ঠাকুরগাঁও ২: প্রতিদ্বন্দ্বিতায় আ.লীগ, সুযোগে রয়েছে বিএনপি



ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম
ঠাকুরগাঁও ২ আসন। ছবি: সংগৃহীত

ঠাকুরগাঁও ২ আসন। ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

বালিয়াডাঙ্গী-হরিপুর ও রানীশংকৈল উপজেলার কিছু অংশ নিয়ে গঠিত ঠাকুরগাঁও-২ আসন। এ আসনে ২ লাখ ৭৩ হাজার ৪৩৬ জন ভোটার রয়েছে। যার মধ্যে পুরুষ ভোটার রয়েছে সংখ্যা ১ লাখ ৩৯ হাজার ২৩ এবং নারী ভোটার সংখ্যা ১ লাখ ৩৪ হাজার ৪১৩ জন। নতুন ভোটার সংখ্যা ৫৫ হাজার ৯৮ জন। মোট ভোট কেন্দ্র রয়েছে ১০৪টি।

বর্তমানে এ আসনের সাংসদ দবিরুল ইসলাম। গত তিন সংসদ নির্বাচনে আসনটি দখলে রেখেছেন তিনি। এরপরেও আগামী একাদশ সংসদ নির্বাচনে দবিরুল ইসলামের মনোনয়ন পেতে কিছুটা বেগ পেতে হবে বলে মনে করছে তৃণমূল নেতাকর্মীরা। অনেকে মনে করছে এবারে হয়তো এই আসনে আসবে নতুন কোনো চমক। এখানে গৃহযুদ্ধ রয়েছে আওয়ামী লীগের মধ্যে। আর এই সুযোগটিই হয়ত নেবে বিএনপি।

বিভিন্ন এলাকা ঘুরে দেখা গেছে, নির্বাচনকে সামনে রেখে বিভিন্ন কৌশলে প্রচারণায় নেমেছে মনোনয়ন প্রত্যাশীরা। এরই মধ্যে আওয়ামী লীগের প্রত্যাশীরা বিভিন্ন জায়গায় পোস্টার ও ব্যানার টানিয়েছেন। করছেন কর্মসূচি, গণসংযোগ, ব্যক্তিগত সভা-সমাবেশ, সামাজিক অনুষ্ঠান।

আওয়ামী লীগের মনোনয়ন প্রত্যাশীরা হলেন- ঠাকুরগাঁও-২ আসনের বর্তমান সংসদ সদস্য দবিরুল ইসলাম, জেলা আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক মোস্তাক আলম টুলু, বালিয়াডাঙ্গি উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও সাবেক চেয়ারম্যান প্রবীর কুমার রায়।

এই আসনটি দীর্ঘ ৩০ বছর যাবৎ ধরে রেখেছে আওয়ামী লীগ। সব নির্বাচনেই সেখানে আওয়ামী লীগের সঙ্গে জামায়াতের প্রতিদ্বন্দ্বিতা হয়েছে। কিন্তু কখনো নির্বাচিত হতে পারেনি জামায়াত।

আওয়ামী লীগের অনেকেই বলেছেন, ২০০১ থেকে ২০১৪ পর্যন্ত দবিরুল ইসলাম এই আসনে প্রার্থী হয়েছেন। প্রতিবারেই তিনি বিজয় ছিনিয়ে এনেছেন। তিনি ওই এলাকায় ভোটের যাদুকর হিসেবে পরিচিত। এছাড়া নির্বাচনী এলাকায় রাস্তাঘাট, ব্রিজ-কালভার্ট, সীমান্ত নদীর বাঁধ নির্মাণ এবং শিক্ষা প্রতিষ্ঠান নির্মাণসহ ব্যাপক উন্নয়ন করেছেন। বিশেষ করে দারিদ্র্যপীড়িত ওই এলাকার মানুষের ভাগ্যোন্নয়নেও অবদান অব্যাহত রেখেছেন। বর্তমানে এমপি দবিরুল ইসলাম সংখ্যালঘুদের জমি দখলের অভিযোগের কারণে কিছুটা ইমেজ সংকটে ভুগছেন বলে দলের কিছু নেতা মনে করছেন।

