প্রথমবার নৌকার টিকিট পেলেন তারা



রেজা-উদ্-দৌলাহ প্রধান, স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম
ছবি: বার্তা২৪

ছবি: বার্তা২৪

  • Font increase
  • Font Decrease

একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের জন্য মনোনয়ন প্রত্যাশীদের চূড়ান্ত মনোনয়ন দিয়েছে আওয়ামী লীগ। চূড়ান্ত মনোনয়নে যেমন বর্ষীয়ান ঝানু রাজনীতিবিদরা মনোনয়ন পেয়েছেন তেমনি তরুণরাও স্থান করে নিয়েছন।

১০ জাতীয় সংসদে ছিলেন না কিন্তু একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে মনোনয়ন পেয়েছে এমন দশ প্রার্থীর পরিচয় বার্তা২৪ এর পাঠকদের তুলে ধরা হল:

মাশরাফি বিন মুর্তজা (নড়াইল-)

বাংলাদেশ জাতীয় ক্রিকেট দলের ওডিআই অধিনায়ক মাশরাফি বিন মুর্তজাকে নড়াইল-২ আসনে আওয়ামী লীগের মনোনয়ন দেওয়া হয়েছে। মাশরাফির মনোনয়নকে অনেকটা চমক হিসেবেই তুলে ধরেছেন দলীয় সভাপতি শেখ হাসিনা। রাজনীতিতে মাশরাফি সম্পৃক্ত না থাকলেও তার মনোনয়নে দারুণ খুশি  নড়াইল এক্সপ্রেস ফাউন্ডেশনের  মধ্যদিয়ে মাশরাফি অনেক আগে থেকেই এলাকার বিভিন্ন উন্নয়ন কর্মকাণ্ডের সঙ্গে জড়িত ছিলেন।

সাইফুজ্জামান শিখর (মাগুরা-)

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সহকারী একান্ত সচিব (সাইফুজ্জামান শিখর)কে মাগুরা-১ আসন থেকে আওয়ামী লীগের মনোনয়ন দেওয়া হয়েছে। মুক্তিযুদ্ধের অন্যতম সংগঠক, মাগুরার সাবেক সংসদ সদস্য মরহুম আসাদুজ্জামানের চতুর্থ সন্তান সাইফুজ্জামান শিখর। মাগুরার ঐতিহ্যবাহী রাজনৈতিক পরিবারের সন্তান শিখর দীর্ঘদিন ধরে আওয়ামী লীগের মনোনয়ন প্রত্যাশায় এলাকায় গণসংযোগ করে গেছেন। অবশেষে তিনি নৌকার মনোনয়ন পেতে সক্ষম হলেন। সাইফুজ্জামান শিখর বাংলাদেশ ছাত্রলীগের কেন্দ্রীয় যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক ও ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদকের দায়িত্ব পালন করেন। তিনি ছিলেন রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক।

শেখ সারহান নাসের তন্ময় (বাগেরহাট-)

সুদর্শন, হাস্যোজ্জ্বল, সুবক্তা হিসেবে অল্পদিনেই সবার দৃষ্টি কাড়তে সমর্থ হয়েছেন শেখ সারহান নাসের তন্ময়। বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ছোট ভাই শেখ আবু নাসেরের ছেলে সংসদ সদস্য (এমপি) শেখ হেলাল উদ্দীনের একমাত্র ছেলে তিনি।

সম্প্রতি কয়েকটি রাজনৈতিক অনুষ্ঠানে তার সরব উপস্থিতি ও অত্যন্ত আকর্ষণীয় বাচনভঙ্গিতে দেওয়া বক্তৃতা সবার নজর কেড়েছে। ৩২ বছর বয়সী তন্ময়কে বাগেরহাট-২ আসনে নৌকার প্রার্থী হিসেবে মনোনয়ন দিয়েছেন আওয়ামী লীগ সভাপতি শেখ হাসিনা।

. আবদুস সোবহান গোলাপ ( মাদারীপুর-)

