পুলিশের নিরপেক্ষ ভূমিকা কতটুকু সম্ভব? -প্রশ্ন মাহবুব তালুকদারের



ইসমাঈল হোসাইন রাসেল, স্টাফ করেসপন্ডেন্ট
নির্বাচন কমিশনার মাহবুব তালুকদার

নির্বাচন কমিশনার মাহবুব তালুকদার

  • Font increase
  • Font Decrease

"শিডিউল ঘোষণার পূর্বে যে পুলিশ গায়েবি মামলা করেছে, শিডিউল ঘোষণার পর তার পক্ষে রাতারাতি পাল্টে গিয়ে নির্বাচনে নিরপেক্ষ ভূমিকা পালন করা কতটুকু সম্ভব?"

বৃহস্পতিবার (২২ নভেম্বর) নির্বাচন ভবনে আইন-শৃঙ্খলা বিষয়ক বিশেষ সভায় নির্বাচন কমিশনার মাহবুব তালুকদার এমন প্রশ্ন তুলেছেন।

আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সঙ্গে বিশেষ সভায় দেয়া বক্তব্যে কমিশনার মাহবুব তালুকদার গায়েবি মামলাসহ, নির্বাচনী কর্মকর্তাদের তথ্য সংগ্রহসহ পুলিশের বেশ কিছু কার্যক্রমের কঠোর সমালোচনা করেন। নির্বাচনে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর ভূমিকার কথা উল্লেখ করে তিনি বলেন, শিডিউল ঘোষণার পূর্বে যে পুলিশ গায়েবি মামলা করেছে, শিডিউল ঘোষণার পর তার পক্ষে রাতারাতি পাল্টে গিয়ে নির্বাচনে নিরপেক্ষ ভূমিকা পালন করা কতটুকু সম্ভব? তিনি বলেন, পুলিশ নিরপেক্ষ ভূমিকা পালন না করলে নির্বাচন প্রশ্নবিদ্ধ হয়ে পড়বে।

মাহবুব তালুকদার বর্তমান কমিশনের মেয়াদে অনুষ্ঠিত সিটি করপোরেশন নির্বাচনগুলোর উদাহরণ তুলে ধরে বলেন, কুমিল্লা ও রংপুর সিটি করপোরেশন নির্বাচন সুনামের সাথে করতে পারলেও বাকি পাঁচটির ক্ষেত্রে তা ছিলো না। গাজীপুর ও বরিশাল সিটি নির্বাচনের উদাহরণ দিয়ে তিনি এ দুটি নির্বাচনে পুলিশের ভূমিকা নিয়েও প্রশ্ন তোলেন। তুলে ধরেন ইসির তদন্তে উঠে আসা পুলিশ বিভাগের কর্তাব্যক্তিদের প্রশ্নবিদ্ধ ভুমিকার কথা।

তিনি উল্লেখ করেন, গাজীপুর সিটি নির্বাচনে জেলা প্রশাসক ১৭৯জন প্রিজাইডিং কর্মকর্তার তালিকা দিয়েছিল, যা রিটার্নিং কর্মকর্তা গ্রহণ করতে অস্বীকৃতি জানান। পরে তা জেলা প্রশাসক অফিসের নিম্ন পর্যায়ের কর্মকর্তার স্বাক্ষরসহ একটি ফরওয়াডিং দিয়ে চিঠি পাঠিয়েছিল। ওই নির্বাচনে পুলিশের বিষয়ে তিনি বলেন, পুলিশ কর্তৃক বিরোধী দলীয় নেতাকর্মীদের গ্রেফতার ও এ সংক্রান্ত রিটার্নিং কর্মকর্তার পাঠানো ১১টি চিঠি গ্রহণে অস্বীকৃতি জানায়। এর মধ্যে চারটি চিঠির দায়সারা জবাব দেয় পুলিশ। সাদা পোশাকধারী পুলিশের বিষয়ে বলেন, অনেককে গ্রেফতারের পর তা স্বীকার করা হয়নি। কিন্তু পরে অনেককে কেন্দ্রীয় করাগারে পাওয়া গেছে। তিনি প্রশ্ন রেখে বলেন, যদি গ্রেফতার করা না হয় তাহলে কীভাবে কারাগারে পাওয়া গেছে তার কোনো জবাব পাওয়া যায়নি।

https://img.imageboss.me/width/700/quality:100/https://img.barta24.com/uploads/news/2018/Nov/23/1542910962802.jpg 