এদিকে বালিয়াডাঙ্গী উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও সাবেক উপজেলা চেয়ারম্যান প্রবীর কুমার রায়ের আগামী জাতীয় নির্বাচনে মনোনয়ন পাওয়ার সম্ভবনা রয়েছে। তাই তিনি নির্বাচনী মাঠে ভোটারদের সঙ্গে সম্পর্ক তৈরিতে কাজ করছেন। অন্যদিকে মনোনয়ন পেতে জোরালো জনসংযোগ চালাচ্ছেন ঠাকুরগাঁও জেলা আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক অ্যাড. মোস্তাক আলম টুলু। এছাড়া বর্তমান এমপি দবিরুল ইসলামের বড় ছেলে জেলার সাংগঠনিক সম্পাদক তরুণ নেতা মাজহারুল ইসলাম সুজনকে মনোনয়ন দেওয়ার জন্য প্রত্যাশা ব্যক্ত করছেন তৃণমূল আওয়ামী লীগের কর্মীরা।

বালিয়াডাঙ্গী উপজেলা আওয়ামী লীগের কয়েকজন সদস্য জানান, সংখ্যালঘুরা হচ্ছে আওয়ামী লীগের ভোট ব্যাংক। অন্য দলে ওরা কোনো দিনও ভোট দেবে না। কিন্তু একটি গ্রুপ এমপি’র বিরুদ্ধে সংখ্যালঘুদের জমি দখলের অভিযোগ তুলেছেন আগামী নির্বাচনে মনোনয়ন পেতে বাধাগ্রস্ত করার জন্য। আর সেই কারণে সংখ্যালঘুরা অপর মনোনয়ন প্রত্যাশী প্রবীর কুমারের দিকে ঝুঁকতে পারেন।

মনোনয়ন প্রত্যাশী প্রবীর কুমার রায় বলেন, ‘নেত্রী (শেখ হাসিনা) যাকে মনোনয়ন দেবেন তার পেছনে কাজ করব। তবে এলাকার প্রকৃত চিত্র যদি জানতে পারেন, তাহলে আমাকে নেত্রী মনোনয়ন দেবেন বলে আমার বিশ্বাস।’

তিনি বলেন, ‘আমি গেজেটভুক্ত একজন মুক্তিযোদ্ধা। মহান মুক্তিযুদ্ধে আমার চাচা বালিয়াডাঙ্গী এলাকায় প্রথম শহীদ হন। ১৯৯৬ সাল থেকে এখন পর্যন্ত আমি উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদকের দায়িত্ব পালন করে আসছি। ২০০৯ সালে আমি বালিয়াডাঙ্গী উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে জয়লাভ করি। ওই সময় শহরের মাঝে মুক্তিযুদ্ধের স্মৃতিসৌধ ও শহীদ মিনার নির্মাণসহ অনেক উন্নয়নের কাজ করে সকলের কাছে সমাদৃত হয়েছি। তাই আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচনে মনোনয়ন পেলে আবারো বিজয়ী হব।’

এদিকে মনোনয়ন প্রত্যাশী ঠাকুরগাঁও জেলা আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক মোস্তাক আলম টুলু এ আসনে চালিয়ে যাচ্ছেন গণসংযোগ। তিনি ১৯৮৯ সালে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদের (ডাকসু) নেতা ছিলেন। পরে ২০০৪ সালে তৎকালীন বিরোধী দলীয় নেতা, বর্তমান প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সঙ্গে সাক্ষাৎ করে আওয়ামী লীগে যোগদান করেন।

তিনি বলেন, ‘আমি এ এলাকার সুবিধাবঞ্চিত মানুষ ও নির্যাতিত সংখ্যালঘু সম্প্রদায়, দলের নেতাকর্মীদের বিভিন্ন আপদে বিপদে পাশে থাকার চেষ্টা করছি। তারা তাদের ভাগ্য উন্নয়নে সামাজিক ও অর্থনৈতিক পরিবর্তন চায়, চায় উন্নত জীবনযাপন। আর তাই স্থানীয় দলীয় নেতাকর্মী ও সাধারণ মানুষের অনুরোধে আগামী নির্বাচনে আমি মনোনয়ন চাইব।’