মাদারীপুর-৩ আসনে নৌকার মনোনয়ন পেয়েছেন দলের কেন্দ্রীয় কমিটির দপ্তর সম্পাদক ড. আবদুস সোবহান গোলাপ। এই আসনে পূর্বের সংসদ সদস্য আফম বাহাউদ্দিন নাছিম এবার বাদ পড়েছেন। গোলাপ বরিশালের গৌরনদীর ভিক্টোরী উচ্চ বিদ্যালয়ের ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক (১৯৭২-৭৩) ছিলেন। ঢাকা কলেজ ছাত্রলীগের সদস্য(৭৩-৭৪)। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় সমাজ বিজ্ঞান বিভাগ ছাত্রলীগের প্রতিষ্ঠাতা সাধারণ সম্পাদক (১৯৭৮-৮০)। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সূর্যসেন হলের সাধারণ সম্পাদক (১৯৭৮-৮০)। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রলীগের যুগ্ম-আহবায়ক(১৯৭৯-৮০)। মাস্টারদা সূর্যসেন হল ছাত্র-সংসদের সাধারণ সম্পাদক (১৯৭৮-৮০)। মাস্টারদা সূর্যসেন হল ছাত্র-সংসদের সহ-সভাপতি (১৯৮১-৮৩)। ছাত্রলীগের নির্বাহী সদস্য (১৯৮১-৮৩)। শেখ হাসিনার সহকারী একান্ত সচিব (২০০৮)। বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় সদস্য (২০১২)। আওয়ামী লীগে দপ্তর সম্পাদক (২০১৩)। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার বিশেষ সহকারী (২০১৪-বর্তমান)। আওয়ামী লীগের দপ্তর সম্পাদক (২০১৬- বর্তমান)।

ইকবাল হোসেন অপু (শরীতপুর-)

শরীয়তপুর-১ (পালং-জাজিরা) আসনে আওয়ামীলীগের মনোনয়ন পেয়েছেন দলের কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য ইকবাল হোসেন অপু। অপু ছাত্রজীবন থেকেই রাজনীতির সঙ্গযুক্ত। ছাত্রলীগের সাবেক কেন্দ্রীয় সহ-সভাপতি বিভিন্ন ইতিবাচক কর্ম আর বিচক্ষণ নেতৃত্বগুণে ইতিমধ্যে পালং-জাজিরাবাসীর আস্থা ও ভালাবাসা অর্জন করতে সক্ষম হয়েছেন। অপু বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় উপ-কমিটির সহ-সম্পাদক, ছাত্রলীগের কেন্দ্রীয় সহ-সভাপতি ও যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক হিসেবে সফলতা ও দক্ষতার সঙ্গে কাজ করেছেন। এছাড়াও তিনি শরীয়তপুর সদর উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি, শরীয়তপুর জেলা আইনজীবী সমিতির সাবেক সভাপতি প্রবীণ রাজনীতিবিদ অ্যাডভোকেট সুলতান হোসেন মিয়ার সন্তান।

একেএম এনামুল হক শামীম (শরীয়তপুর-)

এককালের তুখোড় ছাত্রনেতা থেকে এখন সংসদ সদস্য হওয়ার পথে রয়েছেন আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় সাংগঠনিক সম্পাদক একেএম এনামুল হক শামীম। তিনি ১৯৬৫ সালে শরীয়তপুর জেলার সখিপুর থানার পাইকবাড়িতে এক সম্ভ্রান্ত মুসলিম পরিবারে জন্মগ্রহণ করেন। তার পিতা আলহাজ্ব মোহাম্মদ আবুল হাশেম মিয়া ও মাতা বেগম আশরাফুন্নেসা।

স্কুল জীবন থেকেই তার ছাত্ররাজনীতির হাতেখড়ি শুরু হয়। ১৯৭৯ সালে নোয়াখালীর এএম উচ্চবিদ্যালয়ে পড়া অবস্থায় তিনি স্কুল শাখা ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক হিসাবে নির্বাচিত হন।  জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ছাত্রলীগের সাংগঠনিক সম্পাদক, সাধারণ সম্পাদক ও সভাপতি হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন। সাধারণ ছাত্রছাত্রীদের বিপুল ভোটে ১৯৮৯ সালে তিনি জাকসুর ভিপি নির্বাচিত হন।

