নির্বাচন কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।

ইসি আহসান হাবিব জানান, স্বাধীনতার মাস মার্চ। আমি গভীর শ্রদ্ধার সঙ্গে স্মরণ করছি, স্বাধীন বাংলাদেশের মহান স্থপতি, সর্বকালের সর্বশ্রেষ্ঠ বাঙালি, জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে, যার ৭ই মার্চের ঐতিহাসিক ভাষণে উদ্বুদ্ধ হয়েছিল দেশের স্বাধীনতাকামী জনগণ। আমি স্মরণ করছি অমর শহিদদের ও বীর মুক্তিযোদ্ধাদের, যাদের অসীম সাহস ও আত্মত্যাগের বিনিময়ে অর্জিত হয়েছে আমাদের স্বাধীনতা।

তিনি জানান, বাংলাদেশ ‘স্মার্ট বাংলাদেশ’-এ রূপান্তরে দ্রুত গতিতে এগিয়ে চলেছে। এরই অংশ হিসেবে, নির্বাচন কমিশন সচিবালয়ের এনআইডি অনুবিভাগ ও আইডিইএ প্রকল্প (২য় পর্যায়) মাধ্যমে দেশে-বিদেশে বাংলাদেশি নাগরিকদের জাতীয় পরিচয়পত্র সেবা, স্মার্ট জাতীয় পরিচয়পত্র, ভোটার তালিকা হালনাগাদ ও প্রস্তুতে কারিগরি সহায়তা করতে গুরুত্বপূর্ণ অবদান রাখছে। এই কর্মকাণ্ডের মাধ্যমে বাংলাদেশ নির্বাচন কমিশন ‘স্মার্ট বাংলাদেশ’ বিনির্মাণের অগ্রযাত্রায় গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রেখে চলেছে।

জ্যেষ্ঠ এ নির্বাচন কমিশনার বলেন, নাগরিকের তথ্য/উপাত্ত সংশোধন আবেদন সিএমএস-এ স্বয়ংক্রিয়ভাবে ‘আবেদনের ধরণ/ক্যাটাগরি’ দিতে হবে। যাতে সম্মানিত নাগরিকগণকে দ্রুত সেবা নিশ্চিত করা যায়। উপজেলা পর্যায়ে নাগরিকদের বায়োমেট্রিক যাচাই করা করার সুবিধা চালু করা, বর্তমানে একজন নাগরিককে জেলা পর্যায়ে আসতে হয়। এ সেবাটি সহজ করে, উপজেলা থেকে দেয়া সম্ভব হলে বিপুল সংখ্যক নাগরিকের ভোগান্তি লাঘব হবে। আমি আশা করি দু’দিনব্যাপী আয়োজিত এ কর্মশালায় বিস্তারিতভাবে আলোচিত হবে এবং সংশ্লিষ্ট সমস্যাসমূহ ও এর উত্তরণের উপায় বেরিয়ে আসবে।

;