বিভিন্ন অভিযোগের ব্যাপারে বর্তমান ঠাকুরগাঁও-২ আসনের এমপি দবিরুল ইসলাম বলেন, ‘দীর্ঘদিনের সুনাম নষ্ট করার জন্য বিরোধী কিছু কুচক্রী আমার নাম ভাঙিয়ে এলাকায় অপকর্ম করছে। অনেক ষড়যন্ত্রের মধ্যেও আমি প্রধানমন্ত্রীর স্বপ্নের সমৃদ্ধ বাংলাদেশ গড়তে স্থানীয় নেতাকর্মীদের সঙ্গে নিয়ে নিরলসভাবে কাজ করে যাচ্ছি।’

তিনি আরও বলেন, ‘আগামী নির্বাচনে এ আসনে আমি প্রার্থী হলে নৌকা প্রতীক আবারো বিপুল ভোটে বিজয়ী হবে।’

একই আসনে বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরের বাবা প্রয়াত মির্জা রুহুল আমিন (চোখা মিয়া) এক সময় সংসদ সদস্য ছিলেন। বিএনপির নেতাকর্মীদের ধারণা, মির্জা ফখরুল এ আসনে নির্বাচন করতে পারেন। তবে এ ব্যাপারে মির্জা ফখরুল কোনো সিদ্ধান্ত জানাননি। আর এখন পর্যন্ত এ আসনে কে প্রার্থী হবেন তা নিয়ে দলীয় কোনো সিদ্ধান্ত হয়নি।

একই আসনে মির্জা ফখরুল ছাড়াও আরও দু’জন মনোনয়ন প্রত্যাশী রয়েছেন। তারা হলেন- দলের কেন্দ্রীয় নির্বাহী কমিটির সদস্য জেড মর্তুজা চৌধুরী তুলা ও জেলা জামায়াতের আমির আব্দুল হাকিম।

   

গাজীপুরে উপজেলা নির্বাচন উপলক্ষে মতবিনিময় সভা



ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, গাজীপুর
গাজীপুরে উপজেলা নির্বাচন উপলক্ষে মতবিনিময় সভা

গাজীপুরে উপজেলা নির্বাচন উপলক্ষে মতবিনিময় সভা

  • Font increase
  • Font Decrease

আসন্ন ৬ষ্ঠ উপজেলা পরিষদ সাধারণ নির্বাচনকে অবাধ, সুষ্ঠু করতে গাজীপুরে নির্বাচন সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তাদের মতবিনিময় সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে।

বৃহস্পতিবার (১৮ এপ্রিল) বিকেলে গাজীপুর জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ের ভাওয়াল সম্মেলন কক্ষে এ সভার আয়োজন করা হয়।

মতবিনিময় সভায় প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন- নির্বাচন কমিশনার মো. আলমগীর। এতে সভাপতিত্ব করেন- জেলা প্রশাসক আবুল ফাতে মোহাম্মদ সফিকুল ইসলাম।

এসময় আসন্ন উপজেলা পরিষদ নির্বাচনকে অবাধ, সুষ্ঠু ও সুশৃঙ্খলভাবে করার জন্য সংশ্লিষ্ট সকলকে নির্দেশনা প্রদানসহ নানা দিক নির্দেশনা দেন নির্বাচন কমিশনার মো. আলমগীর।

এর আগে নির্বাচন কমিশনারকে গাজীপুর সার্কিট হাউজে ফুলেল অভ্যর্থনা জানান জেলা প্রশাসক। পরে পুলিশের একটি দল তাকে গার্ড অফ অনার প্রদান করেন।