বিশ্ববিদ্যালয়ের রাজনীতির পাশাপাশি ছাত্রলীগের কেন্দ্রীয় পর্যায়েও তার ছিলো সদর্প বিচরণ।  ১৯৯৪ সালে বাংলাদেশ ছাত্রলীগের সভাপতি নির্বাচিত হন।

একেএম এনামুল হক শামীম ২০০২ থেকে বাংলাদেশ আওয়ামীলীগের অবজারভার মেম্বার হিসেবে দায়িত্ব পালন করার পর ২০১২ সালের ফেব্রুয়ারীতে প্রথমবারের মতো এবং ২০১২ সালের ডিসেম্বরের কেন্দ্রীয় সম্মেলনে দ্বিতীয়বারের মতো বাংলাদেশ আওয়ামীলীগের কেন্দ্রীয় নির্বাহী সংসদের সদস্য মনোনীত হন। আওয়ামী লীগের ২০তম সম্মেলন অধিবেশনে এনামুল হক শামীমকে সাংগঠনিক সম্পাদক হিসাবে নির্বাচিত করা হয়। সাংগঠনিক দায়িত্ব পান।

ব্যারিস্টার মুহিবুল হাসান চৌধুরী নওফেল (চট্টগ্রাম-)

আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক ব্যারিস্টার মুহিবুল হাসান চৌধুরী নওফেল। প্রথমবারের মত তিনি চট্টগ্রাম-৯ আসন থেকে নৌকার মনোনয়ন পেয়েছেন। তাঁর পিতা এবিএম মহিউদ্দীন চৌধুরী চট্টগ্রামের রাজনীতিতে ছিলেন আওয়ামী লীগের প্রবাদ পুরুষ। পিতার পদাঙ্ক অনুসরণ করে নওফেল উচ্চ শিক্ষা নিয়ে দেশে ফিরে এসে রাজনীতিতে যুক্ত হন। আওয়ামী লীগের ২০ তম সম্মেলনে তাকে সাংগঠনিক সম্পাদকের দায়িত্ব দেন দলীয় সভাপতি শেখ হাসিনা। দৃঢ় নেতৃত্ব ও যোগ্যতা দিয়ে তিনি এবার নৌকার মনোনয়নও নিশ্চিত করেছেন।

নূর মোহাম্মদ (কিশোরগঞ্জ -)

বাংলাদেশ পুলিশের সাবেক আইজিপি নূর মোহাম্মদ। তিনি একাধারে আমলা, কূটনীতিক ও সরকারি কর্মকর্তা ছিলেন। অবসর জীবনে এসে তিনি রাজনীতিতে নতুন করে চমক দেখিয়েছেন। কিশোরগঞ্জ-২ আসনে তিনি নৌকার মনোনয়ন পেয়েছেন। বাদ পড়েছেন বর্তমান সংসদ সদস্য অ্যাডভোকেট মো. সোহরাব উদ্দিন। এদিকে মনোনয়নের আশায় নূর মোহাম্মদ দীর্ঘদিন ধরে এলাকায় গণসংযোগ করে গেছেন।

আবদুল মোমেন (সিলেট-)

বাংলাদেশের রাজনীতিতে সিলেট-১ আসন খুব গুরুত্বপূর্ণ। বলা হয়, এই আসনে যিনি জয়লাভ করেন সেই ব্যক্তির দলই সরকার গঠন করেন। স্বাধীনতার পর থেকে সমস্ত জাতীয় নির্বাচনে এই সমীকরণ মিলে আসছে। তাই এবার সিলেট-১ এ জয় ধরে রাখতে আওয়ামী লীগ প্রার্থী করেছেন জাতিসংঘে বাংলাদেশের সাবেক স্থায়ী প্রতিনিধ, সাবেক কূটনীতিক ড. আব্দুল মোমেন। তিনি চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জ-এর প্রেসিডেন্ট। আবদুল মোমেনের দলীয় কোন পদ-পদবী না থাকলেও তিনি অর্থমন্ত্রী আবুল মাল আব্দুল মুহিতের আপন ছোটভাই।

