ইশতেহারে পরিবশে রক্ষার শর্ত অন্তর্ভুক্তির দাবি
দুয়ারে কড়া নাড়ছে একাদশ সংসদ নির্বাচন। চলছে প্রার্থীদের মনোনয়নপত্র সংগ্রহের কাজ। মনোনয়ন যাচাই-বাছাই শেষে চূড়ান্ত প্রার্থীরা জনগণের চাহিদা ও আকাক্সক্ষার দিক লক্ষ্য রেখে প্রণয়ন করবেন ইশতেহার।
ইশতেহারে পরিবশে ও প্রতিবেশ রক্ষায় সুনির্দিষ্ট শর্ত অন্তর্ভুক্তির দাবি জানিয়েছেন পরিবেশবাদীরা। শনিবার (১৭ নভেম্বর) দুপুরে চট্টগ্রাম প্রেসক্লাবে সংবাদ সম্মেলনে এ দাবি জানানো হয়। গ্রিন অ্যালায়েন্স বাংলাদেশ এর আয়োজন করে।
বাংলাদেশ প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (বুয়েট) সাবেক উপাচার্য অধ্যাপক মো. জাহাঙ্গীর আলম বলেন, ‘সামনের পাঁচ থেকে দশ বছরের মধ্যে রাষ্ট্রের প্রতিটি ক্ষেত্রে আধুনিকায়নের বিপ্লব ঘটবে। একই সাথে সময়টি চ্যালেঞ্জের। গ্রাম, ইউনিয়ন, উপজেলা, জেলায় যদি ইন্ডাস্ট্রিয়াল পার্ক করতে পারি শহরমুখি প্রবণতা কমে আসবে।‘
‘স্কুল, কলেজ, মাদরাসার শিক্ষার্থীদের প্রযুক্তি ও পরিবেশ নিয়ে সচেতন করে তোলতে হবে। কেবল উন্নয়ন আর প্রবৃদ্ধি নিয়ে পরিবেশকে আড়াল করলে বাংলাদেশ দাঁড়াতে পারবে না।’
সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্যে সাংবাদিক আলীউর রহমান রুশাই বলেন, ‘জলবায়ু পরিবর্তনের কারণে পৃথিবীর সবচেয়ে ক্ষতিগ্রস্থ দেশ বাংলাদেশ। বৈশ্বিক উষ্ণায়ন অব্যাহত থাকলে ২০৫০ সালের মধ্যে দেশের দুই কোটি উপকূলীয় জনগণ বাস্তুভিটা হারিয়ে উদ্বাস্তু হবে।’
এ সময় পরিবেশ সুরক্ষায় ১৪টি সুপারিশ তুলে ধরা হয়। এর মধ্যে উল্লেখযোগ্য হলো- ফসলি জমিতে উন্নয়ন প্রকল্প বন্ধ, নদী, খালের স্বাভাবিক গতি বাধা সৃষ্টি করে এমন প্রকল্প না নেওয়া, পরিবেশ রক্ষায় সুনির্দিষ্ট বাজটে প্রণয়ন ও বাস্তবায়ন, নদী ও উপকূলীয় মন্ত্রণালয় সুষ্টি করা।
সংবাদ সম্মেলনে অন্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন নদী বিশেষজ্ঞ অধ্যাপক ইদ্রিস আলী, চট্টগ্রাম সাংবাদিক ইউনিয়েনের সহসভাপতি কাজী মনসুর, সরোয়ার আমিন বাবু, আবছার মাহফুজ প্রমুখ।