সভায় অন্যান্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন, অতিরিক্ত জেলা প্রশাসকবৃন্দ, উপজেলা নির্বাহী অফিসারগণ, রিটার্নিং অফিসার, সহকারী রিটার্নিং অফিসার, নির্বাচন সংশ্লিষ্ট অন্যান্য ব্যক্তিবর্গ ও আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্যবৃন্দ।

;

উপজেলা নির্বাচন: আন্তঃমন্ত্রণালয় সভা ২৩ এপ্রিল



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, ঢাকা
ছবি: বার্তা২৪.কম

ছবি: বার্তা২৪.কম

  • Font increase
  • Font Decrease

আসন্ন ষষ্ঠ উপজেলা পরিষদ নির্বাচন সুষ্ঠুভাবে সম্পন্ন করার জন্য আগামী মঙ্গলবার (২৩ এপ্রিল) আন্তঃমন্ত্রণালয় সভা ডেকেছে নির্বাচন কমিশন (ইসি)।

বৃহস্পতিবার (১৮ এপ্রিল) নির্বাচন পরিচালনা শাখার উপসচিব মো. আতিয়ার রহমান ইতিমধ্যে সংশ্লিষ্টদের এ সংক্রান্ত চিঠি পাঠিয়েছেন।

এতে উল্লেখ করা হয়েছে, ষষ্ঠ উপজেলা পরিষদ সাধারণ নির্বাচন সুষ্ঠু ও সুন্দরভাবে অনুষ্ঠানের নিমিত্তে সংশ্লিষ্টদের উপস্থিতিতে এক সভা আগামী ২৩ এপ্রিল বেলা সকাল ১১টায় নির্বাচন কমিশন সচিবালয়ের সভাকক্ষে অনুষ্ঠিত হবে।

প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) কাজী হাবিবুল আউয়ালের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠেয় সভায় নির্বাচন কমিশনারগণ, নির্বাচন কমিশন সচিবালয়ের সচিব ও সংশ্লিষ্ট অন্যান্য কর্মকর্তাগণ উপস্থিত থাকবেন।

চিঠিতে সভায় যথাসময়ে উপস্থিত থাকার জন্য নির্দেশিত হয়ে অনুরোধ জানানো হয়েছে।

আতিয়ার রহমান সভার চিঠি জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়, জননিরাপত্তা বিভাগের সিনিয়র সচিব, মন্ত্রিপরিষদ বিভাগের (সমন্বয় ও সংস্কার) সচিব, স্থানীয় সরকার বিভাগের সচিব, মহাপুলিশ পরিদর্শক, বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ/র‍্যাব/কোস্টগার্ড/আনসার ও ভিডিপি/ডিজিএফআই/এনএসআই, মহাপরিচালক ও অতিরিক্ত মহাপুলিশ পরিদর্শককে (এসবি) পাঠিয়েছেন।

চার ধাপে অনুষ্ঠেয় ষষ্ঠ উপজেলা পরিষদ নির্বাচনের ইতিমধ্যে তিন ধাপের তফসিল দিয়েছে ইসি।

প্রথম ধাপের তফসিল অনুযায়ী, মনোনয়নপত্র দাখিল ও বাছাইয়ের সময় শেষ। বৈধ প্রার্থী এক হাজার ৭৮৬ জন, রিটার্নিং কর্মকর্তার সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে আপিল ১৮ থেকে ২০ এপ্রিল। আপিল নিষ্পত্তি ২১ এপ্রিল, প্রার্থিতা প্রত্যাহারের শেষ সময় ২২ এপ্রিল। প্রতীক বরাদ্দ ২৩ এপ্রিল, আর ১৫২ উপজেলায় ভোটগ্রহণ হবে ৮ মে।

এই ধাপের নির্বাচনে রিটার্নিং কর্মকর্তা হিসেবে জেলা নির্বাচন কর্মকর্তা ও সহকারী রিটার্নিং কর্মকর্তা হিসেবে উপজেলা নির্বাচন কর্মকর্তাদের নিয়োগ করা হয়েছে। রিটার্নিং কর্মকর্তার সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে দায়ের করা আপিল আবেদন নিষ্পত্তি করবেন আপিল কর্তৃপক্ষ হিসেবে জেলা প্রশাসক।