শাহীনা চৌধুরী (কক্সবাজার-)

কক্সবাজার-৪ আসনে বাদ পড়েছেন আওয়ামী লীগের বিতর্কিত সংসদ সদস্য আবদুর রহমান বদি। এবার সেখানে আওয়ামী লীগের মনোনয়ন পেয়েছেন বদির স্ত্রী শাহীনা আক্তার চৌধুরী। শাহীনা চৌধুরী উখিয়ার ঐতিহ্যবাহী রাজনৈতিক পরিবারের মেয়ে। তার বাবা নুরুল ইসলাম চৌধুরী ঠান্ডা মিয়া ছিলেন উখিয়া উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান।

তার চাচা হামিদুল হক চৌধুরী উখিয়া উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি এবং উখিয়া বঙ্গমাতা ফজিলাতুন্নেসা মুজিব মহিলা কলেজের অধ্যক্ষ। চাচী অর্থ্যাৎ হামিদুল হক চৌধুরীর স্ত্রী নিগার সুলতানা উখিয়া উপজেলা মহিলা আওয়ামী লীগের সভানেত্রী।

 

   

ভোটের তিন বছর পর কাউন্সিলর হচ্ছেন আলী আহাম্মদ



উপজেলা করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, গৌরীপুর (ময়মনসিংহ)
ভোটের তিন বছর পর কাউন্সিলর হচ্ছেন আলী আহাম্মদ

ভোটের তিন বছর পর কাউন্সিলর হচ্ছেন আলী আহাম্মদ

  • Font increase
  • Font Decrease

ভোট গ্রহণের তিন বছর পর আদালতের রায়ে ময়মনসিংহের গৌরীপুর পৌরসভার ৯ নং ওয়ার্ড কাউন্সিলর পদে জয় পেয়েছেন এসএম আলী আহাম্মদ।

শুক্রবার (১৯ এপ্রিল) নির্বাচন কমিশনের উপসচিব মো. মিজানুর রহমান এই বিষয়ে যথাযথ ব্যবস্থা গ্রহণ ও দায়িত্ব বুঝিয়ে দেওয়ার জন্য ময়মনসিংহ বিভাগীয় কমিশনারকে চিঠি দিয়েছেন।

এর আগে মঙ্গলবার এই সংক্রান্ত প্রজ্ঞাপন জারি করে নির্বাচন কমিশন।

জানা গেছে, ২০২১ সালের ৩০ জানুয়ারি গৌরীপুর পৌরসভার নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়। ওই নির্বাচনে পৌরসভার ৯ নং ওয়ার্ড থেকে কাউন্সিলর পদে ডালিম প্রতীক নিয়ে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেন এসএম আলী আহাম্মদ। ভোটগ্রহণ শেষে প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থী উটপাখি প্রতীকের মোহাম্মদ আরিফুল ইসলাম ভূঁইয়াকে বিজয়ী ঘোষণা করে নির্বাচন কমিশন।

এদিকে ফলাফল প্রত্যাখান করে আইনের আশ্রয় নিয়ে আদালতের দ্বারস্থ হন আলী আহাম্মদ। দীর্ঘ আইনি লড়াই শেষে আদালত পুনরায় ভোট গণনার নির্দেশ দেওয়ার পর দেখা যায় ডালিম প্রতীক ৬০৪ ভোট ও উটপাখি প্রতীক ৫৩৯ ভোট পেয়েছে। গত বছর ২৯ অক্টোবর নিম্ন আদালত আগের ঘোষিত ফলাফল বাতিল করে ডালিম প্রতীকের প্রার্থী আলী আহাম্মদকে বিজয়ী ঘোষণা করেন।

