যে আশঙ্কায় ইভিএম চায় না জাতীয় ঐক্যফ্রন্ট
ইলেক্ট্রনিক ভোটিং মেশিনের (ইভিএম) মূল ভোটিং প্রোগ্রাম পরিবর্তন ও এর মাধ্যমে ভোটের ফলাফল পরিবর্তন করা সম্ভব বলে মনে করে জাতীয় ঐক্যফন্ট। তাই ডিজিটাল জালিয়াতির মাধ্যমে ইভিএম ব্যবহারে ভোট চুরির নীলনকশা চলছে মন্তব্য করে নির্বাচনে ইভিএম বন্ধের আহ্বান জানিয়েছেন ফ্রন্টের নেতারা।
বৃহস্পতিবার (২২ নভেম্বর) বিকালে রাজধানীর গুলশানে লেকশোর হোটেলে 'ইভিএমকে না বলুন, আপনার ভোটকে সুরক্ষিত করুন' শীর্ষক সেমিনারে জাতীয় ঐক্যফ্রন্টের নেতারা এ আশঙ্কার কথা তুলে ধরেন।
ইভিএম এর উপর লিখিত বক্তব্যে প্রকৌশলী কে এম আসাদুজ্জামান চুন্ন ইভিএম ব্যবহারের নানা কৌশল তুলে ধরেন। তিনি উল্লেখ করেন, নির্দিষ্ট সময় পর যে প্রার্থীকেই ভোট দেওয়া হোক না কেন তা নির্দিষ্ট মার্কায় যাবে। কোনো ব্যালট ইউনিট 'ক' মার্কায় যদি নির্দিষ্ট সংখ্যার চেয়ে বেশি ভোট পায় তবে পরবর্তী সকল ভোট 'খ' মার্কায় যাবে। ভোটের ফলাফল যাই হোক না কেন, ডিসপ্লেতে পূর্বনির্ধারিত ফলাফল প্রদর্শন করবে।
জাতীয় ঐক্যফন্টের মুখপাত্র ও বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেন, ‘জনগণের উপর আস্থা না থাকায় এই সরকার ক্ষমতায় আসার নানা রকমের কৌশল করছে। নির্বাচনে যাবো, জনগণ যাবে, ভোট বিপ্লব হবে। জনগণ সে বিপ্লবের জন্য প্রস্তুত আছে। কোনো কৌশলে কাজ হবে না।’
জেএসডি সভাপতি আসম আব্দুর রব বলেন, ‘সংবিধান অনুযায়ী ইভিএম ব্যবহার অবৈধ। ইভিএম ব্যবহার বন্ধ করা না হলে ড. কামাল হোসেনের নেতৃত্বে সরকার ও নির্বাচন কমিশনের বিরুদ্ধে সংবিধান লঙ্ঘনের দায়ে মামলা দায়ের করবো।’
কৃষক শ্রমিক জনতা লীগের সভাপতি বঙ্গবীর কাদের সিদ্দিকী বলেন, ‘ইভিএম যারা এনেছেন তারা চালাতে জানেন না। আবার যারা ভোট দেবে তারা কখনও দেখেনি। জনগণের অধিকার আছে দেখে শুনে বুঝে ভোট দেওয়ার।’
ইভিএমে ভোট চুরি হবে উল্লেখ করে নাগরিক ঐক্যের আহ্বায়ক মাহমুদুর রহমান মান্না বলেন, ‘এভিএমের বিরোধিতা করছি এ কারণে যে, তারা ভোট চোর। ইলেক্ট্রনিক যন্ত্রের সাহায্যে এই সুযোগ তারা নেবে। কারণ এর আগেও ভোট চুরির উদাহরণ আছে।’
গণস্বাস্থ্য কেন্দ্রের প্রতিষ্ঠাতা জাফরুল্লাহ চৌধুরী বলেন, ‘দেশের হাওয়া বদলে গেছে, সুতরাং যাই করুক না কেন জনগণকে ভোট কেন্দ্র পাহারা দিয়ে নির্বাচন করতে হবে। নির্বাচন কমিশন বিবেকের কাছে দায়ী হবেন, খোদার কাছে দায়ী হবেন।’