দ্বিতীয় ধাপের তফসিল অনুযায়ী, মনোনয়নপত্র দাখিল ২১ এপ্রিল শেষ সময়, মনোনয়নপত্র বাছাই ২৩ এপ্রিল, আপিল গ্রহণ ২৪-২৬ এপ্রিল, আপিল নিষ্পত্তি ২৭ থেকে ২৯ এপ্রিল। প্রার্থিতা প্রত্যাহারের শেষ সময় ৩০ এপ্রিল, প্রতীক বরাদ্দ প্রতীক বরাদ্দ ২ মে। আর ১৬১ উপজেলায় ভোটগ্রহণ হবে ২১ মে।

এই ধাপের নির্বাচনে অতিরিক্ত জেলা প্রশাসকদের রিটার্নিং কর্মকর্তা ও উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তাদের সহকারী রিটার্নিং কর্মকর্তা হিসেবে নিয়োগ দেওয়া হয়েছে। ভোটারের সংখ্যা ৫ লাখের বেশি যেখানে সেখানে একাধিক সহকারী রিটার্নিং অফিসার নিয়োজিত থাকবেন।

তৃতীয় ধাপের তফসিল অনুযায়ী, মনোনয়ন ফরম জমার শেষ তারিখ ২ মে, মনোনয়ন যাচাই-বাছাই ৫ মে। রিটার্নিং কর্মকর্তার সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে আপিল ৬ থেকে ৮মে।

আপিল নিষ্পত্তি ৯ থেকে ১১ মে। প্রার্থীতা প্রত্যাহারের শেষ দিন ১২ই মে। প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থীদের মাঝে প্রতীক বরাদ্দ ১৩ই মে এবং ভোট ২৯শে মে। এই ধাপে ১১২ উপজেলায় ভোট হবে।

এই ধাপে রিটার্নিং কর্মকর্তা হিসেবে অতিরিক্ত জেলা ও অতিরিক্ত আঞ্চলিক নির্বাচন কর্মকর্তা এবং অতিরিক্ত জেলা প্রশাসকদের নিয়োগ দেওয়া হয়েছে৷

আগামী ৫ জুন চতুর্থ ধাপের নির্বাচন অনুষ্ঠিত হতে পারে।

;

১৫০ উপজেলায় বৈধ প্রার্থী ১৭৮৬



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, ঢাকা
১৫০ উপজেলায় বৈধ প্রার্থী ১৭৮৬

১৫০ উপজেলায় বৈধ প্রার্থী ১৭৮৬

  • Font increase
  • Font Decrease

আসন্ন ষষ্ঠ উপজেলা নির্বাচনের প্রথম ধাপের রিটার্নিং কর্মকর্তা যাচাই বাছাই শেষে মোট বৈধ প্রার্থী দাঁড়াল এক হাজর ৭৮৬ জন।

বৃহস্পতিবার (১৮ এপ্রিল) মাঠ পর্যায় থেকে পাঠানো তথ্য একীভূত করার পর এ তথ্য জানিয়েছেন নির্বাচন কমিশনের অতিরিক্ত সচিব অশোক কুমার দেবনাথ।

তিনি জানান, প্রথম ধাপে চেয়ারম্যান, ভাইস চেয়ারম্যান ও মহিলা ভাইসচেয়ারম্যান পদে মনোনয়নপত্র দাখিল করেছিলেন এক হাজার ৮৯০ জন। এদের মধ্যে বাছাইয়ে বাতিল হয়েছে ১০৪ জনের মনোনয়নপত্র। আর বৈধ প্রার্থীর সংখ্যা এক হাজার ৭৮৬ জন।

নির্বাচন কমিশন ঘোষিত তফসিল অনুযায়ী, রিটার্নিং কর্মকর্তার সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে আপিল ১৮ থেকে ২০ এপ্রিল। আপিল নিষ্পত্তি ২১ এপ্রিল, প্রার্থিতা প্রত্যাহারের শেষ সময় ২২ এপ্রিল। প্রতীক বরাদ্দ ২৩ এপ্রিল আর ১৫০ উপজেলায় ভোটগ্রহণ হবে ৮ মে।

