‘হামরা ঢাকাত পড়ি থাকা এমপি চাই না’



ফরহাদুজ্জামান ফারুক, স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম
একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন। ছবি: বার্তা২৪.কম

একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন। ছবি: বার্তা২৪.কম

  • Font increase
  • Font Decrease

সারাদেশের মতো ভোট উৎসবের জ্বরে কাঁপছে রংপুর। নির্বাচনে তফসিল ঘোষণার পর থেকে সবচেয়ে হেভিওয়েট প্রার্থীদের এই জেলায় এবার অংকে ভুল করতে চাইছে না ভোটাররা। ঢাকায় পড়ে থাকা এমপিদের কাছ থেকে প্রত্যাশিত সেবা বঞ্চিত ভোটারদের একটি বড় অংশই চান পরিবর্তন। রংপুর জেলার ৬টি সংসদীয় আসনের সাধারণ ভোটারদের কথায় উঠে এসেছে এমন আভাস।

বিগত এক দশকে রংপুর অঞ্চলে ব্যাপক উন্নয়ন হয়েছে। শুধু হয়নি ভোটারদের সঙ্গে নির্বাচিত এমপিদের নিয়মিত সাক্ষাৎ। এতে হতাশ সাধারণ ভোটাররা। দু’একজন এমপি ছাড়া বাকি সবাই সারা বছরই ঢাকায় অবস্থান করায় বিপদের সময় ভোটাররা ছিলেন তাদের সংস্পর্শ থেকে বঞ্চিত। এমনকি এমপির প্রতিনিধিদের সঙ্গে সাক্ষাৎ করাটাও কষ্টকর।

রংপুর-১ (গঙ্গাচড়া ও অংশিক সিটি) আসনের এমপি মসিউর রহমান রাঙ্গা। দশম জাতীয় সংসদ নির্বাচনে তিনি জাতীয় পার্টি থেকে বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় নির্বাচিত হয়েছিলেন। বর্তমানে প্রতিমন্ত্রীর দায়িত্বে রয়েছেন। তার হাত ধরে গঙ্গাচড়াতে অবকাঠামোগত উন্নয়নসহ রাস্তা, কালভার্ট, সেতু, ব্রিজ, স্কুল-কলেজ, মাদরাসা-মন্দিরের অনেক উন্নয়ন হয়েছে। তবে তার স্থানীয় প্রতিনিধি হাজী শামছুল আলমের বিরুদ্ধে ভোটারদের রয়েছে বিভিন্ন অভিযোগ।

এই আসনের মহিপুরের চরইচলি গ্রামের ভোটার মাহাবুবার রহমান বলেন, ‘হামার ভোটোত এমপি মন্ত্রী হয়্যা নেতারা ঢাকাত পড়ি থাকে। হামার খোঁজ খবর নেওয়ার সময় হয় না ওমার। যদি মাঝে মধ্যে এমপি সাইব আইসে, তখন ফির ওমার দলের লোকের যন্ত্রণাতে সাক্ষাৎ পাওয়া মুশকিল।’

লক্ষাটারী ইউনিয়নের ভোটার সবুর মিয়া বলেন, ‘এমপিক যদি বিপদের সময় কাছোতে না পাওয়া যায়, তাইলে ভোট দিয়্যা লাভ কী? এটে যাক এমপি সাইব দায়িত্ব দিচে, তায় তো নিজেক মন্ত্রী ভাবে। হামরা ঢাকাত পড়ি থাকা এমপি চাই না’।

রংপুর-২ (বদরগঞ্জ-তারাগঞ্জ) আসনে বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় নির্বাচিত হয়েছিলেন আওয়ামী লীগের আবুল কালাম মো. আহসানুল হক চৌধুরী ডিউক। তিনি ঢাকার চেয়ে তার জন্মস্থান বদরগঞ্জেই বেশি সময় কাটান। তবে তারাগঞ্জের ভোটারদের সঙ্গে তার রয়েছে অনেক দূরত্ব। এখানকার ভোটাররা তার সঙ্গে সহজে দেখা করতে পারেন না বলে অভিযোগ রয়েছে।