বরিশাল সিটি নির্বাচন নিয়ে মাহবুব তালুকদার বলেন, পাঁচ সিটির মধ্যে সবচেয়ে খারাপ ছিল বরিশাল। সকালে ভোটগ্রহণ ভালো হলেও বেলা বাড়ার সঙ্গে বিভিন্নমুখী অনিয়ম শুরু হয়। বেলা ১১টার মধ্যে প্রতীয়মান হয় এভাবে ভোটগ্রহণ চলতে পারে না। এক পর্যায়ে কমিশন মনে করে ভোটগ্রহণ কার্যক্রম পুরোপুরি বন্ধ করা প্রয়োজন। পরে কমিশন ভোটগ্রহণ বন্ধ করতে সম্মত হলেও আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি সামাল দেয়া, নির্বাচন সংশ্লিষ্টদের নিরাপত্তা দেয়া সম্ভব হবে কী না- তা ভেবে নির্বাচন বন্ধ করা থেকে আমরা বিতর থাকি। ওই নির্বাচনের অভিজ্ঞতা থেকে সংসদ নির্বাচন কিভাবে সুন্দর করা যায় সেই পথ বের করার কথাও বলেন তিনি।

গায়েবি মামলা নিয়ে এই কমিশনার বলেন, বর্তমানে বহুল আলোচিত গায়েবি মামলা এখন আর গায়েবি আওয়াজ নয়। হাইকোর্টও বলেছেন এই ধরনের মামলায় পুলিশের ভাবমূর্তি বিনষ্ট হয়। ঢাকা পুলিশ কমিশনার গায়েবি মামলা না করতে পুলিশ বাহিনীতে নির্দেশনা দিয়েছেন। তারপরও অনেকক্ষেত্রে এই ধরনের মামলা চালু রয়েছে।

গায়েবি মামলা ইস্যুতে ইসিতে দেয়া বিএনপির আবেদন প্রসঙ্গে তিনি বলেন, কিছু সংখ্যক গায়েবি মামলার আসামিদের তালিকা বিরোধী দল থেকে নির্বাচন কমিশনে পাঠানো হয়েছে। মামলাগুলো পুরনো হলেও এসব মামলায় অজ্ঞাতনামা আসামিদের অনেকের আদালত থেকে জামিন নেয়া হয়তো সম্ভব হবে না। কোন কোন সম্ভাব্য প্রার্থীর বিরুদ্ধে মামলা থাকার কারণে তারা প্রচারকাজ চালাতে ভয় পাচ্ছেন। এই ভীতি সর্বক্ষেত্রে অমূলক নয়। নির্বাচনী ব্যবস্থাপনাকে স্বাভাবিক রাখার স্বার্থে নির্বাচন-পূর্ব সময়ে প্রার্থীরা যাতে হয়রানির শিকার না হয়, সেজন্য ব্যবস্থা নেয়া দরকার। এ বিষয়ে নির্বাচন কমিশন থেকে যে নির্দেশনা দেয়া হয়েছে, তা যথাযথভাবে প্রতিপালন করা প্রয়োজন।

গ্রেফতারের বিষয়ে উচ্চ আদালতের যে নির্দেশনা রয়েছে তা কোথাও প্রতিপালন হচ্ছে না উল্লেখ করে তিনি বলেন, নির্দেশনাটিতে মানবিক অধিকার ও মানবিক মর্যাদা সমুন্নত রাখার যে অভিব্যক্তি রয়েছে, তা প্রতিপালিত হলে পুলিশের আচরণবিধি লঙ্ঘনের প্রবণতা অনেকাংশে কমে যেতে পারত। কমিশন আশ্বাস দিলেও সিটি করপোরেশন নির্বাচনে লেভেল ফিল্ড কার্যকর ছিলো না। নির্বাচনে সবার জন্য সমান সুযোগ তৈরিতে পুলিশের বিরাট ভুমিকা রয়েছে। পুলিশ সবার সাথে সমান আচরণ করলে তা সম্ভব হতে পারে।