এরপর নিম্ন আদালতের রায়ের বিরুদ্ধে উচ্চ আদালতে আপিল করেন উটপাখি প্রতীকের প্রার্থী মোহাম্মদ আরিফুল ইসলাম ভূঁইয়া। আপিলের পর উচ্চ আদালত গত ২৫ জানুয়ারি নিম্ন আদালতের রায়ের ওপর ৮ সপ্তাহ স্থগিতাদেশ দেন।

এরপর আবারও আইনি লড়াই শুরু হয়। গত ৩ মার্চ উচ্চ আদালত ও নির্বাচনী ট্রাইব্যুনাল আপিলের চূড়ান্ত রায় ঘোষণা করে নিম্ন আদালতের রায় বহাল রাখেন।

এস এম আলী আহাম্মদ বলেন, ‘ভোটারদের প্রতি আমার আস্থা ছিল। পাশাপাশি আমি সবসময় আইনের প্রতি শ্রদ্ধাশীল ছিলাম। আমার সাথে যে অন্যায় হয়েছিল, তার জন্য ন্যায় বিচার পেতে আইনের দ্বারস্থ হয়েছি। আইনি লড়াইয়ে ন্যায় বিচার পেয়ে জয়ী হয়েছি’।

অপরদিকে মোহাম্মদ আরিফুল ইসলাম ভূঁইয়া বলেন, ‘এই মুহূর্তে আমি এই বিষয়টি নিয়ে কোনো মন্তব্য করতে চাচ্ছি না’।

এ বিষয়ে যোগাযোগ করা হলে গৌরীপুর উপজেলা নির্বাহী অফিসার মো. শাকিল আহমেদ বলেন, ‘ময়মনসিংহ বিভাগীয় কমিশনার স্যার এ বিষয়ে পরবর্তী পদক্ষেপ নেবেন।’

;

গাজীপুরে উপজেলা নির্বাচন উপলক্ষে মতবিনিময় সভা



ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, গাজীপুর
গাজীপুরে উপজেলা নির্বাচন উপলক্ষে মতবিনিময় সভা

গাজীপুরে উপজেলা নির্বাচন উপলক্ষে মতবিনিময় সভা

  • Font increase
  • Font Decrease

আসন্ন ৬ষ্ঠ উপজেলা পরিষদ সাধারণ নির্বাচনকে অবাধ, সুষ্ঠু করতে গাজীপুরে নির্বাচন সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তাদের মতবিনিময় সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে।

বৃহস্পতিবার (১৮ এপ্রিল) বিকেলে গাজীপুর জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ের ভাওয়াল সম্মেলন কক্ষে এ সভার আয়োজন করা হয়।

মতবিনিময় সভায় প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন- নির্বাচন কমিশনার মো. আলমগীর। এতে সভাপতিত্ব করেন- জেলা প্রশাসক আবুল ফাতে মোহাম্মদ সফিকুল ইসলাম।

এসময় আসন্ন উপজেলা পরিষদ নির্বাচনকে অবাধ, সুষ্ঠু ও সুশৃঙ্খলভাবে করার জন্য সংশ্লিষ্ট সকলকে নির্দেশনা প্রদানসহ নানা দিক নির্দেশনা দেন নির্বাচন কমিশনার মো. আলমগীর।

এর আগে নির্বাচন কমিশনারকে গাজীপুর সার্কিট হাউজে ফুলেল অভ্যর্থনা জানান জেলা প্রশাসক। পরে পুলিশের একটি দল তাকে গার্ড অফ অনার প্রদান করেন।

সভায় অন্যান্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন, অতিরিক্ত জেলা প্রশাসকবৃন্দ, উপজেলা নির্বাহী অফিসারগণ, রিটার্নিং অফিসার, সহকারী রিটার্নিং অফিসার, নির্বাচন সংশ্লিষ্ট অন্যান্য ব্যক্তিবর্গ ও আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্যবৃন্দ।

;