তারাগঞ্জের চামড়াহাট এলাকার ভোটার শরীফ হোসেন বলেন, ‘আমাদের প্রত্যাশা পূরণে কেউ এগিয়ে আসেন না। শুধু ভোটের সময় তারা আসেন। বাকি সময়টা তাদের কাছে আমাদেরকেই যেতে হয়। যে এমপি ভোটারদের সঙ্গে দূরত্ব কমাতে পারে না তাকে আমরা চাই না।’

রংপুর-৩ (সদর ও সিটি অংশিক) আসনটি বরাবরই হেভিওয়েট। রংপুরের ছাওয়ালখ্যাত জাতীয় পার্টির চেয়ারম্যান সাবেক রাষ্ট্রপতি হুসেইন মুহম্মদ এরশাদ বরাবরই এই আসন থেকে এমপি হয়েছেন। তিনি পার্টির প্রধান হিসেবে সারা বছরই ঢাকায় থাকেন। বিশেষ কোনো অনুষ্ঠান বা দুই ঈদের যে কোনো একটি ছাড়া তার দেখা পাওয়া যায় না।

রংপুর সদরের চন্দনপাট এলাকার ভোটার আমিনুল ও বশির মিয়া বলেন, ‘এরশাদ সাইব ব্যস্ত মানুষ। তাক কাছোত পাওয়া যায় না। যদি রংপুর আইসে কিন্তু তার সঙ্গে দেখা করি ভালো মন্দ কথার সুজুগ মেলে না। এমপিক যদি কাছোতে না পাই, তাক দিয়্যা হামার কী হইবে?’

রংপুর-৪ (পীরগাছা ও কাউনিয়া) আসনের এমপি টিপু মুন্সি। আওয়ামী লীগের এই এমপি ব্যস্ততার মাঝেও এলাকায় আসেন। তাকে ঘিরে দলীয় নেতা-কর্মীদের মধ্যে নেই বিভেদ। তবে ক্ষোভ রয়েছে কাউনিয়ার ভোটারদের মধ্যে।

কাউনিয়ার হারাগাছ পৌর এলাকার ভোটার আইনুল, মামুন মিয়া, রাসেল হোসেন বলেন, ‘এমপি টিপু মুন্সি পীরগাছাতে বেশি সময় দেন। কাউনিয়াতে খুবই কম আসেন তিনি। অথচ তিনি আমাদের অভিভাবক। আমরা চাই তিনি সবাইকে সমানভাবে দেখবেন এবং সমান উন্নয়ন করবেন।’

রংপুর-৫ (মিঠাপুকুর) আসনে বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় এমপি হয়েছিলেন আওয়ামী লীগের প্রবীণ নেতা আশিকুর রহমান। তার ব্যাপারে শঠিবাড়ির ওয়াহেদ, সেরুডাঙ্গার বক্কর, কাফ্রিখালের হাসান আলী জানান, আশিকুর এমপি সাধারণ ভোটারদের মনের মধ্যে জায়গা করে নিতে পারেননি। তিনি বেশির ভাগ সময়ই ঢাকায় এবং দেশের বাইরে থাকেন।

অন্যদিকে এই জেলার আরেকটি হেভিওয়েট আসন রংপুর-৬ (পীরগঞ্জ)। এই আসনের এমপি হলেন জাতীয় সংসদের স্পিকার ড. শিরীন শারমিন চৌধুরী। রংপুরের পুত্রবধূ আওয়ামী লীগ সভানেত্রী শেখ হাসিনা আসনটি ছেড়ে দিলে উপ-নির্বাচনে এমপি হন তিনি। তবে সংসদের গুরু দায়িত্ব পালনের সঙ্গে জনগণের প্রতিনিধিত্ব নিয়ে ব্যস্ত থাকায় পীরগঞ্জে তেমন একটা আসা হয় না তার। তবে উন্নয়নে পিছিয়ে রাখেননি এলাকার জনগণকে। শত ব্যস্ততার মাঝেও পীরগঞ্জের মানুষকে ঢাকায় প্রতি সোমবারই সময় দিতেন তিনি।

এখানকার চতড়া ইউনিয়নের চকভেকা গ্রামের ভোটার নুরুল ইসলাম বলেন, ‘এমপি সাইব তো ব্যস্ত মানুষ। অনেক বড় বড় দায়িত্ব পাইছে। তায়তো হামাক বেশি সময় দেবার পায় না। এই জনতে মাঝে মধ্যে খুব জরুরি কামোত ঢাকাত য্যায়া তার সঙ্গে দেখা করি।’