নির্বাচনী কর্মকর্তাদের তথ্য যাচাই প্রসঙ্গে তিনি বলেন, নির্বাচন কর্মকর্তাদের তথ্য সংগ্রহে পুলিশ দুইমাস আগেই মাঠে নেমেছে। তারা প্রিজাইডিং, সহকারী প্রিজাইডিং অফিসার ও পোলিং কর্মকর্তাদের বিষয়ে নানাধরনের তথ্য সংগ্রহ করছে এবং জিজ্ঞাসাবাদ করছে। এই ধরনের তথ্যানুসন্ধানে পুলিশকে কোন নির্দেশনা দেয়া হয়নি। কে কী উদ্দেশ্যে এইসব কর্মকাণ্ড করছে তা রহস্যজনক। অতি উৎসাহি কিছু পুলিশ সদস্যদের এই কর্মকাণ্ড ব্যাপক বিভ্রান্তির সৃষ্টি হয়েছে, যার দায় কমিশনের ওপর এসে পড়ে।

এবারের সংসদ নির্বাচনকে গুরুত্বপুর্ণ আখ্যায়িত করে এই কমিশনার বলেন, শুধু দেশবাসী নয়, বিশ্ববাসী আমাদের নির্বাচনের দিকে তাকিয়ে রয়েছে। এই নির্বাচন আমাদের আত্মসম্মান সমুন্নত রাখার নির্বাচন। আমরা কোনভাবেই এই নির্বাচনকে প্রশ্নবিদ্ধ হতে দিতে পারি না। আমরা প্রশ্নবিদ্ধ হয়ে তার দায় আইনশৃঙ্খলা রক্ষাবাহিনীর ওপর বর্তাবে। আর আইনশৃঙ্খলা বাহিনী প্রশ্নবিদ্ধ হলে আমরাও তার দায় এড়াতে পারবো না।

আশা করি, জাতির এই ক্রান্তিলগ্নে আমাদের সম্মিলিত প্রচেষ্টায় একটি অবাধ, সুষ্ঠু, নিরপেক্ষ ও গ্রহণযোগ্য জাতীয় নির্বাচনের মাধ্যমে আমরা দেশবাসীর প্রত্যাশা পূরণ করতে পারব।

   

উপজেলা নির্বাচন ব্যর্থ হলে গণতন্ত্র ক্ষুণ্ন হবে: সিইসি



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম
ছবি: বার্তা ২৪

ছবি: বার্তা ২৪

  • Font increase
  • Font Decrease

উপজেলা নির্বাচন ব্যর্থ হলে বিগত সংসদ নির্বাচনে গণতান্ত্রিক ধারাবাহিকতা প্রতিষ্ঠা হয়েছে তা ক্ষুণ্ন হতে পারে বলে মন্তব্য করেছেন প্রধান নির্বাচন কমিশনার সিইসি কাজী হাবিবুল আওয়াল।

বৃহস্পতিবার (২৫ এপ্রিল) সকালে আগারগাঁও নির্বাচন ভবনে উপজেলা পরিষদ নির্বাচন উপলক্ষে মাঠ প্রশাসনের সাথে আইনশৃঙ্খলা বিষয় সভায় তিনি এই কথা বলেন।

সিইসি কাজী কাজী হাবিবুল আওয়াল বলেন, দেশের নির্বাচনে আবেগ অনুভূতির জন্য কিছুটা বিশৃঙ্খলা হয়। ভোটাররা যেন নির্বিঘ্নে ভোট দিতে পারে সেই ব্যবস্থা করতে হবে। যেকোন মূল্যে নির্বাচন সুষ্ঠু করতে হবে। এই নির্বাচনে ব্যর্থ হলে বিগত সংসদ নির্বাচনে যে গণতান্ত্রিক ধারাবাহিকতা প্রতিষ্ঠা হয়েছে তা ক্ষুণ্ন হতে পারে। বাংলাদেশে গণতন্ত্র আছে তা সুষ্ঠু নির্বাচনের মাধ্যমে প্রমাণ করতে হবে। 

সভায় দেশের সকল জেলা প্রশাসক ও পুলিশ সুপার উপস্থিত আছেন। পুলিশপ্রধান সহ স্বরাষ্ট্র ও জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের শীর্ষ কর্মকর্তারা উপস্থিত আছেন।

;

উপজেলা নির্বাচন: রাজশাহীর তিন উপজেলায় বৈধ ৩১ জন



ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, রাজশাহী
ছবি: বার্তা২৪.কম

ছবি: বার্তা২৪.কম

  • Font increase
  • Font Decrease

আগামী ২১ মে দ্বিতীয় ধাপে ষষ্ঠ উপজেলা পরিষদ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে। এতে রাজশাহী জেলার পুঠিয়া, দূর্গাপুর ও বাগমারা উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে চেয়ারম্যান, ভাইস-চেয়ারম্যান ও নারী ভাইস-চেয়ারম্যান পদে মোট ৩১ জন প্রার্থীর মনোনয়নপত্র বৈধ হয়েছে। প্রার্থীদের জমাকৃত মনোনয়নপত্র যাচাই-বাছাই শেষে বৈধতার ঘোষণা দেওয়া হয়।