উপজেলা নির্বাচন: আন্তঃমন্ত্রণালয় সভা ২৩ এপ্রিল



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, ঢাকা
ছবি: বার্তা২৪.কম

ছবি: বার্তা২৪.কম

  • Font increase
  • Font Decrease

আসন্ন ষষ্ঠ উপজেলা পরিষদ নির্বাচন সুষ্ঠুভাবে সম্পন্ন করার জন্য আগামী মঙ্গলবার (২৩ এপ্রিল) আন্তঃমন্ত্রণালয় সভা ডেকেছে নির্বাচন কমিশন (ইসি)।

বৃহস্পতিবার (১৮ এপ্রিল) নির্বাচন পরিচালনা শাখার উপসচিব মো. আতিয়ার রহমান ইতিমধ্যে সংশ্লিষ্টদের এ সংক্রান্ত চিঠি পাঠিয়েছেন।

এতে উল্লেখ করা হয়েছে, ষষ্ঠ উপজেলা পরিষদ সাধারণ নির্বাচন সুষ্ঠু ও সুন্দরভাবে অনুষ্ঠানের নিমিত্তে সংশ্লিষ্টদের উপস্থিতিতে এক সভা আগামী ২৩ এপ্রিল বেলা সকাল ১১টায় নির্বাচন কমিশন সচিবালয়ের সভাকক্ষে অনুষ্ঠিত হবে।

প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) কাজী হাবিবুল আউয়ালের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠেয় সভায় নির্বাচন কমিশনারগণ, নির্বাচন কমিশন সচিবালয়ের সচিব ও সংশ্লিষ্ট অন্যান্য কর্মকর্তাগণ উপস্থিত থাকবেন।

চিঠিতে সভায় যথাসময়ে উপস্থিত থাকার জন্য নির্দেশিত হয়ে অনুরোধ জানানো হয়েছে।

আতিয়ার রহমান সভার চিঠি জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়, জননিরাপত্তা বিভাগের সিনিয়র সচিব, মন্ত্রিপরিষদ বিভাগের (সমন্বয় ও সংস্কার) সচিব, স্থানীয় সরকার বিভাগের সচিব, মহাপুলিশ পরিদর্শক, বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ/র‍্যাব/কোস্টগার্ড/আনসার ও ভিডিপি/ডিজিএফআই/এনএসআই, মহাপরিচালক ও অতিরিক্ত মহাপুলিশ পরিদর্শককে (এসবি) পাঠিয়েছেন।

চার ধাপে অনুষ্ঠেয় ষষ্ঠ উপজেলা পরিষদ নির্বাচনের ইতিমধ্যে তিন ধাপের তফসিল দিয়েছে ইসি।

প্রথম ধাপের তফসিল অনুযায়ী, মনোনয়নপত্র দাখিল ও বাছাইয়ের সময় শেষ। বৈধ প্রার্থী এক হাজার ৭৮৬ জন, রিটার্নিং কর্মকর্তার সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে আপিল ১৮ থেকে ২০ এপ্রিল। আপিল নিষ্পত্তি ২১ এপ্রিল, প্রার্থিতা প্রত্যাহারের শেষ সময় ২২ এপ্রিল। প্রতীক বরাদ্দ ২৩ এপ্রিল, আর ১৫২ উপজেলায় ভোটগ্রহণ হবে ৮ মে।

এই ধাপের নির্বাচনে রিটার্নিং কর্মকর্তা হিসেবে জেলা নির্বাচন কর্মকর্তা ও সহকারী রিটার্নিং কর্মকর্তা হিসেবে উপজেলা নির্বাচন কর্মকর্তাদের নিয়োগ করা হয়েছে। রিটার্নিং কর্মকর্তার সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে দায়ের করা আপিল আবেদন নিষ্পত্তি করবেন আপিল কর্তৃপক্ষ হিসেবে জেলা প্রশাসক।