   

উপজেলা নির্বাচন: ছুটির দিনেও খোলা থাকবে অফিস



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, ঢাকা
উপজেলা নির্বাচন: ছুটির দিনেও খোলা থাকবে অফিস

উপজেলা নির্বাচন: ছুটির দিনেও খোলা থাকবে অফিস

  • Font increase
  • Font Decrease

আসন্ন ষষ্ঠ উপজেলা পরিষদের প্রথম ধাপের ১৫২ নির্বাচন উপলক্ষ্যে সরকারি ও সাপ্তাহিক ছুটির দিনেও অফিস খোলা রেখে কাজ করার জন্য মাঠ কর্মকর্তাদের নির্দেশ দিয়েছে নির্বাচন কমিশন (ইসি)।

সংস্থাটির নির্বাচন ব্যবস্থাপনা শাখার উপসচিব মো. আতিয়ার রহমান এ সংক্রান্ত নির্দেশনা মাঠ পর্যায়ের জেলা নির্বাচন কর্মকর্তা ও সংশ্লিষ্ট রিটার্নিং কর্মকর্তাদেরে পাঠিয়েছেন।

নির্দেশনায় বলা হয়েছে, নির্বাচন উপলক্ষে সাপ্তাহিক ও সরকারি ছুটির দিনে অফিস খোলা রেখে নির্বাচনি কার্যক্রম পরিচালনার ব্যবস্থা করতে হবে।

আগামী ৮ মে প্রথম ধাপে ১৫২ উপজেলা পরিষদ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে। প্রথম ধাপের মনোনয়নপত্র দাখিলের শেষ তারিখ ১৫ এপ্রিল। মনোনয়নপত্র বাছাই ১৭ এপ্রিল। রিটার্নিং কর্মকর্তার সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে আপিল ১৮ থেকে ২০ এপ্রিল। আপিল নিষ্পত্তি ২১ এপ্রিল, প্রার্থিতা প্রত্যাহারের শেষ সময় ২২ এপ্রিল। প্রতীক বরাদ্দ ২৩ এপ্রিল, আর ভোটগ্রহণ হবে ৮ মে।

নির্বাচনে রিটার্নিং কর্মকর্তা হিসেবে জেলা নির্বাচন কর্মকর্তা ও সহকারী রিটার্নিং কর্মকর্তা হিসেবে উপজেলা নির্বাচন কর্মকর্তাদের নিয়োগ করা হয়েছে। রিটার্নিং কর্মকর্তার সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে দায়ের করা আপিল আবেদন নিষ্পত্তি করবেন আপিল কর্তৃপক্ষ হিসেবে জেলা প্রশাসক।

মোট চার ধাপে অনুষ্ঠেয় ষষ্ঠ উপজেলা পরিষদ নির্বাচনের পরবর্তীতে তিন ধাপের ভোটগ্রহণ ২৩ ও ২৯ মে এবং ৫ জুন অনুষ্ঠিত হবে। দেশে মোট উপজেলার সংখ্যা ৪৯৫টি।

;

উপজেলা নির্বাচন: প্রার্থীরা সমান ভোট পেলে লটারিতে বিজয়ী নির্ধারণ



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, চট্টগ্রাম
ছবি: বার্তা২৪.কম

ছবি: বার্তা২৪.কম

  • Font increase
  • Font Decrease

আসন্ন ষষ্ঠ উপজেলা পরিষদের প্রথম ধাপের ১৫২ নির্বাচনে একই পদে প্রার্থীরা সমান ভোট পেলে লটারি করে বিজয়ী নির্ধারণে রিটার্নিং কর্মকর্তাদের নির্দেশ দিয়েছে নির্বাচন কমিশন (ইসি)।

বুধবার (২৭ মার্চ) সংস্থাটির ইসির নির্বাচন ব্যবস্থাপনা শাখার উপ-সচিব মো. আতিয়ার রহমান এই নির্দেশনাটি মাঠ পর্যায়ে কর্মকর্তাদের পাঠিয়েছেন।