মঙ্গলবার (২৩ এপ্রিল) বেলা ১২টায় জেলা প্রশাসকের সম্মেলন কক্ষে মনোনয়নপত্র যাচাই-বাছাই শেষে রিটার্নিং অফিসার ও অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (সার্বিক) কল্যাণ চৌধুরী এই তথ্য নিশ্চিত করেছেন।

রিটার্নিং অফিসার কল্যাণ চৌধুরী বলেন, দ্বিতীয় ধাপে আগামী ২১ মে উপজেলা পরিষদ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে। আগামী ২ মে প্রতীক বরাদ্দের মধ্য দিয়ে প্রার্থীদের মূল প্রচারণা শুরু হবে। উপজেলা পরিষদ নির্বাচন অবাধ ও শান্তিপূর্ণ করার লক্ষ্যে নির্বাচনী সভা এবং প্রচার-প্রচারণা সংক্রান্ত নির্বাচন কমিশনের নির্দেশনা সকল প্রার্থীদের যথাযথভাবে মানতে অনুরোধ জানান।

তফসিল অনুযায়ী, মনোনয়নপত্র বাছাই করা হবে ২৩ এপ্রিল। মনোনয়নপত্র বাতিলের বিরুদ্ধে আপিল করা যাবে ২৪-২৬ এপ্রিল। আপিল নিষ্পত্তি হবে ২৭-২৯ এপ্রিলের মধ্যে। মনোনয়নপত্র প্রত্যাহারের শেষ তারিখ ৩০ এপ্রিল। প্রতীক বরাদ্দ দেওয়া হবে ২ মে। প্রচার শেষে আগামী ২১ মে হবে ভোটগ্রহণ।

এসময় জানানো হয়, এই তিনটি উপজেলায় ৩১ জন প্রার্থী মনোনয়নপত্র জমা দিয়েছিলেন। চেয়ারম্যান ১০ জন, ভাইস চেয়ারম্যান ১১ জন ও মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান পদে ১০ জন প্রার্থী তাদের মনোনয়নপত্র জমা দেন। এর মধ্যে ৩১ জনের মনোনয়নপত্র বৈধ ঘোষণা করা হয়।

উপজেলা চেয়ারম্যান পদে বৈধ প্রার্থী ঘোষিত হলেন- দূর্গাপুর উপজেলার বর্তমান চেয়ারম্যান বীর মুক্তিযোদ্ধা নজরুল ইসলাম, মো. শরিফুজ্জামান, মো. আব্দুল মজিদ; পুঠিয়া উপজেলার বর্তমান চেয়ারম্যান জি.এম হিরা বাচ্চু, মো. মখলেসুর রহমান, মো. আব্দুস সামাদ, মো. আহসান উল হক মাসুদ; বাগমারা উপজেলার মো. জাকিরুল ইসলাম, মো. আ. রাজ্জাক সরকার, মোহা. নাছিমা আক্তার।

এসময় ভাইস-চেয়ারম্যান পদে বৈধ প্রার্থী ঘোষিত হন- দূর্গাপুর উপজেলা মো. আ. কাদের মন্ডল, মো. হাসেম আলী, মো. আ. মোতালেব, মো. শামীম ফিরোজ, মো. মোসাব্বের সরকার জিন্নাহ, মো. আব্দুল হক; পুঠিয়া উপজেলার মো. ফজলে রাব্বি মুরাদ, মো. আব্দুল মতিন মুকুল, মো. জামাল উদ্দিন বাগমারা উপজেলার মো. আতাউর রহমান; বাগমারা উপজেলার মো. আতাউর রহমান, মো. শহিদুল ইসলাম, মোছা. বানেছা বেগম, মোসা. সারমিন আহম্মেদ, মোসা. কহিনুর বেগম; পুঠিয়া উপজেলার মৌসুমী রহমান, মোছা. পরিজান বেগম, মোছা. শাবনাজ আক্তার; বাগমারা উপজেলার মোছা. শাহিনুর খাতুন, কহিনুর বানু, খন্দকার শাহিদা আলম, মোছা. মমতাজ আক্তার বেবী।