দ্বিতীয় ধাপের তফসিল অনুযায়ী, মনোনয়নপত্র দাখিল ২১ এপ্রিল শেষ সময়, মনোনয়নপত্র বাছাই ২৩ এপ্রিল, আপিল গ্রহণ ২৪-২৬ এপ্রিল, আপিল নিষ্পত্তি ২৭ থেকে ২৯ এপ্রিল। প্রার্থিতা প্রত্যাহারের শেষ সময় ৩০ এপ্রিল, প্রতীক বরাদ্দ প্রতীক বরাদ্দ ২ মে। আর ১৬১ উপজেলায় ভোটগ্রহণ হবে ২১ মে।

এই ধাপের নির্বাচনে অতিরিক্ত জেলা প্রশাসকদের রিটার্নিং কর্মকর্তা ও উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তাদের সহকারী রিটার্নিং কর্মকর্তা হিসেবে নিয়োগ দেওয়া হয়েছে। ভোটারের সংখ্যা ৫ লাখের বেশি যেখানে সেখানে একাধিক সহকারী রিটার্নিং অফিসার নিয়োজিত থাকবেন।

তৃতীয় ধাপের তফসিল অনুযায়ী, মনোনয়ন ফরম জমার শেষ তারিখ ২ মে, মনোনয়ন যাচাই-বাছাই ৫ মে। রিটার্নিং কর্মকর্তার সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে আপিল ৬ থেকে ৮মে।

আপিল নিষ্পত্তি ৯ থেকে ১১ মে। প্রার্থীতা প্রত্যাহারের শেষ দিন ১২ই মে। প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থীদের মাঝে প্রতীক বরাদ্দ ১৩ই মে এবং ভোট ২৯শে মে। এই ধাপে ১১২ উপজেলায় ভোট হবে।

এই ধাপে রিটার্নিং কর্মকর্তা হিসেবে অতিরিক্ত জেলা ও অতিরিক্ত আঞ্চলিক নির্বাচন কর্মকর্তা এবং অতিরিক্ত জেলা প্রশাসকদের নিয়োগ দেওয়া হয়েছে৷

আগামী ৫ জুন চতুর্থ ধাপের নির্বাচন অনুষ্ঠিত হতে পারে।

;

১৫০ উপজেলায় বৈধ প্রার্থী ১৭৮৬



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, ঢাকা
১৫০ উপজেলায় বৈধ প্রার্থী ১৭৮৬

১৫০ উপজেলায় বৈধ প্রার্থী ১৭৮৬

  • Font increase
  • Font Decrease

আসন্ন ষষ্ঠ উপজেলা নির্বাচনের প্রথম ধাপের রিটার্নিং কর্মকর্তা যাচাই বাছাই শেষে মোট বৈধ প্রার্থী দাঁড়াল এক হাজর ৭৮৬ জন।

বৃহস্পতিবার (১৮ এপ্রিল) মাঠ পর্যায় থেকে পাঠানো তথ্য একীভূত করার পর এ তথ্য জানিয়েছেন নির্বাচন কমিশনের অতিরিক্ত সচিব অশোক কুমার দেবনাথ।

তিনি জানান, প্রথম ধাপে চেয়ারম্যান, ভাইস চেয়ারম্যান ও মহিলা ভাইসচেয়ারম্যান পদে মনোনয়নপত্র দাখিল করেছিলেন এক হাজার ৮৯০ জন। এদের মধ্যে বাছাইয়ে বাতিল হয়েছে ১০৪ জনের মনোনয়নপত্র। আর বৈধ প্রার্থীর সংখ্যা এক হাজার ৭৮৬ জন।

নির্বাচন কমিশন ঘোষিত তফসিল অনুযায়ী, রিটার্নিং কর্মকর্তার সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে আপিল ১৮ থেকে ২০ এপ্রিল। আপিল নিষ্পত্তি ২১ এপ্রিল, প্রার্থিতা প্রত্যাহারের শেষ সময় ২২ এপ্রিল। প্রতীক বরাদ্দ ২৩ এপ্রিল আর ১৫০ উপজেলায় ভোটগ্রহণ হবে ৮ মে।

;