নির্দেশনায় বলা হয়েছে, চেয়ারম্যান, ভাইস চেয়ারম্যান, মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান ও মহিলা সদস্য নির্বাচনের ক্ষেত্রে, ভোট গণনার ফালাফল একত্রীকরণের পর যদি দেখা যায় যে, দুই বা ততোধিক প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থীর অনুকূলে সমান সংখ্যক ভোট দেওয়ার কারণে উপ-বিধি (২)’র অধীন কোনো প্রার্থীকে নির্বাচিত করা সম্ভব নয়, তাহলে রিটার্নিং অফিসার লটারির মাধ্যমে ফলাফল নির্ধারণ করবেন, লটারি যে প্রার্থীর অনুকূলে যাবে সেই প্রার্থী সবোর্চ্চ ভোট প্রাপ্ত হয়েছেন বলে গণ্য হবে এবং রিটার্নিং অফিসার তাকে নির্বাচিত ঘোষণা করবেন, রিটার্নিং অফিসার কর্তৃক সম্পাদিত লটারির সম্পূর্ণ কার্যক্রম লিপিবদ্ধ করে একটি কার্যবিবরণী প্রস্তুত করবেন এবং উক্ত কার্যবিবরণীতে উপস্থিত প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থী বা নির্বাচনী এজেন্টের স্বাক্ষর গ্রহণ করবেন।

এছাড়া ভোট গ্রহণের পূর্বে চেয়ারম্যান, ভাইস চেয়ারম্যান ও মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান পদে মনোনীত বৈধ কোনো প্রার্থীর মৃত্যু হলে সংশ্লিষ্ট উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান, ভাইস চেয়ারম্যান ও মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান পদের নির্বাচন কার্যক্রম রিটার্নিং অফিসারগণ বিজ্ঞপ্তির দ্বারা বাতিল করে দেবেন।

পরবর্তীতে কমিশন সংশ্লিষ্ট নির্বাচনী এলাকার সংশ্লিষ্ট পদে নতুন নির্বাচনের তফসিল ঘোষণা করবেন এবং কমিশনের উক্ত সিদ্ধান্ত অনুসারে রিটার্নিং অফিসার নির্বাচন অনুষ্ঠানের পরবর্তী কার্যক্রম গ্রহণ করবেন। তবে শর্ত থাকে যে, ইতোপূর্বে কোন প্রার্থীর মনোনয়নপত্র বৈধ বলে সাব্যস্ত হয়ে থাকলে এবং তিনি তার প্রার্থিতা প্রত্যাহার না করে থাকলে তাকে নতুন করে মনোনয়নপত্র দাখিল করতে হবে না। ভোট গ্রহণের পূর্বে মহিলা সদস্য পদে মনোনীত বৈধ কোন প্রার্থীর মৃত্যু হলে ভোটগ্রহণ অবশিষ্ট প্রার্থীগণের মধ্যে সীমাবদ্ধ থাকবে।

আগামী ৮ মে প্রথম ধাপে ১৫২ উপজেলা পরিষদ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে। প্রথম ধাপের মনোনয়নপত্র দাখিলের শেষ তারিখ ১৫ এপ্রিল। মনোনয়নপত্র বাছাই ১৭ এপ্রিল। রিটার্নিং কর্মকর্তার সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে আপিল ১৮ থেকে ২০ এপ্রিল। আপিল নিষ্পত্তি ২১ এপ্রিল, প্রার্থিতা প্রত্যাহারের শেষ সময় ২২ এপ্রিল। প্রতীক বরাদ্দ ২৩ এপ্রিল, আর ভোটগ্রহণ হবে ৮ মে।

নির্বাচনে রিটার্নিং কর্মকর্তা হিসেবে জেলা নির্বাচন কর্মকর্তা ও সহকারী রিটার্নিং কর্মকর্তা হিসেবে উপজেলা নির্বাচন কর্মকর্তাদের নিয়োগ করা হয়েছে। রিটার্নিং কর্মকর্তার সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে দায়ের করা আপিল আবেদন নিষ্পত্তি করবেন আপিল কর্তৃপক্ষ হিসেবে জেলা প্রশাসক।

মোট চার ধাপে অনুষ্ঠেয় ষষ্ঠ উপজেলা পরিষদ নির্বাচনের পরবর্তীতে তিন ধাপের ভোটগ্রহণ ২৩ ও ২৯ মে এবং ৫ জুন অনুষ্ঠিত হবে। দেশে মোট উপজেলার সংখ্যা ৪৯৫টি।