মনোনয়নপত্র যাচাই-বাছাই সম্পর্কে দূর্গাপুর উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান প্রার্থীরা জানান, মনোনয়নপত্র যাচাই-বাছাই শেষে তারা বৈধতা পেয়েছেন। জেলা প্রশাসন চুল ছেঁড়া যাচাই-বাছাই শেষে প্রার্থীতা বৈধ ঘোষণা করেছেন।

মনোনয়নপত্র যাচাই-বাছাইয়ের সময় উপস্থিত ছিলেন- সহকারী কমিশনার ও এক্সিকিউটিভ ম্যাজিস্ট্রেট সাকিব হাছান খাঁন, সহকারী কমিশনার ও এক্সিকিউটিভ ম্যাজিস্ট্রেট সানিয়া বিনতে আফজাল, উপজেলা নির্বাচন অফিসার দূর্গাপুর মো. জয়নুল আবেদীন, রাজশাহী জেলার ডিএসবি মো. আলাউদ্দিন প্রমুখ।

;

কুষ্টিয়ার দুই উপজেলায় প্রার্থীদের প্রতীক বরাদ্দ



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম,কুষ্টিয়া
ছবি: বার্তা ২৪

ছবি: বার্তা ২৪

  • Font increase
  • Font Decrease

উপজেলা পরিষদ নির্বাচনের প্রথম ধাপে কুষ্টিয়ার দুই উপজেলার প্রার্থীদের মাঝে প্রতীক বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে।

মঙ্গলবার (২৩ এপ্রিল) বেলা সাড়ে ১১টায় জেলা নির্বাচন অফিসের সভাকক্ষে কুষ্টিয়া সদর ও খোকসা উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বি ২৩ প্রার্থীদের মাঝে প্রতীক বরাদ্দ দেওয়া হয়।

কুষ্টিয়া জেলা নির্বাচন অফিসার ও রিটার্নিং অফিসার মুহাম্মদ আবু আনসার উপস্থিত প্রার্থীদের হাতে প্রতীক তুলে দেন।

এর মধ্যে কুষ্টিয়া সদর উপজেলায় চেয়ারম্যান পদে ২ জন, ভাইস চেয়ারম্যান পদে ২ জন এবং মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান পদে ২ জন এবং খোকসা উপজেলায় চেয়ারম্যান পদে ৬ জন, ভাইস চেয়ারম্যান পদে ৮ জন এবং মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান পদে ৩ জন প্রার্থী রয়েছেন।

প্রতীক বরাদ্দ পাওয়ার পরপরই প্রার্থীরা মঙ্গলবার থেকে প্রচারণায় নেমে পড়েন। আগামী ৮ মে ভোটগ্রহণ অনুষ্ঠিত হবে।

;

ঝিনাইদহ-১ আসনের উপনির্বাচন ৫ জুন



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, ঢাকা
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

ঝিনাইদহ-১ আসনের সংসদ সদস্য আব্দুল হাইয়ের মৃত্যুর পর শূন্য আসনে আগামী ৫ জুন ভোট গ্রহণ করা হবে বলে জানিয়েছেন নির্বাচন কমিশন সচিব জাহাংগীর আলম।

মঙ্গলবার (২৩ এপ্রিল) বিকেলে নির্বাচন কমিশনের ৩২তম সভায় শেষে গণমাধ্যমকে তিনি এই তথ্য জানান।

সভা শেষে ইসি সচিব জাহাংগীর আলম জানান, ঝিনাইদহ-১ আসনের উপনির্বাচনের ভোট গ্রহণ করা হবে। দ্বাদশ সংসদ নির্বাচনে এ আসনে বিজয়ী আব্দুল হাইয়ের মৃত্যুতে আসনটি শূন্য হয়।

উপ-নির্বাচনের তফসিল ঘোষণাপূর্বক ইসি সচিব বলেন, উপনির্বাচনের মনোনয়নপত্র দাখিলের শেষ ৭মে, মনোনয়নপত্র বাছাই ৯ মে, বাছাইয়ের বিরুদ্ধে আপিল ১০ থেকে ১৪ মে, আপিল নিষ্পত্তি ১৫ মে, প্রার্থিতা প্রত্যাহারের শেষ সময় ১৬ মে এবং প্রতীক বরাদ্দ ১৭ মে। এ নির্বাচনের রিটার্নিং কর্মকর্তা হিসেবে দায়িত্ব পালন করবেন খুলনা অঞ্চলের আঞ্চলিক কর্মকর্তা।

;