নির্বাচন বয়কট করবো না: কামাল হোসেন
একাদশ সংসদ নির্বাচন বয়কট করবেন না বলে জানিয়েছেন জাতীয় ঐক্যফ্রন্টের আহ্বায়ক ড. কামাল হোসেন।
তিনি বলেন, একবার নির্বাচন বয়কট করে তার খেসারত দিতে হয়েছে, সুতরাং আমরা বয়কট-টয়কট আমরা করবো না।
শনিবার (১৭ নভেম্বর) বিকেলে রাজধানীর সুপ্রিমকোর্ট বার প্রাঙ্গণে জাতীয় আইনজীবী ঐক্যফন্ট আয়োজিত আইনজীবী মহাসমাবেশ তিনি এসব কথা বলেন।
কামাল হোসেন বলেন, `তারা ১০ নম্বরি করলেও আমরা ভোট করবো। হাজার হাজার মানুষ ভোট দিতে যাবে। দেশের সকল ভোটারকে আগামী নির্বাচনকে ঘিরে ভোটকেন্দ্র পাহারা দিতে হবে। ভোটকেন্দ্র পাহারা দিয়ে আমরা ভোট করবো।'
তরুণ ভোটারদের উদ্দেশ্য করে তিনি বলেন, `এবার নির্বাচনে দুই কোটি তরুণ ভোটার। এরাই দেশের মালিক। নির্বাচনকে ঘিরে গুণ্ডামী থাকবে, তবুও আমাদের এগিয়ে যেতে হবে। সন্ত্রাস-গুন্ডামি করে ভোট করলে তা প্রতিরোধ করা হবে। সকলে মিলে দাঁড়ালে সন্ত্রাসীরা পালাতে বাধ্য হবে।’
আইনজীবীদের উদ্দেশ্যে তিনি বলেন, ‘বারের ঐক্য যে কোনো সরকারকে কাঁপিয়ে দিতে পারে। কোনো দলের পরিচয় দিচ্ছি না। আপনারা যে দলেই থাকেন না কেন, দল করবেন আদালতের গেটের বাইরে গিয়ে। বারে সকলে ঐক্যবদ্ধ থাকবেন।’
কামাল হোসেন বলেন, ‘সরকার খালি খালি সংবিধানের কথা বলে। এতে আমার হাসি পায়। সরকারের থাকাটাই তো অসাংবিধানিক। কাকে তোমরা সংবিধান দেখাচ্ছো? আমার তো মনে হয় না সংবিধান কখনো পড়ে দেখেছো। ভোট না করে কেউ এমপি হয়? তোমাদেরকে নিয়ে তো ট্রেনিং এর ব্যবস্থা করা দরকার। লজ্জাবোধ হারিয়ে মানুষ আছো নাকি অন্য কিছু হয়ে গেছো? কী চাকরি নিয়েছো? মানুষের সঙ্গে ভাঁওতাবাজির?’
টাকা দিয়ে যারা ভোট করে তাদের উদ্দেশ্যে তিনি বলেন, ‘কীসের লোভে এটা করছেন? সন্ত্রাস-গুন্ডামি করে ভোট করলে তা প্রতিরোধ করা হবে। সকলে মিলে দাঁড়ালে সন্ত্রাসীরা পালাতে বাধ্য হবে।’
তিনি আরও বলেন, ‘সরকারের কথা এতো হালকা হয়ে গেছে, ২০১৪ সালে কোর্টে দাঁড়িয়ে বলেছিলেন, এটা নিয়ম রক্ষার নির্বাচন। দ্রুত, অল্প সময়ে আরেকটি নির্বাচন দেওয়া হবে। অল্প সময় মানে কি পাঁচ বছর? সংবিধানের মূল মন্ত্র হচ্ছে গণতন্ত্র। নিজেকে প্রশ্ন করি। উত্তর খুঁজে পাই না। ভাঁওতাবাজি করে পাঁচটি বছর কাটিয়ে দিল? ভাঁওতাবাজির জন্য তাদের মেডেল দেওয়া যেতে পারে।’
সুপ্রিম কোর্ট বার এসোসিয়েশনের সভাপতি ও জাতীয় আইনজীবী ঐক্যফন্টের আহ্বায়ক জয়নুল আবেদীনের সভাপতিত্বে এবং জাতীয় ঐক্যফ্রন্টের সদস্য সচিব ব্যারিস্টার এ এম মাহবুব উদ্দিন খোকনের সঞ্চালনায় সমাবেশে উপস্থিত ছিলেন বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর, বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ব্যারিস্টার মওদুদ আহমদ, ব্যারিস্টার জমির উদ্দিন সরকার, ভাইস চেয়ারম্যান খন্দকার মাহবুব হোসেন, গণফোরামের নির্বাহী সভাপতি সুব্রত চৌধুরী, এনপিপির চেয়ারম্যান ফরিদুজ্জামান ফরহাদ প্রমুখ।