চট্টগ্রামে মনোনয়নের দৌঁড়ে এগিয়ে থাকা জোট-ফ্রন্টের প্রার্থীরা
চট্টগ্রামের দলীয় মনোনয়ন পাওয়ার জন্য আওয়ামী লীগ ও বিএনপির একাধিক নেতা লবিং চালিয়ে আসলেও মনোনয়ন পাওয়ার ক্ষেত্রে জোটে তেমন পরিবর্তন লক্ষ্য করা যাচ্ছে না।
দশম সংসদীয় নির্বাচন যারা এমপি হয়েছেন এবারও তারাই মনোনয়ন পাচ্ছেন বলে শোনা যাচ্ছে। আর বিএনপি থেকে হেভিওয়েটরা এগিয়ে রয়েছেন।
জানা গেছে, চট্টগ্রামে মিরসরাই আসনে আওয়ামী লীগের প্রেসিডিয়াম সদস্য সাবেক মন্ত্রী ইঞ্জিনিয়ার মোশাররফ হোসেন মনোনয়ন পাচ্ছেন। এ আসনে বিএনপির মনোনয়ন পাচ্ছেন এম এ জিন্নাহ।
ফটিকছড়ি আসনে জোট থেকে তরিকত ফেডারেশনের চেয়ারম্যান আলহাজ্ব ছৈয়দ নজিবুল বশর মাইজভান্ডারী, বিএনপি থেকে কেন্দ্রীয় তথ্য ও গবেষণাবিষয়ক সহসম্পাদক জাতীয় প্রেসক্লাবের সাবেক যুগ্ম সম্পাদক কাদের গণি চৌধুরী।
চট্টগ্রামের সন্দীপ আসনে আওয়ামী লীগের মাহফুজুর রহমান মিতা, বিএনপি থেকে মোস্তাফা কামাল পাশা।
সীতাকুণ্ড আসনে আওয়ামী লীগ থেকে সাবেক মেয়র মনজুরুল আলমকে এবং বিএনপির যুগ্ম মহাসচিব আসলাম চৌধুরীকে মনোনয়ন দেওয়া হচ্ছে।
হাটহাজারী আসনে জোট থেকে জাতীয় পার্টির ব্যারিস্টার আনিসুল হক মাহমুদ এবং বিএনপি থেকে ভাইস চেয়ারম্যান মীর নাসির উদ্দিন। রাউজান আসনে আওয়ামী লীগের বর্তমান সাংসদ এবিএম ফজলে করীম ও বিএনপি থেকে দলটির ভাইস চেয়ারম্যান গিয়াস কাদের চৌধুরী।
চট্টগ্রামের রাঙ্গুনিয়া থেকে আওয়ামী লীগের প্রচার সম্পাদক সাবেক মন্ত্রী ডা. হাসান মাহমুদ, বিএনপি থেকে প্রয়াত সালাউদ্দিন কাদের চৌধুরীর স্ত্রী ফরহাদ কাদের চৌধুরীকে দেওয়া হচ্ছে মনোনয়ন।
চট্টগ্রাম-৮ বোয়ালখালি আসনে জোটের মইন উদ্দিন খান বাদলের নাম শুনা যাচ্ছে। এ আসনে বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান মোর্শেদ খানের নাম আলোচনায় রয়েছে।
চট্টগ্রাম-১০ আসনে বিএনপি’র ভাইস চেয়ারম্যান আবদুল্লাহ আল নোমান, এখানে আওয়ামী লীগের তালিকায় ডা. আফসারুল আমিন রয়েছেন। চট্টগ্রাম-১১ আসনে আওয়ামী লীগের এম এ লতিফ এবং বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য আমির খসরু মাহমুদ চৌধুরী।
পটিয়া আসনে আওয়ামী লীগের বর্তমান এমপি শামসুল হক, বিএনপির এনামুল হক এনাম। আনোয়ার-কর্ণফুলী আসনে আওয়ামী লীগের ভূমি প্রতিমন্ত্রী সাইফুজ্জামান জাবেদ এবং বিএনপির সরওয়ার জাহানের নাম শুনা যাচ্ছে।
চট্টগ্রাম-১৪ (চন্দনাইশ-সাতকানিয়া) ফ্রন্টের কর্নেল অলি আহমদ এখানে আওয়ামী লীগের নজরুল ইসলামের নাম শুনা যাচ্ছে। চট্টগ্রাম-১৫ (লোহাগাড়া-সাতকানিয়া) আওয়ামী লীগের আবু রেজা নদভী এবং বিএনপি জামায়াত ইসলামীর জন্য আসনটি ছেড়ে দিচ্ছে।
চট্টগ্রাম-১৬ (বাঁশখালী) আসনে আওয়ামী লীগের মোস্তাফিজুর রহমান, বিএনপির জাফর উল্লাহকে দেওয়া হচ্ছে বলে বিএনপির দলীয় সূত্রে জানা গেছে।
এদিকে আওয়ামী লীগের মনোনয়নের ক্ষেত্রে জোট এবং বর্তমান এমপিরা থেকে গেছেন। শুধু চট্টগ্রাম-৪ সীতাকুণ্ড আসনে আওয়ামী লীগের দিদারুল আলমের পরিবর্তে চট্টগ্রামের সাবেক মেয়র মনজুর আলমকে দেওয়া হচ্ছে বলে দলীয় ঘনিষ্ট সূত্রে জানা গেছে।
আওয়ামী লীগের এসব মনোনয়নপ্রার্থীকে দলীয় সভানেত্রী ‘সবুজ সংকেত’ দিয়েছেন বলে জানা গেছে। আওয়ামী লীগের পক্ষ থেকে মনোনয়নের এ তালিকা আগামী ২৫ নভেম্বর প্রকাশ করা হবে।
বিএনপির দলীয় মনোনয়ন ও ফ্রন্টের চূড়ান্ত মনোনয়ন তালিকাও আগামী কয়েকদিনের মধ্যে প্রকাশ করা হচ্ছে।
চট্টগ্রাম মহানগর বিএনপির দপ্তর সম্পাদক ইদ্রিস আলী বার্তা২৪কে বলেন, ‘দলীয় মনোনয়নের ক্ষেত্রে একাধিক আসন চূড়ান্ত হয়েছে বলে আমরা জানতে পেরেছি।’
উত্তর জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি সাবেক সাংসদ নুরুল আলম চৌধুরী বার্তা২৪কে বলেন, ‘যেই মনোনয়ন নিয়ে আসুক। জেলার সব আসন নেত্রীকে উপহার দেওয়ার জন্য কাজ করে যাবো।’