;

নাটোরের সেই প্রার্থীকে ইসির তলব



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, ঢাকা
নাটোরের সেই প্রার্থীকে ইসির তলব

নাটোরের সেই প্রার্থীকে ইসির তলব

  • Font increase
  • Font Decrease

নাটোরের সিংড়া উপজেলা নির্বাচনের চেয়ারম্যান প্রার্থী দেলোয়ার হোসেনকে অপহরণ করার অভিযোগে অপর প্রার্থী মো. লুৎফুল হাবিবকে তলব করেছে নির্বাচন কমিশন (ইসি)।

বৃহস্পতিবার (১৮ এপ্রিল) সংস্থাটির উপসচিব মো. আতিয়ার রহমান অভিযুক্তকে এ সংক্রান্ত চিঠি পাঠিয়েছেন।

এতে উল্লেখ করা হয়েছে, ষষ্ঠ উপজেলা পরিষদের ১ম ধাপের ০৮ মে অনুষ্ঠেয় নাটোর জেলার সিংড়া উপজেলা পরিষদের নির্বাচনে প্রথম আলো পত্রিকায় ‘নাটোরে ৫ ঘণ্টার ব্যবধানে সম্ভাব্য প্রার্থী ও তার ভাইসহ তিনজনকে অপহরণ’ শিরোনামে নাটোরের সিংড়া উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে চেয়ারম্যান পদে প্রার্থী হতে ইচ্ছুক দেলোয়ার হোসেন ও তার ভাইসহ তিনজনকে অপহরণের সংবাদ প্রকাশিত হয়েছে। এ ঘটনায় উক্ত পত্রিকায় আপনি লুৎফুল হাবীবকে দায়ী করা হয়েছে।

ইতোমধ্যে বর্ণিত বিষয়ে স্থানীয় প্রশাসন এবং গোয়েন্দা সংস্থা হতে প্রতিবেদন পাওয়া গিয়েছে। এছাড়া সকল জাতীয় দৈনিক পত্রিকা ও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে সচিত্র বিস্তারিত প্রতিবেদন প্রকাশিত হয়েছে। উল্লিখিত প্রতিবেদন ও পত্রিকান্তে ঘটনার প্রাথমিক সত্যতা প্রমাণিত হয়েছে। এরূপ ঘটনার জন্য কেন আপনার প্রার্থিতা বাতিল অথবা আপনার বিরুদ্ধে যথাযথ আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে না সে বিষয়ে লিখিত জবাবসহ নির্বাচন কমিশনে (কক্ষ নং-৩১৪, নির্বাচন ভবন, আগারগাঁও, ঢাকা) আগামী ২২ এপ্রিল সোমবার বিকাল ৪টা ১০ ঘটিকায় ব্যক্তিগতভাবে উপস্থিত হয়ে ব্যাখ্যা প্রদানের জন্য মাননীয় নির্বাচন কমিশন সিদ্ধান্ত প্রদান করেছেন।

গণমাধ্যমের প্রতিবেদন অনুযায়ী, গত সোমবার অনলাইনে মনোনয়নপত্র জমা দেওয়ার পর নাটোর জেলা নির্বাচন অফিসে গেলে দেলোয়ার হোসেনকে গাড়িতে তুলে নিয়ে গিয়ে আহত অবস্থায় তাকে তার বাড়ির পাশে ফেলে রেখে যায় দুর্বৃত্তরা।

ভুক্তভোগী প্রার্থীর পরিবার এই ঘটনার জন্য আরেক প্রার্থী লুৎফুল হাবীব রুবেল ও তার সমর্থকদের দায়ী করেছে। উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক লুৎফুল কবীর তথ্য ও যোগাযোগ প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলকের শ্যালক। দেলোয়ার হোসেন মনোনয়নপত্র দাখিলের আগে লুৎফুল হাবীব ছিলেন একক প্রার্থী।

;