;

উপজেলা ভোটে প্রার্থী কে মনোনয়ন দেবে, দলগুলোকে জানাতে বলল ইসি



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম
উপজেলা ভোটে প্রার্থী কে মনোনয়ন দেবে, দলগুলোকে জানাতে বলল ইসি

উপজেলা ভোটে প্রার্থী কে মনোনয়ন দেবে, দলগুলোকে জানাতে বলল ইসি

  • Font increase
  • Font Decrease

 

আসন্ন ষষ্ঠ উপজেলা নির্বাচনের প্রথম ধাপের ১৫২ উপজেলা নির্বাচনে ভোটে দলগুলোর প্রার্থী কে মনোনয়ন দেবে, তার নাম ও স্বাক্ষর জানতে চেয়েছে নির্বাচন কমিশন (ইসি)।

রোববার (২৪ মার্চ) এই তথ্য জানিয়েছেন সাংবিধানিক সংস্থাটির জনসংযোগ পরিচালক মো. শরিফুল আলম।

ইসি জানায়, তফসিল ঘোষণার সাত দিনের মধ্য এই তথ্য জানাতে হবে। সেই অনুযায়ী আগামী ২৮ মার্চের মধ্য জানাতে হবে।

ইসি জানায়, আগামী ৮ মে বিভিন্ন উপজেলা পরিষদ সাধারণ নির্বাচনের ভোটগ্রহণ অনুষ্ঠিত হবে। উপজেলা পরিষদ নির্বাচন বিধিমালা, ২০১৩ এর বিধি ১৫ এর উপবিধি (৩)(গ)(ইইই) অনুযায়ী চেয়ারম্যান/ভাইস চেয়ারম্যান/মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান পদে অংশগ্রহণের জন্য নিবন্ধিত রাজনৈতিক দলের সভাপতি বা সাধারণ সম্পাদক বা সমপর্যায়ের পদাধিকারী বা তাহাদের নিকট হতে ক্ষমতাপ্রাপ্ত ব্যক্তির স্বাক্ষরসহ তালিকা সংশ্লিষ্ট রিটার্নিং অফিসারগণকে প্রেরণের জন্য এবং একই সাথে উক্ত পত্রের অনুলিপি নির্বাচন কমিশনে প্রেরণের জন্য বলা হয়েছে।

আগামী ৮ মে দেশের ১৫২টি উপজেলায় প্রথম ধাপের নির্বাচন হবে। তফসিল অনুযায়ী, মনোনয়নপত্র জমার শেষ সময় ১৫ এপ্রিল, বাছাই ১৭ এপ্রিল। রিটার্নিং কর্মকর্তার সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে আপিল ১৮ থেকে ২০ এপ্রিল। আপিল নিষ্পত্তি ২১ এপ্রিল, প্রার্থিতা প্রত্যাহারের শেষ সময় ২২ এপ্রিল। প্রতীক বরাদ্দ ২৩ এপ্রিল, আর ভোটগ্রহণ হবে ৮ মে।

নির্বাচনে রিটার্নিং কর্মকর্তা হিসেবে জেলা নির্বাচন কর্মকর্তা ও সহকারি রিটার্নিং কর্মকর্তা হিসেবে উপজেলা নির্বাচন কর্মকর্তাদের নিয়োগ করা হয়েছে। রিটার্নিং কর্মকর্তার সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে দায়ের করা আপিল আবেদন নিষ্পত্তি করবেন আপিল কর্তৃপক্ষ হিসেবে জেলা প্রশাসক।

মোট চার ধাপে অনুষ্ঠেয় ষষ্ঠ উপজেলা পরিষদ নির্বাচনের পরবর্তীতে তিন ধাপের ভোট ২৩ ও ২৯ মে এবং ৫ জুন অনুষ্ঠিত হবে। দেশে মোট উপজেলার সংখ্যা ৪৯৫টি।

;

‘স্মার্ট বাংলাদেশ নির্মাণে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখছে ইসি’



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, ঢাকা
ছবি: বার্তা২৪.কম

ছবি: বার্তা২৪.কম

  • Font increase
  • Font Decrease

বাংলাদেশ ‘স্মার্ট বাংলাদেশ’-এ রূপান্তরের কাজ দ্রুত গতিতে এগিয়ে চলেছে। নির্বাচন কমিশন (ইসি) স্মার্ট বাংলাদেশ বিনির্মাণে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখছে বলে জানিয়েছেন জ্যেষ্ঠ নির্বাচন কমিশনার ব্রিগেডিয়ার জেনারেল মো. আহসান হাবিব খান (অব.)।

রোববার (২৪ মার্চ) নির্বাচন কমিশন সচিবালয়ের আইডেন্টিফিকেশন সিস্টেম ফর এনহ্যান্সিং এক্সেস টু সার্ভিসেস-আইডিইএ (২য় পর্যায়) প্রকল্পের আয়োজিত কর্মশালায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব বলেন।

কর্মশালায় ইসি সচিব মো. জাহাংগীর আলম, অতিরিক্ত সচিব অশোক কুমার দেবনাথ, আইডিইএ প্রকল্প পরিচালক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল আবুল হাসনাত মোহাম্মদ সায়েম, নির্বাচন প্রশিক্ষণ ইনস্টিটিউটের মহাপরিচালক এসএম আসাদুজ্জামান, আইডিইএ প্রকল্পের অতিরিক্ত প্রকল্প পরিচালক মুহাম্মদ হাসানুজ্জামান এবং সিস্টেম ম্যানেজার, সিনিয়র জেলা/জেলা নির্বাচন কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।

ইসি আহসান হাবিব জানান, স্বাধীনতার মাস মার্চ। আমি গভীর শ্রদ্ধার সঙ্গে স্মরণ করছি, স্বাধীন বাংলাদেশের মহান স্থপতি, সর্বকালের সর্বশ্রেষ্ঠ বাঙালি, জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে, যার ৭ই মার্চের ঐতিহাসিক ভাষণে উদ্বুদ্ধ হয়েছিল দেশের স্বাধীনতাকামী জনগণ। আমি স্মরণ করছি অমর শহিদদের ও বীর মুক্তিযোদ্ধাদের, যাদের অসীম সাহস ও আত্মত্যাগের বিনিময়ে অর্জিত হয়েছে আমাদের স্বাধীনতা।

তিনি জানান, বাংলাদেশ ‘স্মার্ট বাংলাদেশ’-এ রূপান্তরে দ্রুত গতিতে এগিয়ে চলেছে। এরই অংশ হিসেবে, নির্বাচন কমিশন সচিবালয়ের এনআইডি অনুবিভাগ ও আইডিইএ প্রকল্প (২য় পর্যায়) মাধ্যমে দেশে-বিদেশে বাংলাদেশি নাগরিকদের জাতীয় পরিচয়পত্র সেবা, স্মার্ট জাতীয় পরিচয়পত্র, ভোটার তালিকা হালনাগাদ ও প্রস্তুতে কারিগরি সহায়তা করতে গুরুত্বপূর্ণ অবদান রাখছে। এই কর্মকাণ্ডের মাধ্যমে বাংলাদেশ নির্বাচন কমিশন ‘স্মার্ট বাংলাদেশ’ বিনির্মাণের অগ্রযাত্রায় গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রেখে চলেছে।

জ্যেষ্ঠ এ নির্বাচন কমিশনার বলেন, নাগরিকের তথ্য/উপাত্ত সংশোধন আবেদন সিএমএস-এ স্বয়ংক্রিয়ভাবে ‘আবেদনের ধরণ/ক্যাটাগরি’ দিতে হবে। যাতে সম্মানিত নাগরিকগণকে দ্রুত সেবা নিশ্চিত করা যায়। উপজেলা পর্যায়ে নাগরিকদের বায়োমেট্রিক যাচাই করা করার সুবিধা চালু করা, বর্তমানে একজন নাগরিককে জেলা পর্যায়ে আসতে হয়। এ সেবাটি সহজ করে, উপজেলা থেকে দেয়া সম্ভব হলে বিপুল সংখ্যক নাগরিকের ভোগান্তি লাঘব হবে। আমি আশা করি দু’দিনব্যাপী আয়োজিত এ কর্মশালায় বিস্তারিতভাবে আলোচিত হবে এবং সংশ্লিষ্ট সমস্যাসমূহ ও এর উত্তরণের উপায় বেরিয়ে আসবে।

;